Monday, November 30, 2020

ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তি গ্রহণযোগ্য নয় https://ift.tt/eA8V8J

রুদ্র অয়ন

একবার দেশে (১৯৯৮ সালে) মারাত্মক বন্যা হলো। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়লো। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছুটি ঘোষণা করা হলো।
অনেকেই স্কুল কলেজ আবার অনেকেই রাস্তায় অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিলো। ঠিক একই সময়ে দেশের অনেক মানুষই কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজ্জে গেলেন। যারা ধর্মের নামে এখানে ওখানে বক্তৃতা দেন বা ইসলাম ইসলাম বলে গলা ফাটান তাদের কোনও ভুমিকা-ই দেখা গেলোনা অসহায়, আশ্রয়হীন মানুষদের সাহায্যে!
দেশের কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বললেন না, যে এবার হজ না করে টাকাটা বন্যাদুগর্তদের দেওয়া হোক। মানুষের জন্য ধর্ম না ধর্মের জন্য মানুষ? ইসলামে কি বলে?

যতদুর জানি, ইসলামে একটা কথা স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকলে ঈমান থাকেনা। ঈমানই যদি না থাকে তাহলে হজ্জ হয় কিভাবে?
হিসাব সোজা। আমাদের দেশের ইসলামী চিন্তাবিদ থেকে শুরু করে মাওলানাদের অনেকেই বদলি হজ্জ করে কিছু আয় করেন। অনেক হুজুরের দেখেছি হজ্জ এজেন্সির সাথে ব্যপক লাইন। তারা হাজী ধরে এনে কিছু আয় করেন। দেশের দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষকে ফেলে হজ্জে যাওয়া কোনও ধর্ম নয়। কিন্তু আমাদের দেশের মাওলানা বা ইসলামী চিন্তাবিদেরা তা বোঝেন না, পেট বাঁচানোর তাগিদে।

সিডর বা আইলার মতো দুর্যোগের পর যখন অনেক মানুষ বিপদে, তখন এক শুক্রবারে নামাজে গিয়ে দেখা যায় প্রতি শুক্রবারের মতো সেদিনও মসজিদের উন্নয়নের নামে টাকা পয়সা তোলা হলো। মানুষও টাকা পয়সা দান করলো। আর দুর্যোগে যারা কষ্টে আছেন তাদের জন্য হুজুর শুধু দোয়া করলেন। হুজুর মসজিদের জন্য যে টাকা তুললেন সে টাকা দুর্গতদের দেওয়াটাই কি আসল ধর্ম ছিলোনা? আমি আজ পর্যন্ত কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে হুজুর বা ইসলামী চিন্তাবিদের কোনো জাগতিক ভূমিকা দেখিনি। মানবিক বিবেকবোধই যাদের নেই, এরা কি করে মূল ধর্ম পালনকারী হয়! কি করে ধর্মপ্রাণ মানুষ হয় তা আমার জানা নেই।
যে নারী গর্ভে জন্ম সেই নারী জাতকেই তেঁতুলের টকের সাথে তুলনা করতেও ছাড়েননি ইসলাম নামধারী একটি সংগঠনের প্রধান! ইসলাম নামধারী কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন। কোনও বিভ্রান্তমুলক কথাবার্তা গ্রহণযোগ্য নয়।

অনেক ইসলাম নামধারী সংগঠন মানবতা, মনুষ্যত্ব বোধেন না! অথচ ইসলাম ইসলাম বলে গলা ফাটান! সবিনয়ে বলতে চাই, উগ্রতা নয়; ধৈর্য-সহনশীলতা মন ও মননে ধারণ করুন। কোনও উস্কানি বা বিভ্রান্তজনক কথা না বলে মানবতার কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে এবং মুল ধর্মের পথে কাজ করুন।
অনেক দিন আগের একটি ঘটনা বলছি, আমি শিল্পকলা একাডেমি থেকে ফিরছিলাম সাথে এক বন্ধু ছিলো। গেট পেরুতেই বাবার সাথে দেখা, উনি কি একটা কাজে গিয়েছিলেন এখন দোকানের উদ্দেশ্যে ফিরছেন। উনার রিকশায় তার সাথে একজন পরিচিত লোক। বাবা ডাক দিলেন এবং একটি খালি রিকশা ডেকে বন্ধুকে নিয়ে ওঠলাম। সামনের রিকশাতে বাবা ও তার পরিচিত লোকটি আর পেছনের রিকশাতে আমি ও আমার বন্ধু। কিছুদূর যেতেই হঠাৎ বাবার রিকশাটি থেমে গেলো এবং সহযাত্রী সেই লোকটিকে বাবা রিকশা থেকে নামিয়ে দিয়ে বলছেন, আর কোনোদিন তুমি আমাদের বাসায় আসবে না।
হলোটা কী, বাবা কেন তার পরিচিত এই লোকটিকে হঠাৎ নামিয়ে দিলেন? বাবা জানালেন লোকটির অপরাধ, সে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করছিলো। তাই তাকে নামিয়ে দিয়েছেন। আমি বললাম-মানুষ তো বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করতেই পারে, তাই বলে তাকে নামিয়ে দিতে হবে?
বাবা বললেন, অবশ্যই সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু আমার সামনে উল্টো পাল্টা বললে আমি সহ্য করবো না। আমার সামনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উল্টো পাল্টা বলবে আর তাকে আমি পাশে বসিয়ে নিয়ে যাবো? কোনদিনই না।
আমার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন কট্টর সমর্থক। কাজেই তিনি তার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছেন।
আমার এই গল্পটি বলার একটি কারণ আওয়ামী লীগের কোটি কোটি সমর্থক, কাগজে-কলমে যারা আওয়ামী লীগ করেন, যারা বিভিন্নভাবে দলের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করেন, তারা সব কোথায়?
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে চরমোনাই আর মামুনুল হকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের জোর কণ্ঠে জবাব দিলেন না কেউই। সবাই যেন কেমন চুপ হয়ে গেলেন! তেমনভাবে জোর প্রতিবাদ করছেন না কেউ!
সম্প্রতি একটি ইসলামী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে অনেক উল্টো পাল্টা বক্তৃতা দিতে শোনা গেছে!
আমার প্রশ্নটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগ তুলে এ পর্যন্ত কতোজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে? কতোজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?

অবশ্য আওয়ামী লীগের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ আরও দু-একজন বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উনারা অবজারভ করছেন। উনার বক্তব্যকে কি আমরা অফিসিয়াল বক্তব্য হিসেবে ধরে নিবো?
মনে প্রশ্ন জাগে আওয়ামী লীগ এতোগুলো বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও কেন এই দুর্বল আচরণ?
দেশ স্বাধীনের অনেক পরে আমার জন্ম হলেও অনেক তথ্য উপাত্ত বিশে¬ষণ করে জেনেছি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ঠিক এমনটিই ঘটেছিলো! সেসময় কোনো আওয়ামী লীগার কোনোরকম প্রতিবাদ করেনি। অবশ্য সময়টি অন্য রকম ছিলো, সামরিক ক্যু’র পর সাধারণত কেউ পথে নামতে চায়না। ভয় পায়। সেই দুর্বলতার ভার অবশ্য বহুবছর আওয়ামী লীগকে এবং দেশবাসীকে বহন করতে হয়েছে।
এখন যারা দলে-বলে নিজেদের আওয়ামী লীগার বলে দাবি করেন, তাদের মধ্যে কতোজন প্রকৃত সমর্থক? কতোজন ছদ্মবেশী সমর্থক? এর একটা জরিপ হওয়া দরকার।
বছরের পর বছর ধরে, যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বা আছেন, তারা খুবই অবাক হোন; ইতিহাস সমৃদ্ধ দলটির কৌশলগত পরিবর্তন দেখে। বঙ্গবন্ধুর সময়কার একজন সাবেক এমপি এবং মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর আগে লিখে গেছেন, আমার স্বদেশ আমার কাছে ক্রমশ অচেনা হয়ে যাচ্ছে। আমার দল এবং দলের লোকগুলোও অন্যরকম হয়ে গেছে, আর মুক্তিযুদ্ধ? এর কথা আর নাইবা বললাম।
আমরা সবাই যেন অন্যায়ের প্রতিবাদ তেমন জোরালোভাবে করতে পারছিনা! ব্রিটিশ শোষক, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের এবং যে ভূমিকা ছিলো, তা কোথায় যেন উধাও হয়ে গেলো!
আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি না। আর পারছি না বলেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার সাহস দেখাতে পারে, বিভ্রান্তমুলক কথাবার্তা ছড়াতে পারে একটি গোষ্ঠী!
এবার দৃষ্টি ফেরাচ্ছি আলোচ্য বিষয়ের ওপর। আমি বলতে চাচ্ছি ভাস্কর্যের সাথে মূর্তি উপাসনার কোনো সম্পর্ক নেই। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তাদের স্মরণীয় করে রাখার জন্য, পূজা করার জন্য নয়। অসংখ্য ইসলামি দেশেও অনেক ভাস্কর্য রয়েছে।
মিশর একটি ইসলামিক দেশ। সেখানে ধর্মীয় রীতি-নীতি যেমন মানা হচ্ছে, তেমনি সে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও তুলে ধরা হচ্ছে। মিশরের বিভিন্ন জায়গায় সে দেশের ফেরাউনদের ইতিহাসকে ঘিরে নানা রকমের স্ট্যাচু বিক্রি করছে দোকানিরা। তাই দেখে আমি ফেসবুক লিষ্টে থাকা এক লোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনারা ইসলামি দেশ হওয়া সত্ত্বেও এতো ধরণের মূর্তি বা ভাস্কর্য বিক্রি করছেন, এতে কি গুনাহ হবেনা?
উনি বললেন, তা কেন হবে? একটি আমার ধর্ম, অন্যটি আমার কালচার। কোনোটির সঙ্গে কোনোটির বিরোধ নেই। আমরা তো এসবকে বা কোনও দেব-দেবীকে পূজা করিনা। তাহলে আর অসুবিধা কোথায়?

উত্তর শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তাঁর কনসেপ্ট কতো পরিষ্কার।
তুরস্কও আরেকটি ইসলামিক দেশ। সে দেশে অনেক মসজিদ, পুরনো আমলের চার্চ ও স্থাপত্য নিদর্শন আছে। সব কিছুকে ঘিরে আছে সে দেশের ইতিহাস। আয়া সোফিয়া ছিলো এমন একটি পর্যটন কেন্দ্র, যেটি একইসঙ্গে চার্চ, মসজিদ এবং মিউজিয়াম হিসেবে মানুষ দেখতে যেতো। এটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেই ৫৩২ এবং ৫৩৭ সালের মধ্যে কনস্টান্টিনোপলের খ্রিস্টান ক্যাথেড্রাল হিসেবে। চার্চটি প্রজ্ঞার ঈশ্বর লোগোসকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো।
১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর অটোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন মুসলিম শাসক ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। যদিও চতুর্থ ক্রুসেডের নেতৃত্বাধীন ভেনিসের ডেজ এবং ১২০৪ স্যাক কনস্টান্টিনোপল, এনরিকো দানডোলোকে এই গির্জার মধ্যেই সমাহিত করা হয়েছিলো। আয়া সোফিয়ার বাইজেন্টাইন আর্কিটেকচার অনুযায়ী নীল মসজিদ, ইহজাদে মসজিদ, সলেমনিয়া মসজিদ, রিস্টেম পাশা মসজিদ এবং কালী আলী পাশাসহ আরও অনেক উসমানীয় মসজিদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিলো।
এটি ১৯৩১ সাল পর্যন্ত মসজিদ হিসেবে থেকে যায়। এরপর এই স্থাপনাটি ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক যাদুঘরে রূপান্তর করেন। সেই যাদুঘরে দেখা যায় খৃষ্টীয় ও মুসলিম সভ্যতার কী অনবদ্য রূপ। সেখানে একদিকে যেমন মিনার আছে, নামাজের জায়গা দেখা যাচ্ছে, আবার একইসঙ্গে মার্বেল পাথরে অঙ্কিত যীশু ও মা মেরির অনেকগুলো ছবি। এর ভেতরে প্রবেশের পর অদ্ভুত একটি অনুভূতি হতে বাধ্য। মনে হয়, চোখের সামনে ইতিহাসের দরজা খুলে গেল।
সেদিন পত্রিকায় দেখলাম তুর্কমেনিস্তানের রাজধানীর ঠিক মাঝখানে সোনা দিয়ে বাধানো একটি বিরাট আকারের এলাবাই কুকুরের স্ট্যাচু উদ্বোধন করা হয়েছে। কারণ এই এলাবাই কুকুর হচ্ছে তাদের খুব প্রিয় ও পাহারাদার কুকুর। তাই তাকে সম্মান জানানোর জন্য অনেক স্ট্যাচুর পাশে সেই কুকুরের স্ট্যাচুও শোভা পাচ্ছে। আরও আছে ঘোড়ার স্ট্যাচু, তার ওপর সওয়ার হয়ে আছেন দেশের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। তারা মনে করেন, দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। অথচ তুর্কমেনিস্তান একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। এখানে শতকরা ৮৯ ভাগই সুন্নি মুসলিম। চারপাশে প্রতিবেশী কট্টর মুসলিম দেশ উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান। সে দেশের মানুষেরা মনে করেন, তাদের ধর্ম ইসলাম এবং তারা ইসলামকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই গ্রহণ করেছেন।

