মাহফুজ সুমন
এখন বড্ডো বেশি এডিট হয় মনের ঘর,
নিধুঁয়া বাঁশরির কন্ঠস্বর,
রং বেরং মানুষের এক আনা দুই আনার করিডর,
যৌবনে মাতোয়ারা নারী নর।
মানুষ অমানুষেও এড়িট হয় ছবির পরে,
যোগ বিয়োগ,হালাদোলা কিংবা নড়েচড়ে,
পাÐুলিপি গাঁথা অক্ষরের রদবদলে কাকডাকা ভোর কিংবা দ্বিপ্রহরে।
আমরাও মাঝে মাঝে এডিট হই, বদলে যাই।
আরও আগে যেভাবে এডিট হয়েছে শহর বন্দর,
বদলে গেছে ভেতর বাইরের সাদাকালো রং ঢং।
কিছুদিন আগে নগন্যতেই বদলে গেল মন মন্দিরের উঁচুতলা
আ¤্রকানন বটতলা,
হরিণী আঁকা কাগজের টাকা, ওড়নাবিহীন বুক মুখ আঁকা।
দ্বিধাহীন সকাল বিকাল এডিট হয় বিবেকের চর,
ধর্মের নড়বড়ে করিডর, বালুচরে গড়া বালুঘর।
বহুবার এডিটে পাল্টে যায় রূপের আস্কারা,
পাল্টে যায় মনের আরশি নগর,
সময়ের ঘড়ি, হাতের ছড়ি।
রূপের সাজসজ্জা অস্থিমজ্জা,
বুক পাঁজর আগ পিছ,
মধুকন্ঠী কোকিলের শিস।
জীবন পাতার গল্পও এডিট হয়…
রং পাল্টায়,
যেভাবে এডিট হয়ে থাকে চোখ মুখ জিহŸার অলিগলি,
বাড়ি গাড়ি, নামধাম, বাহুবলি।
যেমন করে এডিট হয় জন্ম মৃত্যু জীবনের খেরোখাতা,
কৃত্রিম যৌনাঙ্গ গাছপালা কচিপাতা।
যেমনটা এডিট হয়েছিল হেনরির লেখা প্রেমের গল্প,
হিটলার সৈনিকের পদবী দপ্তর দশার কল্প।
আমরাও মুছে যাই, মুছে যেতে হয় ঠিক এডিটের মতো,
যেমনটা সমাজের দেয়াল,
জীবনের ডিঙি নাও শত শত।
The post এডিটিং… appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WQwwfm
No comments:
Post a Comment