Thursday, December 31, 2020

নতুনের গান/ আবদুল আলীম তালুকদার https://ift.tt/eA8V8J

নতুন বছর নতুন দিন নতুন আলোর বান
নতুন আশা নতুন স্বপ্ন নতুনের আহ্বান।
নতুন আকাশ নতুন বাতাস নতুন চাঁদের আলো
নতুন কলির নতুন সুবাস হৃদয়ে লাগে ভালো।
নতুন চাঁদ নতুন তারা নতুন পাখির গান
নতুন দিনের নতুন হাওয়ায় জুড়াক সবার প্রাণ।
নতুন মাঠ নতুন ঘাট নতুন গায়কী সূর
নতুনের বানে জরা-জীর্ণতা ভেসে যাক বহুদূর।
নতুন পদ্য নতুন গদ্য নতুন কবিতাখানি
মুছে যাক্ সব পুরাতন আর মুছে যাক্ সব গ্লানি।
নতুন সকাল নতুন বিকাল নতুন সন্ধ্যা রাত
নতুন আলোর বার্তা নিয়ে এলো রাঙাপ্রভাত।
নতুন সাজ নতুন সজ্জা নতুনের ছড়াছড়ি
নতুন দিনে নতুনকে তাই হৃদয়ে ধারণ করি।
নতুন আসে নতুন যায় নতুনের নেই শেষ
নতুন পথের নতুন যাত্রী প্রিয়তম এ স্বদেশ।
নতুন ¯্রােত নতুন ধারা নতুনের যতো রূপ
নতুনের ছোঁয়ায় স্বদেশভূমি হোক্ আজি অপরূপ।
নতুন গান নতুন সূর দোয়েল কোয়েল পাখি
পূব আকাশের নতুন সকাল রঙে মাখামাখি।
নতুন বিল নতুন ঝিল নতুন পদ্ম পাতা
নতুনের খোঁজে হলো নতুন জীবনের হালখাতা।
নতুন পাতা নতুন ঘাস নতুন ফুলকলি
নতুনের কাছে পুরাতন দিলো স্বার্থ জলাঞ্জলি।
নতুন পথের নতুন যাত্রি হও সবে আগোয়ান
দুরাশার আঁধার মারিয়ে গাও জীবনের জয়গান।

The post নতুনের গান/ আবদুল আলীম তালুকদার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/34ZGZWF

খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপন: প্রাসঙ্গিক কিছু কথা https://ift.tt/eA8V8J

বছর ঘুরে আবারও আমাদের দ্বারে সমাগত নতুন বছর। পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানানোর উৎসবকেই নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয় সারা বিশ্বে। নতুনের প্রতি সবসময়ই মানুষের থাকে বিশেষ আগ্রহ ও উদ্দীপনা। নতুনের মধ্যে সবসময়ই নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ন করার সুযোগ করে দিতে আসে নতুন বছর।

একটি জাতির সংস্কৃতি সেই জাতির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, ধ্যান-ধারণা ইত্যাদি সামগ্রিক পরিচয় স্পষ্টভাবে ধারণ করে রাখে এবং তা বিশ্বদরবারে সেই জাতির আত্মপরিচয়কে উচ্চে তুলে ধরার কাজটিই করে থাকে। মূলত: সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির দর্পণ আর সংস্কৃতির বহুবিধ উপাদানের মধ্যে নববর্ষও অন্যতম একটি।আমরা সাধারণত: যাকে ইংরেজী সন বা খ্রিস্টাব্দ বলে থাকি তা আসলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিভেদে প্রত্যেকের আলাদা বর্ষপঞ্জি রয়েছে। তবে একমাত্র গ্রেগরিয়ান বা ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনেই চলে বিশ্ববাসীর সব হিসাব-নিকাষ ও দৈনন্দিন কর্মকা-। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে উৎসবের আমেজে সাড়ম্বরে ১ জানুয়ারি নববর্ষ হিসাবে পালিত হয়ে থাকে।তবে বহুকাল থেকেই পৃথিবীর কিছু জাতি যেমন মুসলিম, পারসীয়ান, চীনা, ইহুদী প্রভৃতির মধ্যে নিজ নিজ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করতেও দেখা যায়।

মানুষ আদিকাল থেকেই কোনো না কোনোভাবে দিন-ক্ষণ, মাস-বছরের হিসাব রাখতে প্রয়াসী হয়েছে চাঁদ দেখে, নক্ষত্র দেখে, সূর্য দেখে, রাত-দিনের আগমন-নির্গমন অবলোকন করে, ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা পর্যবেক্ষণ করে। সাধারণ কোনো বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন গণনা, মাস গণনা, বছর গণনার রীতি কালক্রমে চালু হয়েছে।

তিথি, নক্ষত্র বিশ্লেষণ করার রীতিও আবিষ্কার হয়েছে, উদ্ভাবিত হয়েছে রাশিচক্র। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী যে বছর গণনার রীতি চালু হয় তা চান্দ্র সন নামে পরিচিতি লাভ করে। এই চান্দ্র সনে বছর হয় কমবেশি ৩৫৪ দিনে আর সুর্যের হিসাবে যে বছর গণনার রীতি চালু হয় তা সৌর সন নামে পরিচিত হয়। সৌর সনের বছর হয় সাধারণত ৩৬৫ দিনে।

ইতিহাসবেত্তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী পালিত উৎসবগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন হিসেবে মনে করা হয় বর্ষবরণ উৎসবকে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে মেসোপটেমিয় সভ্যতায় (যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সে সময়কার দজলা ও ফোরাত নদীর তীরে) প্রথম বর্ষবরণ উৎসব পালনের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমান ইরাকের প্রাচীন নাম ছিল মেসোপটেমিয়া। এই মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা আবার ৪টি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল; আর তাহলো- সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাসেরীয় সভ্যতা ও ক্যালডীয় সভ্যতা।এদের মধ্যে বর্ষবরণ উৎসব পালন করা শুরু হয় ব্যাবিলনীয় সভ্যতায়। সে সময় বেশ জাঁকজমকের সঙ্গেই পালন করা হতো বর্ষবরণ উৎসব।

তবে তা এখনকার মতো জানুয়ারির ১ তারিখে পালন করা হতো না বরং তা পালিত হতো বসন্তের প্রথম দিনে। কেননা, শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে প্রকৃতি আবার নতুন করে সাজতে শুরু করে বসন্তে। গাছে গাছে নতুন পাতা, বাহারি রঙের ফুল আর পাখিদের কল-কাকলিতে প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি।প্রকৃতির এই নতুন করে জেগে ওঠাকেই নতুন বছরের শুরু হিসেবে পালন করতো ব্যাবিলনীয়ানরা। অবশ্য তখন বছর গণনা করা হতো চাঁদের উপর নির্ভর করে। যেদিন বসন্তের প্রথম চাঁদ উঠতো, শুরু হতো নতুন বছর আর বর্ষবরণ উৎসব। চলতো টানা ১১ দিন।

ব্যাবিলনীয় সভ্যতার পর জাঁকজমকভাবে বর্ষবরণ উৎসব পালন করতো রোমানরাও। তবে তাদের ছিল নিজস্ব ক্যালেন্ডার। যদিও সে ক্যালেন্ডারও রোমানরা তৈরী করেছিল চাঁদ দেখেই। আর সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তাদের নববর্ষ ছিলো মার্চের প্রথম দিন। প্রথম দিকে তাদের ক্যালেন্ডারে মাস ছিল ১০টি। ছিল না জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি মাস। পরবর্তীতে ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমের স¤্রাট নুমা পম্পিলিয়াস জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিকে ক্যালেন্ডারে যোগ করেন।

এরপর রোমান রাজ এর ইচ্ছানুযায়ী বছরের প্রথম মাস মার্চ হতে জানুয়ারিতে পরিবর্তন করা হয়। তবে জানুয়ারির ১ তারিখকে নববর্ষ হিসেবে চালু করতে বেশ সময় লাগে। এটি প্রথম চালু হয় ১৫৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমে। তখন এটি অনিয়মিতভাবে পালিত হতো। কারণ তখনো বিভিন্ন স্থানে জনগণ মার্চের ১ তারিখকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে ব্যবহার করতো।

কিন্তু ৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমস¤্রাট জুলিয়াস সিজার যখন সূর্যকেন্দ্রিক ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ চালু করেন, তখন জানুয়ারির ১ তারিখকেই নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।মাস থাকলেও রোমানদের ক্যালেন্ডারে ছিলো নাকোনো তারিখ। চাঁদের বিভিন্ন অবস্থা দিয়ে মাসের বিভিন্ন সময়কে চিহ্নিত করতো রোমানরা। চাঁদ উদয়ের সময়কে বলা হতো ক্যালেন্ডস, পুরো চাঁদকে তারা বলতো

ইডেস, আর চাঁদের মাঝামাঝি অবস্থাকে বলা হতো নুনেস। পরবর্তীতে স¤্রাট জুলিয়াস সিজার এই ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন ঘটান। তিনি ক্যালেন্ডস, ইডেস, নুনেসের পরিবর্তে যোগ করেন দিন-তারিখ। চান্দ্রমাসের হিসেবে সে সময় বছরের মোট দিন দাঁড়ায় ৩৫৫। এভাবে বছর হিসাবের ফলে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখী হতে থাকে রোমের চাষীরা। সমস্যার সমাধানের জন্যে হোঞ্চাস হেডাস ফেব্রুয়ারি মাসের পর অতিরিক্ত আরও একটা মাস যুক্ত করেছিলেন ক্যালেন্ডারে। সমস্যা কমার বদলে আরো জটিল আকার ধারণ করেছিল সে সময়।

পরবর্তীতে জুলিয়াস সিজার চান্দ্র হিসাবের বদলে সৌর মাসের ব্যবহার প্রবর্তন করেন। ফলে ৩৫৫ দিন থেকে বছর হয়ে গেলো ৩৬৫ দিনের।(তবে অনেকের মতে, তিনি সৌর হিসেবে ৩৬৫ দিনের নয়,বরং ৪৪৫ দিনের ক্যালেন্ডার বানিয়েছিলেন!)কথিত আছে যে, রোমান স¤্রাট জুলিয়ান সিজার লিপইয়ার বছরেরও প্রচলন করেন। যদিও এ নিয়ে বিতর্কও আছে। এতকিছুর পরও সমস্যা ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে।

সেই সমস্যার সমাধান করেন অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস নামের একজন ডাক্তার তিনি তৈরী করেছিলেন নতুন আরেকটি ক্যালেন্ডার। পরবর্তীতেযিশুখ্রিস্টের জন্মের পর তার জন্মের বছর গণনা করে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে ভ্যাটিকানের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণের পরামর্শক্রমে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির সংস্কার করেতার নামানুসারে প্রচলন করেন; যা বর্তমানে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবেই পরিচিত। আর এটি বের করার পর এর সুবিধার কারণে আস্তে আস্তে সকল জাতিই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু করে।

ফলে আগে যারা নিজস্ব ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বর্ষবরণ উৎসব পালন করতো, তারাও এখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখই নববর্ষ হিসেবে পালন করে।এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ লেখার শেষে যে এ.ডি লেখা হয় তা ল্যাটিন অ্যানো ডোমিনি এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই আ্যনো ডোমিনির অর্থ আমাদের প্রভুর বছর। ডাইওনিসিয়াম একমিগুয়াস নামক এক খ্রিস্টান পাদরী জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ৫৩২ অব্দে যিশুখ্রিস্টের জন্মবছর থেকে হিসাব করে এই খ্রিস্টাব্দ লিখনরীতি চালু করেন।

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, আধুনিক বিশ্বে পহেলা জানুয়ারিকে নববর্ষ হিসেবে প্রচলন করার ব্যাপারে ‘রিপাবলিক অব ভেনিস’(দেশটি ১৭৯৭ সালে বিলুপ্ত হয়) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ তারা ১৫২২ সাল হতে এ দিনকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনা করতে শুরু করে। পরবর্তীতে যে সকল দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে সিভিল ক্যালেন্ডার হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারা সকলেই পহেলা জানুয়ারি তারিখেই ইংরেজী নববর্ষ পালন করে থাকে; যেমন১৫৫৬ সাল থেকে স্পেন, পর্তুগাল; ১৫৫৯ থেকে প্রুশিয়া, সুইডেন; ১৫৬৪ সাল থেকে ফ্রান্স; ১৬০০ সালথেকে স্কটল্যান্ড, ১৭৫১ সাল থেকে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং বৃটিশ কলোনিগুলো নববর্ষের রীতি অনুসরণ করতে শুরু করে।আর এই ক্যালেন্ডার আমাদের দেশে নিয়ে আসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৭০০ সাল হতে রাশিয়া এই রীতি অনুসরণ করতে শুরু করে।

যেহেতু প্রাচীন রোমানদের হাতেই এই ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি আর তাই ইংরেজি বছরের বারোটি মাসের বেশির ভাগই নামকরণ করা হয়েছে রোমান দেবতা বা স¤্রাটের নামানুসারে। যেমন- জানুয়ারি রোমান দেবতা জানো’স এর নামানুসারে, ফেব্রুয়ারি ল্যাটিন শব্দ ফেব্রুয়া থেকে, মার্চ রোমানদের যুদ্ধ দেবতা মার্স থেকে, এপ্রিল ল্যাটিন শব্দ এপ্রিলিস থেকে, মে বসন্তের দেবী মায়া’স এর নামানুসারে, জুন বিবাহ এবং নারী কল্যাণের দেবী জুনো’র নামানুসারে, জুলাই রোমান স¤্রাট জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে, আগস্ট জুলিয়াস সিজারের পুত্র অগাস্টাস সিজারের নামানুসারে, সেপ্টেম্বর ল্যাটিন সপ্তম সংখ্যা সেপ্টেম এর নামানুসারে, অক্টোবর ল্যাটিন অষ্টম সংখ্যা অক্টো এর নামানুসারে, নভেম্বর ল্যাটিন নবম সংখ্যা নভেম এর নামানুসারে এবং ডিসেম্বর ল্যাটিন দশম সংখ্যা ডিসেম এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।

