Friday, December 17, 2021

কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া হাইস্কুলে অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন https://ift.tt/eA8V8J

সংবাদদাতা: কলারোয়ার ঐতিহ্যবাহী সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটে ৮ জন অভিভাবক ও ৩জন শিক্ষক প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে ৪জন অভিভাবক ও ২ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার তাপস কুমার দাস। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমূখর পরিবেশে তাদের ভোট প্রদান করেছেন। দুপুরের দিকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ও কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর। ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় সকাল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।

নির্বাচনে শিক্ষকদের ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার চৌধুরী ও জি.এম সেলিম রেজা। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন সহকারী শিক্ষক মো: শওকত আলী।
অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ৪ সদস্য হলেন- মোঃ আনারুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ২৭১), মো: মনিরুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ২১১), মো: নবীছদ্দীন (প্রাপ্ত ভোট ২১০), শরীফুজ্জামান উজ্জল (প্রাপ্ত ভোট ১৫৯)।

নিকটতম অপর ৪ প্রার্থীরা হলেন-মো: রেজাউল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ১৫৫), মো: আলতাফ হোসেন (প্রাপ্ত ভোট ১৫৩), রনজিৎ কুমার (প্রাপ্ত ভোট ১৫২), শহিদুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ১৪৬)।
এদিকে, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছেন- দাতা সদস্য মো: নূরুল ইসলাম, নারী শিক্ষক প্রতিনিধি রোকসানা খাতুন, নারী অভিভাবক সদস্য রেশমা পারভীন। উল্লেখ্য, বিগত ১৮ নভেম্বর সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের তফসীল ঘোষণা করা হয়।

 

The post কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া হাইস্কুলে অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3F9y5pE

পাটকেলঘাটায় বিজয়ের ৫০বছর পূর্তিতে গণসমাবেশ https://ift.tt/eA8V8J

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: বিজয়ের ৫০বছর পূর্তিতে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গণসমাবেশ পাটকেলঘাটা ঐতিহাসিক ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।

 

১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে পাটকেলঘাটা থানার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা জমায়েত হয়।

এদিকে সকাল ১০টায় সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড: শেখ আব্দুস সামাদ, স ম আক্তারুল আলম, কৃষকলীগ নেতা স ম আতিয়ার রহমান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল গফ্ফর, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান মল্লিক, শ্রমিক নেতা আব্দুর রব পলাশ, আমিনুজ্জামান, আনছার আলী, আনোয়ার বিশ্বাস, গৌতম কর্মকার, ইকরামুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস আতিয়ার রহমান।

The post পাটকেলঘাটায় বিজয়ের ৫০বছর পূর্তিতে গণসমাবেশ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3FcuJST

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে মহান বিজয় দিবস পালিত https://ift.tt/eA8V8J

আব্দুস সামাদ: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় জেলা পরিষদ চত্ত্বরে পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য মো. আল ফেরদাউস আলফা ও শেখ আমজাদ হোসেন এবং জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক আবু হোরায়রাসহ জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

The post সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে মহান বিজয় দিবস পালিত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3q6sGJJ

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন হাজারো মানুষ https://ift.tt/eA8V8J

পত্রদূত রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় শপথ বাক্য পাঠ করেছেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ।

বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৫টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই শপথ বাক্য পাঠ করেন তারা। শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে একযোগে সবাই এই শপথ পাঠ করেন। সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

শপথ বাক্যে যা ছিল, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’ শপথ বাক্য পাঠ করানোর আগে দেশবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

The post প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন হাজারো মানুষ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3p5fWE1

বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয় উদ্বোধন https://ift.tt/eA8V8J

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা শহরের কুখরালির মোড়ে অবস্থিত জেলা কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এড: মো: ইয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান এড: মো: শফিকুল ইসলাম।

জেলা কমিটির আহবায়ক মো: আলিমুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আহবায়ক মাও: আজিজুর রহমান, কলারোয়া উপজেলা কমিটির আহবায়ক ফিরোজ কামাল শিমুল, কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটির আহবায়ক নন্দিতা রাণী মন্ডল, সমাজ সেবক মো: সফিউর রহমান ও সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য সচিব মো: আদম আলীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর কমিটির আহবায়ক অধ্যাপকএ এইচ এম নাজমুছ সাদত, সদর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মাস্টার, কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব মো: অলিউর রহমান প্রমুখ।
সভাশেষে জেলা কমিটির প্রয়াত সাবেক আহবায়ক মিজানুর রহমান বাবলু’র বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দলের কার্যক্রমের উর্ধগতি কামনায় দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয় উদ্বোধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3m9ii2P

বলাডাঙ্গা একতা সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন: আবুল হোসাইন সভাপতি ও সাহিন সম্পাদক নির্বাচিত https://ift.tt/eA8V8J

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গায় একটি অ-রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সেবামূলক সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে বলাডাঙ্গা একতা সংঘের আয়োজনে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. ইছাক আলী। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সাংবাদিক জিএম আবুল হোসাইনকে সভাপতি ও সাহিনুর রহমান সাহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ৭নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. বাবলু সরদার, ৮নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম, মাধবকাটি বাজার কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের বিশ্বাস, তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মো. মনিরুজ্জামান, শিক্ষক মো. মিলন হোসেন প্রমুখ।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান।

The post বলাডাঙ্গা একতা সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন: আবুল হোসাইন সভাপতি ও সাহিন সম্পাদক নির্বাচিত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3IYbXkm

আনিসুর রহমানের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক ঐক্য’র শোক https://ift.tt/eA8V8J

সাতক্ষীরার দৈনিক সুপ্রভাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম আনিসুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…….রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস সহ নানা রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মরদেহ দুবাই থেকে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

একেএম আনিসুর রহমান সাতক্ষীরার সিবি হাসপাতাল, চায়না বাংলা শপিং মল ও চায়না বাংলা ফুডস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্বত্ত্বাধিকারী ছিলেন। এছাড়াও তিনি ‘বরসা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকার বরসা রিসোর্টেরও মালিক ছিলেন তিনি। একেএম আনিসুর রহমান একজন সামাজিক ও সফল ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। দুবাই থেকে তার মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর জানাযা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে সুপ্রভাত সম্পাদক একেএম আনিসুর রহমানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্য। সাংবাদিক ঐক্যর আহবায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে সুভাষ চৌধুরী ও শরিফুল্লাহ কায়সার সুমনসহ শোক বিবৃতিদাতারা হলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ(সম্পাদক দৈনিক কালের চিত্র), সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম (দৈনিক পত্রদূত), সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি (দৈনিক ইত্তেফাক ও ইটিভি), সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (চ্যানেল আই), সাবেক সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী (আরটিভি), সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আশেক ই এলাহী (সম্পাদক দৈনিক দক্ষিণের মশাল), সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক জনকণ্ঠর মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক দিনকালের আব্দুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সময়ের খবরের রুহুল কুদ্দুস, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরী পল্টু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, দৈনিক পত্রদূত এর বার্তা সম্পাদক এসএম শহিদুল ইসলাম, দৈনিক প্রবাহর এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, দৈনিক কালের কন্ঠর মোশাররফ হোসেন, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আহবায়ক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও আজকের পত্রিকার আবুল কাশেম, সদস্য সচিব চ্যানেল ২৪ এর আমিনা বিলকিস ময়না, বাংলাদেশ নিউজের আব্দুস সামাদ, চ্যানেল নাইনের কৃষ্ণ ব্যানার্জি, তথ্যের সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, বাংলা টিভির গোপাল কুমার মন্ডল প্রমূখ সাংবাদিক।

শোক বিবৃতিতে তারা বলেন আমরা একজন সম্পাদককে হারালাম। একজন সফল ব্যবসায়ী ও সম্পাদক হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে জনকল্যাণে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে যে শুন্যতার সৃষ্টি হলো তা পূরণ হবার নয়। বিবৃতিদাতারা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post আনিসুর রহমানের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক ঐক্য’র শোক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/30yHhou

কালিগঞ্জে নৌকায় ভোট দেওয়ায় মারপিট টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ https://ift.tt/eA8V8J

সংবাদদাতা: ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ায় এক সংখ্যালঘু পরিবারকে মারপিট করে নগদ টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেনের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ ডিসেম্বর রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার উকশা গ্রামে।

তবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি গত পাঁচ দিন ধরে ঢাকাতে অবস্থান করছি। ঘটনা সঠিক হলে অবশ্যই দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী অসীম সরকারের জানায়, ২৮ নভেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তার পরিবার শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী সজল মুখার্জির নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করেন। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী শওকত হোসেন ঘোড়া প্রতীক জয়লাভ করেন। এরপর তার কর্মীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন শুরু করে। কেন নৌকায় ভোট দেয়া হল এ জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।

এরই জের ধরে ১৫ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যানের কর্মী একই গ্রামের রেজাউল করিম তুহিন ও মাহফুজ রহমান বাড়িতে গিয়ে মারপিট করে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। এ সময় তারা বলতে থাকে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অসীম সরকারের মা প্রজাপতি সরকার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জি জানান, ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর আমার নেতাকর্মীদের উপর চরম ভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী শওকত হোসেনের কর্মীরা। ঘোড়া প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় আমার কর্মীদের বাড়ির প্রবেশ পথবন্ধ, খাওয়ার পানি বন্ধ, ঘেরের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়া, বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি পরিদর্শন, মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ নির্বাচনের পর থেকে ২১ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যার মধ্যে নয়টি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। শওকত চেয়ারম্যানের কর্মীদের হাত থেকে ছাড় পায়নি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সংখ্যালঘু পরিবারও। বিষয়টি আমি প্রশাসনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি গত পাঁচ দিন ধরে ঢাকাতে অবস্থান করছি। অসীমের বাবা ভারত থেকে ফোন করে আমাকে জানিয়েছিল বিষয়টি। তুহিনের এক বোনকে কেন্দ্র করে ছেলেটিকে মারপিট করা হয়েছে বলে শুনেছি আমি। তবে তারা আমার কোনো কর্মী নয়। ঘটনা সঠিক হলে অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

The post কালিগঞ্জে নৌকায় ভোট দেওয়ায় মারপিট টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mdxHiC

কলারোয়ায় জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন https://ift.tt/eA8V8J