কিরগিজস্তান আরেকটি মুসলিম দেশ। শতকরা ৮৮ জনই মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে ইসলাম ধর্মকে নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছেন তারা। চমৎকার সব ভাস্কর্য রয়েছে শহর জুড়ে।
পাকিস্তানেও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বিশাল সাইজের ভাস্কর্য আছে। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বড় সাইজের এই ভাস্কর্যটি নিয়ে কিন্তু সে দেশে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। পাক-ভারত উপমহাদেশের শিখ রাজ্যের অধিপতি ছিলেন মহারাজা রণজিৎ সিং। তিনি পরিচিত ছিলেন শের-এ-পাঞ্জাব নামে। রণজিৎ সিংয়ের স্ট্যাচু উদ্বোধন করা হয়েছে লাহোর ফোর্টে, বীরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
ইউরোপ। ১১ শতকে আল-আন্দালুস বা ইসলামিক স্পেনে তৈরি করা হয়েছিল পিসা গ্রিফিন বলে বিশালাকায় একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য। এটি ছিলো একটি মিথলজিক্যাল চরিত্র, সামনে ঈগলের মুখ, পেছনে সিংহের শরীর। এটিই ছিলো মধ্যযুগের ইসলামিক মেটাল ভাস্কর্য।
ইসলামে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ ও অপরাধ। কিন্তু পূজা না করে, শুধু স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে যে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়, তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
জাকার্তা পোস্টের একটি লেখায় দেখলাম, আল আজহার’র সাবেক গ্র্যান্ড ইমাম (১৯৮২-৯৬) এবং ইসলামি সংস্কারক ও চিন্তাবিদ যাদ আল হক এবং আরেকজন ইসলামি চিন্তাবিদ ও আধুনিক ইসলামের ব্যাখ্যাকারী মুহাম্মদ ইমারাহ বলেছেন, যতোক্ষণ পর্যন্ত কোনো স্ট্যাচুকে পূজা করা হয় না, ততোক্ষণ পর্যন্ত এতে কোনো সমস্যা নেই।

এই মতের সমর্থনে প্রথমদিককার মুসলিম ইতিহাসের কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে ওই লেখায়। নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (স:) এর সঙ্গী এবং আরব কমান্ডার আমর ইবনে আল আস আল সাহমি যখন মিশর জয় করেন এবং ৬৪০-৬৬৪ পর্যন্ত বিরতি দিয়ে মিশরের গভর্নর ছিলেন, তখন তিনি সেখানকার কোনো মূর্তি ভেঙে ফেলেননি। নবীজির আরেকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস যখন পারশিয়া বা আজকের ইরাক জয় করে সেখানকার গভর্নর হন ৬৩৬ খৃষ্টাব্দে, তখন তিনিও মূর্তি ভাঙার কোনো উদ্যোগ নেননি। কারণ ওগুলো তখন আর পূজার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল না।
অনেক ইসলামী রাষ্ট্রেই ভাস্কর্য রয়েছে। অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই বলতে হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও কালচার নিয়ে একশ্রেণির লোকের গা জ্বালা করে! তারা এসব মানতে চায়না! বলাবাহুল্য, এই দেশে জিয়াউর রহমানেরও ভাস্কর্য রয়েছে তাতে কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই কিন্তু জাতির জনকের ভাস্কর্য দেখলে একশ্রেণির মানুষের গাত্রে জ্বালা ধরে! চুলকানি শুরু হয়ে যায়! ভাস্কর্য নিয়ে উল্টো পাল্টা ফতোয়া, বক্তব্য দেয় তারা! ওসব চুলকানি ওয়ালাদের বিভ্রান্তমুলক মুখ চুলকানি কথাবার্তা বন্ধ না হলে ওদের চুলকানির মলম প্রয়োগ করা অতীত দরকার।

ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বা বিতর্ক কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আমাদের এটাও বুঝতে হবে, ফুল দিয়ে ভালোবাসা জানানো মানে পূজা করা নয়। এটা আমাদের কালচার। ধর্ম ও কালচার কোনোটির সঙ্গে কোনোটির বিরোধ নেই।

The post ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তি গ্রহণযোগ্য নয় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33uitMB

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা https://ift.tt/eA8V8J

‘নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা-নদী বাঁচলে, বাঁচবে মানুষ, বাচঁবে দেশ’-প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩০ নভেম্বর ২০২০ সোমবার সকাল ১০:৩০টায় পাটকেলঘাটা পদ্মলোককেন্দ্র অফিসে নাগরিক প্রতিনিধি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশ^ নদী দিবস ২০২০ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন পদ্মলোক কেন্দ্রের সমন্বয়ক মাহাবুবর রহমান। এএলআরডি ঢাকা এর সহায়তায় স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ, পদ্মলোককেন্দ্র, সামস এই আয়োজন করে।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাবলু বিশ^াস,জামাল উদ্দিন বিশ^াস, সামিয়া ইয়াসমিন, সোনিয়া খাতুন প্রমুখ। নদী জীবনের অংশ, নদীবাঁচলে মানুষ ও প্রকৃতি বাঁচবে। এর সুরক্ষা অত্যান্ত জরুরী। দেশে বহমান অনেক নদী আজ ভুল নদী শাসন ও একতরপা পানি প্রত্যারের ফলে ভরা হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। আমাদের সকল উন্নয়ন, কৃষি, বানিজ্য এখনও নদী নির্ভর। তাই আমাদেও নিজেদের টিকে থাক ও বেঁচে থাকার জন্য সকল খাল ও নদী দখল ও দুষন মুক্ত করে এর নব্যতা ও স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। সভায় যে সকল সুপারিশ করাহয়:
স্থানীয় পর্যায়ে নদ-নদী সুরক্ষা দাবীর আন্দোলনকে জোরদার করা;
‘নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা’- নদী সুরক্ষায় উচ্চ আদালতের এই রায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা; এবং নদ-নদী সুরক্ষার দাবিতে স্থানীয় পর্যায়ের নাগরিক সমাজ ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে নদী সুরক্ষায় কাজ করা।
স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নদ-নদী-খালসহ অন্যান্য পানি প্রবাহের তথ্য সংগ্রহ, জনমানুষের জীবন-জীবিকার উপর নদী দখল-দূষণের প্রভাব, পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং দখল-দূষণ-খনন ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/39sEYW1

কালিগঞ্জে মহাশ্মশান ঘিরে চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার https://ift.tt/eA8V8J

 

পত্রদূত রিপোর্ট: কালিগঞ্জের পিরোজপুর মহাশ্মশানের কাছে ‘মুজিব সেঞ্চুরি ওয়াটার ইকো পার্ক’ নামফলককে কেন্দ্র করে একটি মহল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মহলটি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্মীয় অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড় করানোরও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, মাদকাটি গ্রামের চন্ডিচরণ মন্ডল ও তার সমর্থক সহযোগীরা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও অর্থায়নে পিরোজপুর মহাশশ্মান থেকে ২৫০ ফুট দুরে যমুনা নদীর চরভরাটি জমিতে চৌরাস্তা এলাকায় পিরোজপুর টু উকসা সড়কের স্লোপিং পয়েন্টে ওই নামফলকটি বসান নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক রাসেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এই উদ্যোগ গ্রহন করে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়। এদিকে মহাশ্মশানের কাছে এই নামফলক বসানোকে কেন্দ্র করে পূজা উদযাপন পরিষদের সনৎ কুমার গাইন, সজল মুখার্জি, ডা. মিলন ঘোষ, গোবিন্দ মন্ডল, অসিত কুমার সেনসহ বেশ কয়েকজন প্রচার শুরু করেন যে-সাঈদ মেহেদি শ্মশান এলাকা দখল করে নিচ্ছেন। এখবর পেয়ে বিভ্রান্তি দুর করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে ডেকে এনে বলেন ওই স্থানে ‘মুজিব সেঞ্চুরি ওয়াটার ইকো পার্ক’ নামফলকে কোনো সমস্যা বা আপত্তি থাকলে তা রাস্তার ওপারে সরিয়ে নেওয়া যাবে। এতে সম্মতি জ্ঞাপন করে তারা চলে যান। অথচ কিছু সময় পর তারাই শতাধিক লোকজন নিয়ে নামফলকটি ভেঙে চুরে ফেলে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় সাঈদ মেহেদি মহাশ্মশান দখল করে নেওয়া দূরের কথা তিনি বরং শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশ্রামাগার তৈরিতে তিন লাখ টাকার বরাদ্দ এনে দিয়েছেন। তাছাড়া বিশ্রামাগারটির সৌন্দর্য বর্ধনে তিনি সম্প্রতি আরও এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। চন্ডিচরণ মন্ডল আরও বলেন, ২০০০ সালে তার পৈতৃক ৩৬ বিঘা জমি আকস্মিকভাবে ৩০০ পরিবার দখল করে নেয়। সাঈদ মেহেদি তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে দখলদারদের সরিয়ে দিয়ে ওই জমি চন্ডিচরণের কাছে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এসব ঘটনায় পূজা উদযাপন পরিষদের কতিপয় নেতা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে জামায়াত বিএনপির সহিংসতার সময় সাঈদ মেহেদি নিরীহ জনগগণের পাশে থেকে প্রশাসনকে সহায়তা দেন। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিবছর দুর্গাপূজায় যে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন তা সজল মুখার্জিসহ কয়েকজন এককভাবে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন এবং অনিয়মের মাধ্যমে তা নিয়ে নয় ছয় করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সাঈদ মেহেদি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর সরকারের এই বরাদ্দ সরাসরি পূজামন্ডপ কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে পূজা উদযাপন পরিষদের ওইসব নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসব মিলিয়ে ওই মহলটি সাঈদ মেহেদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানিত সদস্যদের ধর্মীয় অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাতে ফেসবুকে কুৎসা রটনা শুরু করেছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, সাঈদ মেহেদি ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যান হননি তখনও তিনি মহাশ্মশানের উন্নয়ন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সব ধরনের সহায়তা করেছেন। চন্ডিচরণ বলেন, কালিগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

The post কালিগঞ্জে মহাশ্মশান ঘিরে চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33tEQ4Z

বিকাশ প্রতারণায় দিন মুজুরের ১০২৩৫ টাকা লোপাট: থানায় ডায়েরী https://ift.tt/eA8V8J

রমজাননগর (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা গ্রামের দিনমজুর আবু মহাসীনকে বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দশ হাজার দুইশত পয়ত্রিশ টাকা লোপাট করেছে প্রতারক চক্র।

এবিষয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. মর্জিনা বেগম শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং-১৪৩০। তারিখ-৩০-১১-২০২০। সরেজমিন ও সাধারণ ডায়েরী অনুযায়ী জানা যায়, সোরা গ্রামের মো. আবু মহাসীন জীবিকার তাগিদে মাদারীপুরের চর্মগোড়ায় কৃষি কাজ করতে যায়। বিগত ২৩-১১-২০২০ তারিখ রাত্র ৭:০৮টায় আবু মহাসীন ০১৭৯৫-৯৭৪২৩৫ বিকাশ নং থেকে বাড়ির বিকাশ নং০১৭৩৪-৭৩৮৭৮৮ তে দশ হাজার দুইশত টাকা প্রদান করেন। ২৪-১১-২০২০ তারিখ, বিকাল ৩.৩০ টার দিকে বিকাশের দোকান থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে দেখা যায় বিকাশ এ্যাকাউন্ডে টাকা নেই।

এসময় বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাহায্যে নিয়ে জানা যায় ২৪-১১-২০২০ তারিখ সকাল ৭:৫৯ মিনিটে ০১৭২০-৬৫৩৯৫১ বিকাশ নং এ উক্ত টাকাসহ সর্বমোট দশ হাজার দুইশত পয়ত্রিশ টাকা সেন্ড করে নিয়েছে। ০১৭২০-৬৫৩৯৫১ মোবাইল নং এ যোগাযোগ করা হলে সে জানায় উক্ত টাকা তার এ্যাকাউন্ড থেকে ০১৩০৬-৬১৮০৫৯ বিকাশ নং এ সেন্ড করে নিয়েছে বিকাশ হ্যাকার। এরপর থেকে ০১৭২০-৬৫৩৯৫১ ও ০১৩০৬-৬১৮০৫৯ মোবাইল নং দুটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এবিষয়ে মোবাইল মারফত বিকাশ অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যার নং- ৮১৭৮৬২০। মহাসীনের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী বহু কষ্ট করে দিন মজুর দিয়ে টাকাটি পাঠিয়ে ছিল। কিন্তু প্রতারক চক্র টাকাটি হাতিয়ে নিয়েছে। আমার দুই কন্যা স্কুলে পড়ে এবং একজন শিশু কন্যা আছে। টাকাটি খোয়া যাওয়ায় বর্তমানে আমরা খুবই কষ্টের ভিতরে দিন যাপন করছি। ভুক্তভোগী পরিবাররটি প্রতারক চক্রের হাত থেকে টাকা উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

The post বিকাশ প্রতারণায় দিন মুজুরের ১০২৩৫ টাকা লোপাট: থানায় ডায়েরী appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/39tyO88

