Tuesday, April 28, 2020

অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা https://ift.tt/eA8V8J

মরণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলি ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন এ সকল স্কুলের পরিচালক ও শিক্ষকেরা। গোটা সাতক্ষীরা জেলাতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালিত হয় ভাড়াবাড়িতে। জেলা শিক্ষা অফিসের সূত্রমতে সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৬০/৬৫ টির অধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে রয়েছে ২৫/৩০টির অধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল। এ সব স্কুলে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩/৪ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। বাড়িভারা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন প্রদান, বিদ্যুৎবিল সহ অন্যান্য খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের। একটি সূত্রে জানা যায় সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যেগে নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সারাদেশে ৪০ হাজারের বেশি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। তারা দাবি করেন, এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে প্রায় ৬ লাখ। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার প্রায় শতকরা ৩০ভাগ চাহিদা এ স্কুলগুলো পূরণ করে থাকে বলেও দাবি করেন তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ওপর নির্ভর করেই শিক্ষকদের বেতন ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া শিক্ষকগণ প্রাইভেট পড়িয়ে যে আয় করতেন সেটাও পুরোপুরি বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে কষ্টে পড়ে গেছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে গত এপ্রিল মাসের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ হয়নি। এর মধ্যে করোনার কারণে স্কুলগুলি এক মাসের অধিক সময় বন্ধ হয়েছে। ফলশ্রুতিতে স্কুল প্রশাসন চোখে সর্ষেফুল দেখছে। সামান্য বেতন ভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ পরিবারের মাঝে জুটছে না তিনবেলা খাবার। শিক্ষকরা সম্মানের কথা চিন্তা করে ত্রাণের জন্য রাস্তায়ও দাঁড়াতে পারে না আবার অনটনও সহ্য করতে পারেন না। করোনার কারণে যদি সেপ্টম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তাহলে কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের কোন উপায় থাকবে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। আরও বলা হয়, শিক্ষকরা কখনো সরকারের কাছে বেতন ভাতার জন্য আবেদন করেনি। এ সকল স্কুলগুলো যদি না থাকতো তাহলে সরকারকে আরো ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করে প্রতি মাসে শিক্ষক বেতন বাবৎ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো। সেদিক থেকে আমরা সরকারের বিরাট রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে দিয়েছি। বর্তমান পেক্ষাপটে এ প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ১০০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে আমাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রণোদনা বা আর্থিক অনুদান দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদুল ফিতর। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের নিশ্চিন্তে রোজা ও ঈদ উদ্যাপনের জন্য এই প্রণোদনা একান্ত জরুরি বলেও জানানো হয় সাতক্ষীরা জেলার কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেম।
শেখ আমিনুর রহমান, মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সাতক্ষীরা।

The post অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WiRqQj

No comments:

Post a Comment