আগেকার দিনে নিউ ইয়ারের আগের রাতকে বলা হতো নিউ ইয়ার ইভ। বর্তমানে যা থার্টিফার্স্ট নাইট হিসেবে প্রচলিত। খ্রিস্টের জন্মের পর ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস ডে থেকে শুরু করে বছরের শেষদিন শেষে রাতের অর্ধপ্রহর পর্যন্ত নানান বিকৃত পন্থায় তাদের দেবতাদের পূজা-অর্চনা করতো। সাথে থাকতো ভোগ বিলাসের সকল আয়োজন (মদ্যপান থেকে শুরু করে সকল অনাচার)।

সেসময় ইউরোপের প্রোটেস্টান ধর্মগুরুরা এ সংস্কৃতিকে প্যাগানীয় ও অ-খ্রিস্টানীয় আখ্যা দিয়ে বর্জন করার ঘোষণা দেন। ফলশ্রুতিতে ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে প্রোটেস্টানরাও যোগ দেয় এ উৎসব পালনে। এদিকে ইংরেজি নতুনবর্ষ পালনে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন ইসরায়েল রাষ্ট্রটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করলেও ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। কারণ বিভিন্ন ধর্মীয়গোষ্ঠী অ-ইহুদী উৎস হতে উৎপন্ন এই রীতি পালনের বিরোধিতা করে থাকে।

আবার কিছু দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে গ্রহণই করেনি। যেমন সৌদি আরব, নেপাল, ইরান, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তান। এসব দেশও ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করে বেশ জাঁকজমকভাবে। পশ্চিমা বিশ্বের এ উৎসবকে বেশ কিছুকাল যাবত স্বাগত জানিয়েছে আমাদের দেশও। পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালনের পাশাপাশি নানা আয়োজনে পালন করা হয় ইংরেজী নববর্ষও।

পরিশেষে, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি বীরের জাতি হিসেবে অভিহিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতি কর্তৃক তাদের উপর চালানো যুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে; এমনকি প্রয়োজনে অস্ত্র ধারণ করে বিজয়ী হয়েছে যা আমাদের সকলেরই জানা।কিন্তু আমরা বীরের জাতি হয়েও নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যকিছুকাল যাবত আমরা নিজেদেরকে শতধাবিভক্ত করে ফেলেছি।

আমরা একই বঙ্গমাতার সন্তান হয়েও কথায় কথায় আমরা এক ভাই অপর ভাইকে নাস্তিক, কাফির-মুরতাদ-মুশরিক,মৌলবাদ, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীসহ নানা অভিধায় অভিযুক্ত করছি যা একটি সভ্য জাতির মুখেএরকম গালমন্দ কখনই শোভনীয় হতে পারে না; যা আমাদের ললাটেই অমোচনীয় কালিমা লেপন করছে।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে কোনো জাতি তখনই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় যখন তাদের নিজেদের মধ্যে হিংসা-হানাহানি-অনৈক্য-অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করে। তাই আমার বিশ্বাস আমাদের এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি;আমরা যদি এই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই সবাই একতাবদ্ধ হয়ে সকল প্রকার স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকল বাঙালি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ শুরু করি তাহলে আমরাই হবো সারা বিশ্ববাসীর বিস্ময়।

আর সর্বব্যাপী হতাশা বিরাজমান থাকার পরেও এ নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা হিংসা-বিদ্বেষের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতার পথে দেশ এগিয়ে যাবে। যুগে যুগে বিভিন্ন উৎসব পালন নানান বিতর্কের জন্ম দিলেও উৎসব হোক সার্বজনীন; নতুন বছর সকলের জীবনে বয়ে আনুকসুখ, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও অগ্রগতি। আর করোনা মহামারীর কবল থেকে বিশ্ববাসী মুক্তি পাক এ প্রত্যাশা নিরন্তর।
লেখক: ড. আবদুল আলীম তালুকদার, কবি, প্রাবন্ধিক ও সহ. অধ্যাপক, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, শেরপুর

The post খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপন: প্রাসঙ্গিক কিছু কথা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o5TBDn

আশাশুনি বালিকা বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল কৃষ্ণ সরকার https://ift.tt/eA8V8J

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক অমল কৃষ্ণ সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঢালী সামছুল আলমের মাধ্যমে তাকে দায়িত্ব বুঝে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার কচি অবসরে যাওয়ায় তার ও কমিটির অন্যান্য সদস্য সিরাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, নূরুল ইসলাম বাবলুসহ স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে দায়িত্বভার বুঝে দেয়া হয়।

The post আশাশুনি বালিকা বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল কৃষ্ণ সরকার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/38IH5TC

কালিগঞ্জে ছয়টি সড়কের উদ্বোধন করলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার https://ift.tt/eA8V8J

নিয়াজ কওছার তুহিন: এলজিইডি’র বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৬ টি সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এবং বিদ্যুৎ জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩ টায় তিনি প্রথমে উপজেলা সদরের ফুলতলা মোড় গোলচত্ত্বর প্রাঙ্গনে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকায় নির্মিত সড়কের নামফলক উন্মোচন করেন।

পরবর্তীতে তিনি খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৯০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত ইসলামী ব্যাংক আরএইচডি-মোসলেমের হাট ভায়া বাজারগ্রাম রহিমপুর মাদ্রাসা সড়ক এর উন্নয়ন কাজের নামফলক উন্মোচন করেন। এছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে পানিয়া জিপিএস-এম. গোবিন্দপুর ইমান চৌকিদার হাউজ ভায়া মীরপাড়া মসজিদ সড়ক উন্নয়ন কাজ, প্রায় ৫০ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে পিরোজপুর আরএইচডি-উকশা বিওপি ক্যাম্প সড়ক উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৪ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে শ্রীকলা মহিলা মাদ্রাসা গেট-শ্রীকলা হাইস্কুল সড়ক উন্নয়ন এবং বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬০ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি বাজার-গোবিন্দকাটি ভায়া উত্তর শ্রীপুর সড়ক উন্নয়ন কাজ এর উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় এসএম জগলুল হায়দার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানসমূহে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকার, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাওফিল অরা সজল, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী সরদার, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি সদস্য মিলন হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুল হক সাজু প্রমুখ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মাওলানা মহিদুল ইসলাম।

The post কালিগঞ্জে ছয়টি সড়কের উদ্বোধন করলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3pI2EuH

শ্যামনগরে নদীতে ভাসমান ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প https://ift.tt/eA8V8J

রনজিৎ বর্মন, সুন্দরবনাঞ্চল (শ্যামনগর): শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীতে ভাসমান ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীতে বছরের শেষদিন ৩১ডিসেম্বর দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে বেসরকারী সংগঠন ব্রতীর সহায়তায় ভাসমান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার চাঁদনীমুখা ও নাপিতখালী এলাকায় ভাসমান ক্যাম্পে ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয় ৬৯জন বিভিন্ন বয়সের জটিল ও কঠিন রোগীকে। এর মধ্যে নারী ৪১, পুরুষ ১৮ ও শিশু ১০ জন। এতে উপস্থিত ছিলেন ডা. শেখ আরাফাত হোসেনসহ স্টাফ গণ।

The post শ্যামনগরে নদীতে ভাসমান ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3aRX58K

ঘোনায় ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক এক https://ift.tt/eA8V8J

শাহজাহান কবীর: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়ন থেকে ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত ব্যক্তির নাম মো. আব্দুস সবুর (৩৫)। তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার। সে ঘোনা কয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় পুলিশ গোপন সংবাদ পায়ে ঘোনা গাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তারের পুত্র আব্দুস সবুরের বাড়ি থেকে ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার দারোগা এসআই আহম্মাদ আলী বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন।

The post ঘোনায় ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক এক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3b1BGtJ

আশাশুনিতে পিস প্রেসার গ্রুপের ফলোআপ মিটিং https://ift.tt/eA8V8J

আশাশুনি সংবাদদাতা: হিংসা বিদ্বেষ ভুলে, সাম্যের দেশ গড়ি-এই স্লে¬াগানকে সামনে রেখে আশাশুনিতে পিস প্রেসার গ্রপের ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কৃষক লীগের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিস প্রেসার গ্রুপ আশাশুনি উপজেলার কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক আব্দুস সামাদ বাচ্চুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজন খুলনা বিভাগীয় প্রধান ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হেদায়েতুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা সুজনের সহ-সভাপতি জিএম মুজিবর রহমান, পিস প্রেসার গ্রুপের উপজেলা এ্যাম্বাসেডর সাংবাদিক এসকে হাসান, দীপন কুমার মন্ডল, সদস্য গোলাম মোস্তফা, আনিসুর রহমান বাবলা, জগদিশ সানা, হাবিবুল্ল¬াহ বেলালী, তানভীর রহমান রাজ, সুরঞ্জনা সানা প্রমুখ।

The post আশাশুনিতে পিস প্রেসার গ্রুপের ফলোআপ মিটিং appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WYIG2l

ডিসি’র পিতার রুহের মাগফেরত কামনায় কাশেমপুর মসজিদে দোয়া https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর জান্নাতুল মাওয়া জামে মসজিদে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের পিতা মহুরম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের রুহের আত্মার মাগফেরত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আছর বাদ নামাজের পর মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম হোসেনসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসল্লিবৃন্দ। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মো. সিদ্দিকুর রহমান।

The post ডিসি’র পিতার রুহের মাগফেরত কামনায় কাশেমপুর মসজিদে দোয়া appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3aWQw4J

ডুমুরিয়ার চুকনগর কলেজে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ! https://ift.tt/eA8V8J

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর কলেজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ও জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলাম ব্রাউন। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে জেষ্ঠতার ক্ষেত্রে ১৬তম স্থানে রয়েছেন।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে কলেজে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। কলেজের অফিস ছিল তালাবদ্ধ। সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ডুমুরিয়ার চুকনগর কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম শফিকুল ইসলাম অবসর নেয়ার কথা থাকলেও তিনি জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় হতে দুই বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। পরে ২০১৮ সালে তিনি অবসরে গেলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হাশেম আলী ফকির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনিও অবসরে গেলে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান জেলা যুবলীগ নেতা জুলফিকার আলী জুুলুূ। বুধবার তাকে সরিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলাম ব্রাউনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ এই কলেজে বেশ কয়েকজন সহকারি অধ্যাপক রয়েছেন।

নিয়ম অনুযায়ী জেষ্ঠতা ভিত্তিতে প্রথম ৫ জনের মধ্য থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার কথা। এক্ষেত্রে কেউ দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করতে পারবেন না। দায়িত্ব পালনে অপারগতা করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারতেন সহকারি অধ্যাপক তাপস কুমার বিশ্বাস, সহকারি অধ্যাপক সাধন কুমার বসু, সহকারি অধ্যাপক শেখ এনামুল হক, সহকারি অধ্যাপক আব্দুল হাফিজ মাহমুদ ও সহকারি অধ্যাপক এমএম নাজমুল ইসলাম। কিন্তু যাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনি একজন জুনিয়র প্রভাষক। ক্রমনুসারে তার অবস্থান ১৩তম। এছাড়া সরকারী বেতন প্রদানের এমপিও (মান্থলি পে অর্ডারে) তে ১৬তম।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী জুলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ তুলে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনি অনেক জুনিয়র। এক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলাম ব্রাউন বলেন, সকল শিক্ষক ও কমিটির সম্মতিতে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কলেজ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে বলেন, পিয়ন হয়ত দুপুুরে বাড়ি ভাত খেতে গেছে। তিনি আরও বলেন, শনিবার কলেজে সভা আহবান করা হয়েছে। এবিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সদস্য প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ডুমুরিয়ার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় চুকনগর কলেজেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হল। এটি ন্যক্কারজনক। চুকনগর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গভর্নিং বডির সকল সদস্যের সম্মতিতে মো. মনিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

The post ডুমুরিয়ার চুকনগর কলেজে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ! appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3pCNOW7

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাফাই সাক্ষ্য দিলেন রুহুল কবির রিজভী https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায় তার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে শেষ সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২০) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের আদালতে রিজভী সাফাই সাক্ষ্য দেন। আগামী ৬ জানুয়ারি আলোচিত এই মামলার যুক্তিতর্কের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ জানান, বৃহস্পতিবার রুহুল কবির রিজভীর সাফাই সাক্ষ্য ও জেরা করার মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলো।

এদিকে রুহুল কবির রিজভী সাফাই সাক্ষ্য শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো। ঘটনার দিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকাতে ছিলেন বলে দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া আর কোন বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।’

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সেসময়ের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে সড়কপথে ঢাকায় ফিরছিলেন শেখ হাসিনা। পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি করে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এ সময় গাড়িবহরে থাকা ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে ৭০ থেকে ৭৫ জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলাটি রেকর্ড করেনি পুলিশ।

এঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করা হয়। আদালত কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সাংসদ হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরকদ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিন ভাগে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এতে সাক্ষী করা হয় ৩০ জনকে। তবে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি স্থগিত করা হয়। হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সাতক্ষীরার নিম্ন আদালতে গত তিন বছর বন্ধ হয়ে ছিল মামলাটির বিচারকাজ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।

The post কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাফাই সাক্ষ্য দিলেন রুহুল কবির রিজভী appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o3LlDD

ফিরে দেখা ২০২০: আম্পান, সাহেদ, ৪ খুন ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলা https://ift.tt/3pydAe0