এইডস মানেই মৃত্যু নয়: প্রতিরোধই একমাত্র উপায় https://ift.tt/eA8V8J

ডা. জাকির হোসেন
মানব সভ্যতাকে আজ যে-কটি রোগ হুমকির সম্মুখীন করে তুলেছে, এইচআইভি/এইডস সেগুলোর মধ্যে একটি। এইডস একাধারে একটি মারণ এবং সংক্রামক ব্যাধি। সারা বিশ্বেই আজ এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক কোষ যেমন-হেলপারটি সেল, মনোসাইট, ম্যাক্রফেজ, ডেনড্রাইটিক সেল, চর্মের ল্যাঙ্গারহেন্স, মস্তিষ্ক ও গোয়াল সেল ইত্যাদিকে আক্রমণ করে এবং সেগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়। ফলে মানব দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তখন যে-কোনো সংক্রামক জীবাণু সহজেই এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে। এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার অবস্থাকে এইডস বলে। এই অবস্থায় শরীরে প্রতিরোধ করার মতো কার্যকরী কোষ না থাকায় বিভিন্ন রোগ মারাত্মভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীরে নানা উপসর্গসহ এর বিস্তার ঘটায়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে দেশে দেশে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। উদ্দেশ্য এই রোগ সম্পর্কে জানা এবং এর প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পৃথিবীতে প্রায় ৪ কোটি মানুষ শরীরে এইডসের জীবাণু বহন করে চলেছেন এবং একে নিয়েই বেঁচে আছেন, কিন্তু তার মধ্যে প্রায় ১ কোটি লোকের কোনো ধারণাই নেই যে, তাঁদের শরীরে এই ঘাতক ভাইরাসটি রয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব (Global Solidarity, Shared Responsibility) এইডস এর পুরো নাম হচ্ছে একোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েনসি সিনড্রম। যার অর্থ হচ্ছে দুর্বল শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যা রোগী নিজেই অর্জন করেছে। এইডস রোগটির জীবাণুই হচ্ছে ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্ষিপ্ত নাম এইচআইভি। যার পুরো নাম হলো হিউম্যান ইমিউনো ভাইরাস। এই ভাইরাস এক প্রকার জীবাণু যা ব্যাকটেরিয়া থেকেও ছোটো এবং সাধারণ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যায় না।

বিশ্ব জুড়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে এখনো এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। যন্ত্রণাদায়ক অকাল মৃত্যুই হচ্ছে এ ঘাতক রোগে আক্রান্তদের শেষ পরিণতি। প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে বিশ্ববাসী এ রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কগ্রস্ত। কারো শরীরে এইচআইভি আছে কি-না তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা করে এ ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এইডসের ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হওয়ার কত বছর পর এইডস হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। কায়েক মাস কিংবা ১০-১৫ বছরের মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৭৫ জনের ১০ বছরের মধ্যেই এইডস হয়েছে।
এই নিরব ঘাতকের জন্ম কোথায়, কিভাবে তা নিয়ে এখনো বিজ্ঞানীদের মধ্যে চলছে বিতর্ক। তবে গবেষণা করে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্তে আসা গেছে যে, পঞ্চাশের দশকে আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র কৃষক শ্রেণির মধ্যে প্রথম এ রোগ বিস্তার লাভ করে। এরপর ষাট ও সত্তরের দশকে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও কিছু কিছু এইডসের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। কোনো-কোনো গবেষকের মতে মধ্য আফ্রিকার এক প্রকারের সবুজ বানরের দেহে সর্বপ্রথম এইডস বা এইচআইভি ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যায়।

১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম এ ঘাতক রোগটি শনাক্ত করা হয়। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু নিউমোনিয়ার রোগী পাওয়া যায় যার কারণ নিউমোসিস্টিস ক্যারিনিয়াই নামক একটি জীবাণু, যার বর্তমান নাম নিউমোসিস্টিস জিরোভেসি। পরে আফ্রিকায় প্রাদুর্ভাব ঘটে ক্যাপোসিস সারকোমা নামক একটি টিউমারের। এ টিউমার থেকেই রোগটি শনাক্ত করা হয়। মারণব্যাধি এইডসের উৎপত্তি ভূমি চিহ্নিত করার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ১৯২০ এর দশকে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় (তৎকালীন লিওপোন্ডভিল) অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারের ফল হিসেবে এইডসের সৃষ্টি হয় বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। কিনশাসায় লাগামহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত যৌনাভ্যাসই এইডস সৃষ্টির মূল কারণ।

প্রকৃতপক্ষে এইডসের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ নেই। দেশ ও স্থানভেদে এইডসের লক্ষণের পার্থক্য দেখা যায়। এইডসের কিছু সাধারণ লক্ষণ যেমন অনেকদিন বা বার বার জ্বর হয় কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, অতিরিক্ত অবসাদ, শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পাওয়া, লিম্ফগ্রন্থি ফুলে ওঠা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে থাকা, ঘন ঘন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া যেমন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, প্র¯্রাবের প্রদাহ। এছাড়া দীর্ঘদিন ডায়রিয়ার সমস্যা যা স্বাভাবিক চিকিৎসায় কোনোক্রমেই ভালো হয় না, দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা কমে যাওয়া, তীব্র মাথাব্যথা ইত্যাদি। তবে কারও মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা দিলেই তার এইডস হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের মনে রাখতে হবে, এসব লক্ষণ দেখা দিলেই বিলম্ব না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
অসচেতনতা, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব, সুস্থ জীবনের অনুশীলন না করাটাই এ রোগের প্রধান ঝুঁকি। সুনির্দিষ্টভাবে যেসব উপায়ে এইচআইভি ছড়াতে পারে তা হলো- এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত বা রক্তজাত পদার্থ অন্য কোনো ব্যক্তির দেহে পরিসঞ্চালন করলে; আক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত টুথব্রাশ, সুচ, সিরিঞ্জ, ছুরি, বে¬াড বা ডাক্তারি কাঁচি সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত না করে অন্য কোনো ব্যক্তি ব্যবহার করলে; আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করলে; এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তানের মায়ের দুধ পানকালে); অনৈতিক ও অনিরাপদ বা কনডম ছাড়া যৌনমিলন করলে; সমকামী, বহুগামী ব্যক্তি এবং বাণিজ্যিক ও ভাসমান যৌনকর্মীর সঙ্গে অরক্ষিত যৌনমিলনের মাধ্যমে; যুবসমাজের মধ্যে নেশার আধিক্য এবং একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে বার বার মাদকদ্রব্য গ্রহণ; এইচআইভি আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিবিড় ভৌগোলিক অবস্থান, দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা এবং এভাবেই বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়ায় উপরোক্ত উপায়ে এইচআইভি ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে; শ্রমিক অভিবাসন ও মানব পাচারের ফলে এইডস আক্রান্ত জনগণের দেশে গমনাগমন এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়; সর্বোপরি এইচআইভি সম্পর্কে সচেতনতা ও তথ্যের অভাবে রোগটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

কিছু কিছু বিষয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি থাকে এইডসের বিস্তার নিয়ে। যেসব ক্ষেত্রে এইচআইভি ছড়ানোর আশঙ্কা একেবারেই নেই, তা হলো-বায়ু, পানি, খাদ্য, মশা, মাছি বা পোকামাকড়ের কামড়ে; এইডস রোগীর ছোঁয়ায় বা স্পর্শে, হাঁচি, কাশি, থুথু বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, করমর্দন, একই ঘরে বসবাস, মেলামেশা, চলাফেরা ও খেলাধুলা করলে; আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পায়খানা, বাথরুম, বেসিন, থালাবাসন, গ¬াস, বিছানা, বালিশ ইত্যাদি ব্যবহার করলে; এইডস রোগীর চিকিৎসায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও ঝুঁকিমুক্ত; হাসপাতালে এইডস আক্রান্ত ভর্তি রোগীর আশপাশে অন্য রোগীদের ছড়ানোর ঝুঁকি নেই।
একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে এর থেকে নিস্তার পাওয়া অত্যন্ত দুরূহ। তাই এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এর প্রতিরোধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এইডস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা হলো-প্রয়োজনে অন্যের রক্ত গ্রহণের আগে রক্তদাতার রক্তে এইচআইভি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেওয়া; অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও অবশ্যই এইচআইভি পরীক্ষা করে নিতে হবে; ইনজেকশন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করা এবং অন্যের ব্যবহৃত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার না করা; অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা, যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করা; এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া; ধর্মীয় অনুশাসন যথাযথভাবে মেনে চলা; জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিরোধমূলক তথ্য নিয়মিত প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন ও এইডস প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ছাড়িয়ে এশিয়া মহাদেশেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছে বিশ্বের প্রথম বৃহৎ এইডস রোগীর দেশ হিসেবে। প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশের কম। এ সংখ্যাটি এইচআইভি সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর কারণে এইচআইভির ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৭৪ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ১০৫ জন।

বাংলাদেশে ১৯৮৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৭৪ জন এইচআইভি/এইডস রোগী শনাক্ত হয় এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১৭০ জন। দেশের ২৩টি জেলায় এইচআইভি রোগী বেশি শনাক্ত হওয়ায় সেসব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। বর্তমানে দেশের ২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১১টি সেবা সেন্টারে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে ঔষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মাসে একজন এইডস রোগীর পিছনে সরকারের খরচ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

সরকার প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি/এইডস বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ হতে এইডস রোগটি নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই সরকারের পাশাপাশি আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা এইডস নির্মূল করতে সক্ষম হব।

এই মারণব্যাধি এইডসের হাত থেকে বাচাঁর জন্য সকলকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে হবে। শুধু অসচেতনতার কারণে আমাদের দেশে এইডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইডস প্রতিকারের ব্যবস্থা যেহেতু এখনো অজ্ঞাত, সেহেতু প্রতিরোধই হবে এইডস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ। প্রতিরোধের জন্য সৃষ্টি করতে হবে ব্যাপক গণসচেতনতা। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সবশেষে প্রতিপাদ্যের সুরে বলতে হয়, আসুন ঐক্যের হাত তুলি, এইচআইভি প্রতিরোধ করি। এইচআইভি প্রতিরোধে জানা ও শোনার বিকল্প নেই, একে নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করার জন্য কাজ করতে হবে আমার, আপনার, আমাদের সবার।

The post এইডস মানেই মৃত্যু নয়: প্রতিরোধই একমাত্র উপায় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o9Huof

জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা রেজিস্ট্রারের হস্তক্ষেপ কামনা https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দালাল, প্রতারক চক্র ও জাল জালিয়াতি চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ভূয়া এসএ এবং হাল রেকর্ড দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আনছার আলীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম।

মূল কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় যে, মথুরাপুর মৌজার এসএ ১৩১৪ খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক এজাহার আলী সরদার। উক্ত জমির পরিমাণ ১ একর ১৯। এজহার আলী সরদার তার বোন শুল্ক বিবির নামে হেবা দলিলের মাধ্যম রেজিস্ট্রি করে দেন। সেই সূত্রে ডি.পি ১৩২৩ খতিয়ানের মালিক শুল্ক বিবি।
উল্লেখ্য, এসএ ১৩১৪ এবং ডিপি ১৩২৩ খতিয়ানের মালিক এসএ এজহার আলী ও ডিপি শুল্ক বিবির নাম উঠিয়ে রুহুল আমিনের নাম বসিয়ে জাল খতিয়ান তৈরি করে ৪৭৮৮/১৬ নং দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই সম্পত্তির এসএ মালিক এজাহার আলী ও ডিপি খতিয়ানের মালিক শুল্ক বিবি। জাল জালিয়াতি ও কৌশলে রুহুল আমিনের ওয়ারেশ (মোমরেজ আলী, জামের আলী, বাবুর আলী, রবিউল, মুনতাজুল, নজরুল, রেজাউল, মোমেনা) সাজিয়ে এবং গ্রহিতা মো. মফিজুল ইসলাম, পিতা: জামের আলী করে ৪৭৮৮/১৬ নং দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেছে।

এব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের আব্দুল মুজিদ সরদারের ছেলে মো. আব্দুল আলিম। অভিযোগ করার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় জালিয়াতি চক্রটি আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা এবং জাল জালিয়াতি চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন অসহায় পরিবারটি।

The post জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা রেজিস্ট্রারের হস্তক্ষেপ কামনা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2HVvkA4

আগামী ৯ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস: সরকারি কর্মসূচী গ্রহণের আশ্বাস মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর https://ift.tt/eA8V8J

কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি: মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক রণাঙ্গন কপিলমুনি যুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং আগামী ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবসে সরকারী কর্মসূচী গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল সোমবার কপিলমুনিবাসীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।

কপিলমুনির ইতিহাস-ঐহিত্য সংরক্ষণের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল চন্দ্র ভদ্রের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম সম্পাদক সাকিলা পারভীন, ডেইলি ষ্টার পত্রিকার চীফ রিপোর্টার পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য, শিক্ষক প্রদীপ কুমার ম-ল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আব্দুল¬াহ আল মামুন, অধ্যাপক জি এম আমিনুল ইসলাম, বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শেখ হারুন অর রশীদ ও অনির্বাণ লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ।

সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় কপিলমুনি যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি আগামী ৯ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবসে আয়োজিত কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, কপিলমুনি যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি মহাত্মা রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কপিলমুনির উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের করা হবে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এরআগে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু’র সঙ্গে তার ন্যাম ভবনে বাসায় সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, কপিলমুনি মুক্ত দিবসকে সামনে রেখে বড় ধরণের কর্মসূচী গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া কপিলমুনি যুদ্ধের ঘটনাগুলো সরকারী নথিতে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার ও তা যথাযথভাবে সংরক্ষণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মন্ত্রীর কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলাধীন কপিলমুনি ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ কপিলমুনি দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্রও। মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছিলো কপিলমুনিবাসীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা। কপিলমুনিতে সশস্ত্র যুদ্ধের এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর যখন সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করে। সেখানে কপিলমুনি যুদ্ধক্ষেত্রের রাজাকার ক্যাম্প থেকে আটক ১৫১ জন যুদ্ধাপরাধীকে গণআদালতে বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয় ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবসে। তাই দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারী কর্মসূচী নেওয়া হবে বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কপিলমুনিবাসী প্রত্যাশা করে।