সংবাদদাতা: কলারোয়ায় জীবনের নিরাপত্তার দাবীকে এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছে। শুক্রবার (১৭ডিসেম্বর) সকালে পৌর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন-কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের নাথপুর গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দীনের ছেলে ব্যবসায়ী সাইফুদ্দীন সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাথপুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদ প্রার্থী ছিলেন।

সে কারনে ওই ওয়ার্ডের মেম্বরের ভাইপো জিল্লুর রহমান নির্বাচনী ভোটকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতা পোষণ করে আসছে। এরই জের ধরে গত রোববার বেলা আড়াই টার দিকে প্রতিপক্ষ জিল্লুর রহমান কোন কারণ ছাড়াই তাল কাঠের লাঠি নিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ীতে এসে জানালায় আঘাত করে। এসময় সে অতর্কিত ভাবে অশ্লীলন ভাষায় গালি গালাজ করে মারপিট করতে উদ্যত হয়। বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাস্তায় পেলে খুন করে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে।

এঘটনা উল্লেখ্য করে তিনি কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। এই অভিযোড় দেয়ার পরে তিনি অরো হুমকির মুখে রয়েছেন। এদিকে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে এঘটনার নিন্দা জানিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শুক্রবার (১৭ডিসেম্বর) সকালে রামকৃষ্ণপুর বটতলার মোড়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী লিখিত বক্তব্য বলেন, এই জিল্লুর রহমান সহ এলাকার কিছু কু-চক্রি ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রামের সভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সম্মান হানি করছে।

চন্দনপুর ইউনিয়নের নাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক ইউপি সদস্য আবুবকর সিদ্দিক, সাবেক ইউপি সদস্য মিঠু, ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন, সাথি, রাজু, ছোট বখতিয়ার, ব্যবসায়ী আবুল হাসান লাড্ডু, সাবেক ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান।

সেখানে কোন প্রকার বাক বিতন্ডা হয়নি। অথচ তার দুই দিন পরে ওই কু-চক্রি ব্যক্তিরা আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে হয়রানী মূলক সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে মাস্তান জিল্লুর রহমানের বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

The post কলারোয়ায় জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31XfA9T

কলারোয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের হামলা সংঘর্ষে আহত-৪ https://ift.tt/3p27uVS

সংবাদদাতা: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে আসার সময় বিএনপির দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে এক হামলা সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৬ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাবাড়ীয়া চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে।

আহত খোরশেদ (২৮) জানান, বিএনপির ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শহিদুল ইসলাম গ্রুপ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার (১৫ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলারোয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বিএনপি নেতা রাজু ছাত্রদল নেতা রনি (২৬) কে ধরে এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে জখম করে।

এসময় রাজু হামলা চালিয়ে রনির একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনাবাড়ীয়া চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে দিয়ে ছাত্রদল নেতা উজ্জল (২৩), খোরশেদ (২৮), রনি (২৬), হাবিব (২৫) বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ আরশাদ, শহিদুল, হাফিজুল ও রাজু দলবব্ধ হয়ে তাদেরকে ধরে কাঠের চোলা ও ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। সে আরো জানায়-রাজু উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হয়ে সোনাবাড়ীয়া ও উপজেলা আ.লীগের নেতাদের সাথে সব সময় থাকে।

The post কলারোয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের হামলা সংঘর্ষে আহত-৪ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3IXoPan

Thursday, December 16, 2021

কলারোয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় হোটেল কর্মচারী নিহত https://ift.tt/eA8V8J

সংবাদদাতা: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় এক হোটেল কর্মচারী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যুগিবাড়ীতে ওই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রক্ষ্যদর্শীরা জানান-সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের মহাসিন হোসেন (৫৫) সন্ধ্যায় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক পার হতে গিয়ে তিনি একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন।

সাথে সাথে কলারোয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থান থেকে আহত মহাসিন ও মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ হোটেল কর্মচারী মহাসিনকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। উল্লেখ্য নিহত মহাসিন হোসেন কলারোয়া উপজেলার যুগিবাড়ীতে একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।

The post কলারোয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় হোটেল কর্মচারী নিহত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3GRUSXG

বেনাপোলে বিজয় দিবসে দু’দেশের মিলন মেলা https://ift.tt/eA8V8J

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বেনাপোল-পেট্টাপোল সীমান্তের শূন্য রেখায় মিলিত হয়েছিল দুই বাংলার মানুষ। সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি বিএসএফ এর যৌথ রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিউগল ও দু’দেশের জাতীয় সঙ্গিত বাজিয়ে শুরু করা হয় শারিরিক কসরত। এসময় করতালিতে মুখরিত হয় পুরো সীমান্ত এলাকা। মনোমুগ্ধকার দৃশ্যটি উপভোগ করেন বিজিবি বিএসএফসহ প্রশাসন গণমাধ্যম কর্মীসহ হাজারও দর্শণার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তের শুন্য রেখায় দুটি দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি-বিএসএফ মিলেছে উৎসবে। সন্ধ্যার সাথেই যৌথভাবে নামানো হয় জাতীয় পতাকা। পরে বজিবি বিএসএফের পক্ষে একে অপরকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় সৃষ্টি হয় আনন্দঘন পরিবেশ। অনুষ্টান উপভোগ করতে পেরে খুশি বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দু’দেশের দর্শণার্থীরা।

বিজিবি বিএসএফের ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর সাদি, খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মামুনুর রশিদ, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা ও ভারতের কলিকাতা বিএসএফের ডিআইজি রাজেশ কুমার ও ১৭৯ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের সিও নিজাম উদ্দিন।

The post বেনাপোলে বিজয় দিবসে দু’দেশের মিলন মেলা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3eeigm1

Wednesday, December 15, 2021

এই যে বিজয় https://ift.tt/eA8V8J

আবুল হোসেন আজাদ
আমরা এনেছি এই যে বিজয়
যুদ্ধে একাত্তরে
পাকদানবের সঙ্গে লড়াই
করেছি ন’মাস ধরে।
পঁচিশে মার্চে ভয়াল রাতে
নিয়ে অস্ত্র গোলাগুলি সাথে

ঢাকা চাটগাঁতে পাকহানাদার
চালায় আক্রমণ,
মৃত্যুমিছিলে লাশ হয়ে যায়
সাধারণ জনগণ।
প্রতিরোধ থেকে শুরু হয়ে যায়
মুক্তিযুদ্ধ শেষে,
ইপিআর আর পুলিশ ছাত্র
কৃষক জনতা এসে।
যুদ্ধ চলে যে ক্রমে দুর্বার
নিয়ে আরো কত গ্রেনেড মর্টার
চলে সে যুদ্ধ জলে ও ডাঙায়
রুদ্ধ বাংলাদেশে।
এইভাবে পুরো নয় মাস পরে
ষোলই ডিসেম্বরে,
ওঠে বিজয়ের লাল সূর্যটা
খুশি তাই ঘরে ঘরে।

The post এই যে বিজয় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/30zXWbu

সাজ শিল্পীদের কথা https://ift.tt/eA8V8J

মুস্তফা হাবীব
কৃষকের দুচোখে ভিড় করে অদৃশ্য স্বপ্নেরা,
সে সোনার ফসলে সাজাবে মাঠ প্রান্তর,
সাজাবে বাড়ির উঠোন, সাজাবে গোলা।

ছলছল ভরা যৌবনা নদীর মত রমণীরা,
সাজায় তাদের কমলা রঙ ঠোঁট চ্যাপিস্টিকে।
শাড়িতে সাজায় শরীরী ঢেউ তরঙ্গ।
নদীরা জল¯্রােতে সাজায় মাঠ পলল মাটিতে।

তবে অধিকাংশ রাজশিল্পী, কাঠশিল্পী কখনও
নিজ খেয়ালে সাজাতে পারে না আপন ঘর,
পরের ঘর বানাতেই রচনা করে জীবন সমাধি।

চিত্রশিল্পীরা রঙতুলি নিয়ে বসে থাকে
কখন আসবে খদ্দের স্বপ্নের ফরমায়েশ হাতে
মুদ্রার বিনিময়ে অন্যের স্বপ্ন সাজাতেই সাঁজবেলা ।

তবে কারো মত আমি আমাকে সাজাতে ব্যাকুল নই
স্বপ্ন বুনে যাই পরমানুষের জন্য দিনের পর রাত,
অন্যের সুখ সমৃদ্ধির জন্য সাজাই শব্দের ইস্তেহার
আজন্ম কবিতায় সাজাই, স্বপ্নের খেয়া বাংলাদেশ।

The post সাজ শিল্পীদের কথা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3F3pbdw

বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে প্রিয় বাংলাদেশ https://ift.tt/eA8V8J

এসএম হাসান আলী বাচ্চু
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে অংশ বিশেষ-‘ভাইয়েরা আমার, আজ দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দু:খের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হযয়েছে। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম।…

কি পেলাম আমরা? যে আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহি:শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দু:খী আর্ত মানুষের বিরুদ্ধে, তার বুকের উপর হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু। আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাকে আমি বলেছিলাম, জনাব ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরীবের উপরে, আমার বাংলার মানুষের উপরে গুলী করা হয়েছে, কি করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে। আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন।