এসএম শহীদুল ইসলাম: ‘হাসি মুখে নিতেছি বিদায় ফিরে না আসিব আর, শান্তির অভয় বাণী শোনাইয়ো বারেবার’-এভাবে শান্তির অভয় বার্তা ছড়িয়ে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০১৯। হাজারো স্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিল ২০২০। ২০২০ আমাদের মাঝে এসেছিল ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে। শুরুটা ছিল ছন্দের আবেশমাখা বন্দনায়। কিন্তু মার্চ মাস থেকে করোনার থাবা বিস্তারে থমকে যায় আমাদের অগ্রযাত্রা। করোনার ঢেউ সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও লাগে। জেলার মৎস্য, কাঁকড়া, চিংড়িসহ রপ্তানীজাত শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। অর্থনীতির খোলা জানালা নামে পরিচিত ভোমরা স্থল বন্দরে কিছু দিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে অর্থনৈতিকভাবে হোঁচট খায় সাতক্ষীরাসহ দেশ। এরপর মে মাসের ২০ তারিখে ধ্বংসের বাদ্য বাজিয়ে আসে সুপার সাইক্লোন আম্পান। গাছ-পালা, ঘর-বাড়ি, ঘের-বেঁড়ি, রাস্তা-ঘাট সব ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। ধ্বংসের সেই ক্ষত আজও শুকায়নি।

বছরের শেষের দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার চলমান মামলা ছিল বহুল আলোচিত। একই সঙ্গে ঢাকা রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী সাহেদ করিমের পলায়ন চেষ্টা এবং আদালতে সোপর্দ করা ছিল দেশজুড়ে আরও একটি আলোচিত বিষয়। এ বছরের সাতক্ষীরার আলোচিত কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো।

সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাত: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। ২০ মে সন্ধ্যার পরে ১৪৮ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরায় আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে দুইজন নিহত ও ১৬জন আহত হয়। ঝড়ে ২২ হাজার ৫১৫টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৬০ হাজার ৯১৬টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবল এই ঝড়ে সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও এলজিইডির ৮১ কিলোমিটার রাস্তা। ঝড়ে সাতক্ষীরায় ৬৫ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ৪০ হাজার টাকার আমসহ ১৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার কৃষি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৬২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সবজি, ১০ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পান ও সাড়ে ৪ লাখ টাকার তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৭০। ঝড়ে ৯১টি খামার ও ৬৪০টি গবাদি পশুসহ ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৩০ টাকার গবাদি পশু এবং ৮৬টি হাঁস মুরগির খামারসহ ৭৭ লাখ টাকা ৬৭ হাজার ৮৬ টাকার হাসমুরগির ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভেসে যায় সাড়ে ১২ হাজার মৎস্য (চিংড়িসহ) ঘের। যার ক্ষতির পরিমান ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা টাকা।
সাহেদ করিম গ্রেপ্তার: ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী সাতক্ষীরার সাহেদ করিম করোনা শনাক্তকরণ নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সারা দেশে গোয়েন্দা জাল ফেলার পর অবশেষে ১৫ জুলাই তিনি গ্রেপ্তার হন। দাঁড়ি গোঁফ ছেঁটে নারী সেজে বোরকা পরে পিস্তলসহ একটি নৌকায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুরের কুমড়োর খাল দিয়ে নদীপথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাতক্ষীরায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও প্রতারণার মামলা হয়। বহুল আলোচিত সাহেদ করিম এখন কারাগারে রয়েছেন।

 


শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলা: ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে কলারোয়া হয়ে মাগুরা যাওয়ার পথে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়িবহর নিয়ে কলারোয়া বাজারে হামলার শিকার হন। একাধিকবার খারিজ হয়ে যাওয়া এ সংক্রান্ত মামলা পুনরুজ্জীবিত হওয়ায় তার বিচারকাজ শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শেষে জামিনে থাকা তিনজন আসামীর সময়ের আবেদন না’মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একইসাথে আসামীদের ৩৪২ ধারায় মতামত গ্রহণ শেষে ১৪জন সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করলে মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর ১১জনের আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার সাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামীরা হলেন, সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম ও মো. আলাউদ্দিন। এছাড়া এ মামলায় আরও ১৩ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ৫০ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন তালা-কলারোয়া আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

মহারানী: সাতক্ষীরায় মাধুরী নামের এক অপ্রকৃতিস্থ প্রতিবন্ধী নারী একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। সাতক্ষীরা শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান শিশুটির আইনগত অভিভাবক হিসেবে তাকে ১৭ সেপ্টেম্বর শ্যামনগর উপজেলার বড়কুপট গ্রামের জিএম শামীম শিক্ষক দম্পতির হাতে হস্তান্তর করেন। তার নাম রাখা হয় মহারানী।

গাছের ডালে বাজারব্যাগে নবজাতক: ৪ অক্টোবর কালীগঞ্জের একটি শ্মশানের পাশে একটি গাছে বাজারের ব্যাগে সদ্যজাত একটি পুত্র সন্তানকে কে বা কারা ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে শিশুটিকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ওই হাসপাতালে মর্জিনা নামের এক নারীর তত্ত্বাবধানে শিশুটির স্বাস্থ্যসেবা চলাকালে উপজেলা শিশু কমিটি শিশুটিকে সাতক্ষীরা জেলা শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেয়। শিশুটিকে দত্তক হিসেবে পাওয়ার জন্য ২৯টি আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান তাকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিখা-বরুণ শিক্ষক দম্পতির কাছে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করেন। শিশুটির নাম রাখা হয় ‘তিতাস পাল’ ওরফে ‘মহারাজ’।
একই পরিবারের ৪ সদস্য খুন: ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসী গ্রামের একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী এবং দুটি শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে একই পরিবারের অপর সদস্য রায়হানুল ইসলাম। ঘাতকের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পায় ৫ মাসের শিশুকন্যা মারিয়া সুলতানা। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল মারিয়া সুলতানার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি তাকে প্রাথমিকভাবে লালন পালন করার জন্য স্থানীয় মহিলা মেম্বর নাসিমা খাতুনের জিম্মায় রাখেন।

১৫ দিনের সন্তান হত্যা: গত ২৭ নভেম্বর সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে নিষ্ঠুর বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুন তাদের ১৫ দিন বয়সের একমাত্র পুত্রসন্তান সোহানকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। তারা পুলিশের কাছে এ অপরাধ স্বীকার করে।
বাড়িতে কারাদ-: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামানকে এক বছর কারাদ- দিয়ে কয়েকটি শর্তে তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) ইয়াসমিন নাহার। এ আদেশে ২০১৫ সালে ৩ কেজি গাঁজাসহ আটক হওয়া হাসানুজ্জামান ১০ নভেম্বর থেকে ১০টি শর্তে বাড়ি থাকবেন। এরমধ্যে রয়েছে মাদকবিরোধী প্রচারণা, বৃক্ষরোপণ, বাবা-মায়ের সেবা করা, মাদক গ্রহণ না করা এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা। একই আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার ২৪ নভেম্বর আশাশুনির মহিষাডাঙা গ্রামের গৌতম গাইন, মমতা গাইন ও লতিকা ম-লকে ২০১৬ সালের এক মারামারির ঘটনায় ৩ মাস করে জেল দেন। তারাও একই শর্তে বাড়িতে থাকবেন, কারাগারে নয়। অন্যদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চতুর্থ আদালত) মেহেদী হাসান মোবারক মুনিম কালীগঞ্জের বাজারগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কালু সরদারকে ৬ মাসের জেল দেন। তিনিও মাদকবিরোধী অভিযান প্রচারণা চালাবেন এবং বৃক্ষরোপণ করবেন-এই শর্তে কারাগারে নয়, বাড়িতে থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ দেয়া হয়।
অপরদিকে ২০১৮ সালে ১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের ইমান আলীকে গত ২১ ডিসেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) ইয়াসমিন নাহার ৬ মাসের কারাদ- দেন। তবে তিনিও মাদকবিরোধী এবং বাল্যবিবাহ বিরোধী প্রচারণাসহ ১০টি শর্তে বাড়িতে থাকবেন বলে আদেশে বলা হয়।

শিশু ধর্ষণ: ২৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার শহরের কাটিয়ার এক দরিদ্র দিনমজুরের শিশু কন্যাকে স্থানীয় আসাদুল ও শাওন নামে দুই বখাটে যুবক ফুসলিয়ে খুলনার লবণচোরায় নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পুলিশ আসাদুল (৩২) ও শাওন (২৮ কে গ্রেপ্তার করে।
৫ অক্টোবর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তরিকুল ইসলাম (১৮) নামে এক যুবক। তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম আশাশুনি উপজেলার নাসিমাবাদ গ্রামের সেয়াবুল ইসলামের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ইসলাম সিআইডি’র কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

শিশুসহ আলোচিত কয়েকটি খুন: ১০ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার বল্লবপুর এলাকার একটি ফসলের ক্ষেত থেকে মরিয়ম (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরিয়ম উপজেলা সদরের পাথরঘাটা গ্রামের পানের দোকানদার আব্দুল কাদেরের মেয়ে। সে শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘাতক।
১৩ জানুয়ারি সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন মাদার নদী থেকে বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন অফিসের নৌযান চালক নবাব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী এলাকার কোস্টগার্ড অফিসের সামনে পন্টুনে লাশটি বাঁধা ছিল।
২৩ জানুয়ারি অপহরণের দু’দিন পর রাসুল আহমেদ জিম নামের এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণকারী জাহিদ হাসানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাতক্ষীরার চালতেতলা বাগানবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রাসুল আহমেদ জিম (২২) খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার শেখ হেমায়েত হোসেন হিমুর ছেলে। জিম সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিল। ১০ এপ্রিল সকালে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে আশাশুনির খাজরা আওয়ামী লীগ নেতা শরবত আলীকে।

১০ আগস্ট বিকেলে নিখোঁজের ১০দিন পর সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে কিশোর ইজিবাইক চালক ও স্কুল ছাত্র ময়নুর রহমানের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দেবহাটা উপজেলার শ্রীরামপুর থেকে হুমায়ন কবির (৩৬) নামের একজনকে আটক করে। নিহত ইজিবাইক চালক ময়নুর রহমান (১৬) সদর উপজেলা পাঁচরকি গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও মীর্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
৯ অক্টোবর সাতক্ষীরার ঝিটকি গ্রামের ধানক্ষেত থেকে হৃদয় ম-ল (৯) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হৃদয় ম-ল ওই গ্রামের বিজয় ম-লের ছেলে ও ঝিটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
১৯ অক্টোবর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী এলাকায় মাছের ঘের থেকে চন্দ্র শেখর (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কলেজছাত্র চন্দ্র শেখর (২০) শোভনালী ইউনিয়নের পশ্চিম শোভনালী (শংকরঝুটি) গ্রামের শংকর সরকারের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র।
২৪ নভেম্বর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মোসলেম আলী বিশ্বাস (৬০) নামের এক কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোসলেম আলী বিশ্বাস সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের নঈমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
৫ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার দহাকুলায় আব্দুল আজিজ মোল্লা (৫০) নামের এক দিনমজুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আব্দুল আজিজ মোল্লা ওই গ্রামের মরহুম এনায়েত মোল্লার ছেলে।
এদিকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর জেলাব্যাপী হত্যার শিকার হয়েছেন নারী পুরুষ ও শিশু মিলে ৩৯জন। আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে ৩৫টি। এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ছিল ১টি, শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৯টি, গুম ও অপহরণের ঘটনা ঘটে ৬টি। নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৫টি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৭টি, ধর্ষণ প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১১টি। জোরপূর্বক সম্পদ দখলের ৪টি ঘটনা ঘটে এবং পাচারের ঘটনা ঘটে ১টি। এছাড়া বছরের শেষ মাসে সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ নিহত ১৫জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

The post ফিরে দেখা ২০২০: আম্পান, সাহেদ, ৪ খুন ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Lab5jq

করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মোবাইল কোর্ট https://ift.tt/eA8V8J

সাতক্ষীরার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামালের নির্দেশনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলায় মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ রোধকল্পে সাতক্ষীরা জেলায় ১ মার্চ হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত মোট ১৫০১টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৩৯৫৯টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে ছাপান্ন লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার তিনশত নিরানব্বই টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৭৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে পরিচালিত মোট ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৩টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

The post করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মোবাইল কোর্ট appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Mnz6UJ

ভেটখালী বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী হামিদ শেখ আর নেই https://ift.tt/eA8V8J

রমজাননগর (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী তারানীপুর গ্রামের মৃত কেরামত শেখের পুত্র হামিদ শেখ (৬৫) আর নেই (ইন্নানিল্লাহি…রাজিউন)। বুধবার রাত ৮.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে হামিদ শেখ স্ট্রোক করেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার জোহরবাদ জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন করা হয়।

The post ভেটখালী বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী হামিদ শেখ আর নেই appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3n3VJu7

পত্রদুতের উপদেষ্টা সম্পাদকের বড় ভাইয়ের সুস্থতা কামনা কদমতলা প্রেসক্লাবের https://ift.tt/eA8V8J

শহরের কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পত্রদুত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক, চ্যানেল আই’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদের বড় ভাই সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা গোলাম আজমের সুস্থতা কামনা করেছেন কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু, সহ-সভাপতি আবু রায়হান রাজু, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ আহমেদ খান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন, অর্থ সম্পাদক রফিকুল আলম, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরদার, দপ্তর সম্পাদক শামীম হোসেন প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

The post পত্রদুতের উপদেষ্টা সম্পাদকের বড় ভাইয়ের সুস্থতা কামনা কদমতলা প্রেসক্লাবের appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WYTcGP

