Friday, May 29, 2020

‘প্রতিশোধ নিতে’ লিবিয়াতে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা https://ift.tt/eA8V8J

লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে মিজদা এলাকায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে চারজন আফ্রিকার অধিবাসী। এ ঘটনায় আরো ১১ বাংলাদেশি আহত হয়েছে।

রাজধানী ত্রিপলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার জানিয়েছে, লিবিয়ার একজন মানব পাচারকারীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে হত্যা করা হয়েছে।

সে মানব পাচারকারী তাদের লিবিয়ার বাইরে পাঠিয়ে দেবার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এদের মধ্যে বহু বাংলাদেশীও রয়েছে।

মানব পাচারকারীদের মাধ্যমেই তারা ভূমধ্যসাগরের ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দেয়।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বহু বাংলাদেশীর সলিল সমাধিও হয়েছে।

২০১১ সালের অক্টোবরে নেটো-সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘ দিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সে বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকে।

তেল সমৃদ্ধ আফ্রিকার এই দেশটিতে একসময় জীবনযাত্রার মান অনেক উঁচু ছিল। দেশটিতে বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল।

কিন্তু মি. গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এখন ত্রিপলিতে বিভিন্ন বিবদমান গ্রুপের মধ্যে সংঘাত লেগেই আছে।

লিবিয়াতে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সরকার রয়েছে। এ সরকারের নেতৃত্বে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ-আল-সারাজ। কিন্তু দেশের অধিকাংশ জায়গায় এ সরকারের কোন কর্তৃত্ব নেই।

লিবিয়ার অধিকাংশ জায়গার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির।

১৯৬৯ সালে কর্নেল গাদ্দাফিকে ক্ষমতা দখলের জন্য সহায়তা করেন খলিফা হাফতার‍। এরপর ১৯৮০’র দশকে মি. গাদ্দাফির সাথে মতবিরোধের জেরে তিনি দেশের বাইরে নির্বাসনে যান। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যখন গণঅভ্যুত্থান শুরু হয় তখন মি. হাফতার আবার লিবিয়ায় ফিরে আসেন।

লিবিয়াতে এখন অস্ত্রের শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক লিবিয়াকে অস্ত্রের বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

The post ‘প্রতিশোধ নিতে’ লিবিয়াতে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3c8mbNr

No comments:

Post a Comment