২৫ তারিখে এসেম্বলী কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে, ওই শহীদের রক্তের উপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না। এসেম্বলী কল করেছে। আমার দাবি মানতে হবে: প্রথম, সামরিক আইন মার্শাল ল’ উইথ্ড্র করতে হবে, সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে,আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এসেম্বলীতে বসতে পারবো কি পারবো না।এর পূর্বে এসেম্বলীতে বসতে আমরা পারি না।
আমি, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই যে, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরীবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে সেগুলির হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা, গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে; শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমিগভর্ণমেণ্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবে না। আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করবো। যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকা পয়সা পৌঁছিয়ে দেবেন। আর এই সাতদিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটাই শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন।
সরকারি কর্মচারীদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো, কেউ দেবে না। মনে রাখবেন, শত্রুবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটপাট করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়। মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারীরা, যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনেন, তাহলে কোন বাঙালি রেডিও স্টেশনে যাবেন না। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে যাতে মানুষ তাদের মাহিনাপত্র নিবার পারে। কিন্তু পূর্ববাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না। টেলিফোন টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ববাংলায় চলবে এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে চালাবেন। কিন্তু যদি এদেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালিরা বুঝে শুনে কাজ করবেন। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো-ইনশাল্ল¬াহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। জয় বাংলা।’
বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পরে ২৫ মার্চ কালোরাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তার পূর্বের ঘোষণা মোতাবেক নয় মাসের যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনেক হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। লাখো শহিদের রক্ত কি বৃথা গেছে? নাকি যে আকাক্সক্ষা নিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়েছিল লাখো মানুষ, তাদের সব আকাক্সক্ষা পূরণ হয়েছে? এক কথায় কোনো প্রশ্নের উত্তরই দেয়া সম্ভব নয়।বিজয়ের চার বছর পূর্তির আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এবং চার জাতীয় নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে যে ঘনঘোর লেগেছিল, সেই ঘনঘোর বিজয়ের পঞ্চাশ বছরেও কাটেনি।
১৯৭০ থেকে ২০২০, বাংলাদেশের এ ৫০ বছরকে নানা সূচকে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিশ্লেষণ করতে হলে উদাহরণ হিসেবে নানা জটিল মাপকাঠি ব্যবহার না করেও শুধু চারটি তুলনামূলক তথ্য ব্যবহার করা হলো। যথা জিডিপি, মাথাপিছু আয়, জাতীয় বাজেট ও গড় পড়তা আয়ুর একটি তুলনামূলক আলোচনা। ১৯৭০ সালে স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল শুধু ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার। ৪৯ বছরে যা বৃদ্ধি প্রায় ৩০ গুণ। ১৯৭০-এ মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১৪০ ডলার, ২০১৮-২০১৯-এ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৯০৯ ডলার এবং ২০২০-এ তা ২০৬৪-এ উন্নীত হয়। তাহলে ১৯৭২-১৯৭৩ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ গুণ।
১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি, ২০১৮-২০১৯-এ ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি, ২০১৯-২০২০-এ ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি এবং ২০২০-২০২১ সালের বাজেট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ১৯৭২-১৯৭৩ সালের তুলনায় বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ৭২২ গুণ। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ৫০১ কোটি টাকা, যা বেড়ে ২০১৮-২০১৯ সালে হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি, যা ৩৪৫ গুণ বেশি। এসব কিছুর প্রতিফলন দেখা যায় বিদ্যুতায়ন, গ্রামীণ সড়কের ঘনত্ব, শিল্পায়ন, গৃহায়ণ, নগরায়ণ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, দারিদ্র্য বিমোচন প্রভৃতি ক্ষেত্রে। সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আমাদের ৫০ বছরের অগ্রগতি স্বস্তিদায়ক। যেমন সার্বিক সাধারণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, গড় আয়ু, ইপিআই, নারীর ক্ষমতায়ন, জন্ম ও মৃত্যুহার হ্রাস ইত্যাদিতে অগ্রগতির উল্লেখ করা যেতে পারে।
২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এখন যে ধরণের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের ওয়ার্ল্ড লিগ টেবিল ২০২১ রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫ বছর পর বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান হবে ২৫তম।
বাংলাদেশ এখন দ্রুত উন্নয়নশীল প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি। রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। ভারতের সঙ্গে ৬৮ বছরের অমীমাংসিত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলের মানুষ অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে। ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ৮৫১ একর জায়গা বাংলাদেশের সীমানায় যুক্ত হয়েছে। সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৮ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশের সীমানায় যুক্ত হয়েছে।পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে দ্বিতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম, আম উৎপাদনে ৯ম, খাদ্যশস্য উৎপাদনে ১০ম। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার, দুস্থ ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান নিশ্চিত করা হয়েছে। শিল্পায়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বন্ধ থাকা পাটকল এবং বস্ত্রকল পুনরায় চালু করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার অটল রয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। সরকার কর্তৃক গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স-এ ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সপ্তম। সারা দেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে বীর বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর। পিতার হাত ধরে পেয়েছি স¦াধীনতা পেয়েছি আমরা। সেই জাতির পিতা দেশ পরিচালনার পুর্ব মূহর্তে হত্যা করা হয়। ক্ষমতায় আসেন সামরিক জিয়া সরকার তারপরে সামিরক ও গণতান্ত্রিক সরকার পল্লীবন্ধু এরশাদ। তিনি বাংঙ্গালী জাতিকে বিশে^র বুকে দাঁড় উন্মেচন করতে নিয়েছিলেন নানা পদক্ষেপ। মুক্তিযোদ্ধারা সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান ঘোষণা দিয়েছিলেন।কিন্তু পরিস্থিতির মুখে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরে ক্ষমতায় আসেন বেগম জিয়া তার পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
যে বাংলাদেশ ছিল একসময় অবহেলিত, দারিদ্র্যপীড়িত; যে বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা-বিশ্ব উপহাস করত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে; প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ, সৃজনশীল ও সাহসী নেতৃত্বের ফলে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোলমডেল। যে বাংলাদেশ একসময় পরিচিতি সমস্যায় ভুগত, সেই বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও বাঙালির স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্যোদয়ের ভিত্তি সূচিত হয়েছিল বেশ আগেই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্দীপ্ত বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় শপথ নিয়েছিল। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ডের পর বাংলার দামাল ছেলেরা রুখে দাঁড়িয়েছিল শোষণের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রতিটি দিনই ছিল ঘটনাবহুল। স্বাধীনতাকামী বাঙালির হৃদয়ে বিজয়ের বৈজয়ন্তী উড়িয়ে আসা সেই দিনগুলো ছিল গৌরবের, শিহরণের, পরম আরাধ্যের। বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূরে এগিয়ে গেছে। বিজয়ের ৫০তম বর্ষে ডিসেম্বর মাস শুরুর প্রাক্কালে বাঙালির মনে অন্যতম বড় স্বস্তির কারণ এই যে দীর্ঘকাল পর হলেও জাতির শাপ মোচন হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলায় ২৬ জনের বিচারের রায় হয়েছে। কুখ্যাত ছয় যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকরও হয়েছে। বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের ৫০ বছর ৬০০ মাস, ২৬০৯ সপ্তাহ ও ১৮,২৬৩ দিন এবং ৪৩৮,৩১২ ঘন্টা পেরিয়ে স্বাধীনতার ও বিজয়ের পূর্বসূরি স্বজন হারানোর বেদনার হলেও বিজয়ের ৫০ বছরে আমরা। ভালো থাকুক আমার লাল সবুজের প্রিয় বাংলাদেশ। লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক

The post বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে প্রিয় বাংলাদেশ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3oZhJua

সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ https://ift.tt/eA8V8J

জহিরুল ইসলাম শাহিন
ভারত বিভক্তের পর পূর্ববাংলা পশ্চিম পাকিস্তানের অধীনে চলে যায়-এ কথা সবার জানা। পূর্ববাংলা লাভের পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকচক্র পূর্ববাংলা অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক দিক থেকে কোণঠাসা করে রাখে। পাকিস্তান সরকার সব সময় পূর্ববাংলাকে সন্দেহের চোখে রাখতো এবং পূর্ববাংলার জনগণের প্রতি নিষ্ঠুর নিপীড়ন, নির্মম আচরণ, নির্যাতন, চরম অবহেলা এবং সকল ধরণের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ও অবহেলা করতে শুরু করে। পাকিস্তানের পিতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহ বাঙালিদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রথম বাংলা ভাষার উপর আঘাত হানে। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে বিরোধী দলীয় উপনেতা ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত কর্তৃক আনীত সংশোধনী প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঘোষণা দেন যে উর্দূই হবে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। ঘোষনার পরপরই সারা বাংলার জনগন এবং ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোক গর্জে ওঠে যার প্রভাব সারা দেশসহ সাতক্ষীরা জেলায় ও পড়ে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দলোনের চুড়ান্ত পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার নত স্বীকার করে এবং বাংলাই পূর্ব বাংলার জাতীয় ভাষা হিসাবে স্বাকৃতি লাভ করে। এর পর ৫৪ এর যুক্ত ফ্রন্ট, ৬২’র শিক্ষানীতি, ৬৬ র ছয়দফা, ৬৯ এর গন অভূ্যূন্থান এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে মুক্তি যোদ্ধারা দেশের জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, নতুন দেশ গঠনের জন্য এবং নিজস্ব স্বাধীনতা নিয়ে স্বাধীন দেশে বসবাস করার জন্য স্বপ্ন দেখা শুরু করলো এবং ইস্পাত কঠিন দৃঢ প্রত্যয় নিয়ে জয় লাভ না করা পর্যন্ত মুক্তি যোদ্ধারা এবং সাহসী বীরের দল আর ঘরে ফিরবে না।

এই স্বধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামে সাতক্ষীরা জেলা পিছিয়ে ছিলনা। ঢাকা থেকে যে সমস্ত কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ঘোষণা কর হয় তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নির্ভিক অকুতোভয় সাহসী সৈনিকেরা। সুতরাং আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার ছিল গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় সাতক্ষীরার সকল শ্রেণির ও পেশার মানুষ মুক্তির নেশায় এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল এবং ঝাপিয়ে পড়েছিল পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন মরণ যুদ্ধে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ থেকে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। বিভিন্ন দফা ও দাবীতে ২ মার্চ পালিত হয় হরতাল ৩ মার্চ ছিল বিক্ষোভ দিবস। এদিকে পাকিস্তানি দোসরদের গুলিতে সাতক্ষীরার প্রথম শহীদ আব্দুর রাজ্জাকের নামানুসারে পরবর্তীতে শহরের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত চিলড্রেন পার্কটিকে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক নামকরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ মন্ত্র মুুগ্ধের ন্যায় শ্রবণ করার জন্য হাজার হাজার সাতক্ষীরাবাসী অধীর আগ্রহে ছিল। এবং সঠিক দিক নির্দেশনা মুক্তির জন্য থাকার কারনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মান্য করে সাতক্ষীরার মানুষ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতে শুরু হয় মুক্তির জন্য এবং পরাধীনতার মালিকের হাত থেকে নিজ দেশ, নিজ অঞ্চল রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। মুক্তিযুদ্ধের এই প্রস্তুতি লগ্নে সাতক্ষীরাতে দুইটি ঘটনা ঘটে। খুলনা ও যশোর শহর পাক বাহিনী কর্তৃক দখলের পর সাতক্ষীরা গমনের প্রস্তুতি নেয় তারা। তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন। আর এ জন্য পাক বাহিনীর হানাদার দের রুখে দেওয়ার জন্য ১৪ থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সাতক্ষীরা সংগ্রাম পরিষদ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় ট্রেজারি থেকে সংগ্রহ করে অস্ত্র, গোলাবারুদ। একাজে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ছিল সাতক্ষীরার জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একই সময়ে ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) আব্দুল গফুর (পাইকগাছা) ও ইপি আর সুবেদার আইয়ুব আলী সাহেবের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (বর্তমান সোনলী ব্যাংক নামে পরিচিত) সাতক্ষীরা শাখা থেকে একদল সশস্ত্র ইপিআর জোয়ান এবং মুক্তি যোদ্ধার ও কিছু যুবনেতারা এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা সংগ্রহ করে। মুক্তিযুদ্ধের খরচ মোটানোর জন্য ব্যাংক অপারেশন ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাপক ও আরো শক্তিশালী করার জন্য রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অধিনায়ক নিযুক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। সাতক্ষীরা অঞ্চল ছিল ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীনে। নবম সেক্টরের আওতায় ছিল সাতক্ষীরা দৌলতপুর সড়কসহ খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা, সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ পরিচালনার স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নবম সেক্টরে বেশ কয়েকজন সাব সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ শাহজাহান-যিনি ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার নামে খ্যাত, দেবহাটার উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমান আশাশুনি থানা সাতক্ষীরা জেলা থেকে ৩৫ কি. মি. দক্ষিণে অবস্থিত এর পশ্চিম পাশে দেবহাটা ও কালিগঞ্জ থানা এবং পূর্ব দিকে খুলনা জেলা।

