Thursday, May 28, 2020

উপকূলের ভাঙন কবলিত এলাকার একটি রাস্তাও আস্ত নেই https://ift.tt/eA8V8J


উপকূলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে পাশাপাশি আস্ত নেই একটি রাস্তাও। বাঁধ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায়। সেই সাথে পানিতে প্লাবিত হয়ে রাস্তাগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। আস্ত নেই একটি রাস্তাও। রাস্তাগুলো ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে।


উপকূলের ভাঙন কবলিত এলাকায় পিচের রাস্তা, ইটের সোলিং ও কাচা রাস্তা এক প্রকার গলে গিয়েছে। ফলে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে মারাত্মকভাবে। ভাঙন কবলিত এলাকার একেকটি গ্রাম যেনো একেকটি দ্বীপ। সড়কের যেখানে পানি উঠেনি সেখানে গরু-ছাগল আর মানুষ একসাথে বসবাস করছে। কেউ কেউ সড়কের পানিতে ভ্যান রেখে সেই ভ্যানের উপর রাত কাটাচ্ছেন।


আশাশুনির শ্রীউলা থেকে যুবলীগ নেতা তোষিকে কাইফু জানান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি নামক স্থানে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। শুধু বাঁধই ভাঙেনি, একই সাথে ভেঙেছে রাস্তাগুলো। এ ইউনিয়নে হাজরাখালি, কলিমাখালি, লাঙ্গলদাড়িয়া, মাড়িয়ালাসহ বিভিন্ন এলাকার কাচা রাস্তা ও পাকা রাস্তা ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে। যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।


একই কথা বলেন, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আশাশুনির সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট নামক স্থানে বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রাস্তগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় অস্তিত্ব সংকটে।


প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তার ইউনিয়নে বাঁধের সাথে ভেঙেছে গ্রামীন সড়ক ও রাস্তা। ভাঙন কবলিত এলাকার একটি রাস্তাও আর আস্ত নেই।
এদিকে পরিবেশবিদ ও যমুনা বাঁচাও আন্দোলনের নেতা অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, শ্যামনগর কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা, ঝাপালী, জয়নগর ও কাশিমাড়ী গ্রামসহ আশে পাশের আরো কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৪-৫ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ঝাপালি থেকে ঘোলা ত্রিমোহিনির মধ্যে এক কি.মি. বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৫ কি.মি. বাঁধ। বাঁধে স্থানীয়রা মাটি দিলেও ঢেউয়ের প্রবল চাপে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকায় এখানে পানি আটকানোর এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী ও কাশিমাড়ি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের সাথে ভেঙেছে গ্রামীন সড়ক ও রাস্তাগুলো। রাস্তাগুলো ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। বিধ্বস্থ গোটা এলাকা। যেখানে পানি উঠেছে সেখানেই ভেঙে জরোজরো হয়েছে রাস্তাগুলো। রীতিমত বাড়ি ও রাস্তার উপর চলছে জোয়ার-ভাটা।


সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিক জরিপের রিপোর্ট অনুসারে জেলায় ৮১ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ৫৬.৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

The post উপকূলের ভাঙন কবলিত এলাকার একটি রাস্তাও আস্ত নেই appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2TI1FNt

No comments:

Post a Comment