বিলাল হোসেন: শ্যামনগরের কৈখালীতে আলোচিত বাঘে ধরা ঘটনায় বাড়ি থেকে নিয়ে উধাও করে দেওয়ায় রতনের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
রতনের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী গ্রামের কয়ালপাড়ার জাহার আলী কয়ালের ছেলে মামুন, রুহুল আমিন কয়ালের ছেলে গাজা ব্যবসায়ী আজিজুল ও ভদ্রখালী গ্রামের মতিয়ার গাজীর ছেলে সোহারাব রতনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই থেকে রতন নিখোঁজ। এদিকে রতনের পিতা কফিলউদ্দীন ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে ছেলেকে না দেখে ছেলের খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- মামুন, আজিজুল, সোহরাব রতনকে ডেকে নিয়ে গেছে। কফিলউদ্দীন মামুনের কাছে জানতে চাইলে মামুন আশ^াস দিয়ে বলে রতন, মিজান মুসা একসাথে একটা কাজে গেছে, তারা দ্রুত ফিরবে। দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুনরায় রতনের পিতা কফিলউদ্দীন আজিজুলের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সেও একই কথা জানায়। পরে গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে আবু মুসা ফোন করে কান্নাকাটি করে পরিবারকে জানায় রতন ও মিজানকে বাঘে ধরেছে। স্থানীয় ভারতীয় জেলেরা মুসাকে উদ্ধার করে পরে মুসা ভারতে ১দিন থাকার পর গত ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসে।
গত ২৪ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে কফিলউদ্দীন শ্যামনগর থানায় কয়েকজন অজ্ঞাতসহ ৩জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের বিষয় শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তের জন্য এসআই হাবিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের উপর সঠিক ঘটনার তদন্ত খতিয়ে দেখছেন এসআই হাবিব।
এসআই হাবিব জানান, সঠিক ঘটনা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। তবে সময়ের ব্যপার। আমি বিষয়টির সত্যতা খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
এলাকবাসি জানায়, পাশর্^বর্তী কালিন্দী নদীতে মাছ ধরে পরিবারের ৫জন সদস্য নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসতো। নদীর চরে খড় দিয়ে ছাওয়ার ভাঙা মাটির দেওয়াল দিয়ে তৈরী ঘরে বসাবস রতনের পরিবার। রতনকে হারিয়ে বেভোলা তার পরিবার। রতনের মৃতদেহ পাওয়ার আশায় তার মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানেরা পথ চেয়ে আছে। মিডিয়ার কর্মীরা গেলে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে রতনের লাশটা পাওয়ার আশায়।
অন্যদিকে মিজান বৈধ পাশপার্মিট নিয়ে কাঁকড়া ও মধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। পরিবার পরিজনদের নিযয়ে একটু সুখের আশায় পাকা ঘরে বসাবসের জন্য নতুন ঘর তৈরি করে ছাদ দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিলো। কিন্তু মিজানের স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হলো না। বাড়িতেই ফিরল না তার লাশ। বাবা কোথায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে অঝরে কাঁদছে মিজানের স্ত্রী। নিহত পরিবারের একটাই দাবী মামুন, আজিজুল, সোহারাবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ তাদের লাশ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
The post কৈখালীতে আলোচিত বাঘে ধরা ঘটনায় রতনের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ: পুলিশের তদন্ত শুরু appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3pi7Ntj
No comments:
Post a Comment