The post আগামী ৯ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস: সরকারি কর্মসূচী গ্রহণের আশ্বাস মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Jk16as

ডুমুরিয়ায় রাসপূর্ণিমা ও গঙ্গাস্নানে করোনা মুক্তির প্রার্থনা https://ift.tt/eA8V8J

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: এবার করোনা সংক্রমণ আশঙ্কায় বঙ্গোপসাগরের কূলে দুবলার চরে রাস উৎসবে পূণ্যার্থী প্রবেশে সীমাবদ্ধতা থাকলেও খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার নদী পাড় সংলগ্ন মন্দির ও আশ্রমে রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মীয় সংকীর্তন, আলোচনা, গঙ্গা দেবীকে বরণ, গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে জোয়ারের পানিতে ফল ফলাদি ভাসিয়ে দেয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে উপজেলার ঘ্যাংরাইল নদীর পাড়ের ডুমুরিয়া উপজেলার জিয়েলতলা মহামায়া সেবাশ্রমে।

রাস পূর্ণিমা ও গঙ্গা স্নানে জিয়েলতলা মহামায়া সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ নারায়ন চন্দ্র গোস্বামী হিন্দু পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে রাস পূর্ণিমা ও গঙ্গা দেবীর পূজা সম্পর্কে আলোচনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ আমদাজ হোসেন ডা. বিষ্ণুপদ মন্ডল, ডা. মোহন কুমার ঘোষ, আশুতোষ দাশ, ডা. শেখর চন্দ্র পাল, বিপ্ল¬ব কুমার সাহা প্রমূখ।

জিয়েলতলা মহামায়া সেবাশ্রমের এই অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রমন থেকে সকলকে সজাক থাকতে অনুষ্ঠান স্থলের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়। যে সকল পূণ্যার্থী যাদের মুখে মাস্ক ছিল না তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এক কথায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কার্যক্রম শেষ করা হয়।
জিয়েলতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু পূণ্যার্থীরা সমবেত হন। এছাড়াও উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের হরী নদী সংলগ্ন চহেড়া,সদর ইউনিয়নের মির্জাপুর, গুটুদিয়া ইউনিয়নের জিলেরডাঙ্গা ও কুলটী, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের কাঞ্চননগর, মাগুরখালী এলাকার বিভিন্ন স্থানে নদী সংলগ্ন এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাস উৎসব উপলক্ষে ধর্মীয় আলোচনা সভা ও পূণ্যস্নান অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

The post ডুমুরিয়ায় রাসপূর্ণিমা ও গঙ্গাস্নানে করোনা মুক্তির প্রার্থনা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Vkjhze

আদিবাসীদের খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন https://ift.tt/eA8V8J

মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: ৩০ নভেম্বর বিকালে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা সামস্ এর আয়োজনে কাপেং ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় সুন্দরবন অঞ্চলের আদিবাসী মুন্ডাদের ভূমি অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তনে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় মুন্সীগঞ্জ সরদার গ্যারেজ বাজারের পাশে শ্যামনগর-মুন্সীগঞ্জ প্রধান সড়কে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা আদিবাসীরা খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করে।

সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা নারী ও পুরুষ দের হাতে ‘সমতলে থাকা আদিবাসীদের পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে, মুন্ডা আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

The post আদিবাসীদের খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3qh2cEz

সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ফ্রি সুন্নাতে খৎনা ক্যাম্প https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরা লি. এর উদ্যোগে এতিম, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের বাচ্চাদের ফ্রি সুন্নাতে খৎনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় হাসপাতালে কনসালটেন্ট সেন্টারে খৎনা ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়।

খৎনা ক্যাম্প উদ্বোধন করেন হাসপাতালের প্রশাসনিক ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল হুসাইন। এসময় বক্তব্য রাখেন ডা. আবু হোসাইন, ডা. আসলাম হোসেন, হিসাব কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আওয়াল, মার্কেটিং অফিসার মো. আব্দুল হাকিম, মো. রাশেদুল ইসলাম, শেখ ফজলুর রহমান। ক্যাম্পে সুন্নাতে খৎনা করান ডা. আবু হোসাইন, ডা. আসলাম হোসেন, ওটি এ্যাসিস্ট ব্রাদার আব্দুল হালিম, মো. ইয়ারুল ইসলাম। ক্যাম্পে ১৫জন এতিম, অসহায় বাচ্চাদের বিনামূল্যে সুন্নাতে খৎনা করা হয়েছে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ফ্রি সুন্নাতে খৎনা ক্যাম্প appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Vgp6hh

কেশবপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা https://ift.tt/eA8V8J

কেশবপুব (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে রোববার হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা রাত্রিকালিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোকালিন সময়ও এই খেলায় দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় উপজেলাব্যাপী একটি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে।

উপজেলার কুশলদিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন মাঠে এলাকার যুবসংঘের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ৮ দলীয় হাডুডু খেলায় কেশবপুর উপজেলার বাগদহা, পাত্রপাড়া, মির্জাপুর, মণিরামপুর উপজেলার হায়াতপুর, ত্রিপুরাপুর, পারখাজুরা, ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর ও মাগুরাঘোনা দল অংশগ্রহণ করে। চুকনগর থেকে খেলা দেখতে আসা মাসুদুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, মণিরামপুরের জয়নাল মিয়া, রাসেল হোসেনসহ দর্শকদের সাথে কথা হলে তারা জানাগেছে, গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহি খেলা দেখতে সকাল বেলায় তারা হাজির হয়েছে। কখনও দাঁড়িয়ে আবার কখনও বা বসে তারা এ খেলা আনন্দের সাথে উপভোগ করছেন। এছাড়া করতালি দিয়ে তাদের পছন্দের দলের খেলোয়াড়দেরকেও উৎসাহিত করেছেন। হাডুডু খেলা কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক আব্দুল হালিমের সঞ্চলনায় খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিয়ার রহমান পিরো।

The post কেশবপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3miJXwa

আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইশারুলের মোটরসাইকেল র‌্যালি ও মাস্ক বিতরণ https://ift.tt/eA8V8J

সেলিম হোসেন: আসন্ন ইউপি নির্বাচনের দিন-তারিখ ঠিক না হলেও গ্রাম-গ্রামান্তরে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। সেই সাথে বাড়তে শুরু করেছে ভোটারদের কদর। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। রাখছেন খোঁজ খবর।

 

বিপদে আপদে দাঁড়াচ্ছেন পাশে। যোগ্যতার পরিচয় মেলে ধরছেন ভোটারদের সামনে। তুলে ধরছেন ভবিষ্যত পরিকল্পনা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি ইউনিয়নে এবার কোমর বেঁধে ভোটের ময়দানে নেমেছেন দুই বারের নির্বাচিত সফল ইউপি সদস্য ইশারুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে ইউনিয়নবাসিকে জানিয়ে দিলেন আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ইশারুল ইসলাম সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বাস্থ্য বিধি মেনে মোটরসাইকেল র‌্যালি ও জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন তিনি। কাথন্দা বাজার হতে বৈকারী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড পর্যন্ত পাড়ামহল্লার সড়কে সড়কে ওই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করা হয়। এসময় গ্রামের সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। শোভাযাত্রা শেষে কাথন্দা বাজারে তার দলীয় অফিসে ইউনিয়নবাসি ও দলীয় নেতাকর্মীর সাথে এক মতবিনিময় করেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ইশারুল ইসলাম। এতে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে ইউনিয়নবাসি বলেন, ইউপি সদস্য ইশারুল ইসলামের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়ায় বৈকারী ইউনিয়নের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে। তারা ইশারুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী দেখতে চায়। ইশারুল ইসলাম একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য ও সৎ যোগ্য, সমাজসেবক। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে বৈকারী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ও ২বার ইউপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এলাকায় সমাজ উন্নয়নের কাজ করেন। এছাড়াও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় একজন আওয়ামী লীগ কর্মী ও ইউপি সদস্য দায়িত্ব পালনের সাথে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়ে থাকেন। তিনি শুধু একজন আওয়ামীলীগ কর্মী ও ইউপি সদস্য হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য দিনরাত এলাকায় সমাজ উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সমাজ উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালি করতে সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন ও দলীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড কাজ করেন।

ইশারুল ইসলাম এলাকা মানুষের সিক্ত ভালবাসায় ২০১১ সাল ও ২০১৬ সাল ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে ২বার ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়। এরমধ্যে স্থানীয় জনপ্রশাসন সরকারের দিক নির্দেশনায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বৈকারী ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সকলের দোয়া, আশীর্বাদ ও সমর্থন কামনা করেন।

The post আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইশারুলের মোটরসাইকেল র‌্যালি ও মাস্ক বিতরণ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/37mnqYZ

কলারোয়ায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন। বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই কর্মসূচি পালন করছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।

 

সোমবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কম্পাউন্ডে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে বক্তারা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদ ১১তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদ ১২তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য সহকারী পদ ১৩তম গ্রেড প্রদান করে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী আমাদের কর্মবিরতী ও অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’
‘ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীদের অবদান’-শীর্ষক স্লোগানে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ হেলথ ইন্সপেক্টর সেক্টোরাল এসোসিয়েশন এর বাস্তবায়নে এবং কলারোয়া উপজেলা হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এইচ.আই) নূর মোহাম্মদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক-ইনচার্জ (এইচ.আই) নজরুল ইসলাম, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এ.এইচ.আই) গোলাম সরোয়ার প্রমুখ। এসময় স্বাস্থ্য সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

The post কলারোয়ায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3fPsmcR

সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির শোক https://ift.tt/eA8V8J

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শেখের মৃত্যুতে গভীর ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য ও তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ এড. মুস্তফা লুৎফুল¬াহ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মহিবুল¬াহ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাবীর হোসেন, কমরেড আবেদুর রহমান, ময়নুল হাসান, স্বপন কুমার শীল, অজিত কুমার রাজবংশী, জেলা সদস্য আব্দুল জলিল মোড়ল, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, নাসরীন খানম লিপি, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল সরকার, হিরন্ময় মন্ডল, কমরেড শিবপদ গাইন প্রমূখ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির শোক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2VgoXdJ

সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের উপর হামলার ৭ম বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদ সভা https://ift.tt/eA8V8J

শেখ জিল্লু, কলারোয়া: সোমবার বেলা ১১টটার দিকে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের উপর হামলার ৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরার তুজলপুরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তুজুলপুর কৃষক ক্লাব ভবনে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ।

প্রতিবাদ সভায় সেদিনের বর্বরতার স্মৃতিচারণ করেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা নির্ভীক সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংকল্প টিভির সম্পাদক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবির, ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, আ’লীগ নেতা আবু মুত্তালিব, ছাত্র লীগ নেতা জুলফিকার আলী, সাংবাদিক শফিকুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য আলী বক্স প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শাহিনুর রহমান। সভায় বক্তারা সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান।

The post সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের উপর হামলার ৭ম বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদ সভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2VliqhH

নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য সাইকেল র‍্যালি https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘কমলা রঙের বিশ্বে নারী, বাঁধার পথে দেবেই পাড়ি’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্যোগকালিন সময়ে জরুরীভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জেন্ডার ইন এমার্জেন্সি এলায়েন্স সাতক্ষীরা’র ২৪ টি সংগঠন এতে অংশ নেয়। নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে পালিত হয় নানা কর্মসূচি। রঙ-বেরঙের ফেস্টুন, ব্যানার, টি-শার্ট, বাদ্যযন্ত্র ও জারী গানসহ শতাধিক যুবক, কিশোরী, নারী নেত্রী, বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে ওই সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে নারী নেত্রী বেগম মরিয়ম মান্নান, জ্যোৎস্না দত্ত, সালেকা হক কেয়া, আনজুয়ারা বেগম, জোসনা আরা খাতুন, মহুয়া মঞ্জরীসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিনিধিরা র‌্যালি উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি সাতক্ষীরা শহর প্রদক্ষিণ করে খুলনা রোডের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্কয়ারে পথসভায় মিলিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, সুশীলনের প্রোগ্রাম অফিসার জাভেদ হাসান, হেড সংস্থার নির্বাহি পরিচালক লুইস রানা গাইন, বাংলাদেশ ভিশনের পরিচালক অপরেশ পাল, লাইট হাউসের সনজু মিঞা, উত্তরণ প্রতিনিধি এড. মনিরউদ্দিন, ক্রিসেন্ট সংস্থার পরিচালক আবুজাফর সিদ্দিকী, যুব প্রতিনিধি অন্তর প্রমুখ। র‌্যালি ও সভা পরিচালনা করেন স্বদেশ সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।

The post নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য সাইকেল র‍্যালি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3fLQXiM

