Tuesday, April 28, 2020

৩২৮ টি পৌরসভার রাজস্ব আদায় বন্ধ, বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা https://ift.tt/eA8V8J

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের ৩২৮ টি পৌরসভার মধ্যে ৮৫% পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আর্থিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত এক মাসে সব ধরণের রাজস্ব আদায় বন্ধ থাকায় শতভাগ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ঈদ বোনাস সোনার হরিণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
পৌরসভাগুলোর নিজস্ব তহবিলে অর্থ না থাকায় এবং বেশীর ভাগ পৌরসভায় রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতা না থাকায় সংকট মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বেতন-ভাতা খাতে ৬শত কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতি(ম্যাব) ও বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন।
দেশের ৩২৮ টি পৌরসভার বর্তমানে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। জনপ্রতিনিধিসহ তাদের মাসিক বেতন-ভাতা আসে ৭৫ কোটি টাকার মতো। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিজস্ব আয় থেকে পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ পৌরসভার রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্র না থাকায় এবং রাজনৈতিক কারণে অযোগ্য জনপদকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করায় কাংক্ষিত সেবা দেওয়ার পরে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার ফলে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারেননা পৌর কর্তৃপক্ষ। সরকার উন্নয়ন খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিলেও পৌর কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ দেয় বছরে মোট চাহিদার ৫%। যা একেবারেইে অপ্রতুল। অথচ সরকার এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে এ সমাস্যার সমাধান করতে পারেন ।
দেশের প্রায় ৮৫% পৌরসভায় ০২ হতে ৭০ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাচ্ছেনা পৌরসভায় চাকুরীরত স্থায়ী প্রায় ১৩ হাজার পৌর কর্মকর্তা- কর্মচারী। অথচ তাদের নিয়োগ, বদলী, পদোন্নতি ও শাস্তি প্রদান করে থাকে সরকার। করোনা পরিস্থিতে বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পৌর-কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই মুহুর্তে কারও কাছ থেকে ধার নিয়ে সংসার চালাবেন সে পরিস্থিতি নেই এখন।
পৌরসভার আয়ের বড় খাত হচ্ছে গৃহ কর,ট্রেড লাইসেন্স,ভূমি হস্তান্তর কর,বাজার উজাড়া। এই খাতে ৩২৮ টি পৌরসভায় বছরে গড়ে আনুমানিক আয় হয় ১১৪০ কোটি টাকা। বছরে গড় ব্যয় হয় আনুমানিক ১২২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে ঘাটতি থাকে ৮০ কোটি টাকা। এই ঘাটতির ঘানি চাপিয়ে দেয়া হয় পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীর উপর। এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বেতন-ভাতা খাতে বকেয়া রয়েছে। তাছাড়া যারা অবসরে গেছেন তাদের বকেয়া শতভাগ পৌরসভায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী অবসরে গেছেন। তাদের বকেয়া প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। স্থানীর সরকার বিভাগ এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিলেও তা আমলে নেননা বেশীর ভাগ পৌর জনপ্রতিনিধিরা। আর এর প্রভাব পরে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর।করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হযে তা বলতে পারছেননা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। জুন মাস পর্যন্ত আর কোন রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা নাই বলে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধরে নিয়েছেন।
এমনিতেই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে পৌরসভার রাজস্ব আদায় বন্ধ থাকায় বেতন-ভাতার সংকট প্রবল থেকে প্রবলতর হওয়ায় এ খাতে কোন অর্থ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দেশের প্রায় বেশীর ভাগ পৗর কর্মকর্তা-কর্মচারী অথচ করোনা মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা গুলো বাস্তবায়ন সহ অন্যান্য সকল নাগরিক সেবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালন করে যাচ্ছে পৌর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। দূর্যোগকালীন সময়ে সংকট মোকাবেলায় দেশের ৩২৮ টি পৌরসভার নাগরিক সেবা সচল রাখাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ৬০০(ছয়শত) কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা বাবদ বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর নিকট বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন ও ম্যাবের পক্ষ হতে আবেদন জানিয়েছেন তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

The post ৩২৮ টি পৌরসভার রাজস্ব আদায় বন্ধ, বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3cX2GIL

No comments:

Post a Comment