 

সেই সময় সাতক্ষীরা সদর থেকে একটি আধাঁ কাঁচা পাকা রাস্তা আশাশুনি পর্যন্ত ছিল। এছাড়া নদীপথ ও আশাশুনি থেকে সাতক্ষীরার যোগাযোগ সুগম ছিল। শত্রু সেনাদের এই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্œ করার জন্য পাকিস্তান নেভী অফিসারদের মধ্যে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে আসা সাব মেরিনার লে: গাজী মো: রহমাতুল্লাহ (সেক্টর কমান্ডারর্স ফোরাম খুলনা বিভাগীয় সভাপতি) মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের সাথে পরামর্শ করে প্রথমে আশাশুনি এবং বিপরীত তীরে চাপড়ার স্বাধীনতা বিরোধী আতিয়ার ও মতিয়ারের অবস্থিত রাজাকার ও মিলিশিয়া এবং বাঙালি পুলিশদের শত্রুঘাটি দখলের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রথমে আশাশুনি থানা আক্রমন করে শত্রু বাহিনীর শক্তি নিরীক্ষা করতে চাইলেন। আশাশুনি থানা এবং বিপরীত তীরে অবস্থিত চাপড়ার পাক বাহিনী দুর্গম ঘাঁটি ছিল। এখানে রেঞ্জারর্স রাজাকার পুলিশ মিলিয়ে দুই কোম্পানী সৈন্য অবস্থান করতো। এলাকাটি সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত হওয়ায় এর নিরাপত্তার দায়িত্ব ভার ছিলো ৫৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের উপর। এছাড়া ২১ পাঞ্জাব সাতক্ষীরা এবং কলারোয়া অবস্থান করছিলো। এর সাথে আরও শক্তি জোরদার করার জন্য স্থানীয়ভাবে প্রচুর সংখ্যক রাজাকার ভর্তি করে। মুক্তিযোদ্ধা ও মিলিটারিদের মধ্যে প্রায়ই সময়ই সুন্দরবনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের অনুকুলে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত উভয়ের মাঝে যুদ্ধ লেগে থাকতো। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদীপথ দিয়ে বাংলাদেশের মধ্য ভাগ মুক্তি বাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর জন্য সর্বোত্তম পথ। এ পথের গতি রোধ করার জন্য অসংখ্য গানবোর্ট সার্বক্ষণিক টহল দিত। এই গানবোর্টের অনেকগুলো নৌ কমান্ডদের হাতে ঘায়েল হয়েছে। পাকিস্তানী নৌ কমান্ডদের অপ্রতিরোধ্য গতিতে কখনও স্তিমিত করতে পারেনি। ফলে সংঘঠিত হয়েছে বার বার যুদ্ধ। পাকিস্তানী শত্রু বাহিনী স্থানীয়ভাবে অনেকগুলো ব্যক্তি মালিকাধীন লঞ্চ রিকুইজিশন বহর সেগুলোকে খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে কিছু রুপান্তর করে ৫ কি. মি. কামান ও হেভি মেশিনগান বসিয়ে গানবোর্টে রুপান্তর করে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে লাগায়। স্থল ভাগে ও হানাদার বাহিনী কম্বিং অপারেশন শুরু করে। ফলে নৌকমান্ডদের কৈলাশগঙ্গ থেকে তাদের আশ্রয় স্থলে বদল করে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সরে যেতে বাধ্য করে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে সুন্দরবন এলাকায় সেনাশক্তি বৃদ্ধির জন্যে সাবমেরিন ও নৌপ্রশিক্ষণ ঘাঁটির অন্যতম সংগঠক লে; গাজী মো: রহমাতুল্লাহর নেতৃত্বে আরও ৩০ জন নৌ কমান্ডসহ একটি মুক্তিযোদ্ধা দল মংলা এলাকায় পাঠানো হয়। পূর্ব দলের সাথে এই দলের সমন্বয় এবং স্থলভাগের যোদ্ধাদের সাথে সমন্বিত হওয়ায় খুলনার দক্ষিণ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বেশ বেড়ে যায় এবং সাথে সাথে গড়ে ওঠে শত্রুদের মোকাবেলা করার জন্য একটি বৃহৎ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন। এরপর গাজী রহমাতউল্লাহের নেতৃত্বে ছাত্র নেতৃত্বদের সাথে সমন্বিত যুদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সাতক্ষীরা ও খুলনার দক্ষিণ অঞ্চলে শত্রুঘাটি একের পর এক মুক্ত করতে থাকেন। ঐ সময়ে আশাশুনি ও শ্যামনগর এলাকায় রাজাকারদের শক্তি, অত্যাচার, নীপিড়ন এবং হিংসাত্মক মনোভাব বেশ বেড়ে যায়। ফলে এই সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা দল আশাশুনি থানা দখলের পরিকল্পনা করেন। আশাশুনি থানা দখলে আনতে পারলে সাতক্ষীরার ও খুলনার দক্ষিণ অঞ্চল তথা সুন্দরবন এলাকা মুক্ত অঞ্চলে পরিণত হবে। সে অবস্থায় মংলাসহ নৌ বন্দরগুলোতে নৌ কমান্ডাদের অপারেশন চালানো অনেক সহজ হবে। এমন ধারনা পোষণ করে সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা ও নৌকমান্ড বাহিনী আশাশুনি থানা ও তদসংলগ্ন এলাকা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন এই লক্ষ্যে ৬ অক্টোবর রাতে সম্মিলিতভাবে আক্রমন চালানো হয় আশাশুনি থানায়। কিন্তু শত্রু বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষর্থে এখানে থানার ছাদসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়ির ছাদে বাঙ্কার বানিয়ে রেখে ছিল ফলে সারা রাত যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর ১১জন যোদ্ধা মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিল। সেদিন ঐ ভয়াবহ যুদ্ধের নেতেৃত্বে ছিলেন মেজর শামছুল আরেফিন, লে: গাজী রহমত উল্লাহ, খিজির কামরুজ্জামান টুকু, স ম বাবর আলী ও শেখ আব্দুল কাইয়ুম।

 

প্রথম দিনের যুদ্ধে তালা দখল সম্ভব না হলেও মুক্তিবাহিনী নিরাশ না হয়ে পর দিনই আবার আশাশুনি থানায় আক্রমন পরিচালনা করেন। ঐ দিন নৌ কমান্ডোরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপর পাড়ে থানার ঘাটে ভাসমান ফেরি পল্টুনে বিস্ফোরণ ঘটান। বিস্ফোরণে সমস্ত এলাকা কম্পিত হয়েছিল এবং সমগ্র ফেরীঘাট তছনছ হয়ে যায়। ফলে এই দৃশ্য দেখে শত্রুবাহিনী ও রাজাকাররা অবস্থান ছেড়ে পালাতে থাকে। এ যুদ্ধে ১১ জন পাকসেনা ও ৪০ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তি বাহিনী ৪ দলে বিভক্ত হয়ে থানা আক্রমন করে এবং পাক বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী ভয়ে দিকবিদিক ছুটা ছুটি শুরু করে। কমান্ডার জিএম গফফারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কের সাথে একটি ব্রিজ এক্সপ্লোসিভ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। তখন মুক্তি বাহিনীর অনেক সদস্যই শত্রু বাহিনীর সামনে দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে থানায় গিয়ে ওঠেন। ভয়াল যুদ্ধ দেখেই দখলদার বাহিনী ও রাজাকাররা অস্ত্র গুলি ফেলে পালিয়ে সদরে আশ্রয় গ্রহন করেন। পরদিন পাকিস্তানী বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে নিরীহ গ্রামবাসির উপর বৃষ্টির মত গুলি ও বোমা ফেলতে থাকে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছুহটে সুন্দরবনে আশ্রয় নেয়। পরবর্তিতে আশাশুনি থানাসহ দখলদার বাহিনীর পতন হলে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাঙ্কার থেকে ১০-১২ জন বাঙালি যুবতীকে উদ্ধার করে। এই যুদ্ধে ৪০জন রাজাকার বন্দী হয়। ২৯ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা আবারো সুসজ্জিত হয়ে আশাশুনি থানায় পার্শ্ববর্তী নদীর বিপরীত পাড়ে চাপড়া গ্রামে পাকবাহিনীর দোসর আতিয়ার মতিয়ারের বাড়িতে অবস্থানকারী রাজাকার ঘাঁটির উপর প্রচন্ড আক্রমন পরিচালনা করেন। রাজাকার ও ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই অবস্থান ত্যাগ করে আত্মরক্ষা করেন, কয়েকজন ধরাও পড়েন। ৩১ অক্টোবর প্রচুর গুলি ও ১৫টি রাইফেলসহ ১৫ জন রাজাকার হেতালবুনিয়া ক্যাম্পে লে: রহমত উল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করেন। উল্লেখ্য আত্মসমর্থনকারী রাজাকাররা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছে এবং পরবর্তিতে তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাতক্ষীরা জেলার গৌরবোজ্জল ভূমিকা আছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উজ্জীবিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে সকল কলেজে প্রশিক্ষণ এরপর ভারতে উন্নত আর্মড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। মুজিব বাহিনী, মুক্তি বাহিনী গঠন করে অসংখ্য যুদ্ধ পরিচিালনা করা হয়। মুজিবনগরে স্থাপিত বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অর্থ বাবদ কয়েক কোটি টাকা সাতক্ষীরার মুক্তি যোদ্ধারা প্রদান করেন। সাতক্ষীরার অসংখ্য যুদ্ধের মধ্যে সাতক্ষীরার পাওয়ার হাউজ উড়িয়ে দেওয়া ও দেবহাটা টাউন শ্রীপুরের যুদ্ধের কথা উল্লেখযোগ্য। ৭ জুন ১৯৭১ দেবহাটার টাউন শ্রীপুরে ঐতিহাসিক যুদ্ধে শহীদ হন কাজল, নাজমুল, নারায়ন এবং আহত ও পঙ্গু হন এরশাদ হোসেন খান, চৌধুরী হাবলু ছাড়া আরও অনেকে। সাতক্ষীরা জেলার সমগ্র মুক্তি সংগ্রামে এবং যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী মেজর এম. এ. জলিল, লে: রহমত উল্লাহ, মো: কামরুজ্জামান টুকু, স ম আলাউদ্দীন, এএফম এন্তাজ আলী, স ম বাবর আলী, ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, খান আব্দুল মুয়িদ, খান চৌধুরী দুলু, মনসুর আহম্মেদ, আবু নাসিম ময়নাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাতক্ষীরাবাসী চিরদিন চির স্মরণীয় করে রাখবে। এদের মধ্যে স ম আলাউদ্দীন ছিলেন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে ক’জন এমএলএ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে স ম আলাউদ্দীন অন্যতম। তিনি মুক্তিযদ্ধের সংগঠক হিসেবে সরসরি যুদ্ধে অংশ নেন। একইভাবে এএফএম এন্তাজ আলীও সরসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অংশ নেন। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরা জেলায় ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাতক্ষীরা জেলাকে, জেলার সকল জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সকলে এক যোগে, একসাথে পারস্পারিক সহানুভুতি ও সহযোগীতা নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও উন্নত জেলায় পরিণত হবে এ আশা আমরা করতে পারি। ইতোমধ্যেই সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এ কথা অনস্বীকার্য। সকল কৃতিত্ব মহান মুক্তিযোদ্ধাদের। আমরা তাদেরকে স্যালুট জানাই। লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, কলারোয়া, সাতক্ষীরা