মহামারির মধ্যেও নিরাপদ ভ্রমণ করা যাবে ৬ দেশে https://ift.tt/eA8V8J

ভ্রমণ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়াতে রয়েছে বাধা-নিষেধ। অন্যদিকে বিশ্ববাসী লকডাউনে হাঁপিয়ে উঠেছে, সবাই ভ্রমণের জন্য ব্যাকুল। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের পর্যটন স্পটগুলো হাতছানি দিচ্ছে অনেককেই। তবে ভয় একটাই করোনার মধ্যে ভ্রমণ নিরাপদ হবে তো?
এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে পর্যটক ও ভ্রমণপিয়াসী মানুষের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইগো ট্র্যাভেল ব্লগ। তারা করোনা মহামারির মধ্যেই নিরাপদে ভ্রমণ করা যায় এমন ছয়টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাম। এরপরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের নাম। তালিকার চার, পাঁচ ও ছয় নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে জাম্বিয়া, কিউবা ও সৌদি আরব।

এই দেশগুলো সবাই নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন। অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে ভ্রমণ নিরাপদ দেশ হিসেবে শুধু সৌদি আরবই তালিকায় স্থান পেয়েছে। দেশটি করোনার কবলে পড়া দেশের তালিকায় ৩০ নম্বরে রয়েছে।

তালিকায় শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া করোনা বিধ্বস্ত দেশের তালিকায় ৯৫ নম্বরে রয়েছে। ২৭ হাজার ৮৮৯ জন মোট আক্রান্ত হয়েছে সে দেশে। তার মধ্যে ২৫ হাজার ৫৮৫ জনই সেরে উঠেছেন। আর সে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৯০৭ জন।

অন্যদিকে ভ্রমণ নিরাপদ দেশের তালিকায় দুই নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। সে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২০৫০ জন। তার মধ্যে সেরে উঠেছে ১৯৫৬ জন এবং মারা গেছে ২৫ জন।

সূত্র: উইগো ট্র্যাভেল ব্লগ

The post মহামারির মধ্যেও নিরাপদ ভ্রমণ করা যাবে ৬ দেশে appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mlq5IJ

এক সপ্তাহে চুল পড়া কমাবে এই চা https://ift.tt/eA8V8J

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই যাবে না। নারী-পুরুষ, ছেলে বুড়ো সবারই এই সমস্যা দেখা দেয়। আর শীতে তা বেড়ে যায় বহুগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনে ১০০ টি চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক। তবে এর বেশি হলে অবশ্যই তা চিন্তার বিষয়।
এই সমস্যা মেটাতে কতো কিছুই না ব্যবহার করেন। তারপরও আশানুরূপ ফল মিলছে না। শীতে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি সমস্যা দেখা যায় তাই যত্নটাও একটু বেশি নিতে হবে। চুল পড়তে পড়তে অনেকের মাথায় টাক পড়ে যায়।

চুল রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে নিয়মিত মাথার তালুতে তেল দিতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। এ ছাড়া চুল পড়া বন্ধ করতে খেতে পারেন ভেষজ চা। জবা ফুলের চা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পান করুন। এটি যেমন চুলের বৃদ্ধি বাড়াবে, তেমনই বন্ধ করবে চুল পড়া।

যেভাবে তৈরি করবেন জবা ফুলের চা–

দেড় লিটার পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে তিনটি জবা ফুল দিয়ে দিন। চুলার জ্বাল কমিয়ে ৬-৭ মিনিট রাখুন। লালচে রঙ হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। কয়েক টুকরো আদা কুচি ছেড়ে দিন। লেবুর রস ও চিনি দিন প্রয়োজনমতো। একটি গ্রিন টি ব্যাগ দিয়ে নেড়ে পরিবেশন করুন।

নিয়ম করে এক সপ্তাহ এই চা পান করুন। তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন। চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে এবং ত্বকের ইজ্জবলতা বাড়াতে সহায়তা করবে এই চা।

The post এক সপ্তাহে চুল পড়া কমাবে এই চা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mmwuUc

জাদুকারী এই পানীয় খেলেই ওজন কমবে https://ift.tt/eA8V8J

লাইফস্টাইল ডেস্ক: রোজকার অনিয়মিত জীবনযাত্রা ও পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম রোগ দেখা দেয়। হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়া ও যখন তখন শরীর খারাপ হওয়া। এ রকম নানা সমস্যা দেখা দেয়ার ফলে আস্তে আস্তে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা আমদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিট।
বিটের জুসে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল আর ভিটামিন থাকে। এছাড়াও ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ১০০ এম এল বিটের জুসে ক্যালোরির পরিমাণ ৩৫। বিটের সঙ্গে গাজর, আপেল, টমেটো এবং বেদানার জুস মিশিয়ে নিন। তাহলে তার পুষ্টিগুণ হবে অনেক বেশি এবং ওজনও ঝরবে তাড়াতাড়ি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে তৈরি করতে হয় এই জুস সে সম্পর্কে-

বিট-গাজরের জুস
বিট ও গাজর ভালো করে কুচিয়ে নিয়ে একবার মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে আধ কাপ পানি, পাঁচ চামচ লেবুর রস, এক চিমটি ও পুদিনা পাতা যোগ করে একগ্লাস পান করুন।

বিট-আপেল জুস
একটি আপেলের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে টুকরো করে নিন। এবার মিক্সিতে আপেল, বিট, গোলমরিচ, লবণ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। উপর থেকে দারচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।

বিট-বেদানা জুস
বিট কুচনো দুই কাপ এবং বেদানা এককাপ নিয়ে ওর সঙ্গে লেবুর রস ও গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার খালি পেটে দুগ্লাস খান।

The post জাদুকারী এই পানীয় খেলেই ওজন কমবে appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o9dclw

মাদক সেবনে ধরা পড়ে চাকরি হারালো ৮ পুলিশ https://ift.tt/eA8V8J

 

কুষ্টিয়ায় ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন এসআই, দুইজন এএসআই, বাকিরা কনস্টেবল। একই সঙ্গে এক সার্জেন্টসহ দুইজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, দায়িত্ব নেয়ার পরই মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার এসপি এসএম তানভীর আরাফাত। মাদকসেবী, ব্যবসায়ী ও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা দেন। এরপরই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নেন তিনি।

এসপি এসএম তানভীর আরাফাত জানান, এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় কর্মরত ১১ পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন এসআই, দুইজন এএসআইসহ ৯ জনের মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়েছে। এছাড়া এক এসআই ও এক সার্জেন্টের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

তিনি আরো জানান, মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্য বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়ার পর তাদের বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। এরপরও তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আটজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

The post মাদক সেবনে ধরা পড়ে চাকরি হারালো ৮ পুলিশ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/37l24v9

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা শুরু কাল https://ift.tt/eA8V8J

 

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা’। একশ দিনের এ প্রতিযোগিতা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।
বঙ্গবন্ধুকে আরো বেশি করে জানার চর্চায় সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এ কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা’ আয়োজনে সহযোগিতা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। -বাসস

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। অ্যাপ ডাউনলোড অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ওয়েবসাইট https://mujib100.gov.bd এবং https://quiz.priyo.com ব্যবহার করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, একজন প্রতিযোগী একটি আইডি দিয়ে প্রতিটি কুইজে একবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নাম, ঠিকানা, ছবি, মোবাইল নম্বর, ইমেইল/সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ব্যবহার করতে হবে। এই তথ্যগুলো বিজয়ীদের জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের সঙ্গে যাচাই করা হবে। কেউ ভুল তথ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করলে তাকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন একটি করে নতুন কুইজ থাকবে এবং কুইজের বিপরীতে উত্তর প্রদানের মেয়াদকাল হবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা। প্রতিদিন সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ১০০ জন বিজয়ীর সবাই পাবেন ১০০ জিবি করে মোবাইল ডাটা এবং তাদের মধ্যে প্রথম ৫ জন পাবেন স্মার্টফোন। এছাড়া পুরো প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড প্রাইজ হিসেবে থাকবে মোট ১০০টি ল্যাপটপ। বিজয়ীদের তালিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ওয়েবসাইটে এবং প্রতিযোগিতার অ্যাপে প্রকাশ করা হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার নির্ধারিত অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে লগইন করে কুইজে অংশগ্রহণ করতে হবে। কোনো রকম স্ক্রিপ্ট বা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করলে তাকে অযোগ্য বিবেচনা করা হবে। প্রতিযোগিতার পরিচালনা, ফলাফল ও পুরস্কার সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং কুইজ প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পুরস্কার প্রদানের সময় ও পদ্ধতি পরে জানিয়ে দেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন সম্পর্কিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।

এ প্রতিযোগিতার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার তথ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। কুইজ প্রতিযোগিতার বাস্তবায়ন সহযোগী ‘প্রিয় ডটকম’।

The post বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা শুরু কাল appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Vhc6Ib

করোনার তিন কোটি টিকা বিনামূল্যে বিতরণ করবে সরকার https://ift.tt/eA8V8J

অক্সফোর্ড থেকে তিন কোটি টিকা কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় এসব টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুযায়ী জনগণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) এ সভা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে অনলাইনে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন সংগ্রহের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। এছাড়া ভারত থেকে টিকা কেনার বিষয়ে যে সমঝোতা হয়েছে, আজকের বৈঠকে সেটার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সচিব আরও জানান, টিকা কেনার জন্য ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে প্রথম আসা তিন কোটি টিকা বিনামূল্যে জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ডব্লিউএইচও’র প্রটোকল মেনে বিতরণ করা হবে এইসব টিকা।

The post করোনার তিন কোটি টিকা বিনামূল্যে বিতরণ করবে সরকার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/39r2suN

মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ https://ift.tt/eA8V8J

 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আনিসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। এ উপলক্ষে তার পরিবারের পাশাপাশি ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, উত্তর সিটির পক্ষ থেকে সকাল ১০টায় আনিসুল হকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বাদ আসর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক বলেন, করোনার কারণে এ বছর একটু ব্যতিক্রমভাবে বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। এর পরেও নগরীর বিভিন্ন এতিমখানায় দুই হাজার এতিমের জন্য খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতেও বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হবে। সেখানে কয়েকটি মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রদাহ) আক্রান্ত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নভেম্বর মারা যান তিনি।

আনিসুল হক ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ‘স্মার্ট’ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি।

The post মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3qdoGXa

Sunday, November 29, 2020

আশাশুনি সরাপপুর হাইস্কুল মাঠে ৪দলীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা ও মাসব্যাপি সাঁতার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন https://ift.tt/eA8V8J

শেখ হেদায়েতুল ইসলাম: আশাশুনি উপজেলার শোভনালি ইউনিয়নে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে সরাপপুর ইউনাইটেড হাইস্কুল মাঠে ৪ দলীয় নকআউটভিত্তিক হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা ও মাসব্যাপি সাঁতার প্রশিক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার বেলা ১১টায় ৪ দলীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা এবং পরে সাঁতার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়। সরাপপুর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় হ্যান্ডবল দল, কামালকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হ্যান্ডবল দল, বদরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হ্যান্ডবল দল এবং সরাপপুর মশিউরিয়া মাদ্রাসা হ্যান্ডবল দল খেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রথম সেমি ফাইনাল খেলায় সরাপপুর মশিউর মাদ্রাসা হ্যান্ডবল দলকে পরাজিত করে সরাপপুর উনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফাইনালে উন্নীত হয়। এরপর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলায় বদরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় দলকে পরাজিত করে কামালকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দল ফাইনালে উন্নীত হয়।

ফাইনাল খেলায় কামালকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ২-১ গোলে পরাজিত করে সরাপপুর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় হ্যান্ডবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. খালিদ জাহাঙ্গীর। খেলা পরিচালনা করেন সরাপপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক ফারুক হোসেন। খেলার শেষে স্কুল মাঠের পার্শ্ববর্তী পুকুরে মাসব্যাপি সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব নির্বাচিত সদস্য প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, সরাপপুর মাদ্রাসা শিক্ষক আনন্দ কুমার মন্ডল, সাংবাদিক শেখ তৈমুর হাসান, সাংবাদিক শেখ হাসানুর রহমান, ৩২জন সাঁতার প্রশিক্ষণার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

The post আশাশুনি সরাপপুর হাইস্কুল মাঠে ৪দলীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা ও মাসব্যাপি সাঁতার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33s3CSU

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে তৎপর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন https://ift.tt/eA8V8J

পত্রদূত ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ব্যাপক তৎপর। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চলছে ব্যাপক প্রচার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক। মাস্কে অনীহা প্রকাশ করলে পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাতক্ষীরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, তার নির্দেশনায় এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলায় মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ রোধকল্পে সাতক্ষীরা জেলায় ১ মার্চ ২০২০ হতে ২৯ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত পরিচালিত মোট ১৮০৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৩৫৪৪ টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে ৫৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৯ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৭৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে পরিচালিত মোট ৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ২৩টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৪০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

The post করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে তৎপর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3lfCTiJ

যশোরের শার্শায় করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ: নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন https://ift.tt/eA8V8J

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় নো ম্যাক্স নো সেবাসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উদ্বোধন করা হয়েছে উপজেলা উপ-সহকারী প্রকোশলী নব নির্মিত ভবনের।