প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্য চিকিৎসার সেবায় বাঁশঘাটার পল্লী চিকিৎসক অর্জুন https://ift.tt/eA8V8J

সেলিম হোসেন: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে অসহায় গরীব প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যা চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছেন পল্লী চিকিৎসক অর্জুন কুমার নাগ। পল্লী চিকিৎসক অর্জুন কুমার নাগ দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আগরদাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ৪৫জন প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যা চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন সহাতায় প্রদান করে আসছেন। তিনি ২০১৩ সাল থেকে মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি এসব প্রতিবন্ধীদেরকে প্রতিবছর বিনামূল্য ঈদসামগ্রী, বস্ত্র ও শীতবস্ত্র কম্বল সহায়তা প্রদান করেন। পল্লী চিকিৎসক অর্জুন কুমার নাগ আগরদাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাঁশঘাটা গ্রামের গৌরপদ নাগ ও জ্যোৎন্সা নাগের পুত্র। পল্লী চিকিৎসক অর্জুন কুমার নাগ বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তারাও এ সমাজের অংশ। তাই বাবুলিয়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আমার এলাকায় প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্য চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা প্রদান করি।

The post প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্য চিকিৎসার সেবায় বাঁশঘাটার পল্লী চিকিৎসক অর্জুন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/38307VH

হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী প্রদানের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতি সভা https://ift.tt/eA8V8J

হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী প্রদানের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ইটাগাছা বউবাজারে সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সাবান আলী, আকবর আলী, শিহাব আলী, ফিরোজ হোসেন প্রমূখ।

এসময় ফতেমা খাতুন, রেকসোনা খাতুন, সুনীল পদ দাস, কাওছার আলী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, জেলার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ হতদরিদ্র। এরমধ্যে প্রায় লক্ষাধিক ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে। শীত মৌসুমে তাদের পরিবারের অধিকাংশ মানুষ খাদ্র সামগ্রী ও শাতবস্ত্র পরিধান করতে না পারায় ঠান্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে সরকারি-বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা হলে ঐ মানুষগুলো নিরাপদে জীবন যাপন করার সুযোগ পাবে। এছাড়া বক্তারা আরও বলেন, ভূমিহীন আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের হত্যার বিচার বাস্তবায়নের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি চাঁদাবাজ প্রতারক ভূমিহীন নামধারী কথিত নেতাদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যাশা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

The post হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী প্রদানের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতি সভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/382D0e8

বেগুন চাষ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চমূল্য সবজি (বেগুন) চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শংকরকাঠী গ্রামে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে ও পিবিআরজি, এনএটিপি ফেজ-২, পিআইইউ, বিএআরসি’র অর্থায়ণে বিনা উপকেন্দ্র’র উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. রোক্নূজ্জামানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মন্জুরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকায় কৃষকদের মাঝে উচ্চ মূল্যের সবজি বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি আধুনিক কলাকৌশলের মাধ্যমে চাষাবাদ করে কৃষকের আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগাম চাষাবাদের ফলে অধিক মুনাফা যেমন পাচ্ছে তেমনি লবণাক্ততার প্রভাব থেকে মুক্ত হচ্ছে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিংহ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এআরই বিভাগ ও পিবিআরজি-০৯৮ উপ-প্রকল্প’র সহযোগী প্রধান গবেষক মো. আল-আরাফাত তপু, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিপন হোসেন, উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সামছুর রহমান, শেখ কামরুল হাসান, মো. রাইসুল ইসলাম প্রমুখ। মাঠ দিবসে কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল খালেক ও পবিত্র মন্ডল। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার সহকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান।

The post বেগুন চাষ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3n2COzQ

শ্যামনগরে অধিপরামর্শ সভা https://ift.tt/eA8V8J

সুন্দরবনাঞ্চল (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংগঠন সামসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দের সাথে অধিপরামর্শ সভার আয়োজন করেন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদুজ্জামান সাইদ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সামস কর্মকর্তা যোশেফ সরকার।

The post শ্যামনগরে অধিপরামর্শ সভা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3rHDCNZ

প্রসঙ্গ: ইংরেজি বর্ষ https://ift.tt/eA8V8J

প্রকাশ ঘোষ বিধান
স্বাগতম খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২১। আমরা প্রতিনিয়ত নতুন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছি এবং ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত নতুন সময় সূচিত হচ্ছে। অপূর্ণ বাসনা পূরণের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ সময়ের মুগ্ধতায় বেঁচে থাকে। অপ্রাপ্তি ফেলে নতুন বছর পূর্ণতার স্বপ্নে উদ্বেল করবে। নতুন প্রভাত এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’।
আধুনিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডর ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে জানুয়ারী ১ তারিখ থেকে শুরু হয় নতুন বছর। তবে ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের ধারনাটি আসে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দে। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা এক মিনিটে ইংরেজি নববর্ষ বরণ করা হয়। নববর্ষ বলতে নতুন বছরাম্ভকে বোঝায়। পৃথিবীর সব দেশে এবং সব জাতির মাঝে নববর্ষ পালনের রীতি রয়েছে। ইউরোপ আমেরিকাস্থ খ্রিষ্টান দেশ সমূহে পালিত নববর্ষের নাম ‘নিউ ইয়ার্স ডে’। এ দিন খ্রিষ্টান বিশ্বে সরকারি ছুটি পালিত হয়। এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করা হয় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে। সময়ের চাঁকা ঘুরে ঘুরে আবারও আমাদের সামনে এসেছে ইংরেজি নববর্ষ।
ইংরেজি নববর্ষের বিরাট এক ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস অত্যন্ত জটিল ও বিশাল। নানা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, বিবর্তন এবং যোগ-বিয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষ গণনায় বর্তমান অবকাঠামো লাভ করে। ইংরেজি সন বা খ্রিষ্টাব্দ হচ্ছে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। এটা সৌর সন। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রচরণ ছিল। এর আগেও রোমানরা গ্রিক পঞ্জিকা অনুযায়ী রোমান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করত। তখন তারা ৩০৪ দিনে বছর ধরতো এবং ১০ মাসে বছর ভাগ করা হয়েছিল। তখনও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের জন্ম হয়নি।
বর্তমান বিশ্বে যতগুলো অব্দ বিদ্যমান তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত হলো খ্রিষ্টাব্দ। ৫৩০ খ্রিষ্টাব্দে দিওনিসউস এস্ক্রিজিউয়ুস প্রথম খ্রিষ্টাব্দ প্রচলন করেন। তখন ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত খ্রিষ্টাব্দ বছরের যে কোন দিন প্রথম দিন হিসেবে বিবেচিত হতো। তখন বর্তমানের মতো জানুয়ারির ১ তারিখে নববর্ষ গণনা শুরু হতোনা। যখনি বসন্তের আগমন হতো তখনই নিউইয়ার পালন করা হতো। জানাযায় মিসরীয় সভ্যতাই পৃথিবীর প্রচীনতম সৌর ক্যালেন্ডার চালু করে। রোমান স¤্রাট রমুলাসই ৭০০ খ্রিষ্টপূর্বেব্দে রোমান ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। প্রচীন মিসরীয় ক্যালেন্ডার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে জ্যোতির্বিজ্ঞনীরা ধারণা করেন যে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩৬ অব্দে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু হয়। গ্রিক গনিতজ্ঞ ও জ্যাতির্বিদদের কাছ থেকে রোমানরা তাদের প্রথম ক্যালেন্ডার লাভ করে বলে জানা যায়। রোমানদের প্রাচীন ক্যালেন্ডারে মাস সংখ্য ছিল ১০টি এবং তারা ৩০৪ দিনে বছর গণনা করতো। শীত মৌসুমের ৬০ দিন তারা বর্ষ গণণায় আনতোনা। রোমানদের বর্ষ গণণার প্রথম মাস ছিল মার্চ। তখন ১ মার্চ নববর্ষ পালিত হতো। শীত মৌসুমের ৬০ দিন তারা বর্ষ গণণায় না আনার কারণে ২ মাসের ঘাটতি পড়তো তা পূরণে অনির্দিস্ট দিন-মাসের দারস্ত হতে হতো। পরবর্তী কালে রোমান স¤্রাট নোমাপাস পিলিয়াস ১০ মাসের সাথে আরও ২টি মাস জানুয়ারি মাস ও ফেব্রুয়ারি মাস ক্যালেন্ডারে যুক্ত করেন। জানুয়ারি মাস ২৯ দিনে এবং ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে ধার্য করা হয়। আর মারসিডানাস মাস গণণা করা হতো ২২ দিনে। এ ছাড়া মারসিডানাস নামে অতিরিক্ত একটি মাসও প্রবর্তন। তিনি জানুয়ারিকে প্রথম মাস হিসেবে চালু করেন। রোমান স¤্রাট জুলিয়াস সিজারে শাসনামলে মিসরীয় ক্যালেন্ডার চালু করেন। তিনি জ্যোতিবির্দদের পরামর্শে খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মাঝ খানে ৬৭ দিন এবং ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে ২৩ দিন এই মোট ৯০ দিন যুক্ত করে ক্যালেন্ডার সংস্কার করেন। এই ক্যালেন্ডার জুলিয়ান সিজার ক্যালেন্ডার নামে পরিচিতি লাভ করে। এই ক্যালেন্ডারে মার্চ, মে, কুইন্টিলিস ও অক্টোবর দিনের সংখ্যা ৩১ দিন, অপারদিকে জানুয়ারি ও সেক্সটিনিস মাসের সঙ্গে আরো ২ দিন যুক্ত করে ৩১ দিন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে গণণা করা হতে থাকে।
মিসরীয়রী সৌর বর্ষস গণণা করতো ৩৬৫ দিনে। কিন্তু জুলিয়াস সিজারে সংস্কারের ফলে ৩শত সাড়ে ৬৫ দিনে এসে দাড়ায়। এই ক্যালেন্ডার তৈরী করা হয় ১৫৮২ সালে। যিশু খ্রিষ্টের জন্ম থেকে গণণা করে ডাইওনিসিয়াম এক্সিগুয়াস ৫৩০ অব্দে খ্রিষ্টাব্দের সুচণা করেন। যিশু এর জন্ম বছর থেকে খ্রিষ্টব্দ গণণার সূচনা। পরে জানা যায় যে বছর খ্রিষ্টাব্দ গণণা করা হয় যিশু সম্ভবত তার ৪ বছর আগে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে রোমের পোপ গ্রেগরি জ্যোতিরর্বিদের পরামর্শে জুলিয়াস ক্রালেন্ডার সংশোধন করেন। জুলিয়াস সিজারের নাম অনুসারে প্রাচীন কালে কুইন্টিলিস মাসের নাম বদলিয়ে রাখা হয় জুলাই। অন্যদিকে স¤্রাট আগাস্টাসের নাম অনুসারে সেক্সটিনিস মাসের নাম পাল্টিয়ে রাখা হয় আগোস্ট আর রোমান দেবতা জানো’স এর নাম অনুসারে জানুয়ারি মাসের নাম রাখা হয়। তার নির্দেশে ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর ১০ দিন বাদ দেওয়া হয়, ফলে ওই বছরের ৫ তারিখকে ১৫ তারিখ করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাস প্রতি ৪ বছর অন্তর ১দিন যুক্ত করা হয়। পোপ গ্রেগরি ঘোষণা করেন যে, যেসব শতবর্ষীয় অব্দ ৪০০ দারা বিভক্ত হবে সে সব শতবর্ষ লিপ ইয়ার হিসেবে গণ্য হবে। এই ক্যালেন্ডারই আমাদের দেশে ইংরেজি ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। লেখক: সাংবাদিক

The post প্রসঙ্গ: ইংরেজি বর্ষ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2X0aB1W

২০২০ এবং ২০২১ https://ift.tt/eA8V8J

পাভেল পার্থ
কত কিছুতে কত কারণে যে মুখ ঢাকে মানুষ। সময়ে-অসময়ে, সামনে কী পিছনে। শংখ ঘোষের ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’। ‘দস্যুবনহুর’ সিনেমায় আজাদ রহমান গেয়েছেন, ‘…মুখঢাকা মুখোশের এই দুনিয়ায় মানুষকে কি দেখে চিনবে বলো?’ মানুষ কেন মুখ ঢাকে? এই আলাপ না হয় আরেকদিন হবে। কিন্তু নিদারুণভাবে আজ আমরা সবাই মুখ ঢেকে আছি। গ্রাম থেকে শহর, বন্দর থেকে বাজার। এর আগে পৃথিবীর এতো মানুষ হয়তো একসাথে মুখ ঢেকে পাড়ি দেয়নি মাসের পর মাস। দিনের পর দিন। মানুষ বলতে মানুষের ‘হোমো স্যাপিয়েন্স’ প্রজাতি। ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপের ‘হবিট’ মানুষেরা কী তাদের সময়ে কখনো সবাই মুখ ঢেকে ছিল? ‘হোমো হ্যাবিলিস’, ‘হোমো ইরেকটাস’ বা ‘নিয়ানডার্থাল’ প্রজাতির মানুষেরাওতো দীর্ঘদিন পৃথিবীতে টিকে ছিল। গড়ে তুলেছিল নিজেদের সভ্যতা। সেইসব মানুষদের কী এমন কোনো দু:সময় এসেছিল করোনা মহামারির মতো? একসাথে মুখ ঢেকে থাকতে হয়েছিল সবাইকে। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি যতটুকু খুঁজেছি এই জিজ্ঞাসার কোনো উত্তর পাইনি। হয়তো বিজ্ঞানী, গবেষক ও একাডেমিকরা এর উত্তর দিতে পারবেন। যাহোক আমি বাংলাদেশের ৬৪ জেলার প্রবীণ নারী-পুরুষের সাথে করোনাকালে কথা বলেছি। ‘মহামারির স্মৃতি-বিস্মৃতি’ বিষয়ক গবেষণার কাজে তাদের অনেকের সাথে কয়েকদিন ধরে আলাপক করতে হয়েছে। ৮০ থেকে ১২০ বছর তাদের বয়সের ভাগ। তাদের অধিকাংশই জীবনে তিনটি মহামারি দেখেছেন।

