Saturday, May 22, 2021

‘শান্তির পায়রা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান https://ift.tt/eA8V8J

নাসরীন জাহান লিপি
‘শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’ শিরোনামে গত ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখে উদযাপিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যের দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা’র ৮ম দিন। ‘শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরার এই আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূটানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং তাঁর বক্তব্যে বললেন, ‘বিশ^বাসীকে বলার মতো একটি সুন্দর গল্প বাংলাদেশকে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
তিনি আরও বললেন, “আমি বিশ^াস করি, অন্যকে বলার মতো একটি গল্প প্রত্যেক মানুষ ও জাতির থাকা উচিত।”
কী সৌভাগ্য আমার এবং আমার মতো বাংলাদেশের সব মানুষের! অন্যকে বলার মতো একটি অসাধারণ গল্প আছে আমার, আছে বাংলাদেশের সব মানুষের, বাঙালি জাতির। বিশ^বাসীকে বলার মতো এই অসাধারণ গল্পটি আমাকে এবং আমাদের সবাইকে উপহার দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই গল্পের মূল প্রতিপাদ্য কি?
শান্তি, মুক্তি ও মানবতা।
পাকিস্তানের দখলদারী মনোভাবের ফলে অশান্তির আগুণে জ¦লতে থাকা এই ভূখ-ের স্বাধীনতা এনে দিয়ে কেবল মাত্র বাংলাদেশেই শান্তি আনেননি তিনি, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির বীজ বপন করে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ধানম-ি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে পরিদর্শক বইয়ে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশ ও সারা বিশে^র সব শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে শ্রদ্ধার এই পবিত্র স্থানটি আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ ও আলোড়িত করেছে।”
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য ধানম-ি ৩২ নম্বর তাঁর কাছে বাংলাদেশ ও সারা বিশে^র সব শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পবিত্র স্থান। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য প্রতিটি স্থান আসলে তা-ই। সেই অর্থে বিশে^র কাছে গোটা বাংলাদেশই আজ পরিণত হয়েছে শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য শ্রদ্ধার পবিত্র স্থান। বাংলাদেশ কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্যই শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে আলোচিত হয়েছে, স্বীকৃত হয়েছে এবং বাংলাদেশ সব সময় শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে বলে বিশ^বাসীর চাওয়া হিসেবে পরিণত হয়েছে।
১৯৭১ সালে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলাদেশে শান্তির পায়রা উড়িয়ে এই বারতা প্রথম দিয়েছেন তো শান্তিপ্রিয় সেই মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রায় এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্মান। সে-ই প্রথম। বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার স্থপতি, গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভূষিত হলেন ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে। এই পুরস্কার প্রাপ্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও বিশ^শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, যা তিনি এসে দিতে পেরেছিলেন তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের মানুষকে, যাদের তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন।
১৯৭৩ সালের ২৩ মে। বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদ্যাপনের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিনটিকে আনন্দের সাথে উদ্যাপনে জাতির আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা মহামারী। রোগ-শোকে ক্লান্ত পৃথিবীতে এখনো চলছে যুদ্ধের হানাহানি। মিয়ানমারে প্রতিদিন রক্ত ঝরছে নিরীহ জনগণের। দখলদার ইজরায়েল প্রতি মিনিটে শত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেড়ে নিচ্ছে শিশু-নারীসহ সাধারণ মানুষের প্রাণ। ‘শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’ বঙ্গবন্ধু তাই এখনো ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। কারণে এখনো পৃথিবীতে শান্তি অধরা। এই প্রাসঙ্গিকতায় এ বছরের ২৩ মে অনেক বেশি আলোচনার দাবী রাখে।
‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকের সাথে জড়িয়ে আছে বিশ^বিখ্যাত দুই পদার্থবিজ্ঞানী মেরি কুরি ও পিয়েওে কুরি’র নাম। বিশ^ শান্তির সংগ্রামে এই বিজ্ঞানী দম্পতির অবাদন অনস্বীকার্য। তাঁদের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বিশ^ শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে তাঁদের নামে এই শান্তি পদক প্রবর্তন করে। ফ্যাসিবাদবিরোধী, সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে ও মানবতার কল্যানে শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করা হয়। কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের হো চি মিন, প্যালেস্টাইনের ইয়াসির আরাফাত, চিলির সালভেদর আলেন্দে, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, চিলির কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, ভারতের জওহরলাল নেহেরু, আমেরিকার মার্টিন লুথার কিং, রশিয়ার (সোভিয়েত ইউনিয়ন) লিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ বিশ্ব নেতাদের এই পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ^ শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশে^র ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বাঙালি জাতির মুক্তির আন্দোলন ও বিশ^ শান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর জোরালো ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য বিশ^ শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুর নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বিশ^ শান্তি পরিষদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ছিলেন বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী আকসাদ। বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ভূষিত করার পেছনে তাঁর আন্তরিক ভূমিকার কথা স্বীকার করতেই হবে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল আগ্রাসী নীতির বিপরীতে বঙ্গবন্ধু সরকার ঘোষণা করেছিলেন জোট নিরপেক্ষ নীতি। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরীতা নয়- এই নীতির মাধ্যমে শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে বঙ্গবন্ধু সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছিল। বিশ^শান্তির জন্য এই নীতির গ্রহণযোগ্যতা কতখানি, এর প্রমাণ মিলল ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক অর্জনের মধ্য দিয়ে। সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিয়ে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।’ বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি এখনো কী ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক! কোভিড-নাইন্টিন সৃষ্ট মহামারী ঠেকাতে টিকা পেতে হবে পৃথিবীর মানুষকে। সব দেশ এখনো সেই টিকা পায়নি। টিকা-বাণিজ্য, টিকা-রাজনীতির শিকার হচ্ছে ক্ষমতাহীন রাষ্ট্রের জনগণ। পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি সবার জন্য টিকা সুলভ করতে অর্থ সহযোগিতা করতে পারত, যে আহবান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতাবান পক্ষকে বার বার করেছেন। অথচ বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরিতে ব্যয় করা হচ্ছে অস্ত্র।
ফিরে যাই ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তারিখে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় উন্মুক্ত চত্বরে সুসজ্জিত প্যান্ডেলে বিশ^ শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশ ছিল সেদিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা জন রিড উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ভারতের বিখ্যাত শান্তিবাদী নেতা কৃষ্ণ মেনেন। সেই সমাবেশে মহাসচিব ঘোষণা করলেন, ‘শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ^বন্ধুও বটে।’
কেবলমাত্র বাংলার বন্ধু তিনি নন, বিশে^রও বন্ধু বটে। বাংলার শান্তির পায়রা বিশ^ময় শান্তির প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত হলেন। রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে ১৯৭৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। আর ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতিসংঘের মাতৃভাষা বাংলায় প্রথম বার ভাষণ দিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই ভাষণেও তিনি স্পষ্ট উচ্চারণে বলেছিলেন শান্তির অমোঘ বাণী। বলেছিলেন শান্তির পক্ষে তাঁর বিশ^াসের কথা- “মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তাহা সমগ্র বিশ্বের নরনারীর গভীর আকাক্সক্ষারই প্রতিফলন ঘটাইবে। এবং ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত শান্তিই দীর্ঘস্থায়ী হইতে পারে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকীতে শান্তির পক্ষে উচ্চারিত বঙ্গবন্ধুর এই বিশ্¦াস অতি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক্, বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হোক, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। লেখিকা: প্রধান মিডিয়া কর্মকর্তা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি

আসুন জানি মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
ডা. সুব্রত ঘোষ
ফেস মাস্ক, যা ধুলাবালি ও রোগজীবাণু থেকে সুরক্ষার অন্যতম প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল এতদিন। কিন্তু কভিড-১৯ মহামারীর কারণে এটি এখন আমাদের জীবনের আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। মরণঘাতী ভাইরাসটির প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে নিয়মমাফিক মাস্ক ব্যবহারের কথায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও আমরা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করলেও করোনা প্রতিরোধে সহায়ক হয়, এমন পদ্ধতিতে মাস্ক ব্যবহার করি না। মাস্ক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি ও বর্জনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে জনস হপকিন্স মেডিসিন। নিয়মমাফিক মাস্ক ব্যবহারের এসব বিষয় এ লেখায় তুলে ধরা হলো।
১. মাস্ক ব্যবহারের আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সাবান ব্যবহারের মাধ্যমে হাত ধুতে পারলে সেটি অধিকতর ভালো।
২. মাস্ক পরা ও খুলে ফেলার সময় ফিতা ধরতে হবে। অনেকেই আমরা মাস্কের যেকোনো অংশ ধরে মাস্ক পরি। খুলে ফেলি। যেটি না করাই উত্তম।
৩. ব্যবহূত মাস্ক যেন মুখ, নাক ও থুতনিতে উপযুক্তভাবে লেগে থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আর মাস্কটি পরার আগে ও পরে অবশ্যই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. তবে মাস্ক ব্যবহার করলেও অবশ্যই আপনি ভালোভাবে নি:শ্বাস নিতে পারছেন কিনা, সেটি নিশ্চিত হতে হবে। পাশাপাশি আপনি আরামদায়কভাবে কথা বলতে পারছেন কিনা সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
৫. বারবার ব্যবহার করা যায় এমন মাস্ক পরবর্তী ব্যবহারের আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সাবান অথবা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ব্যবহৃত মাস্কটি যদি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী না হয় অথবা নষ্ট বা ধুলাবালিতে পূর্ণ হয়ে যায়, তবে সেটি অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বর্জনীয় বিষয়:
জীবাণু থেকে নিজে ও অন্যদের রক্ষার জন্য উপযুক্তভাবে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। যদিও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে আমরা বেশকিছু সাধারণ ভুল অহরহ করে থাকি। এমন কিছু বর্জনীয় বিষয় হলো-
১. রুমালের মতো বড় আকৃতির মাস্ক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং এক্ষেত্রে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে পারে এমন মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন তারা।
২. মাস্ক ব্যবহার অবস্থায় আমরা প্রায়ই মুখে হাত দেয়। এটি করা যাবে না। নিজের বা সন্তানের অথবা অন্য কারো মাস্কে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. আমরা নানা অজুহাতে নাক ও মুখ না ঢেকে মাস্ক ব্যবহার করি। এসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় মাস্ক থাকে থুতনিতে। এটি আদৌও না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. কোনোভাবেই নাক ও মুখ না ঢেকে রাখা যাবে না।
৫. জনাকীর্ণ এলাকায় আমরা অনেক সময় মাস্ক খুলে রাখি। এটি করতে পুরোপুরি নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
৬. একজনের মাস্ক অন্য কেউ ব্যবহার করবে না। এটি করলে খুব সহজেই একজনের শরীর থেকে অন্য কারো শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পপুলেশন হেলথ ডিভিশন ডিসপোজেবল মাস্ক একবারের বেশি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি করণীয় ধাপ অনুসরণের পরামর্শ এ প্রতিষ্ঠানের।
১. মাস্ক ধরার আগে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সেটি সম্ভব না হলে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২. কাটা-ছেঁড়া মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে ব্যবহূত মাস্কটি আপনার সুরক্ষা নিশ্চিতের মতো অবস্থায় রয়েছে, এটি নিশ্চিত হবে।
৩. মাস্কের কোন অংশ ওপরে ও নিচে থাকবে সেটি নিশ্চিত হয়ে পরতে হবে। অধিকাংশই মাস্কের ক্ষেত্রেই নাকের ওপর ভাঁজ করে ভালোভাবে ঢেকে রাখার জন্য তার বা অন্য কিছু দেয়া থাকে। সেটি নিশ্চিত হয়েই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যেন নাকের দুই পাশে ফাঁকা না হয়।
মাস্ক খুলে ফেলার বিষয়েও কয়েকটি ধাপ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে প্রথমে ফিতা ধরে মাস্কটি খুলে ফেলার কথা বলা হয়েছে। কোনোভাবেই মাস্কে হাত দেয়া যাবে না। মাস্কটি ডাস্টবিনে অথবা নিরাপদ জায়গায় ফেলে দিতে হবে। এরপর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সেটি সম্ভব না হলে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। লেখক: স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ

The post ‘শান্তির পায়রা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3wuCVsL

No comments:

Post a Comment