রবিবার দিনভর বিভন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে জাতীয় সংসদ শেখ আফিল উদ্দিন এসবের উদ্বোধন করেন ও আলোচলা সভায় বক্তব্য রাখেন। রবিবার সাকালে নাভারন হাসপাতালে এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে প্রায় ১০লাখ টাকা মূল্যের ইসিজি ম্যাশিন, এক্সেরে নেবুলাইজারসহ বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য উপকরণ তুলে দেন চিকিৎসকদের হাতে। পরে শার্শায় ৪২লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন। এসময় দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের মাধ্যমে সাবান হ্যান্ড সেনিলাইজার ও মাস্ক তুলে দেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। এসময় উপস্তিত ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, নির্বাহি কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডল, ডা. ইউছুপ আলম, উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী গোলাম শরীফ ওসি বদরুল আলম।

The post যশোরের শার্শায় করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ: নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o6JU7k

আশাশুনিতে ডিআরআর’র সভা https://ift.tt/eA8V8J

আশাশুনি সংবাদদাতা: আশাশুনিতে ডিজএ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন এ- রিসার্চ এসোসিয়েন (ডিআরআরএ) এর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে ডিপিও লিডারদের ষান্মাষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একিভূত স্বাস্থ্য ও পূনর্বাসন সেবা ও সম্প্রসারণ (ফেজ-২) প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সিবিএম’র সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ান এইডের অর্থায়নে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন।
প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক আবুল হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়, ইউপি সদস্য শাহিনুর আলম, তারিকুল আওয়াল, ইন্দিরা ম-ল, পারুল পারভীন, সিরাজুল ইসলাম, সন্তোষ ম-ল, তারক ম-ল, মনিরুল ইসলাম, ডিপিও সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সদস্য আরশাদ আলী প্রমুখ। সভায় বিগত ৬ মাসের প্রকল্পের অগ্রগতি আলোচনা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন সেবা আরও সম্প্রসারণ করে বোঝা না ভেবে তাদের সমাজের মূল ¯্রােতে ফিরিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

The post আশাশুনিতে ডিআরআর’র সভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36iJUuM

দেবহাটায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাসগৃহ নির্মাণে কাজ চলমান https://ift.tt/eA8V8J

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে পূর্নবাসনে ‘দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ’ এর লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছলিমা আক্তার দেবহাটা উপজেলায় যোগদান পরবর্তী গৃহ নির্মানের লক্ষ্যে সকল কাজ শুরু করে দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছলিমা আক্তার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশারসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও তহশীলদারকে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে সরকারের খাস জমি উদ্ধার ও সঠিক ভূমিহীন পরিবারকে নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা গেছে, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে গত ১০ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে ৫১.০১.০০০০.০১১.১৪.১৭৩.২০.২৮৯ নং স্মারকে মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ‘ক’ শ্রেণির ২০,৩৭৩ টি পরিবার পূর্নবাসনে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংষ্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় নগদ অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করে।

 

সেই পত্রের সূত্র ধরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের ত্রান ও পূর্নবাসন শাখা থেকে গত ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ০৫.৪৪.৮৭০০.০২০.১৪.০১৪.২০.২০ নং স্মারকে মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ‘ক’ শ্রেণির ৭৯৮ পরিবার পূর্নবাসনে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় নগদ অর্থ বরাদ্দের বিপরীতে উপকারভোগীগণের নামের তালিকা দাখিলের জন্য উপজেলাভিত্তিক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরন করে। পরে গত ১৭ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখা থেকে ০৫.৪৪.৮৭০০.০২০.১৪.০১৪.২০.২০.৭৯৬ নং স্মারকে মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ‘ক’ শ্রেণির ৭৯৮ পরিবার পূর্নবাসনে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় নগদ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করে দেবহাটা উপজেলার জন্য ১৯টি পরিবারকে উপকারভোগী নির্ধারণ করে ৩২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

 

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদেরকে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে উল্লেখ করে জানান, উপজেলার সকল জায়গায় খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেবহাটাবাসীর কাছে পৌছানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। প্রকৃত ভূমিহীনরা যাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই উপহারটুকু পেতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইউএনও জানান প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

The post দেবহাটায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাসগৃহ নির্মাণে কাজ চলমান appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3fNFsHJ

কপিলমুনিতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা আদায় https://ift.tt/eA8V8J

কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি: মাস্ক ব্যবহার না করায় কপিলমুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।

 

পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম রবিবার দুুপুরে এ জরিমানা আদায় করেন। মাস্ক না পরে বাজারে আসা, মাস্ক না পরে দোকানে বসে কেনাবেচা করা ও যানবাহন চালানোর অপরাধে সর্বমোট ১ হাজার ১ শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেন আদালত। এসময় আদালতের পক্ষ থেকে জনগণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এবিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, ‘করোনাকালে মানুষকে সুস্থ্য রাখতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাস্ক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ ও জরিমানা করা হয়।’

The post কপিলমুনিতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা আদায় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mq8PSY

শ্যামনগরে ধর্ষিতার ভাইকে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা: ১২ দিনেও গ্রেপ্তার নেই https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে ধর্ষিতার ভাইকে অপহরণের পর শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতনের পর বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ১১ দিনেও কোন আসাামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উপরন্তু আসামীরা ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ঘেরের মাছ লুটপাট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

র‌্যাব-৬ এর কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ও শফিকুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে ভিকটিমের বাড়িতে যেয়ে পরিবারের সদস্য ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেয়ে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবকের অবস্থার ক্রমশ:অবনতি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তাকে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে সার্জিকাল বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিক একই গ্রামের এক নারীকে বিয়ের নাটক করে অন্ত:স্বতা হওয়ার পর স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলায় তাকে ২০১৮ সালের ১১ জুন সাতক্ষীরা কোর্টে এফিডেফিডের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুলনার গল-ামারি ভুতের বাড়ি এলাকায় নিয়ে যায় আবু বক্কর ছিদ্দিক, গোলাম মোস্তফা ও সুকুমার ম-ল।

গর্ভপাত ঘটাতে রাজী না হওয়ায় তাকে একটি ঘরে আটক রেখে ওই তিনজন গণধর্ষণ করে। পরদিন তার গর্ভপাত ঘটানোর কয়েকদিন পর আবু বক্কর ছিদ্দিকের বোন রোজিনার মাধ্যমে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই নারী ওই তিনজনের নাম উল্লেখ করে ওই বছরের ২৬ জুলাই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। মামলাটি এক বছর যাবৎ (না: শিশু-৪৯/১৮) রায়ের অপেক্ষায় আছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামীরা বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। সবশেষ গত ১৩ নভেম্বর যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রহিমের দোকানে ধর্ষিতার ভােেইক মোবাইলে ডেকে মামলা তোলার জন্য হুমকি দেয় দেবীপুর গ্রামের অমেদ আলীর ছেলে ফজলুর রহমান। মামলার বিবরণে আরও যানা যায়, ধর্ষিতার ছোট ভাই ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে অসুস্থ মায়ের জন্য ঔষধ কিনে ফকির গাজীর মোড়ে নামার পরপরাই অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ ধর্ষণ মামলার মামলার আসামী আবু বক্কর ছিদ্দিক, সুকুমার ম-ল ও গোলাম রসুল তার গলায় দা ধরে পার্শ্ববর্তী আজিবরের মেশিন ঘরের পিছনের বাগানে নিয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের পর সেখানে গলায় দা ধরে তার বাম হাতে দু’টি ইনজেকশান পুশ করা হয়। এরপর একটি ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে করে তাকে সোয়ালিয়া ব্রিজের পাশে নিয়ে যেয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দ্বিতীয় দফায় মারপিট করা হয়। পরে তাকে একটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে ব্রিজের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়ার সময় একটি পিকআপের আলো দেখতে পেয়ে অপহরণকারিরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু’টোর দিকে সোয়ালিয়া ব্রিজের পাশ থেকে দু’হাত, দু’পা ও মুখ বাঁধা বস্তায় ভরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ধর্ষণের মামলা তুলে না নেওয়ায় ওই যুবককে পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তবে মামলার তদন্তকাাির কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক মামলার পর থেকে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত যুবক সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর নেননি।

এদিকে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা শাখার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ও শফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে তারা নির্যাতিত যুবকের বাড়িতে যেয়ে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেয়ে খোঁজ খবর নিংেছেন। ওই যুবকের বাম পা ও হাতের শিরা ক্রমশ: ফুলে যাচ্ছে। গলায় অত্যাধিক ব্যাথার কারণে সে খাদ্য গিলতে পারছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। তবে এ ঘটনায় গত ১১ দিনে কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা হাতাশা ব্যক্ত করেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক আইনুনদ্দিন শনিবার দুপুর একটায় এ প্রতিবেদককে জানান, এই মুহুর্তে তিনি সোয়ালিযা ব্রিজের উপর রয়েছেন। স্থানীয় যারা রাতে ওই যবুবকে ফেলে যাওয়া ও উদ্ধার হওয়া সম্পর্কে বলতে পারেন তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছেন তিনি। শুক্রবার রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এজাহার নামীয় আসামীরা পলাতক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্ষিতার ভাইকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর হত্যার চেষ্টার ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের খোকন ম-লের ছেলে সুকুমার ম-ল (৩৮), একই উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক গোলাম রসুল (৩৯) ও ফুলবাড়ি গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ(৪০) অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে ওই যুবক বাদি হয়ে থানায় ২০.১১.২০ তারিখে ২০ নং মামলা দায়ের করেন।

The post শ্যামনগরে ধর্ষিতার ভাইকে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা: ১২ দিনেও গ্রেপ্তার নেই appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mk6HvD

কয়রায় টাকার বিনিময়ে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তি নামে নামপত্তনের অভিযোগ https://ift.tt/eA8V8J

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

ওই ভূমি কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর গণঅভিযোগ দায়ের করেছে।

ভুক্তভোগী উপজেলার নাকসা গ্রামের মশিউর রহমান মোল¬্যার দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর কয়রার আমাদী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রহ্ল¬াদ রায়, সরকারি ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তি কয়রা উপজেলার আমাদি মৌজার ২১৩৪, ২১৩৬, ২৩২৪, ২১০৪. ২১০৯ দাগের সরকারের ‘ক’ তফসিল ভূক্ত সরকারি জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে খাজনা দাখিলা দিয়েছেন। এমনকি প্রতিবেদন দিয়ে নামজারিতেও সহযোগিতা করেছেন। আর এই টাকা অফিস সহকারী শুভংকরের হাত ঘুরে পৌছায় অফিসারের পকেটে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ‘ক’ তফসিলভুক্ত গেজেট অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, আমাদী ইউনিয়ন এর উপরোক্ত ৬টি দাগ গেজেটভুক্ত জমি। সরকারি ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির দাখিলা দেওয়ায় ও একই সম্পত্তি সরকারি খতিয়ান থেকে ব্যক্তি নামে নাম পত্তন হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন ওই ভূমি অফিসে গেলে স্থানীয় মন্টু ঢালীসহ ভুক্তভোগীরা ভূমি কর্মকর্তার নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরেন। ভুক্তভোগীরা বলেন তিনি সরকারি সম্পত্তির দাখিলা দিলেও ব্যক্তি সম্পত্তির দাখিলা দিতে তালবাহানা করেন। আমাদি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রহ্লাদ রায় বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।

The post কয়রায় টাকার বিনিময়ে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তি নামে নামপত্তনের অভিযোগ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3fQXBEj

চাঁদার দাবিতে সুন্দরবন মোটরস’র মালিককে মারপিটের অভিযোগ https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঁদার দাবিতে সুন্দরবন মোটরস’র মালিক ফিরোজুর রহমান রানাকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পলাশপোল গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র ফিরোজুর রহমান রানা প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পলাশপোল এলাকার জালাল উদ্দিন সরদারের পুত্র আল জামি তার চাচাতো ভাই। সে একজন মাদকাসক্ত। পারিবারিক বিষয়ে তার সাথে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত ২৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে রানার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন মটরস শো রুমে এসে আল জামি চাঁদার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আল জামি তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ সময় রানা ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে রানাকে উদ্ধার করে। সে সময় আল জামি তাকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

The post চাঁদার দাবিতে সুন্দরবন মোটরস’র মালিককে মারপিটের অভিযোগ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o7SCly

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা অব্যাহত https://ift.tt/eA8V8J

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ ও সকল ওয়ার্ডের সভাপতি/সম্পাদক এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জিএম ওয়াহিদ পারভেজের নামে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মীর মাহমুদ আলী আবিরের সুস্থ্যতা কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা অব্যাহত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3fYVPkR

শ্যামনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও পিসক্লাব সদস্যদের সংলাপ https://ift.tt/eA8V8J

রবিউল ইসলাম, কাশিমাড়ি (শ্যামনগর): শ্যামনগরে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও পিসক্লাব সদস্যদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৯নভেম্বর) সকাল দশটায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারী সংস্থা রুপান্তরের পিস কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের আওতায় এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদ উজ জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম, র‌্যাবের প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, বিজিবির দর্মুজখালীর কোম্পানি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্পের ম্যানেজার গোলাম কিবরিয়া।

The post শ্যামনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও পিসক্লাব সদস্যদের সংলাপ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2KRGyXp

সাতক্ষীরায় ১১ মাসে ২২৪ মানবাধিকার লঙ্ঘন https://ift.tt/eA8V8J

 

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে চলতি বছর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, আত্মহত্যা ঘটেছে অনেকগুলি। এসব বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি সুশীল সমাজকেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