কলেরা, গুটিবসন্ত এবং করোনা। যদিও এইসব ‘মহামারি’ বিদ্যায়তনে ‘প্যানডেমিক’, ‘এনডেমিক’ কী ‘সিনডেমিক’ নানাভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। কিন্তু তারা ঘরের পর ঘর, পাড়ার পর পাড়া, গ্রামের পর গ্রাম সংক্রমিত হতে দেখেছেন। একের পর এক মানুষ মরতে দেখেছেন। সঙ্গনিরোধ, লকডাউন, নিরাপদ দূরত্ব, লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি তারাও মান্য করেছেন। এই প্রবীণেরা নিজেদের দাদু-নানি কিংবা মা-বাবাদের কাছ থেকেও প্রাচীন মহামারি বিষয়ে শুনেছেন। কিন্তু এই প্রথম করোনাকালে কোনো মহামারির অভিজ্ঞতা তাদের হলো, যা, এর আগে কখনো হয়নি। এই ‘মুখ ঢেকে রাখা মহামারি’। মাস্কে মুখ ঢেকে ঢেকে দুনিয়া প্রায় একটি বছর পাড়ি দিল। এই মুখ ঢাকা মহামারিতে তৈরি হওয়া কিছু অমীমাংসিত জিজ্ঞাসা নিয়েই এই বছর শেষের আলাপ। আসছে নতুন বছর কেমন হবে? এক মহামারিকালে একটি বছর থেকে আরেক বছর কী নয়া কোনো বার্তা জানাবে? পৃথিবীর সব অস্ত্র কারখানা গুলো কী ঘুমিয়ে পড়বে? পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠবে কি বীজঘর বা পাঠাগার? পুরুষতন্ত্রের পিরামিড কী চুরমার হয়ে যাবে? বিলাসবহুল হোটেল নয়; চিম্বুক পাহাড়ে গরিবের হাসপাতাল কিংবা বিদ্যালয় তৈরি করবে কি ম্যারিয়ট?

মহামারি দাগ রেখে যায়
সব অসুখ কী বিপদ কোনো না কোনো দাগ রেখে যায়। দখলের পর নদী যেমন রেখে যায় শীর্ণ জলরেখা। টুপ করে বনতলে পড়ার আগে ডুমুর যেমন গাছে রেখে যায় বোঁটার দাগ। এমনি কত কত দাগ থাকে মানুষের। মনের অতল থেকে শরীরময়। স্মৃতি কী বিস্মৃতির ময়দানে। বরেন্দ্রর কৃষক ইউসুফ মোল্লা ১৩৬৪ বাংলায় ৮/৯ বছরের এক ছোট্ট শিশু। রাজশাহীর তানোরের দুবইল গ্রাম থেকে চাপাইনবাবগঞ্জের দারিয়াপুরে বিয়ে করতে গিয়েছিল তার এক ফুফাত ভাই। সেই ভাইয়ের ভাগিনা ভেলু বরযাত্রায় গিয়ে দুবইলে বসন্ত নিয়ে আসে। ছড়িয়ে পড়ে বসন্ত। জোড়ায় জোড়ায় মরে মানুষ। ইউসুফের ফুফু খুকি বেওয়ার শরীর থেকে মাংশ খসে খড়ে পড়েছিল। শরীরজুড়ে মহামারির দাগ নিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। করোনা মহামারি কী দাগ রাখছে আমাদের মন ও শরীরে? মৃত্যু এক নিদারুণ দু:সহ স্মৃতি-বিস্মৃতির দাগ। আবার আক্রান্তদের অনেকের করোনা-উত্তর নানা শারিরীক জটিলতাও দেখা দিচ্ছে। শরীর জুড়ে থাকছে সংক্রমণের জটিল দাগ। করোনাকালে কাজ হারানো, ঘর হারানো, বসতি হারানো, স্বজন হারানো মানুষের মনে কত যন্ত্রণার দাগ। কলংক নয়, অপবাদ আর গুজবের দাগও উসকে ওঠেছে করোনাকালে। দু:সহসব জটিল যন্ত্রণার দাগ নিয়েই করোনাকালে শুরু হচ্ছে আরেকটি নতুন বছর। ২০২১ সন আমাদের জন্য কেমন দাগের বহর নিয়ে অপেক্ষা করছে? দাগের আঘাত সইবার মতো প্রস্তুতি কী নিয়েছি আমরা? দাগের যন্ত্রণা সইবার মতো কী একত্র হয়েছি সকলে? তাহলে করোনাকাল এই দশ মাসে আমাদের মনে কী কোনো বার্তা তৈরি করেনি?

কৃষকের সম্মান
দেশ দুনিয়া লকডাউন হলেও নির্ঘুম কৃষকসমাজ আমাদের সামনে হাজির করেছে ভাতের থালা। মুখ না ঢেকেই তরতাজা রাখতে হচ্ছে কৃষির দম। করোনা-উত্তর সময়ে কতজন তরুণ কৃষক হতে চাইবে। কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষক হবে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানীয় নাগরিক। ভিআইপি বা সিআইপিদের মতো। ফসল নিয়ে বাজারে গেলে মানুষ কৃষককে আলাদা জায়গা করে দিবে। ন্যায্যমূল্য বিক্রি হবে জানবাজি রাখা ফসল। ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার কৃষককে নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে বিনাসুদে ঋণ কার্যকর করে দিবেন। কোনো বহুজাতিক কোম্পানি সার-বিষ বা বীজ নিয়ে কৃষকের সাথে কোনো প্রতারণা করার ক্ষমতা পাবে না। করোনার পর স্কুল গুলো আবার খুলবে। শিশুরা লিখবে, বড় হয়ে আমি একজন কৃষক হতে চাই।

লাশের হোটেল হবে পাখি জাদুঘর
করোনাকালে নির্দয়ভাবে খুন ও পাচার হয়েছে বন্যপ্রাণী। সিলেটের হরিপুরে বন্ধ হয়নি পাখিদের লাশের হোটেল। ২০২১ সনে হয়তো এমন অন্যায় কিছুই থাকবে না। খাগড়াছড়ির পানছড়ির জবা ও সমাই সাঁওতালের মতো লাখো মানুষ এতিম ও আহত কোনো সজারুর স্বজন হয়ে যাবে। লালমনিরহাটের তুলসি রানী ও দুলাল চন্দ্র রায়ের মতো জমি বেচে বন্দীদশা থেকে বাঁচাবে কেউ হাতি বা শকুন। নিজের সন্তানের মতো দায়িত্ব নেবে কোনো বন্যপ্রাণীর। আরো পাখিদের জন্য রাজশাহীর খোর্দ্দবাউসার শামুকখোলদের মতো আবাসস্থল ভাড়ার বাজেট বরাদ্দ করবে রাষ্ট্র। হরিপুর বাজারের পাখির লাশের হোটেল গুলো হবে পাখি জাদুঘর। এখানে দেশের হারানো পাখিদের জনস্মৃতি থাকবে, পাখির ফসিল কী বিগত সময়ের পাখি হত্যা ও বিচারের সকল তদন্তপ্রতিদেন।
বনের ব্যক্তিসত্তা
অরণ্য, নদী, পাহাড় কী জলাভূমি কেউ মহামারিকালে রেহাই পায়নি। দখল, দূষণ আর খুনখারাবি হয়েছে নির্মম। বিচারবিভাগ নদীর জীবন্ত ব্যক্তিসত্তা ঘোষণা করলেও নদী কি বইছে অবিরল? উজান থেকে ভাটিতে? মেঘালয়ের লুকা নদী সিমেন্ট ও কয়লা কারখানার বিষে নীল হয়েছে। লুকা থেকে বাংলাদেশের লোভাছড়া কি সারি নদীতে ছড়িয়েছে বিষ। নিরুদ্দেশ হয়েছে চিরিংবিত মাছ (গোয়ালপাড়া লোচ)। পৌরাণিক ব্রহ্মপুত্রের উজানে চীন তৈরি করছে বৃহৎ বাঁধ। ¤্রােসভ্যতাকে চুরমার করে চিম্বুক পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে মার্কিন ম্যারিয়ট হোটেল। মুখ ঢাকা মহামারি যেন আড়াল করছে নাজুক বাস্তুতন্ত্র। ২০২১ সন নিশ্চিতভাবে মর্যাদা ও সাহস নিয়ে দাঁড়াবে। কারণ আমাদের করোনার নির্দয় স্মৃতি ও মহামারির অবিস্মরণীয় শিক্ষা আছে। পাহাড়, অরণ্য, জুম-জমিন এবং নদী ছাড়া বাঁচবে না মানুষ। করোনা-উত্তর সময়ে সকল পাহাড় ও অরণ্য পাবে ব্যক্তিসত্তার অধিকার। চাইলেই একটা বিনোদনকেন্দ্র কী বিচ্ছিরি কোনো স্থাপনা কেউ কোনো বন-পাহাড়ে বসিয়ে দিতে পারবে না। স্থানীয় অধিবাসীদের মতামত ও অনুমতি ছাড়া শুরু হবে না কোনো উদ্যোগ।

ভোগ নয়, সমান ভাগ
করোনাকাল প্রমাণ করেছে লাগাতার ভোগবাদ আর পণ্যমানসকিতা মানুষের সভ্যতাকে শেষ করে দিতে পারে। একটা দামি গাড়ি, খেলার মাঠ গুঁড়িয়ে তোলা লম্বা দালান, কোক-পেপসির ঢকঢক আর নিত্যনতুন বাহারি ব্র্যান্ডের পোশাক না হলে চলে না যে জীবন; সে জীবন ভোগবাদের। এই মানসিকতাই পণ্যমানসিকতা। আর এই ভোগবাদ তরতাজা রাখতে এলোপাথারি কার্বন নির্গমনের জন্য নিদারুণ উষ্ণ হয়ে ওঠছে পৃথিবী। বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, লবণাক্ততা কি খরার প্রকোপ। মানুষ ছাড়ছে গ্রাম, কৃষিকাজ। পরিচয় হারিয়ে শহরে এসে মানুষ হয়ে যাচ্ছে দিনমজুর। দুনিয়া ভাগ হয়ে আছে পঁচাশি আর পনেরোতে।

পনেরজন পুরুষ মিলে একতরফাভাবে খন্ডবিখন্ড করছে গ্রহ। আর দুনিয়াকে বাঁচাতে নিরন্ন রক্তাক্ত হয়ে আছে পঁচাশি ভাগ মানুষ। এই বৈষম্যের বিজ্ঞাপন উল্টে দিতে হবে। ২০২১ থেকেই একটা ন্যায্য দুনিয়ার জন্য লড়তে হবে আমাদের। ভোগ নয়, দুনিয়ার সব দু:খ-সুখ সবার সাথে সমান ভাগ করবার কায়দা তৈরি করতে হবে। এটাই হোক নতুন বছর ২০২১ এর দুনিয়া কাঁপানো জনআওয়াজ। লেখক: গবেষক

The post ২০২০ এবং ২০২১ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2L6HJm2

কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনদর্শন https://ift.tt/eA8V8J

মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ
(১১ তম পর্ব)…
জাহালাত বা অজ্ঞতা সম্বন্ধে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৃষ্টিভঙ্গি ও তাঁর দর্শন: আরবী ভাষা বিজ্ঞানের শব্দ তত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে জাহা-লাতুন শব্দটি মাসদার বা ক্রিয়ামূল।আরবী শব্দ বিজ্ঞানে যেটি ইসমে ফায়িল বা বিশেষ্য পদ হিসাবে পরিচিত। জাহা-লাতুন শব্দটি ক্রিয়ামূল যার বিশেষ্য পদ হলো জা-হিলুন।বাংলায় যার প্রতিশব্দ হলো-অজ্ঞ, মূর্খ, নির্বুদ্ধি, নির্বোদ, বোকামি ইত্যাদি। জা-হিলুন শব্দের বিপরীত শব্দ হলো: আ-লিমুন। আ-লিমুন শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো-জ্ঞানী, বিদ্যান, পন্ডিত, শিক্ষিত, বিজ্ঞানী ইত্যাদি।