The post সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3eb2f09

মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি https://ift.tt/3s9g3jV

পত্রদূত ডেস্ক: মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের সাথে উদযাপন করার লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

 

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বাসভবন ও অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও মোনাজাত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, সকাল ১০টায় রক্তদান কর্মসূচি, সকল সোয়া ১০টা ৪৫ মিনিটে শহিদ আব্দুর রাজ্জাকের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ১১টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা, দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর দীঘিতে সাঁতার ও হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা, বেলা দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, জোহরের নামাজ অন্তে ও সুবিধামত সময়ে কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ জেলার সকল মসজিদে, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, সুবিধামতো সময়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। বিকাল আড়াইটায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা ও ক্রীড়ানুষ্ঠান।

বিকাল সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা একাদশের মধ্যে সৌখিন ফুটবল প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা ৬টায় টেনিস মাঠে বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা, ৬টা ১৫ মিনিটে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, শহিদ কাজল স্মরণী খুলনা রোড মোড় ও শহীদ সিরাজ স্মরণী নিউ মার্কেট মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া সন্ধ্যায় সরকারি আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন/স্থাপনা সমূহে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এর আগে শিশু একাডেমী প্রাঙ্গনে লোক নৃত্য, দেশাত্ববোধক সংগীত ও সকল শ্রেণির প্রতিবন্ধী শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান প্রধান সড়ক-দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা সদর থানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে লাল-সবুজের আলোকবাতিতে সুসজ্জিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

 

The post মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3q1HCst

সুবর্ণ বিজয় https://ift.tt/eA8V8J

 

ন্যাশনাল ডেস্ক: আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রক্তনদী পেরিয়ে জন্ম নেয়া আমাদের প্রিয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বিজয়ের আজ ৫০ বছর পূর্তির দিন। আনন্দ-বেদনায় মিশ্র মহান বিজয় দিবস আজ, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। বিজয়ের অর্ধশত বার্ষিকী তথা সুবর্ণজয়ন্তীর অপার আনন্দে আজ বাংলাদেশের সবাই উদ্বেলিত। কোন দেনদরবার নয়, কারও দয়ার দানে নয়, সাগর-সমান রক্তের দামে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বাধীনতা, রক্ত-সাগর পেরিয়ে বাঙালী জাতি পৌঁছেছে তার বিজয়ের সোনালি তোরণে। আর বাংলাদেশের এই মহাবিজয়ের মহানায়ক হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ।

যে কোন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এই শুভক্ষণ ভাগাভাগির এক সুবর্ণ সুযোগ। যাঁরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ও নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে জীবনকে বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন- তাঁদের জন্য, তাঁদের পরিবারের জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যাঁরা কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাঁদের জন্য এই দিনটি অসম্ভব ভাললাগার একটি দিন। আজকের দিনটিতে বাঙালী জাতি বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ করছে। তাই আজ দেশের ষোল কোটি কৃতজ্ঞ বাঙালী হাতে লাখো শহীদের রক্ত¯œাত জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শপথ নেবেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের।

আজ সেই বিজয়ের গৌরবের বাঁধভাঙ্গা আনন্দের দিন। একই সঙ্গে লাখো স্বজন হারানোর শোকে ব্যথাতুর-বিহ্বল হওয়ারও দিন। তীব্র শোষণের কুহেলী জাল ভেদ করে ঠিক ৫০ বছর আগে একাত্তরের এই দিনটিতে প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকিমিকিয়ে উঠেছিল বাংলার শিশির ভেজা মাটি, অবসান হয়েছিল পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। নয় মাসের জঠর-যন্ত্রণা শেষে এদিন জন্ম নেয় একটি নতুন দেশÑ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ঝড়ের ভেতরে বিকশিত অটল বৃক্ষের জীবন্ত প্রতীক স্বাধীনতা নামের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ আজও প্রচ- ঝাঁকি দেয় রক্তে, শাণিত করে চেতনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালী জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। সেই বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন আজ।

বাঙালী আঘাত খেয়েছে বার বার, কিন্তু কখনও আহত পাখির মতো আর্তনাদ করেনি, ভেঙ্গে পড়েনি ব্যর্থতার ক্রন্দনে। সমস্ত আঘাত সে বুক পেতে নিয়েছে, সর্বাঙ্গ রুধির মেখে অবিচারের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সেই ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেটির উদয় ঘটে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে। বহু শতাব্দীর স্বপ্ন-স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। অবর্ণনীয় দুর্যোগে ল-ভ- হওয়া বাংলাদেশের বঞ্চিত ও শোষিত মানুষ রুখে দাঁড়ায় সর্বশক্তি দিয়ে। আত্মবিস্মৃত বাঙালী আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে উৎসর্গ করে নিজ ও স্বজনকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই-সংগ্রাম এবং তাঁর নেতৃত্বে-নির্দেশে বাঙালী জাতির এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে বিজয়, লাল-সবুজ পতাকা সংবলিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে।

পূর্বাচলে আজ উদিত যে সূর্য প্রতিদিনের হয়েও সে প্রতিদিনের নয়, তার রক্তিমতায় তিরিশ লাখ শহীদের রক্ত আমাদের মনে পড়বে, আকাশ যে কোমলতায় আজ উদ্ভাসিত, একাত্তরের সম্ভ্রমহারা দশ লাখ মা-বোন-জায়ার ক্রন্দনধোয়া সে উদ্ভাস। ভোরের যে রাঙা আলোটি আজ স্পর্শ করেছে ভূমি, স্বদেশের সেই পবিত্র ভূমি ভিজে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রক্তে, আর সেই রক্তস্রোতে মিশে আছে জাতীয় চার নেতার উষ্ণ শোণিত।

৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই সবুজ দেশে ৫০ বছর আগে আজকের এই দিনে উদয় হয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সূর্য। সেদিনের সেই সূর্যের আলোয় ছিল নতুন দিনের স্বপ্ন, যে স্বপ্ন অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ। ৫০ বছর পূর্ণ হলেও সেই স্বপ্ন এখনও পুরোপুরি বাস্তবে রূপ পায়নি, শেষ হয়নি মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কুয়াশায় জড়ানো হালকা শীতের বিকেলে রমনার রেসকোর্স ময়দানে দাম্ভিক পাকিস্তানী সেনারা যে অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বাঙালীর বুকে, হাতের সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর নেতাদের সামনে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে চলমান ‘মুজিববর্ষ’-এর মধ্যেই এসেছে বাঙালীর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনটিকে সামনে রেখে এবারের বিজয় দিবস বিশেষ তাৎপর্য বয়ে এনেছে পুরো জাতির জীবনে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা মাঝে মধ্যেই ফোনা তোলার চেষ্টা করছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করার ফেলার মতো ঔদ্ধত্য ও স্পর্ধা দেখাচ্ছে। তাই পাকিস্তান ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে এক অন্যরকম গণজাগরণ ও আবহে এবার বিজয় দিবস পালন করছে গোটা জাতি। এবারের বিজয় দিবস মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের মিলনস্থল বিএনপিসহ উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে আবারও পরাজিত করে রাজাকার-জঙ্গীমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃপ্ত শপথে বলীয়ান হচ্ছে দেশের মানুষ।

বর্ণাঢ্য ও জমকালো আয়োজন ॥ এবার যে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীর বিজয়ের ৫০ বছর, সুবর্ণজয়ন্তী। তাই করোনার মধ্যেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ণাঢ্য ও জমকালো আয়োজনে বাঙালী জাতি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করবে মহান বিজয় দিবস, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে পুরো রাজধানী সেজেছে এক অন্যরকম সাজে, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংবলিত ডিজিটাল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পতাকা দিয়ে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন আজ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে চারটায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পরিচালনায় সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের এই বর্ণাঢ্য ও জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শপথ গ্রহণ শেষে আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সম্মানীয় অতিথিকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করবেন। এরপর অনুষ্ঠিত হবে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশে কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিবদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

দিনটি সরকারী ছুটির দিন। সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গ সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আজ সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। দিবসটি উপলক্ষে ইলেকট্টনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- সূর্যোদয় ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া আগামী শনিবার মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানম-ি বত্রিশ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য বিজয় শোভযাত্রা বের করবে আওয়ামী লীগ।