রোববার সাতক্ষীরা শহরে একটি বেসরকারী সংস্থা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এসময় সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এনজিও কর্মী মাধব দত্ত। এসময় তিনি চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, জেলাব্যাপী নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৫টি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৭টি, ধর্ষণ প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১১টি। এছাড়া হত্যার শিকার হয়েছেন নারী পুরুষ ও শিশু মিলে ৩৮জন। আত্মহত্যার হিসাব পাওয়া গেছে ৩৩টি। এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ছিল ১টি, শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৯টি, গুম ও অপহরনের ঘটনা ঘটে ৬টি। জোরপূর্বক সম্পদ দখলের ৩টি ঘটনা ঘটে এবং পাচারের ঘটনা ঘটে ১টি।

সব মিলিয়ে সাতক্ষীরায় কমপক্ষে ২২৪টি মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অবশ্য এসব বিষয়ে আইন প্রয়োগ করেছে। বহু আসামী ধরা পড়েছে। অনেক ঘটনার নেপথ্য রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এসবের পরও এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই হ্রাস পাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিককালে কলারোয়ায় একই পরিবারের দুই শিশুসহ ৪টি হত্যা, সাতক্ষীরা সদরে শিশু হৃদয় হত্যা, আশাশুনি ও ঝাউডাঙায় শিশু ও প্রতিবন্ধী ধর্ষণ, শ্যামনগরে সাব্বিরকে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা, তালার বিউটির আত্মহত্যা, পাটকেলঘাটায় টুম্পার আত্মহত্যা, কলারোয়ার মোসলেম হত্যা, রাজনগরের পারভিন হত্যা এবং সর্বশেষ হাওয়ালখালির নৃশংস বাবা ও মা কর্তৃক তাদের ১৫ দিনের শিশু সোহান হত্যার ঘটনা সাতক্ষীরাবাসীকে নাড়া দিয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।

এসব তথ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরায় এ বছরের করোনাকালে বাল্যবিবাহ অধিকমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনের তোয়াক্কা না করেই এক শ্রেনীর মানুষ সুযোগ বুঝে তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন এমন বেশ কিছু ঘটনার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি জানান, খুলনা বিভাগে বাল্যবিবাহের প্রবনতা বেশি। তার মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার আলিপুরে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৩০ নভেম্বর জেলা শহরে সাইকেল র‌্যালী, ১ ডিসেম্বর এইডস দিবস, ৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

The post সাতক্ষীরায় ১১ মাসে ২২৪ মানবাধিকার লঙ্ঘন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Jmhnfd

রয়েল কিং চা পাতা কিনে পুরস্কার পেলেন ব্যবসায়ীরা https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: রয়েল কিং ব্লাক চা পাতা কিনে চায়ের কাপ পুরস্কার পেলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ২৫জন ব্যবসায়ী। শহরের কদমতলা বাজারস্থ (খাদিজা এন্টারপ্রাইজ) প্রো. সাংবাদিক সেলিম হোসেনের পক্ষ থেকে চা ব্যবসায়ীদের মাঝে (চায়ের কাপ) পুরস্কার দেওয়া হয়।

The post রয়েল কিং চা পাতা কিনে পুরস্কার পেলেন ব্যবসায়ীরা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36kjpoA

তালায় জাপা নেতা মোসলেম উদ্দীন আর নেই: জাতীয় পার্টির শোক https://ift.tt/eA8V8J

পল্লীবন্ধু এরশাদের ভক্ত জাতীয় পার্টি নেতা মো. মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাস (৬৫) হৃদরোগ জনিত কারনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাৎধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে ইন্তেকাল করিয়াছেন(ইন্না লিল্লাহি…রাজেউন)।

তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা সদরের রহিমাবাদ বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত মোনসেফ বিশ্¦াসের পুত্র। সকাল ১১টায় মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসের জানাযা নামাজ শেষ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মোসলেম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ পুত্র, ১ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্যা গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে তার মৃত্যুতে রুহের মাগফিরাত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টি সহ অঙ্গ সহোযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দীন, জাপানেতা মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিল, জিল্লুর রহমান, শেখ সিরাজুল ইসলাম, এসএম জাহাঙ্গীর হাসান, শেখ হাবিবুর রহমান, মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু, মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. হাশেম আলী, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আব্দুল মালেক, এসএম তকিম উদ্দীন প্রমুখ।

The post তালায় জাপা নেতা মোসলেম উদ্দীন আর নেই: জাতীয় পার্টির শোক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36k7rLQ

কেঁড়াগাছি শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে কলারোয়ার এসপি কিংস https://ift.tt/eA8V8J

কেঁড়াগাছি (কলারোয়া) প্রতিনিধি: কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ফুটবল টুর্নামেন্টে ২-০ গোলে পাথরঘাটাকে হারিয়ে কলারোয়ার এসপি কিংস ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

রবিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় হাইস্কুল ফুটবল মাঠে, কেঁড়াগাছি সোনামাটি যুব সংঘ আয়োজিত, ১৬ দলীয় নক আউট শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের, প্রথম সেমিফাইনাল খেলায়, এসপি কিংস ফুটবল একাদশ বনাম পাথরঘাটা একতা ক্লাব ফুটবল একাদশের মধ্যকার খেলা শুরুর ২২ মিনিটে, এসপি কিংস ফুটবল একাদশ এর ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় শিপন একটি গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে মধ্য বিরতিতে যায়।

বিরতির পরে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে খেলার ১৭ মিনিটে এসপি কিংস ফুটবল একাদশের ৭ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় মহানন্দ একটি গোল করে ব্যবধান বাড়ান, রেফারির শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত আর কোন গোল না হওয়ায় ২-০ গোলে জয়লাভ করে এসপি কিংস ফুটবল একাদশ কলারোয়া।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মেহেদি হাসান ইমন। তাকে সহযোগিতা করেন, মোশারফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। ধারাভাষ্য প্রদান করেন তৌহিদুজ্জামান। খেলাটি সরাসরি দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করা হয়। বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন। আগামী বুধবার কেঁড়াগাছি বনাম ঝাউডাঙ্গা পরস্পর মোকাবেলা করবে বলে আয়োজক কমিটি জানান।

The post কেঁড়াগাছি শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে কলারোয়ার এসপি কিংস appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2KQlSix

ভেঙে যাওয়া রাস্তার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির https://ift.tt/eA8V8J

প্রতাপনগর (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া পিচের মাথা থেকে শ্যামনগর উপজেলার বন্যতলা জামে মসজিদ পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তাটি বিগত আম্পান ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও অতিরিক্ত জোয়ার ভাটা চলার কারণে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়।

 

এতে করে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত করতে ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। তালতলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে জোয়ারে নৌকায় ছাড়া আসার উপায় নেই। এজন্য উক্ত রাস্তাটি প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় নির্মাণ কাজ চলমান। রবিবার সকাল ১১টায় কার্পেটিং রাস্তার সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন। এসময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল শেখ, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আমজাত হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

The post ভেঙে যাওয়া রাস্তার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33odXz9

ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন https://ift.tt/3qaU4Fz

ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের পূর্বের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পুনরায় নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। ১৩ সদস্যের এ কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন তৌহিদুল হক তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক জিএম আমির হামজা।

এছাড়া নব কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএম আব্দুর রউফ, সহ-সভাপতি নাজমুর রহমান রিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী, সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক শুভংকর ঘোষ, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রঞ্জু, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবিদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য তামান্না আঞ্জুমান, মো. সাইফুল ইসলাম, রাশেদুজ্জামান শামীম। নব নির্বাচিত কমিটি’টি ৩ বছর মেয়াদে গঠন করা হয়।

The post ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36gzkEu

জেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের সভাপতিকে দল থেকে বহিস্কার ও কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিককে দল থেকে বহিস্কার, বর্তমান জেলা কমিটি বাতিল ও ত্যাগী নেতাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে রবিবার দুপুরে শহরের সঙ্গীতা মোড়ে ওই মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরআগে তারা একই দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

জেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন হোসেন শিকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ভুট্টো, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খোকা, সভাপতি সালাউদ্দীন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম হিমু, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলুর রহমান, আশাশুনি থানা স্বে”চ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহারিয়ার জামান, সাবেক ছাত্র নেতা রাজিবুল ইসলাম রাজিব প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তারা কোন দিন রাজ পথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। তারা এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহম্মেদ মানিককে বহিষ্কার ও বর্তমান জেলা কমিটি বাতিল করে পরীক্ষিত কর্মী দিয়ে কমিটি গঠনসহ ত্যাগী নেতাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

The post জেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের সভাপতিকে দল থেকে বহিস্কার ও কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33u6j6x

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর ৩ ও ৪ ডিসেম্বর শুরু https://ift.tt/eA8V8J

 

কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আগামী ৩ ও ৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু হচ্ছে।
এরই মধ্যে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঁচ সদস্যের একটি পরিদর্শন ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটির দলনেতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদউদ্দিন মিঞা জানান, রোববার মিয়ানমারের নাগরিকদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারা চিঠিও পেয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে আরেকটি চিঠি দিয়ে আগামী ৩ ও ৪ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। মূলত চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক এসব দেখভাল করছেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ড. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির সদস্যরা ভাসানচরে উপস্থিত থেকে সেখানে স্থাপিত হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করবেন এবং রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এছাড়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে স্থানান্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম মনিটর করবেন বলেও জানান তিনি।

The post রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর ৩ ও ৪ ডিসেম্বর শুরু appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2JtBF5W

গ্রামীণ অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা মুক্তা চাষ https://ift.tt/eA8V8J

 

তুলনামূলকভাবে সহজ ও লাভ বেশি হওয়ায় মুক্তা চাষের প্রতি ঝুঁকছেন গ্রামের অসংখ্য মানুষ। এতে নিজেদের আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হচ্ছে। আগ্রহী কোনো ব্যক্তি সহজেই প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তা চাষ করে লাভবান হতে পারেন।
তেমনই একজন বরগুনা সদর উপজেলার লতাবাড়িয়া গ্রামে ব্রাইট এ্যাগ্রো কৃষি খামারের মালিক মো. নুরুল ইসলাম। অবসরপ্রাপ্ত এ সরকারি কর্মকর্তার মুক্তা চাষের সফলতার গল্প এরই মধ্যে উপকূল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৯ সালে ব্রাইট এ্যাগ্রো ফার্মে মাছের পাশাপাশি ঝিনুকে মুক্তা চাষের প্রকল্প শুরু করেন তিনি।

তার মতে, মাছ রফতানিতে প্রসেসিংসহ নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। কিন্তু মুক্তার ক্ষেত্রে সেরকম কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। পুকুর বা জলাশয়ে এক সঙ্গে মুক্তা এবং মাছ চাষ করে যেকোনো পরিবার অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।

বর্তমানে নুরুল ইসলামের মুক্তা চাষের এই প্রকল্প দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ খামারে আসছেন। আগ্রহীদের ব্রাইট এ্যাগ্রোর পক্ষ থেকে মুক্তা চাষের পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

মুক্তা চাষ সম্পর্কে জানা যায়, মুক্তা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে মান সম্পন্ন ঝিনুক প্রাকৃতিক জলাধার থেকে সংগ্রহ করতে হয়। এর আগে প্রস্তুতকৃত ইমেজ, মান্ডেল টিস্যুর পাশে স্থাপন করে প্রথম ৪৫ দিনের জন্য আটকানো নেটে রাখতে হয়।

কেননা সুযোগ পেলে ঝিনুক ফরেন বড়ি শরীর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। ৪৫ দিনের মধ্যে স্থাপিত ইমেজটি দেহের খোলসের সঙ্গে আটকে যায়। তখন আর ফেলতে পারে না। ৪৫ দিন পরে নেটের ভেতরে মাটির প্রশস্ত বাসন জাতীয় পাত্রের ওপর আটকিয়ে রেখে এবং ঝিনুকের খাদ্য হিসেবে প্লাংটন উৎপাদনের জন্য গাবের প্রয়োগ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে মুক্তা আহরণের উপযুক্ত হয়।

এদিকে গোলাকার মুক্তা উৎপাদনের জন্য অন্য ঝিনুকের ম্যানেডল টিসু নিয়ে ছাটে ছাটে টুকরো করে মুক্তা উৎপাদনের বিশেষ থলিতে স্থাপন করতে হয়। এতে ৩ বছরের মধ্যে পরিপূর্ণ মুক্তা উৎপাদিত হয়। মুক্তা জুয়েলারি, ওষুধ শিল্প, কসমেটিকস ও পেইন্টস ফরমুলেশনে ব্যবহৃত হয়।

জানতে চাইলে মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মুক্তা চাষ গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে। প্রতিটি ঝিনুক থেকে ৬টি মুক্তা উৎপাদিত হয় প্রায়। বর্তমানে ব্রাইট এ্যাগ্রোতে ৩ হাজারের বেশি মুক্তা উৎপাদিত হচ্ছে। গ্রীসে অবস্থানরত বাঙালিরা মুক্তা সংগ্রহের ব্যাপারে যোগাযোগ করছেন।

নুরুল ইসলামের মুক্তা চাষ দেখে এলাকার অনেকেই মুক্তা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন ও সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের হাওড় ও বিলে সামান্য পরিমাণে মুক্তা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। মুক্তা চাষের প্রসার ঘটলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

তারা আরো বলেন, গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে মুক্তা চাষ একটি বিরাট সাফল্য বয়ে আনতে পারে। আমরা নিজেরাও মুক্তা চাষ করতে আগ্রহী। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব।