সুত্র: মুজামুল ওয়াফী (আরবী ভাষার অভিধান), ড. ফজলুর রহমান। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর গোটা জীবনের সার্বিক কর্মকান্ড ও দর্শন আল কুরআন ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ কেন্দ্রিক পরিচালিত। আল কুরআন ও আস সুন্নাহ এই দুই এর বিপরীতে মানব রচিত যতো দর্শন আছে, যেগুলো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো গ্রহণ করেননি এবং তাঁর হাতে গড়া দ্বীন ও ইসলামের মহান খাদিমগণ যারা সাহাবী হিসেবে পরিচিত, তারাও কখনো কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত কোনো দর্শন পোষণ করেননি এবং তাদের জীবনে লালন করেননি।ঈমান গ্রহন করে ইসলামের গন্ডির মধ্যে প্রবেশ করার পর একজন মুমিন ও নব-মুসলিম হিসেবে প্রথম দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর বিধিকে পরিপূর্ণরুপে অনুসরণ ও অনুকরণ করে চলবে। আর মহাসত্যের দূত ও বার্তাবাহক হিসেবে আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সর্বশেষ রাসুল বা প্রতিনিধি হিসেবে একজন মুমিন সর্বদা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথ ও জীবন পদ্ধতিকে অনুসরণ করবে এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স¦ীকৃত সুন্নাহর মানদন্ডে যারা তাঁদের জীবনকে রঙ্গীন করেছিল তাঁর সাহাবী বর্গকে অনুসরণ করে চলবে। এটিই প্রত্যেক মুমিনের মূল আকিদা হওয়া উচিত। কিন্তু বিশ্বনবী, রাহমাতুল্লীল আলামিন, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর জীবন চরিত ও তাঁর কুরআনিক দর্শনকে বাদ দিয়ে এবং আসহাব বর্গের জীবনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ ও কুরআনুল কারীমের যে বাস্তব অনুশীলন হয়েছিল। সেই আসহাব বর্গের জান্নাতী জীবন চরিতকে বাদ দিয়ে মানব রচিত দর্শন কখনো মুমিনের জীবন পরিচালনার পথ ও পাথেয় হতে পারেনা। আল কুরআন ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহকে বাদ রেখে যদি কেউ নিজেকে মুমিন-মুসলিম হিসেবে দাবি করে তার এই দাবি তেমন মিথ্যা হবে যেমন যদি কেউ নিজেকে নবুওয়াতের দাবি করে। অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির দাবি ডাহা ও মহামিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত হবে। এক কথায় মুমিনের জীবনের চলার মাপকাটি হবে আল কুরআন ও আস সুন্নাহ রুপরেখার আদলে। আমরা এখন প্রাসঙ্গিক গবেষণালব্দ নিবন্ধে জাহালাত বা অজ্ঞতার বিষয়ে আল কুরআন ও আস সুন্নাহ যে দুটি বিষয় মূলত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন দর্শনের মুল মানদন্ড, তার আলোকে নি¤েœ কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবো।আহকাম গত দৃষ্টিকোণ থেকে: আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের দেওয়া বিধান,নির্দেশ বা হুকুমকে না মেনে বরং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথ ও জীবন পদ্ধতির কোনো বিষয়কে ভুল ব্যাখ্যা কিংবা বিতর্কিত জায়গায় স্থাপন করাকে সবচেয়ে বড় জাহালাত বা অজ্ঞতা বলে। যেমন আল কুরআনের সুরাহ বাকারায় মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের অজ্ঞতার একটি চিত্র ফুটিয়ে তুলা হয়েছে ঠিক এভাবে-‘মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্বীয় সম্প্রদায়কে বললো: আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে একটি গরু জবাই করার আদেশ করেছেন। (মুসা আ. এর উম্মতগণ: আল্লাহ তায়ালার আদেশকে না মেনে বরং বিতর্কিত করলো) তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছো ? মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: অজ্ঞ বা মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সুত্র: আল বাকারা, আয়াত নং-৬৭।মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের চরম মূর্খতা ও অজ্ঞতার দৃষ্টান্ত আল্লাহ তায়ালা কেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাজিল করলেন ? প্রশ্নটির অতি সহজ উত্তর হলো, আল কুরআন ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহর হুকুম কে যারা আজও না মেনে বরং ভুল ব্যাখ্যা করে জনমনে বিতর্ক সৃষ্টি করবে তারা উম্মাতে মুহাম্মাদি হলেও অবশ্যই জাহিল তথা অজ্ঞ বা মূর্খ হিসাবে সাব্যস্ত হবে। আজও যারা আল কুরআনের বিধানের সাথে নাফারমানি করবে তাদের এই কর্মকান্ডের জন্য বলতে হবে-‘আ-উযুবিল্লাহী আন আকুনা মিনাজ জ্বাহিলীন-বাকারা: ৬৭’ এটি একটি কুরআনিক দু’আ যা আল্লাহর পয়গম্বর মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছিলেন। সেই দু’আ সম্বলিত আয়াতে কারেমাটি আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপরও নাজিল করেছেন।অতএব যদি কেউ আল্লাহর আদেশের সাথে নাফারমানি করে ,তাহলে সেই জাহিলদের অজ্ঞতার কারণে আমরাও উপরোক্ত কুরআনিক দু’আ খানা আমল করবো।অজ্ঞতার পরিচয় প্রদানে আল্লাহ তায়ালা সুরাহ আরাফের মধ্যে ইরশাদ করেছেন- ‘বস্তুত আমি সাগর পার করে দিয়েছি বনী-ইসরাঈলদিগকে।তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌছালো, যারা স্বহস্ত-নির্মিত মূর্তিপুজায় নিয়োজিত ছিল।তারা বলতে লাগলো,হে মূসা; আমাদের উপসনার জন্যও তাদের মূর্তির মতই একটি মূর্তি নির্মান করেদিন।মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বল্লেন তোমাদের মধ্যে বড়ই অজ্ঞতা রয়েছে।’

 

সুত্র: প্রাগুক্ত, আয়াত নং-১৩৮। মুমিনদের জন্য এখানে গভীর শিক্ষা নিহিত আছে। অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের হাত থেকে আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতকে রক্ষা করে সাগর পার করে একটি নিরাপদ নগরী দান করেছিলেন। এই নিরাপদ নগরী দানের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তারা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাগুতকে বর্জন করবে। সুরাহ বাইয়্যিনাতে মধ্যে ইরশাদ আছে-আল্লাহ তায়ালা খাঁটি মনে একানিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্যই আদেশ করেছেন।আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে কোনো শিরক করবে না অর্থাৎ ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে তৃতীয় কোনো সত্ত্বাকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের মধ্যে তাঁর আনীত সত্য দ্বীনকে যারা কবুল করবে না তারা জাহিল হিসাবে অজ্ঞদের দলভুক্ত হবে।যেমন নূহ (আ.) এর পুত্র কেনান তাঁর দ্বীনকে কবুল করেননি তাই সে জাহিল তথা অজ্ঞদের অন্তভুক্ত হয়েছিল।এ প্রসঙ্গে আল কুরআনের সুরাহ হুদের মধ্যে স্ববিস্তারে বর্ণিত হয়েছে ঠিক এভাবে-‘আল্লাহ তায়ালা বললেন,হে নূহ! নিশ্চয়ই সে (কেনান) আপনার পরিবার ভুক্ত নয়। নিশ্চয়ই সে (কেনান) দুরাচার, পাপিষ্ঠ। সুতরাং আমার কাছে এমন দরখাস্ত করবেন তা,যার খবর আপনি জানেন না। আমি (আল্লাহ তায়ালা) আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, আপনি অজ্ঞদের দলভূক্ত হবেন না।’ সুত্র: প্রাগুক্ত, আয়াত নং-৪৬। এই আয়াত দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমানিত হলো যে, যারা আল্লাহর দেওয়া বিধানকে উপেক্ষা করে পাপাচার ও দুরাচারে লিপ্ত হয় তাদের আশ্রয় দিলে, আশ্রয়দাতা সে ব্যক্তিও জাহিল তথা অজ্ঞ হিসাবে সনাক্ত হবেন। এখানে, আল্লাহ তায়ালা নুহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অজ্ঞ, মূর্খদের দলভুক্ত হতে নিষেধ করেছেন। যেমনিভাবে আল্লাহর হুকুমে নুহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ছেলেকে প্লাবণের গজবের সময়ে নৌকায় আশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। শুধুতাই নয় ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভায়েরা তাঁর সাথে যে মূর্খতাপূর্ণ আচরণ করেছিল সেই উদ্ধতপূর্ণ আচরণের স্পষ্টবিবরণ আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আল কুরআনের সুরাহ ইউসুফের মধ্যে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর পয়গম্বর ইউসুফ ভ্রাতৃগণ অত্যন্ত নির্মম ও নিষ্ঠুর ভাবে হযরত ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অন্ধকার কুফের মধ্যে এক অজানা গন্তব্যের দিকে নিক্ষেপ করে মানবতার নির্দয় ও পাশবিকতার এক চরম অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছিল। আল্লাহ তায়ালা তাঁর নাবীকে রক্ষা করে মিশরের সিংহাসন দান করেছিলেন। ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিশরের সিংহাসনের রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্ছ মর্যাদার আসনে সমাসীন ঠিক এমন সময় তাঁর ভ্রাতৃগণ তাঁর কাছে এসে উপস্থিত।তারা তাদের পরিবার বর্গের দু:খ-কষ্টের কথা ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কোমল কন্ঠে প্রকাশ করলো। ইউসুফ ভ্রাতৃগণ ছিলেন চরম অজ্ঞ ও মূর্খ যা আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ঠিক এভাবে-‘ (ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমাদের কি জানা আছে ? যা তোমরা ইউসুফ ও তাঁর ভাই (বনী আমিনের) সাথে করেছিলে। যখন তোমরা ছিলে পুরাপুরি জাহিল বা অজ্ঞ।’ সুত্র: সুরাহ ইউসুফ, আয়াত নং-৮৯। উপরের তথ্যনির্ভর বিশদ আলোচনা থেকে আমরা জানলাম যে, অজ্ঞতা এক মারাত্মক ব্যধি যা একমাত্র ঈমানের নুর দিয়ে নিভানো সম্ভব। কিন্তু জাহিল বা অজ্ঞরা যদি কুরআন-সুন্নাহর নুর থেকে আলো গ্রহণ করতে না চাই বরং তাদের মূর্খতাপূর্ণ আচরণকে ইসলামের উপর চাপিয়ে দিতে চাই।

 

এমন পরিস্থিতিতে রহমানের খাঁটি বান্দাগুলোর করণীয় কি হবে? এ বিষয়ে আল কুরআনের সুরাহ আল ফুরকানে ইরশাদ হয়েছে-‘রহমানের খাঁটি বান্দাতো কেবলমাত্র তারাই, যারা পৃথিবীতে ন¤্র-ভদ্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন অজ্ঞ-মূর্খরা কথা বলে (ইসলামকে বিতর্কিত করতে) থাকে, তখন তারা (রহমানের খাঁটি বান্দাগণ) বলে, সালাম তথা শান্তির বার্তা।’ সুত্র: সুরাহ ফুরকান, আয়াত নং-৬৩। বুখারি ও মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত আছে-‘খাদিমুর রাসুল হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, কিয়ামতের কিছু আলামত হলো: ইলম হ্রাস পাবে, অজ্ঞতা প্রসারতা লাভ করবে, মদপানের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং যিনা ব্যভিচার বিস্তার লাভ করবে।’ সুত্র: বুখারি, হা. নং-৮০, মুসলিম, হা. নং-২৬৭১। কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান থেকে মানুষ যখন দুরে সরে যাবে এবং তদস্থলে শুধুমাত্র মানব রচিত অপূর্ণ জ্ঞান চর্চা করবে। ঠিক এমন সময়ে আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলিমদেরকে উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নিভেন যা সুস্পষ্ট কিয়ামতের একটি আলামত। জাহিলের বিপরীত একজন আলিমের মর্যদার সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই দান করেছেন।যেমন আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-‘হে নাবী! আপনি বলুন, যারা (কুরআন-সুন্নাহ) জানে আর যারা (কুরআন-সুন্নাহ) জানে না সকলে কি সমান হতে পারে? কেবলমাত্র (কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে) বোধশক্তি সম্পন্নেরা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।’ সুত্র: সুরাহ ঝুমার, আয়াত নং: ০৯। আল কুরআনের অন্যত্রে ইরশাদ হয়েছে-‘অনুরুপভাবে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুস্পদ প্রাণী রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে উলামাগণ তথা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে জ্ঞানীরাই কেবলমাত্র তাঁকে ভয় করে।’ সুত্র: সুরাহ ফাতির, আয়াত নং-২৮। আলিমদের বিপরীত জাহিলদের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে এবং জাহিলরা জাহান্নামের কঠিন ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।

অজ্ঞতা থেকে বাঁচার প্রতিষেদক: এই সমন্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ হাদিস বর্ণিত হয়েছে যা ইমাম আবু দাউদ (রহ.) তার স্বীয় সংকলন কিতাব আবু দাউদ শরীফে রিওয়ায়াত করেছেন।যেমন-হযরত আত্বা ইবনু আবি রাবাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত:তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) কে বলতে শুনেছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে এক ব্যক্তি আহত হয়। ঐ অবস্থায় তাঁর স্বপ্নদোষ হলে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অত:পর সে গোসল করলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে পৌঁছালে তিনি বলেন: এরা লোকটিকে হত্যা করেছে। আল্লাহ যেনো তাদেরকেও হত্যার (সাদৃশ্য কোনকিছু দিয়ে ধ্বংস) করেন। সর্বশেষ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বললেন:অজ্ঞতার প্রতিষেদক জিজ্ঞেস করা নয় কি?। সুত্র:আবু দাউদ, হা. নং: ৩৩৭। পরিবার জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনের সকল স্তরে যেকোনো সমস্যায় পতিত হলে একজন মুমিন-মুসলমান হিসাবে তার সমাধান অন্বেষণ করতে হবে আল কুরআন ও আস সুন্নাহ থেকে।আর গ্রহণযোগ্য এই দুটি মাপকাটিকে বাদ দিয়ে মানব রচিত ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলে হাদিসে বর্ণিত ধ্বংস প্রাপ্তদের মধ্যে শামিল হতে হবে। আহলুজ জিকর তথা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে যারা জ্ঞানী এবং তারাই কেবল মাত্র আল্লাহকে অধিক মাত্রায় স¥রণ করে থাকে। যাদেরকে আল কুরআনের সুরাহ ফাতিরের ২৮নং আয়াতে উলামা হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।আর যেকোনো সমস্যায় পতিত হলে আলিমদের কাছে তার সমাধান জিজ্ঞেস করে জেনে নেওয়ার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই আল কুরআনে নির্দেশ করেছেন।