প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ ॥ এদিকে, সাভার থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি অঙ্গন সাহা জানান, অতিথিদের বরণ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আজ মহান বিজয় ও জাতীয় দিবসের সূচনা লগ্নে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভরে উঠবে ফুলে ফুলে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে শেষ হয়েছে তিন বাহিনীর ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানের মহড়া। এখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোসহ সকল প্রস্তুতি করা হয়েছে সম্পন্ন। এদিন নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। এ দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে রং-তুলির পাশাপাশি ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সশস্ত্র সালামের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের সূচনা শুরু হবে। শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের যাতায়াত ও অবস্থানের নির্দেশনার কাজও শেষ। স্মৃতিসৌধের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকদিন আগে থেকেই জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষেধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

The post সুবর্ণ বিজয় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3yrWNPH

এয়ারগান ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ https://ift.tt/eA8V8J

দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে জাতীয় শুটিং ফেডারেশনের নিবন্ধিত শুটিংক্লাব ও বনাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বহির্ভূত থাকবে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শর্ত থাকে যে, জাতীয় শুটিং ফেডারেশনের নিবন্ধিত শুটিংক্লাব ও বনাঞ্চল সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী তাদের নিরাপত্তা, দৈনন্দিন প্রয়োজন ও সামাজিক প্রথার কারণে এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বহির্ভূত থাকবে।

The post এয়ারগান ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3IRsWVD

৩২ জেলায় সমাবেশের ঘোষণা দিলো বিএনপি https://ift.tt/eA8V8J

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের ৩২ জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সমাবেশ উপলক্ষে আমরা জাতীয় পর্যায়ে কয়েকটি টিম গঠন করেছি। যার তালিকা আমরা গণমাধ্যমকে পরে জানিয়ে দেবো।

প্রথম দিন ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, খুলনা বিভাগের যশোর, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ হবে। এসব সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা সমন্বয় করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টাঙ্গাইলের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

২২, ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন বিভাগের জেলা সদরে প্রতিদিন ছয়টি  এবং ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন সাতটি করে সমাবেশ হবে।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে ইতোমধ্যে সারাদেশে মানববন্ধন, সমাবেশ, গণঅনশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্মারক লিপি দেওয়ার কর্মসূচি করেছে বিএনপি।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ম্যাডামের শরীর আবারো একটু খারাপ হয়েছে। তার বিভিন্ন প্যারামিটারগুলো নিচের দিকে। হিমোগ্লোবিন কমের দিকে….।

রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বন্ধ আছে, গতকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল।

গত ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ তালুদকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল প্রমূখ নেতারা।

The post ৩২ জেলায় সমাবেশের ঘোষণা দিলো বিএনপি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31WZ0qk

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাতক্ষীরার আজমল হক https://ift.tt/eA8V8J

তরতাজা যুবক আজমল হক। সাতক্ষীরা শহরে তার বেড়ে ওঠা। মার্কসবাদী দর্শণে বিশ্বাসী ছিলেন। স্বাধীনতা চেয়েছিলেন মনে প্রাণে। তবে সে চাওয়াটি ছিল ভিন্নরুপের। শাসন শোষনের অবসান চেয়েছেন, মহাজন চাষীদের অত্যাচারের অবসান চেয়েছেন। স্বাধীনতা চেয়েছেন সমাজ পরিবর্তনের জন্য। তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এ স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে মানবাধিকার নিশ্চিত হবে। মানুষ রাজনৈতিক অধিকার পাবে। অন্ন বস্ত্রের সংকট থাকবেনা।

তিনি জন্মেছেন পশ্চিমবঙ্গের বাশিরহাট মহাকুমার চন্ডিপুর গ্রামে। ৪৭ সালের পর তার পরিবার সাতক্ষীরা মহাকুমা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এ পরিবারের পরবর্তী আবাসস্থল সাতক্ষীরা শহরের মুনজিৎপুর একাডেমী মসজিদের বিপরীতে। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) এর সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি সে সময়ে কমিউনিষ্ট আন্দোলনের নিবেদিত প্রাণ। বামপন্থিদের মুখপাত্র সাপ্তাহিক গণশক্তির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি তার সম্পাদনায় অন্যন্য স্বদেশ নামে দেশাত্মাবোধক কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়। স্বদেশ সাহিত্য আন্দোলনে ঢেউ সৃষ্টি করে। অর্থ সংকটে পড়লে রক্ত বিক্রি করে পত্রিকা প্রকাশনা অব্যহত রাখেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) এর খুলনা জেলা শাখার রণকৌশলগত প্রশ্নে কেন্দ্রের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেন। এ অঞ্চলের কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্যর সশ্রস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ‘ ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ পূর্ব বাংলা থেকে হাত গুটাও’ শিরোনামে লিফলেট বিলি করতে গিয়ে তিনি গোয়েন্দা নজরে পড়েন। ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই লবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের নজির হোসেন খান চৌধুরী টুটুলের বাসা থেকে পকিস্তান বাহিনী ও রাজাকাররা তাকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসের সামনে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী তার ওপর অত্যাচার চালায়। একপর্যায়ে তাকে যশোর সেনানিবাসে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্র্রশাসক মো: কাতেবুর রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী আজমল হোসেনকে পাক বাহিনী যশোর সেনানিবাসে তাকে হত্যা করে।

রাজনৈতিক সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যরা তার লাশের সন্ধান পায়নি।

(তথ্যসূত্র : ঈক্ষণ সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা, জুলাই ২০১৯ ও সাতক্ষীরা জেলা ওর্য়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সাক্ষাৎকার)

The post মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাতক্ষীরার আজমল হক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3ypMFqE

কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মরদেহ দাফনের ১৪ দিন পর উত্তোলন https://ift.tt/eA8V8J

খুলনা প্রতিনিধি: ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম এলাকা থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
সেখানে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবির কুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) ও তদন্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার হাসান, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, ড. সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলিসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছে সেলিমের স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় সেলিমের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলিমের স্বজন ও এলাকাবাসী। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সেলিমের রহস্যজনক মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ। সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, তদন্তের স্বার্থে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের উপস্থিতিতে কবর থেকে সেলিম হোসেনের লাশ তোলা হয়। সেখানে চিকিৎসক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী ও কুমারখালী থানার পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এরআগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে কুয়েটের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য থানায় বিষয়টি জিডিভুক্ত করা হয়েছে।
এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসানের ওপর তদন্তের ভার ন্যস্ত করা হয়। যেহেতু লাশ দাফন হয়ে গেছে তাই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের একটি মাত্র উপায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা। এজন্য বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। সে কারণে ওসি (তদন্ত) মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ময়নাতদন্তের আবেদন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। যে কারণে আদালত মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেননি। আদালত থেকে জানানো হয়, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারভুক্ত। এজন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরপর খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানানো হয়। মরদেহ যেহেতু কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়। লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়। ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো একটি চিঠি হাতে পান জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখেন এবং লাশ উত্তলনের ব্যবস্থা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা খানজাহান আলী থানা থেকে একটি দল কুষ্টিয়া পৌঁছায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার কারণে তারা কবরস্থান পর্যন্ত যাননি।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত জানান, খুলনা থেকে পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়া এসেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে কবর থেকে ড. সেলিম হোসেনর লাশ উত্তোলন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের পাশে ভাড়া বাসায় মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন (৩৮)। ১ ডিসেম্বর কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়। সম্প্রতি কুয়েটের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ফজলুল হক হলের বর্ডার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার অনুগতদের ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচিত করার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন।
ঘটনার দিন দাফতরিক কক্ষে অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন তিনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধাঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন দুপুরে খাবারের জন্য ক্যাম্পাসের কাছে বাসায় যাওয়ার পর ২টায় তার স্ত্রী লক্ষ করেন, তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে তার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই দফা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধসহ বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর সাতটি আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা হল ছাড়েন।
সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

The post কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মরদেহ দাফনের ১৪ দিন পর উত্তোলন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3GKGoZp

ওমিক্রন অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে https://ift.tt/eA8V8J

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্বের ৭৭টি দেশে এ পর্যন্ত নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গ্রেব্রিয়াসাস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হয়তো আরো অনেক দেশেই ছড়িয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট যা এখনো শনাক্ত হয়নি।

তিনি জানান, এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে না, যা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘আমরা এখন নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছি যে এই ভাইরাসকে শুরুতে একেবারেই গুরুত্ব দেইনি আমরা। এখন ওমিক্রন যদি অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর রোগও হয়ে থাকে, আক্রান্তের হারে যে ঊর্ধ্বগতি তার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রস্তুত নয়, ফলে আবারও পুরো পৃথিবীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি বেকায়দায় পড়তে পারে।’

উল্লেখ‌্য, নভেম্বরের প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাতে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশেও এরইমধ‌্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

The post ওমিক্রন অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31TLNPk

ঢাকায় ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ https://ift.tt/eA8V8J

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ঢাকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ভারতের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি। বিমানবন্দরে ভারতের প্রেসিডেন্টকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। এরপর তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

ঢাকা ও দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তার সহধর্মিণী ও কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুইজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন প্রেসিডেন্ট কোবিন্দের প্রথম বাংলাদেশ সফর প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। তুরস্ক সফরে থাকায় ভার্চ্যুয়ালি ওই সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন তিনি।

ভারতীয় প্রেসিডেন্টের সফরে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে যখন সাক্ষাৎ হয়, তখন সব ধরনের সমস্যা নিয়েই কথা হয়। যদিও ভারতের প্রেসিডেন্ট একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন তথাপি বিদ্যমান ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত থাকা পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় বলেন, এবারের সফরে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে না।তবে ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।

এদিকে রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সফরসূচিতে শেষ সময়ে কিছু পরিবর্তন এসেছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে প্রেসিডেন্ট ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন। দিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকা সেই বার্তা পাওয়ার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতাও এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন রামনাথ কোবিন্দ। সেখানেমহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন শেষে তিনি ধানম-ি ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন। বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে। সন্ধ্যায় যাবেন বঙ্গভবনে, সেখানে দুই প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে।