বরগুনার ডিসি মো. মোস্তাইন বিল্লাহ এরই মধ্যে নুরুল ইসলামের মুক্তা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় নুরুল ইসলামের মতো উদ্যোক্তার প্রয়োজন। বেকার যুবকরা একটু উদ্যোগী হলে মুক্তা চাষ প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে।

The post গ্রামীণ অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা মুক্তা চাষ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o7fRfy

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী https://ift.tt/eA8V8J

 

রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে যমুনা নদীর ওপর ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু থেকে ৩০০ মিটার উত্তরে রেল সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও সংশোধিত প্রকল্পে সময়সীমা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। যদিও ডাবল লাইন হওয়ায় সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৬০ কিলোমিটার বিবেচনা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আর প্রকল্প ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা থাকলেও তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা জাপানের সহযোগিতা সংস্থা জাইকা দিচ্ছে। বাকিটা অর্থায়ন করছে সরকার। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

সেতুটি নির্মিত হলে এটি হবে দেশের বৃহত্তম রেল সেতু। রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে ৪৪টি ট্রেন চলাচল করে। সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় সেতু পার হতে ট্রাফিক সিগন্যালে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয়। ওজন সীমাবদ্ধতার কারণে ভারী পণ্যবাহী ট্রেন চলতে পারে না। এ সেতুতে ট্রেনও পূর্ণ গতিতে চলতে পারে না। ঈদের সময় সূচির বিপর্যয়ে পড়ে ট্রেন।

নতুন ডাবল লাইন সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। রাজধানীর সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থারও অনেক উন্নয়ন হবে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাইট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা আসতেও শুরু করেছেন। মূল সেতুটি দুটি প্যাকেজের আওতায় বানানো হবে।

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এই সেতু চালু হলে দ্রুত গতিতে দুটি ট্রেন পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে। দ্রুতগতিতে রেল যোগাযোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ আরো সহজ হবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটবে।

The post বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36iFVi0

করোনায় মারা গেলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান https://ift.tt/eA8V8J

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আব্দুল হান্নান খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সনাউল হক।

গত ৯ সেপ্টেম্বর শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আব্দুল হান্নানকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, এম এ হান্নান খান আন্তর্জাতিক (অপরাধ) ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কারী ছিলেন। এর আগে অতিরিক্ত ডিআইজি পদ থেকে অবসর গ্রহণকারী এই অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যা মামলার তদন্তেও প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।

The post করোনায় মারা গেলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36ikmhl

সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে ইছামতির সাথে অন্যান্য নদীর পুনঃসংযোগ স্থাপনসহ ১৩ দফা প্রস্তবনা https://ift.tt/eA8V8J

সাতক্ষীরা শহর ও পাশ্ববর্তী এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর করতে জেলা নাগরিক কমিটি ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে। রোববার বেলা ১২টার সময় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের কাছে উক্ত প্রস্তবনা পেশ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, সদস্য শেখ বায়দুস সুলতান বাবলু, মাধব চন্দ্র দত্ত, অপারেশ পাল, জিএম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২ জুন ২০২০ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠকে ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১, ২, ৬-৮, ৬-৮ (এক্সটেনশন)-এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর ৮১ কি.মি. পুনঃখনন ও ড্রেজিং এবং ৮২টি খালে ৩৪৪.২২ কি.মি. সংস্কার ও পুনঃখনন করা হবে।

এছাড়া ২৭টি রেগুলেটর ও স্লুইস গেট মেরামত, পুণর্গঠন, পুনরাকৃতিকরণ, ১১৩.১২ কি.মি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার, বেতনা নদীর ডান তীরের ১.৭০ কিমি ঢাল প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং ৪টি আরসিসি ঘাটলা নির্মাণ করা হবে।

জেলা নাগরিক কমিটির প্রস্তাবনার ভূমিকায় বলা হয়েছে, গত ১০ বছরের মধ্যেই গৃহীত উক্ত প্রকল্পের অধিকাংশ কাজই পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, কর্মসৃজন প্রকল্প, ব্লু-গোল্ডসহ বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু তার কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। বরং পরিস্থিতি পূর্বের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে ৩/৪শ’ফুট চওড়া বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মাঝ বরাবর ৫০/৬০ ফুট খাল খনন করে নদী ভরাট করার কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

নাগরিক কমিটি এই পরিস্থিতি নিরসনের জন্য সাতক্ষীরা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত উজানের সাথে সম্পর্কযুক্ত একমাত্র প্রবাহমান নদী ইছামতির শাখা সাপমারা ও লাবন্যবতীর স্লুইস গেট অপসারণ করে মরিচ্চাপ-খোলপেটুয়া ও অন্যান্য নদী খালের জোয়ার ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ পুনুরুজ্জীবিত করাসহ ১৩ দফা সুনিদিষ্ঠ প্রস্তাবনা পেশ করেন।

প্রস্তাবনা সমূহঃ
০১. ইছামতি নদীর সাথে মরিচ্চাপ নদীর সংযোগ পুর্নস্থাপনে লাবন্যবতীর দু’মুখে স্থাপিত শাখরা-টিকেট এবং সাপমারার দু’মুখে স্থাপিত হাড়দ্দহা-কামালকাটি স্লুইসগেট অপসারণ অথবা দুই নদীর সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য স্লুইসগেটের পার্শ্ব দিয়ে বেড়িবাঁধ কেটে বিকল্প চ্যানেল তৈরী করতে হবে।

০২. সাতক্ষীরা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়র খালের সাথে বেতনা নদীর পুর্নসংযোগ স্থাপনে খেজুরডাঙ্গী স্লুইসগেট এবং মরিচ্চাপ নদীর পুনঃসংযোগ স্থাপনে এল্লারচার স্লুইসগেট (বর্তমানে অস্তিত্বহীন) অপসারণ অথবা পার্শ্ব দিয়ে বেড়িবাঁধ কেটে বিকল্প চ্যানেল তৈরী করতে হবে।

০৩. কোলকাতার খাল এবং শ্রীরামপুর-বাকাল খালের দু’মুখের সকল বাঁধা অপসারণ করতে হবে।

০৪. ইছামতির পানি প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পূর্বেই লাবন্যবতী, সাপমারা, মরিচ্চাপ, কোলকাতার খাল ও শ্রীরামপুর-বাঁকাল খালের বেড়িবাঁধ যেখানে প্রয়োজন সেখানে উঁচু ও মজবুত করতে হবে এবং বিলের পানি নিষ্কাশনের খালের মুখে থাকা স্লুইস গেটগুলো সংস্কার করতে হবে। এছাড়া মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীর সংযোগ স্থাপনকারী অন্যান্য খালগুলো উন্মুক্ত করে স্লুইস গেটগুলো সংস্কার করতে হবে। এজন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে না। নদী ও খাল খননের পরিধি ছোট করে ঐ টাকার কিছু অংশ ব্যয় করলে কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

০৫. প্রকল্পভুক্ত সকল নদী-খালের সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা পিলার স্থাপন করতে হবে। নদী খালের ম্যাপ তৈরির ক্ষেত্রে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

০৬. প্রকল্পভুক্ত নদী খাল খননের সকল মাটি নদী খালের সীমানার বাইরে অবক্ষেপণ করতে হবে। কোন আবস্থাতেই নদী-খালের মধ্যে ডাম্পিং করে নদী বা নদীর পাড় ভরাট করা যাবে না।

০৭. গ্রাম-শহরের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখে মাছ চাষের জন্য পরিকল্পিতভাবে নিদিষ্ট জোন সৃষ্টি করতে হবে। জোনের বাইরে কোন ঘের করতে দেওয়া যাবে না এবং নদী-খালের বেড়িবাঁধ ও সরকারী রাস্তাকে কোনভাবেই মাছের ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি লোকালয় থেকে বিলে, বিল থেকে খালে এবং খাল থেকে নদীতে প্রবাহিত হওয়ার সময় তীব্র ¯্রােত সৃষ্টির মাধ্যমে নদীর প্রাকৃতিক খনন প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করতে দেওয়া যাবে না।

০৮. শালিখা নদীর সাথে বেতনা নদীর পুর্নসংযোগ স্থাপনসহ প্রকল্পের বাইরে থাকা অন্যান্য নদীগুলোর আন্তঃসংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

০৯. ইছামতি নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত হওয়ার পর লাবন্যবতী, সাপমারা, কোলকাতার খাল, শ্রীরামপুর-বাঁকাল খাল, মরিচ্চাপ ও খোলপেটুয়া নদী খনন ছাড়াই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। সেক্ষেত্রে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হলে আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, খাজরা, আনুলিয়া এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত খোলপেটুয়া নদীর ভরাট প্রক্রিয়া বন্ধ হবে এবং এলাকা ভয়াবহ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ইছামতির ঐ পানির আর একটি প্রবাহ কোলকাতার খাল ও শ্রীরামপুর-বাঁকাল খালের মাধ্যেমে সাতক্ষীরা প্রাণ সায়র খাল দিয়ে বেতনা নদীর জোয়ার-ভাটার সাথে সংযুক্ত হবে। একইভাবে ইছামতির খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ার-ভাটার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে বুধহাটার গাং দিয়ে বেতনা নদী প্রবাহমান হবে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন স্লুইসগেট নির্মাণের পূর্বে ইছামতি এবং মরিচ্চাপ নদীর জোয়ার-ভাটার ব্যবধান দুই ঘন্টা ছিল। অর্থাৎ ইছামতিতে জোয়ার শুরু হলে সেই জোয়ারের পানি লাবন্যবতী-সাপমারা হয়ে মরিচ্চাপ-খোলপেটুয়া দিয়ে ভাটিতে প্রবাহিত হতো। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় খোলপেটুয়া-মরিচ্চাপে জোয়ার হলে সেই জোয়ারের পানি লাবন্যবতী-সাপমারা হয়ে ইছামতিতে ভাটি হতো।
আবার কোলকাতার খাল, শ্রীরামপুর-বাকাল খাল দিয়ে ইছামতির জোয়ারের পানি সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়র খাল দিয়ে বেতনা নদীতে যেয়ে ভাটিতে প্রবাহিত হতো। একই প্রক্রিয়ায় শালিখা, কপোতাক্ষসহ প্রকল্পের বাইরের এলাকায় জোয়ার-ভাটা হতো।
এই আন্তঃসংযোগের কারণে নদী-খাল প্রবাহমান থাকায় পলি পড়ে ভরাট হওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু আন্তঃসংযোগ বন্ধ করাতেই এবং অন্যান্য কারণে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

১০. ইছামতির পানিতে নদী-খালের এই স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করার পরও বেতনা আববাহিকার উজানে খুব বেশী প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। ফলে সেখানে পলি পড়ে দ্রুত নদী ভরাটের আশংকা থেকেই যাবে। এজন্য সুবিধাজনক স্থানে টিআরএম চালু করতে হবে। একই সাথে অন্যান্য নদী-খালের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পর নিচু বিল উঁচু করতে এবং যেখানে পর্যাপ্ত ¯্রােত সৃষ্টি হবে না সেই সমস্ত এলাকায়ও টিআরএম চালু করতে হবে।

১১. নদী খাল খনন এলাকায় জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা করতে হবে।

১২. প্রকল্পের জন্য একটি টেকনিক্যাল এডভাইজারি গ্রুপ তৈরী করতে হবে। যারা সাপ্তাহিক/মাসিক প্রতিবেদন দিবেন এবং এই সম্পর্কিত একটি ওয়েব সাইট তৈরি করতে হবে। যেখানে নাগরিকরা পরামর্শ ও মতামত প্রদান করবেন।

১৩. মাননীয় জেলা প্রশাসকের ঘোষণা অনুযায়ী ‘সকল নদী খালর ইজারা বাতিল’ এর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

The post সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে ইছামতির সাথে অন্যান্য নদীর পুনঃসংযোগ স্থাপনসহ ১৩ দফা প্রস্তবনা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/37iGTd9

Saturday, November 28, 2020

কলারোয়ায় সাংবাদিক পুত্র সোহেলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ https://ift.tt/eA8V8J

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় সাংবাদিক পুত্র সোহেল রানার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৯ নভেম্বর, রোববার। সোহেল রানা উপজেলার চেড়াঘাট নিবাসী এবং কলারোয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক যশোরের কলারোয়া প্রতিনিধি এমএ সাজেদের একমাত্র পুত্র।

 

২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সোহেল রানা (২২)। সাংবাদিক এমএ সাজেদ তাঁর সন্তানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার চেড়াঘাট গ্রামের জামে মসজিদে জুম্মা নামাজ শেষে প্রয়াত সোহেল রানার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া রোববার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে নিজ বাড়িতে স্বল্প পরিসরে কাঙালি ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক এমএ সাজেদ।

The post কলারোয়ায় সাংবাদিক পুত্র সোহেলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2JgIR5U

তালার মাগুরায় ৮দলীয় নক আউট হা ডু ডু ফাইনাল খেলা https://ift.tt/eA8V8J

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের চাঁদকাটি ভাতুয়াডাঙ্গা যুব সংঘের উদ্যোগে ৮দলীয় নক আউট হা ডু ডু প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শনিবার বিকাল ৪টায় বাতুয়াডাঙ্গা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় আটুলিয়া একাদশ রঘুনাথপুর একাদশকে পরাজিত করে। খেলা শেষে বিজয়ী দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যুবসংঘের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাগুরা ইউপির সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী উত্তম কুমার সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক আলীসহ স্থানীয় সুধীজন।

The post তালার মাগুরায় ৮দলীয় নক আউট হা ডু ডু ফাইনাল খেলা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33pOc1u