ইরশাদ হচ্ছে-‘তোমরা (যে সমস্যায় পতিত হয়েছো) সে সম্পর্কে তোমরা যদি (সঠিক সমাধান) না জানো,তাহলে (কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে) জ্ঞানী সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।’ সুত্র: সুরাহ নাহল: ৪৩, সুরাহ আম্বিয়া: ০৭ নং আয়াত। অত্র গবেষণা নিবন্ধে জাহালাত তথা অজ্ঞতা সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহ থেকে সবিস্তার আলোচনার পরিসমাপ্তি কলমে বলতে চাই যে, হে আল্লাহ! জাহিলদের ভ্রান্তপথ, দর্শন ও আকীদা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তোমার নেয়ামত প্রাপ্ত সত্যবাদী উলামা সম্প্রদায়ের কুরআন-সুন্নাহর আদলে প্রতিষ্ঠিত পবিত্র সোহবাত বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক কামনা করছি, (আমিন)। লেখক: ইসলামী গবেষক, খতিব-লাবসা দপ্তারিপাড়া বায়তুন নূর জামে মাসজিদ, সাতক্ষীরা

The post কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনদর্শন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WW1peU

স্বাগতম ২০২১ https://ift.tt/eA8V8J

নাজমুল হাসান

নতুন করে ভাসাই তরী
পাল্টে ছেঁড়া পাল,
এগিয়ে যাবার শপথ নিয়ে
স্বাগত একুশ সাল।

পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ
বাঙ্গালীরাই করে,
বাঁধন হারা সুখের ছোঁয়া
সবার ঘরে ঘরে।

সু স্বাগতম ইংরেজি সন
হাজার আবির মেখে,
স্বপ্ন বিজয় শিখতে পারো
বাঙালীদের দেখে।

The post স্বাগতম ২০২১ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/38TaVVN

সাতক্ষীরা থেকে ফেরার পথে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন রিজভী https://ift.tt/eA8V8J

অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাকার উদ্দেশে সাতক্ষীরা থেকে যশোর বিমানবন্দরে আসার পথে কলারোয়া বাজারে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাকে বহনকারী প্রাইভেটকার।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে কলারোয়া–যশোর মহাসড়কের কলারোয়া বাজারে রিজভীকে বহনকারী গাড়িটি এলে হঠাৎ একটি ভ্যান গাড়ির সামনে এসে পড়ে ধাক্কা দেয়।  এতে প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙে যায়।  দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  তবে প্রাণে বেঁচে যান রিজভী।

এ সময় সামান্য আহত হয়েছেন রুহুল কবির রিজভী ও তার সঙ্গে থাকা বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।  রিজভী আঘাত পেলেও তেমন গুরুতর নয় জানা গেছে।  তবে হাবিবের শরীরে চোট লেগেছে।

ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা থেকে যশোর বিমান বন্দরে যাচ্ছিলাম আমি। পথিমধ্যে একটি ভ্যান প্রাইভেটকারের সামনে এসে পড়ে। এসময় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রাইভেটকারে থাকা আমি ও হাবিব বেঁচে যাই। রিজভী বলেন, আল্লাহর রহমতে ও দেশবাসীর দোয়ায় ঠিক আছি।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় আজ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য ছিল।  এ মামলায় সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবকেও আসামি করা হয়।

The post সাতক্ষীরা থেকে ফেরার পথে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন রিজভী appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3pCxHrB

দুর্বল উইন্ডিজকে পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে চান সৌম্য https://ift.tt/eA8V8J

তিন ওয়ানডে আর দুই টেস্ট খেলতে আগামী বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তবে যে স্কোয়াড নিয়ে আসছেন ক্যারিবীয়রা; তা দেখে অনেকটাই হতাশ হয়েছেন নির্বাচক দলের সদস্য হাবিবুল বাশার।

ওয়ানডে ও টেস্ট—দুই সংস্করণের দুই অধিনায়ক ও সহ–অধিনায়কদের রেখে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। করোনার অজুহাত দেখিয়ে সফর থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন জেসন হোল্ডার, কাইরন পোলার্ড, রোস্টন চেজ, শাই হোপ, নিকোলাস পুরান, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ারদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।

উইন্ডিজের এমন দ্বিতীয় সারির দল পাঠানোর বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছেন না হাবিবুল বাশার।

তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে রাজি নন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক।

টাইগার টেস্ট অধিনায়কের ভাষ্যে– ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কে নেই আর কে আছে তা নিয়ে ভাবছেন না। নিজেদের খেলার দিকেই দৃষ্টি রাখতে হবে।

একই রকম ভাবনা জাতীয় দলের স্টাইলিশ ওপেনার সৌম্য সরকারের।  অধিনায়ক মুমিনুলের কথাই পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি। তার দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো দলকে হালকাভাবে নেয়া যায় না। তবে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ক্যারিবীয়দের বড় ব্যবধানে হারাতে চান তিনি।

সৌম্য সরকার বলেন, ‘আমরা অনেক দিন আন্তর্জাতিক সিরিজে নেই। আর আন্তর্জাতিক সিরিজ সব সময়ই কঠিন। তবে আমরা যেহেতু হোমে খেলব, ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলার একটা সুবিধা তো থাকবেই। ওদের অনেক খেলোয়াড় আসছে না, সে ক্ষেত্রে আমাদের খেলতে হবে তাদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয়ার মানসিকতায়।’

The post দুর্বল উইন্ডিজকে পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে চান সৌম্য appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WVRNkr

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ন্যায় বিচার পাবো: কবির রিজভীর https://ift.tt/eA8V8J

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ন্যায় বিচার পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে শেষ সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২০)  সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের আদালতে তিনি সাফাই সাক্ষ্য দেন। আগামী ০৬ জানুয়ারি আলোচিত এই মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় আদালত সূত্র।
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ জানান, বৃহস্পতিবার রুহুল কবির রিজভীর সাফাই সাক্ষ্য প্রদান ও জেরা করার মাধ্যমে শেষ হলো সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী সাফাই সাক্ষ্য শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো। ঘটনার দিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকাতে ছিলেন বলে দাবি করেন মি. রুহুল কবির রিজভী। এসময় তিনি আর কোন বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালিন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

The post কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ন্যায় বিচার পাবো: কবির রিজভীর appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WVLa1h

Wednesday, December 30, 2020

আশাশুনির সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ সহ¯্রাধিক সেট নতুন বই বিতরণের প্রস্তুতি https://ift.tt/eA8V8J

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির সকল প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পহেলা জানুয়ারি-২০২১ নতুন বছরের বই তুলে দেওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ২৬ হাজার ৩৮৪ সেট নতুন বই প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকদের কাছে পৌছে দেওয়াও হয়েছে। উপজেলার ১৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি কেজি স্কুল, ১টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, ১০টি এনজিও পরিচালিত ক্রিসেন্ট স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠান সমূহের চাহিদা অনুযায়ী নতুন বই আশাশুনিতে অনেক আগেই পৌছে গেছে। ২১ ডিসেম্বর হতে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বই হস্তান্তর করা হয়। যার মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ৫ হাজার ৬০০ সেট, ১ম শ্রেণিতে ৫ হাজার ৬০০ সেট, ২য় শ্রেণিতে ৫ হাজার ৫৫০ সেট, ৩য় শ্রেণিতে ৫ হাজার ৪১০ সেট, ৪র্থ শ্রেণিতে ৫ হাজার ২২৬ সেট ও ৫ম শ্রেনিতে ৪ হাজার ৫৪৮ সেট বই হস্তান্তর করা হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বই হস্তান্তর করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসারবৃন্দ। ১ জানুয়ারী’২১ সকল প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হবে। প্রাক প্রাথমিক থেকে ২য় শ্রেণির বই অভিভাবকদের হাতে এবং ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হবে। এজন্য সকলকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্কুলে গমন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলা পর্যায়ে বই রাখার জন্য কোন গোডাউন বা ঘর না থাকায় শিক্ষা অফিসকে বই নিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। বই সংরক্ষণ, ক্লাস ও স্কুল ওয়ারি ভাগ করে রাখা এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে নাকানি চুপানি খেতে হয়েছে। জনবল, শ্রমিক নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজ, কলম, খাতাপত্রসহ সরঞ্জমাদির ব্যবস্থা না থাকায় রাতদিন কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

The post আশাশুনির সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ সহ¯্রাধিক সেট নতুন বই বিতরণের প্রস্তুতি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3n1AlW0

কালিগঞ্জে শত বছরের সরকারি রাস্তা উদ্ধার হয়েও হলো না! https://ift.tt/eA8V8J

বিশেষ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর মৌজায় শতবছরের সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ হলেও সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। খাঁরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণ মুখে কামদেবপুর গ্রামের ফজলু গাজী এবং উত্তর মুখে একই গ্রামের আনিছুর রহমান গোয়ালঘর ও পাকা দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছেন। ফলে রাস্তাটি ব্যবহারে জনসাধারণের প্রতিবন্ধকতা রয়েই গেছে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটি খাঁরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে সরাসরি সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝে পাকা গোয়ালঘর ও প্রাচীর থাকায় শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না। গ্রামবাসী সরকারি রাস্তা ব্যবহার করতে না পারায় বিকল্প পথে হাটেবাজারে যেতে যথেষ্ঠ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে কামদেবপুর ও খাঁরহাটসহ আশেপাশের কয়েক শ’ মানুষ চলাচলের অনুপযোগী বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। সম্প্রতি ভুক্তভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন রাস্তাটি উদ্ধারের উদ্যোগ নিলেও এখনও পর্যন্ত সুফল মেলেনি।

তারা আরও জানান কয়েকমাস পূর্বে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের নুর আলী গাজীর ছেলে বিসিএস নন-ক্যাডার মো. শফিকুল ইসলাম ভাড়াশিমলা কামদেবপুর মৌজার জে.এল নং-৩৪, সি.এস ও এস.এ- ৪৫, ৪৬ দাগে অবস্থিত প্রায় এক কিলোমিটার সরকারি রাস্তা জনস্বার্থে দখলমুক্ত করে সর্বসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শেখ ইউনুচ চিশতী বিষয়টি তদন্তপূর্বক গত ২ ডিসেম্বর সরকারি ম্যাপ অনুযায়ী সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাপজরিপ করে লাল কালি চিহ্নিত পাকা পিলার দিয়ে নুর আলী গাজীর বাড়ির সামনে থেকে খাঁরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সরকারি রাস্তা জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে না। এ সময় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নাসিরউদ্দীন, সার্ভেয়ার রাশেদুল আলমসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু রাস্তাটি এখনও সম্পূর্ণ দখলমুক্ত না হওয়ায় আবারও প্রশাসনের নিকট এলাকার দু’শতাধিক মানুষ লিখিত আবেদন করার উদ্যো নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বেই রাস্তাটি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

The post কালিগঞ্জে শত বছরের সরকারি রাস্তা উদ্ধার হয়েও হলো না! appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3hviW7l

শ্যামনগরে নেতৃত্ব উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন https://ift.tt/eA8V8J

সুন্দরবনাঞ্চল (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: বুধবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লির্ডাসের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সমাজ পরিবর্তনে যুব সংহতি প্রকল্পের আওতায় নেতৃত্ব উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। ঈশ^রীপুর ইউপি যুব ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন লির্ডাসের পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, সাংবাদিক ও শিক্ষক রনজিৎ বর্মন, যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান, প্রশিক্ষণার্থী সালমা খাতুন, লির্ডাস কর্মকর্তা শওকত হোসেন, সুলতা সাহা প্রমুখ।

The post শ্যামনগরে নেতৃত্ব উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mUvciI

গণতন্ত্রের বিজয়ের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে বিভিন্নস্থানে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত https://ift.tt/2JwRHwz

পত্রদূত রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে অশুভ শক্তি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষকেদের আস্ফালন আর সহিংস রাজনীতির অন্ধকার ছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্নস্থানে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কালিগঞ্জ: গণতন্ত্রের বিজয় উপলক্ষে কালিগঞ্জে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার সদর ফুলতলা মোড় হতে মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল প্রাঙ্গনে যেয়ে শেষ হয়।


পরবর্তীতে ম্যুরাল প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নরীম আলী মুন্সির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুশুলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মেহেদী হাসান সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল মুখার্জী, প্রয়াত শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের ছোট ছেলে কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্ল্যাহ, রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল হোসেন খোকন, চাম্পাফুল সভাপতি মোজাম্মেল হক গাইন, দক্ষিণ শ্রীপুর সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, মৌতলা সভাপতি দুলাল চন্দ্র, নলতা সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, মথুরেশপুর সভাপতি মোকলেছুর রহমান মুকুল, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নাঈম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, উপজেলা তথ্য প্রযুক্তি লীগের সভাপতি মাসুদ পারেভজ ক্যাপ্টেন, ছাত্রনেতা ওসমান খান প্রমুখ।
তালা উপজেলা কৃষকলীগ: তালা উপজেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে পাটকেলঘাটা বাজারে বুধবার বিকাল ৪টায় গণতন্ত্রের বিজয়ের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পটকেলঘাটা পাঁচরাস্তার মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। তালা উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইন্দ্রজিৎ কুমার সাধুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, কেন্দ্রীয় সদস্য দিলীপ অধিকারী, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি স ম আতিয়ার রহমান, সরুলিয়া কৃষকলীগের আহবায়ক নজরুল ইসলাম, কৃষক নেতা বিধান দাশ, দেবব্রত দেবনাথ, লিটন মোড়ল, নাজমুল হাসান মিঠু, মনিরুজ্জামান, গোপাল দাশ, লুৎফর রহমান প্রমুখ।