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি টি-৫৫ ট্যাংক এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য প্রেসিডেন্টকে উপহার দেবেন ভারতের প্রেসিডেন্ট। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ই ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভারতের প্রেসিডেন্ট ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, স্পিকারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নিবেন। সফরের তৃতীয় দিন (১৭ই ডিসেম্বর) ভারতের প্রেসিডেন্ট ঢাকার রমনাস্থ কালীমন্দিরে যাবেন। সেখানে সদ্য সংস্কারকৃত অংশের উদ্বোধন এবং মন্দির পরিদর্শন করবেন। মন্দির সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের আগ্রহও রয়েছে তার। রমনা থেকে ফিরে দুপুরেই দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন রামনাথ কোবিন্দ।

The post ঢাকায় ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3EWKtcD

‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চেতনা নির্মূলের চেষ্টা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভা https://ift.tt/eA8V8J

গতকাল বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর খুলনাস্থ ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের আয়োজনে জাদুঘর প্রাঙ্গনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চেতনা নির্মূলের চেষ্টা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও লেখক গৌরাঙ্গ নন্দী। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন গণহত্যা জাদুঘরে ট্রাস্টি শঙ্কর কুমার মল্লিক। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন গণহত্যা জাদুঘরের উপদেষ্টা শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মনোয়ার আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন জাদুঘর ট্রাস্টি অমল কুমার গাইন। সঞ্চালনা করেন গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক রিফাত ফারজানা।

প্রাবন্ধিক গৌরাঙ্গ নন্দী তার প্রবন্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন। ৪৭ এর দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে যে বাঙালি জাতীয়তাবোধের জাগরণ দেখা দেয় তাতে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংক্ষেপে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়। তিনি দেখান যে, যে কারণে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল, অর্থাৎ এই জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য, সেটা তারা অনেকাংশে করতে সক্ষম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধ ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের জন্য তিনি বর্তমানের সরকারের প্রশংসাও করেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘু নিপীড়ন চলছে সেটাও তার আলোচনাতে উঠে আসে।

প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন শঙ্কর কুমার মল্লিক। সভাপ্রধান সৈয়দ মনোয়ার আলী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পাকিস্তানি জেনারেল ও তাদের মনোভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

আজ থেকে অর্ধশতাব্দী পূর্বে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের দোসররা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে শেষবারের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিদের ওপর। তবে বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তের সেই আক্রমণ ছিল অনেক পরিকল্পিত ও প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। যে রাষ্ট্র কিছুদিন পরে জন্মগ্রহণ করতে যাচ্ছে, যে জাতি আর কিছুদিন পরে দুনিয়ার বুকে তার আগমণ জানান দিতে যাচ্ছে, সেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় বধ্যভূমিতে। উদ্দেশ্য ছিল পুরো একটা জাতিকে পঙ্গু করে দেয়া। তবে, কেবল শেষবেলাতেই যে বুদ্ধিজীবীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে তা নয়, বরঞ্চ পচিশ মার্চ থেকে একাত্তরের পুরো নয় মাসই বুদ্ধিজীবীদেরকে দমন পীড়ন করা হয়েছে। আজ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড দিবসে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সূর্যসন্তানদের।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শুরুতেই এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দর্শকরা প্রশ্নোত্তর পর্বে সরাসরি প্রাবন্ধিকের কাছে তার প্রবন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, এবং প্রাবন্ধিক উত্তর প্রদান করেন। অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

The post ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চেতনা নির্মূলের চেষ্টা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3m5T5q3

Monday, December 13, 2021

গোয়েন্দা পুলিশের লকআপে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু: অপমৃত্যু মামলা https://ift.tt/eA8V8J

পত্রদূত রিপোর্ট: সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে মাদক ব্যবসায়ি দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবলু সরদারের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সদর থানার সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা বাদি হয়ে এ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

এদিকে পুলিশ হেফাজতে মৃত বাবলু সরদারের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুরিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, শনিবার সকালে দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ৩৫ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া বাবলু সরদার রবিবার ভোরের দিকে নিজের কোমরে ব্যবহৃত নাইলনের মোটা সুতা দিয়ে লকআপের গেটের গ্রীলের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষে বাবলুর লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কর্তব্যে অবহেলার দায়ে গোয়েন্দা পুলিশের এক সহকারি উপ-পরিদর্শক ও এক কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়।

বাবলু সরদারের মেয়ে দেবহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ফল প্রত্যাশী সুলতানা মুন্নি জানান, তার দাদা জুড়ন সরদার, আব্দুল মজিদ ও বাহাদুর সরদার মুক্তিযোদ্ধা। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাদের গ্রামের পুটে সরদারের শ্যালিকা সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের বোরকা পরা নারী মুন্নি খাতুন আকস্মিকভাবে তাদের বাড়িতে ঢুকে তার বাবার ঘরে গিয়ে ফেন্সিডিল রেখে নিকটে থাকা গোয়েন্দা পুলিশকে ইশারা করে। সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনির ও উপ-পরিদর্শক এনামুলসহ দুই কনস্টেবল তার বাবাকে ওই ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখান। এসময় ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ হাজার টাকাও নিয়ে যায় ওই পুলিশ সদস্যরা। তার বাবাকে আটকের পর হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে মারপিট করা হয়। প্রতিবাদ করায় ছোট ভাইকেও মারিপট করা হয়। তার বাবা কোমরে কখনও সুতালি (ঘুনশি) ব্যবহার করতেন না করলেও হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লকআপের গেটের গ্রীলের সাথে নিজের কোমরে থাকা সুতালিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রচার দেয়।
মৃত বাবলু সরদারের ভাই ফজর আলী সরদার জানান, তাই ভাইকে পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তারা সোমবার সন্ধ্যায় স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে হত্যা মামলা করবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্বান্ত নিবেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তার জানান, পুলিশ হেফাজতে বাবলু সরদারের মৃত্যুর ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা বাদি হয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৯৫নং অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

The post গোয়েন্দা পুলিশের লকআপে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু: অপমৃত্যু মামলা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3223VpB

তালায় শ্রমিক নেতা আনসার আলী আর নেই: জাতীয় পার্টির শোক https://ift.tt/eA8V8J

তালা উপজেলা মোটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি ও তালা বাজার পেশাজীবী মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি আনসার আলী সরদার (৬০) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, কন্যা, পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের বাবুর আলী সরদারের বড় পুত্র আনছার আলী সরদার দীর্ঘ দিন যাবত শারীরিক জটিলতার কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার আনুমানিক ১১টা ৩০মিনিটে ইন্তেকাল করেন। মরহুমের জানাযার নামাজ আসরবাদ গ্রামের বারুইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অসুস্থ্যজনিত কারণে এই শ্রমিক নেতার মৃত্যুতে রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতি দাতারা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখ্ত, তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এসএম. আলাউদ্দীন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, সহ-সভাপতি গাজী আব্দুল জলিল, সহ- সভাপতি মো: জামালউদ্দনি মোড়ল, কাজী আবুল কাশমে, শক্ষিক মো: আজজিুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলামসহ ১২ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post তালায় শ্রমিক নেতা আনসার আলী আর নেই: জাতীয় পার্টির শোক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31Ylt6j

শোভাযাত্রা ও আলোচনার মধ্যে দিয়ে ডুমুরিয়া মুক্ত দিবস পালিত https://ift.tt/eA8V8J

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: ১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনার ডুমুরিয়া কমান্ড সোমবার (১৩ডিসেম্বর) শোভা যাত্রা ও আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ডিসেম্বর মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শত্রু মুক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া মুক্ত হয়। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। কিন্তু এর আগে ডুমুরিয়ায় দিনটি পালিত হয়নি। ২০১১ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন।সেই থেকে প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা জনতার সমন্বয়ে বিজয় শোভা যাত্রা বের করা হয়। এরপর উপজেলা চত্ত্বরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিনা পারভীন রুমা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক, গাজী নাজিম উদ্দীন ও চন্দ্রকান্ত ফৌজদার প্রমূখ।
স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ডুমুরিয়ার চুকনগরে ঘটে ভয়াবহ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। যা দেশের সবচেয়ে বড় গণহত্যা বলে জানা যায়। ১৯৭১ সালে ১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়াকে শত্রুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করি আমরা। অথচ দিনটির কথা অনেকেই জানেন না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এ অবিচ্ছেদ্য ঘটনা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেখি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত্রুমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। এখন বয়স বেড়েছে। প্রকৃতির নিয়ম অনুয়ায়ী বেশিদিন হয়তো বাচঁবো না। তাই নিজের কর্তব্য ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এবারই প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছি। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।
এরা হলেন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো: রিয়াজুল ইসলাম, সাধরণ সম্পাদক মো: মহাব্বত হোসেন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম লিপু, সহ-সভাপতি উত্তম মন্ডল, রাকিবুজ্জামান পিন্টু ও মো: আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার আলম খান, অর্থ সম্পাদক সোহাগ আলম বাপ্পি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কুমার সাহা, বিপ্লব কুমার এবং তপু তরফদার, কমলেশ মন্ডল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক রিক্তা রায়, সদস্য মোড়ল আক্তারুজ্জামান বাবলু, দেবব্রত মন্ডল ও অশোক দেবনাথ প্রমূখ।

 

 

 

The post শোভাযাত্রা ও আলোচনার মধ্যে দিয়ে ডুমুরিয়া মুক্ত দিবস পালিত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3sikQj9

সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যার পাঁচ বছর পূর্তি https://ift.tt/eA8V8J