জেলা যাত্রা ফেডারেশন: বুধবার সকাল ১১টায় জেলা যাত্রা ফেডারেশনের উদ্যোগে জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যাত্রা ফেডারেশনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ খালেকের সভাপতিত্বে আনন্দ মিছিল ও শহরের সিটি কলেজ মোড়স্থ পুলিশিং কমিটির কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি জেলা যাত্রা ফেডারেশনের সিনি: সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলি গাজীর পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যাত্রা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবু দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাম সানা, শংকরি হাজারি, এমএ হামিদ, ঝর্ণা, রবিন, সাহেব আলি, ভগপতি হাজারি, স্বপন কুমার মন্ডল, বাবু বিশ^ৎজিত, রেহেনা, জাহানারা, শেফালী, কবিতা, মনজু, অনিতাসহ সংগঠনের আরও অনেকে।

 


দেবহাটায় কৃষকলীগ: বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলা কৃষকলীগের আয়োজনে একটি শোভাযাত্রা ঈদগাহ বাজার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ। উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য নির্মল কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রব লিটু, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির হীম, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি গোলাম ময়নুদ্দীন, দেবহাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আহছানউল্লা কল্লোল, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য এমএ মামুন, সেলিম হোসেন, হোসেন আলী, আসলাম হোসেন বাপ্পি, আব্দুল্লাহ, ফারহাদ হোসেন, আরিবুল্লাহ গাজী, শওকাত হোসেন, তাপস কুমার পিন্টু, অশোক কুমার ঘোষ, অশিত চক্রবর্তী, শফিকুল ইসলাম খোকন, পারুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফরিজুল ইসলাম, সদস্য রবিউল ইসলাম, সৈয়দ আলী, হারীজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সাতক্ষীরায় কৃষকলীগ: ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বাবু বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সহ-সভাপতি এড. নরনারায়ন ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুর রশিদ, এড. নওশের আলী, স ম আতিয়ার রহমান, নুর আহম্মাদ লাল্টু, যুগ্ম সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন, স্থানীয় সরকার ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, ডা: রুহুল আমিন, আবুল খায়ের, জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ আ: মঈন, ওবায়দুল, প্রদীপ, বাবলুর রহমান, বাপ্পী, আদর আলী, আনছার আলী, আব্দুল বারী, রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী।

 


আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগ: বুধবার সন্ধ্যায় গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ মিছিলটি বাজার, থানা ও উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক মোড় চত্ত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শওকত হোসেন, যুবলীগ নেতা আক্তারুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন ইসলাম, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ, সাধারণ সম্পাদক তানভীর রহমান রাজ, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন, ছাত্রনেতা সাহারুল, তারিক, শাওন, শান্ত, এমদাদুল, রাফসান প্রমুখ।
কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আলিমুল রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক ও আগামি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন মাসুদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির হোসেন হেলাল, আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে, মফিজুল ইসলাম, মাস্টার হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

 


ডুমুরিয়া যুবলীগ: ডুমুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া সদরে বিজয় র‌্যালী শেষে সমাবেশে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগ নেতা মোল্য¬া সোহেল রানা, জাহিদুল ইসলাম, শেখ ইকবাল হোসেন, রবিউল ইসলাম খান আন্টু, তুষার কান্তি মন্ডল, কামরুল ইসলাম মোড়ল, খান আবুল বাসার, মেহেদী হাসান রাজা প্রসূন বিশ্বাস পম্পি, দিলীপ মন্ডল, প্রভাষক ব্রোজেন সরকার, ইকতারুজ্জামান, ইসহাক, আসাদুজ্জামান মিন্টু, রোকনুজ্জামান মন্টু, দেবাশীষ বিশ্বাস, শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
শার্শা: গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার বিকালে যশোরের শার্শা উপজেলা সদরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসময় জনসভায় রুপ নেয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শার্শা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নুরুজামান, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, চেয়ারম্যান সোয়ারাব হোসেন, আয়নাল হক, আব্দুর রশিদ, ইলিয়াজ কবির বকুল, আবুল কালাম, আব্দুল রহিম সর্দার প্রমুখ।

The post গণতন্ত্রের বিজয়ের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে বিভিন্নস্থানে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3hxFm7Y

আশাশুনির শ্বেতপুর শাখা আহলে হাদীছ যুব সংঘ কমিটি গঠন https://ift.tt/eA8V8J

বুধহাটা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির শ্বেতপুরে বাংলাদেশ আহলে হাদীছ যুব সংঘের শ্বেতপুর (১) শাখা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর মধ্যপাড়া আহলে হাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত নব গঠিত কমিটিতে ইমরান হোসেন ডালিমকে সভাপতি, আলমগীরকে সহ-সভাপতি, ওয়েস কুরুনকে সম্পাদক, রিপনকে সাংগঠনিক সম্পাদক, সোহাগ গাজীকে অর্থ সম্পাদক, কবিরুল গাজীকে প্রচার সম্পাদক, খলিলকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, ইদ্রিস সরদারকে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও মাছুদকে দপ্তর সম্পাদক করে আহলে হাদীছ যুব সংঘ শ্বেতপুর (১) শাখা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

The post আশাশুনির শ্বেতপুর শাখা আহলে হাদীছ যুব সংঘ কমিটি গঠন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2McnW4W

সাংবাদিক কাজী শওকাত হোসেন ময়নার ছোট বোনের দাফন, শোক https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ-সম্পাদক ও দৈনিক কল্যাণের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি কাজী শওকাত হোসেন ময়নার ছোট বোন রোকসানা পারভীন (৪২) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

৩০ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ৭টায় সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। বুধবার আসর নামাজ বাদ পলাশপোল চৌরঙ্গী মোড়ে বাইতুন নুর জামে মসজিদ চত্ত্বরে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী ৯ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিক উদ্দৌলা সাগর সহ স্থানীয় ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত রাজনৈতিক সামাজিক ও ব্যাবসায়িক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজ শেষে তাকে রসুলপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ-সম্পাদক ও দৈনিক কল্যাণের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি কাজী শওকাত হোসেন ময়নার ছোট বোন রোকসানা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জিএম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য।

The post সাংবাদিক কাজী শওকাত হোসেন ময়নার ছোট বোনের দাফন, শোক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/34Ub9uo

আশাশুনির আগরদাড়ী হাইস্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন https://ift.tt/eA8V8J

কুল্যা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির আগরদাড়ী রহিমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রিক আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বুধবার বিকাল ৩টায় উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী হাইস্কুলের সামনের সড়কে তিন রাস্তার মোড়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মামলা চলমান থাকা স্বত্তেও বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিয়োগে সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্যার পুত্র খায়রুল ইসলামকে নিয়োগ প্রদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আয়োগিত মাববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য প্রভাষক আব্দুল আলিম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, অভিভাবক খলিলুর রহমান, সাবেক অভিভাবক সদস্য এবাদুল ইসলাম ও আব্দুল আলিম, দরখাস্তকারী গোলাম কিবরিয়া সুজন, ওবায়দুল হক, রোকনুজ্জামান শাপলা, আছমাতুল্লাহ, অভিভাবক লুৎফর রহমান, মোশাররফ হোসেন, আব্দুল কাদের সরদার প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তাগণ, বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে গত ১৫ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে বিধি মোতাবেক অভিযোগকারীরা আবেদন করেন। কিন্তু সভাপতি নিজ পুত্রকে নিয়োগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে তাকেসহ ৭ জনের আবেদন বাতিল করেন। বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে ওবায়দুল ও এলাকাবাসীর পক্ষে আক্তারুল ইসলাম আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলাটি খারিজ হলে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে দেং আপীল ১২৬/২০ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা গৃহীত হয় এবং ধার্য দিন আগামী ৭ জানুয়ারি। মামলা চলমান থাকাকালীন সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্যা তার কম্পিউটারের দক্ষতা নেই এমন পুত্রকে নিয়োগ করিয়ে নিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পরীক্ষার দিন ধার্য করিয়েছেন। বক্তাগণ নিয়োগবন্ধ করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

The post আশাশুনির আগরদাড়ী হাইস্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2KNdkt4

সাতক্ষীরা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্যের পরিবারকে নগদ আর্থিক প্রদান https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-খুলনা-১৫৭৩) এর সদস্য সদর উপজেলা মাগুরা গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী নূর জাহান খাতুনকে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

বুধবার সন্ধ্যায় পলাশপোল খান কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন সাতক্ষীরা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী নূর জাহানের হাতে এ সহায়তার অর্থ প্রদান করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুল বারী সরদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক শিকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল করিম, আবুল কালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তপুর আলী, মফিজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার, প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক, ক্রীড়া সম্পাদক আবুল কাশেম, দপ্তর সম্পাদক আবুল খায়ের, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামসুর রহমান, সদস্য আব্দুল মজিদসহ সংগঠনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

The post সাতক্ষীরা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্যের পরিবারকে নগদ আর্থিক প্রদান appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3o2yh1B

দেবহাটা ও পাটকেলঘাটায় কম্বল বিতরণ https://ift.tt/eA8V8J

দেবহাটা প্রতিনিধি: গত কয়েকদিন যাবৎ তীব্র শীতে কাপছে হতদরিদ্র মানুষগুলো। অনেকে শীত বস্ত্রের অভাবে খুবই মানবেতরভাবে জীবনযাপন করছে। সেই অসহায়দেরকে কিছুটা শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে সাতক্ষীরা ব্লাড ফাউন্ডেশন।

 

জেলার বিভিন্ন স্থানের ন্যায় বুধবার সকালে দেবহাটায় সাতক্ষীরা ব্লাড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্ত অসহায়দেরকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা ব্লাড ফাউন্ডেশনের এডমিন মঈনুল আমি মিঠুর পরামর্শক্রমে দেবহাটার বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র বয়:বৃদ্ধ অসহায় মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণকালে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ডাবলু, সাংবাদিক আরকে বাপ্পা, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, আবুল হাসান, সাংবাদিক বাপ্পী কুমার ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই শীতে শীতবস্ত্র পেয়ে হতদরিদ্র মানুষগুলো খুবই খুশি হন।

পাটকেলঘাটা: মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গরীব অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ৩ দিনব্যাপী কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। ‘যুব স্বপ্নের বাংলাদেশ’ সংগঠনের সকল সদস্যদের একাংশের উপস্থিতিতে এ কম্বল বিতরণ কর্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘যুব স্বপ্নের বাংলাদেশ’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান শুভ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রীতম বিশ্বাস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আল জাবীর রাহী, বুলেট সদস্য নাদিয়া ইসলাম মুক্তাসহ আরও অনেকে।

The post দেবহাটা ও পাটকেলঘাটায় কম্বল বিতরণ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/34YnmhX

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল https://ift.tt/eA8V8J

নিজস্ব প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে বিজয় সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বিজয় সমাবেশ পূর্বক একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিজয় সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মোবাইল ফোনযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহীদ উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. মনসুর আহমেদ, আসাদুজ্জামান অসলে, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলামসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশীদ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ হাসিনার ১১ বছরের উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি সারাদেশে এমন জায়গায় খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রাস্তা-ঘাট, সৌর বিদ্যুৎ, উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এছাড়াও করোনাকালে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে পিছনে ফেলে সাফল্যের সাথে করোনা মোকাবেলায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ-যার থেকে শিক্ষা নিতে আগ্রহী অনেক উন্নত রাষ্ট্র। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬৮০ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। বক্তারা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

The post সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/34Xg2mG

দেবহাটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অভিযান https://ift.tt/eA8V8J

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত কুমারের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে ২ মাদকসেবীকে কারাদন্ড প্রদান এবং অন্য আর ১জনের বিরুদ্ধে গাঁজা উদ্ধারপূর্বক দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক বদরুল হাসান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ব্রিজ এলাকায় সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত কুমারের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের আমীর আলী গাজীর ছেলে মিঠু গাজী (৩৮) ও যশোর অভয়নগরের বাসুয়াড়ী গ্রামের মৃত জালাল মোড়লের ছেলে মাসুদ রানা খোকন (৪২) কে মাদক সেবনের অভিযোগে উভয়কে ১০দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোমেনা খাতুন (৪৮) এর ঘরের মধ্যে থেকে ১শত ৩৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করায় তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বদরুল হাসান জানান।

The post দেবহাটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অভিযান appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/38PaFqG

দেবহাটায় দীন ইসলাম বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক https://ift.tt/eA8V8J

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীন ইসলাম গাজীকে মনোনীত করা হয়েছে।

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাকার সভাপতি মাহবুবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে দেবহাটা উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীন ইসলাম গাজীকে মনোনীত করা হয়। জেলা নেতৃবৃন্দের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে পত্রে জানানো হয়।

The post দেবহাটায় দীন ইসলাম বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/37YzVLP

দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে গৃহবধু আহত, থানায় অভিযোগ https://ift.tt/eA8V8J

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার পল্লীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধীদের হামলায় ১ গৃহবধু আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি দায়ের করেছেন দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গাজীর ছেলে অহিদুল ইসলাম (৪২)। অভিযোগে বিবাদীরা হলেন, খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে লিয়াকত আলী (৫৫) ও একই গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫)। অভিযোগ মতে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা গত ২৯ ডিসেম্বর ২০ তারিখ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বাদীর স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৩৮) কে আক্রমন করে মারপিট করে। সেসময় কোহিনুর বেগমের ডাক চিৎকার শুনে বাদীর মেয়ে ছাদিয়া অহিদ (১৭) তার মাকে ঠেকাতে গেলে বিবাদীরা তাকেও মারপিট করে। এসময় বিবাদীরা বাদীর বসতবাড়ির পাকা প্রাচীর ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। পরে আহতদেরকে সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রেখে বাদী অহিদুল ইসলাম দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

The post দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে গৃহবধু আহত, থানায় অভিযোগ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3pANrvb