চার আসামীর ফাঁসির কার্যকারিতা ঝুলে আছে আপিলে, হুমকিতে পরিবার
পত্রদূত রিপোর্ট: সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র গৌতম সরকার হত্যার আজ ১৪ ডিসেম্বর পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার আসামীর বিরুদ্ধে আদালত ফাঁসির আদেশ দেয়। দু’আসামী পলাতক ও উচ্চ আদালতে আপিলে ঝুলে আছে ফাঁসির কার্যকারিতা। ফলে হুমকিতে রয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সোমবার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় উপস্থিত মানুষজন আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নির্বাচনে প্রতিপক্ষ এক জামায়াত নেতার জামাতা চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর পূর্ব বাংলা বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির এক সময়কার সক্রিয় সদস্য জামসেদ আলী আটক হন। তাকে ছাড়িয়ে আনতে না যাওয়ায় ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশের রুহুল আমিনের দোকানে টিলিভিশনে খেলা দেখার সময় ঘোনা ইউপি সদস্য গনেশ সরকারের ছেলে মাহমুদপুর সীমান্ত ডিগ্রী কলেজের রাষট্রবিজ্ঞানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গৌতম সরকারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে গালের মধ্যে গুলের কৌটা ঢুকিয়ে মুখে ক্রস টেপ মেরে হাত ও পা বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পুকুরে বাঁশের খুটির সঙ্গে বেঁধে দেহে ১২টি ইট ঝুলিয়ে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়।
খোঁজাখুঁজির একপর্য়ায়ে ১৫ ডিসেম্বর দেবহাটা উপজেলার বহেরা খাস খামার এলাকা থেকে একটি রামদাসহ আলী আহম্মেদ শাওন ও শাহাদাতকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি ১৬ ডিসেম্বর গনেশ সরকার বাদি হয়ে ভাড়–খালির শাহাদাৎ হোসেন, দেবহাটার বহেরা গ্রামের আলী আহম্মেদ শাওন, সদরের মহাদেবনগরের সাজু শেখ, নাজমুল হাসান, কবিরুল ইসলাম মিঠু ও মহসিন আলীর নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত শাওনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি নাজমুল হাসান, সাজু শেখ ও মহসিনকে জনতার সহায়তায় আটক করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ গৌতমের লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন গনেশ সরকার বাদি হয়ে নুর আহম্মেদ মুক্ত, ওমর ফারুক ও জামসেদের নাম উল্লেখ করে থানায় সম্পুরক এজাহার দাখিল করেন। গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাৎ ও নাজমুল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২৪ ডিসেম্বর ঘোনা ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ও লাবনী মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী যৌথভাবে সাতক্ষীরা সীমান্ত ডিগ্রী কলেজের সামনে এক বৃহৎ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে । সমাবেশ থেকে গৌতম হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, সদর থানার তদন্ত ওসি আলমগীর কবীর ও উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামানকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। আসামী পক্ষের লোকজনের হুমকি দেওয়ায় ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি গনেশ সরকার সদর থানায় এক হাজার ১৬৬নং ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮৫৭ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। গৌতম হত্যার ভয়াবহতা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাতক্ষীরার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামানের হাত ঘুরে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলমের উপর বর্তায় মামলার তদন্তভার। ২২ এপ্রিল শাহাদাৎ, নাজমুল, নূর আহম্মদ মুক্ত, ওমর ফারুক, সাজু হোসেন, ফজিলা খাতুন,মহসিন আলী, কবিরুল ইসলাম মিঠু, আলী আহম্মেদ শাওন ও জামসেদ আলীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একে একে মামলার সকল আসামী জেল হাজতে যায়। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করে জামিন নিয়ে আলী আহম্মেদ শাওন পালিয়ে যায়। জামিন মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায় সাজু শেখ। ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার আসামী শাহাদাৎ হোসেন, সাজু শেখ, নাজমুল হোসেন ও আলী আহম্মেদ শাওনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেন। শাওন ও সাজু পলাতক থাকলেও জেল হাজতে থাকা শাহাদাৎ ও নাজমুল মহামান্য হাইকোর্টে দ-াদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

 

গণেশ সরকার জানান, তার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের রায় কার্যকর না হওয়ায় গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছে উৎকণ্ঠায়। তাছাড়া হত্যা মামলা চলাকালিন আসামী শাহাদাতের মা বাদি হয়ে তার ঘরবাড়ি ভাঙচুরও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১২জন হিন্দুর নামে মামলা করেন। মামলার ১৩ জন সাক্ষী ছিল জামায়াতের লোক। এছাড়া ছেলের নির্মম মৃত্যুতে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেয়ে প্রিয়া সরকারকে কলেজে পড়া বন্ধ করে দিয়ে বিয়ে দিতে হয়েছে। তিনি নিজেও পথে ঘাটে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না। এবার ইউপি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন ছেলে হত্যা মামলার আসামীদের স্বজনদের পরিকল্পনার কারণে ।উচ্চ আদালতে বিচারের যে জট তাতে তিনি জীবদ্দশায় আসামীদের শাস্তি দেখে যেতে পারবেন বলে মনে করেন না। তবে স্বপরিবারে ভারতে পালিয়ে থাকা সাজু শেখ ও আলী আহম্মেদ শাওনকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা কোনদিনও বিচারের আওতায় আসবে না। সোমবার বিকেলে নিজ বাড়িতে গৌতমের স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান চলাকালে উপস্থিত ঘোনা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিরণ কুমার বিশ্বাস, ছনকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হীরেন বিশ্বাস, কীর্তনিয়া গোবিন্দ কুমার সরকার ও কীর্তনিয়া ছোট হরিদাস বলেন, গত ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর রাত সাতটার দিকে গণেশ সরকারকে ০১৯৭৫- ৬১২৭৫৫ নং মোবাইল থেকে হুমকি দিয়ে বিকাশে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় ৯ ডিসেম্বর ৭৭৬ নং সাধারণ ডায়েরী করা হয়। প্রতি বছর মৃত্যু বার্ষিকী কাছাকাছি এলে হুমকি শুরু হয়। প্রশাসনকে জানিয়েও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

 

The post সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যার পাঁচ বছর পূর্তি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3rYL2Pv

সুশীলনের ৩০বছর পূর্তি উৎসবের সমাপনী https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই কাজে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। অধিকার বঞ্চিত ও অবহেলিত তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।

গতকাল সোমবার রাতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সুশীলনের চেয়ারম্যান আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ুাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উত্থাপন করেন সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম তারিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষ আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা সুসমাজ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইয়াসিন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। সরকার উপকূলের উন্নয়নে ডেল্টা প্লাণ প্রণয়ন করেছ। প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঝুঁকি কমিয়ে ওই অঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সুশীলনের মতো সংগঠনগুলোকে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দূর্যোগের কারণে উপকূলের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রান্তির জনগোষ্ঠির আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে সুশীলন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে মোস্তফা নুরুজ্জামান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক অংশগ্রহণসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন, বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রসার ও নবচেতনার সমাজ বির্নিমাণে বিশেষ অবদান রাখছে ‘সুশীলন’। সংস্থাটি ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে গত ৩০ বছরে সুশীলন ৬৪টি জেলায় ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় ৩৯৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি পরিবারকে সহযোগীতা করেছে। যার মধ্যে ১০ লক্ষ পরিবারকে দুর্যোগকালীণ সহযোগিতা দিয়েছে। সবার পিছে ও সবার নিচে পড়ে থাকা মানুষের উন্নয়নে সুশীলনের প্রায় ২০০০ হাজার কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে সুশীলন।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরাবতা পালন করা হয়।

 

 

 

 

 

The post সুশীলনের ৩০বছর পূর্তি উৎসবের সমাপনী appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3m49POa

আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিলনের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন https://ift.tt/eA8V8J

আশাশুনি সংবাদদাতা: ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোদকোনায় নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি এ নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন।

 

উদ্বোধনকালে ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বলেন, আমি বিগত পাঁচ বছরে ইউনিয়নের মানুষের সুখ-দু:খের সাথী হয়ে মিলেমিশে কাজ করেছি। ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের জন্য আগামী নির্বাচনে তাকে পুনরায় নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। এর আগে দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি তিনি শত শত কর্মী সমর্থক নিয়ে কোদন্ডা গ্রামে গণসংযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিংকাই বোস, তাহমিদ হোসেন ডেভিড, মনিরুজ্জামান বিপুল, আসাদুজ্জামান খোকন, আনিসুর রহমান বাবলা, রবীন্দ্রনাথ, তবিবুর রহমান আবদুল আলম প্রমুখ।

 

The post আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিলনের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31UAKoL

Sunday, December 12, 2021

পাইকগাছায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত https://ift.tt/eA8V8J

 

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে মাল্যদান, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও একুশে মঞ্চস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন উপকৃত সকল জনগণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু। স্বাগত বক্তৃতা করেন, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মৃদুল কান্তি দাস। বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান শিহাবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান শিক্ষক মোঃ খালেকুজ্জামান ও অজিত কুমার সরকার, এসআই সুজিত ঘোষ, মোছাঃ আশালতা খাতুন, তন্বী দাশ, প্রদীপ পোদ্দার, ইমরুল কায়েস, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, প্রভাষক আমানউল্লাহ আমান, অবঃ প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, সাংবাদিক পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, শিক্ষক প্রীতিশ সরকার, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনন্যা মন্ডল।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে অতিথিবৃন্দ পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধরা রায়, ২য় মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর সুরাইয়া সুলতানা এশা, ৩য় লস্কর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হৈমন্তী সানা এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম কপিলমুনি মেহেরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সানজিদা ইভা, পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ১০ শ্রেণীর অনন্যা মন্ডল, তৃতীয় মেহেরুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১০ শ্রেণীর জিনিয়া আক্তার সেতু। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে জাতীয় অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

The post পাইকগাছায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/30iDlrQ

আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা https://ift.tt/eA8V8J

সাধারণ সম্পাদক সাদকে বহিস্কারের সুপারিশ
আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এম আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

একইসাথে নতুন কমিটিতে সভাপতি/সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের আগামী ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে “জীবন বৃত্তান্ত” জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হলো।
একই তারিখে অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় সৌরভ রায়হান সাদ (সাধারণ সম্পাদক, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা) কে অব্যহতি দেওয়া হলো এবং বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হলো। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3oOsfnT

কাশিমাড়ীর শংকরকাটি মাদ্রাসায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা https://ift.tt/eA8V8J

কাশিমাড়ী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাশিমাড়ীতে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা কর্মসূচির ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে শংকরকাটি দাখিল মাদ্রাসা চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শমসের আলী ঢালীর নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমসের আলী ঢালী। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস, এম আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিয়াকত আলী গাজী, প্রভাষক মুকুন্দ কুমার মন্ডল, মুজিবুর রহমান, মাস্টার সওকাত হোসেন, মাওলানা আব্দুল বারী ভূইয়া, ইউসুফ আলী গাজী, আব্দুল আলীম, সানাউল্লাহ সরদার প্রমুখ।

 

The post কাশিমাড়ীর শংকরকাটি মাদ্রাসায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31Sjkt5

নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহেব আলীর শুভেচ্ছা বিনিময় https://ift.tt/eA8V8J

দেবহাটা সংবাদদাতা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী।

রোববার বেলা ১১টায় দেবহাটা থানা ভবনে অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহকে প্রথমে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি। দুপুর ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী।

 

 

The post নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহেব আলীর শুভেচ্ছা বিনিময় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3EQjPSG