Friday, May 1, 2020

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’, বাড়বে বৃষ্টি https://ift.tt/eA8V8J

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় আসছে। তার নাম ‘আম্ফান’। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল শনিবার সক্রিয় হতে পারে।

এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ স্থানে আজ শুক্রবার বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতও হতে পারে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এদিন রাজধানীতে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সেই তুলনায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি ভালোই হয়েছে। আজও সকালে রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বৃষ্টি বাড়তে পারে। আর শুক্র বা শনিবারের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সব লক্ষণ আছে।

বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের মধ্যে আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। যা দুই–তিন দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিণত হবে।

৩০ এপ্রিলের কাছাকাছি সময় দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছের স্থানে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ শনিবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিণত হতে পারে। এটি ৩ থেকে ৫ মে তারিখের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার–চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ৫ থেকে ৭ মে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেযে বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তবে এটি কোন দেশের উপকূলে আঘাত করবে সেটি এখনই বলা মুশকিল। তাদের দাবি, ভারতের আন্দামান সাগরে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে।

উল্লেখ্য, ‘আম্ফান’ হতে যাচ্ছে করোনাকালের প্রথম একটি ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে থাইল্যান্ড।

The post আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’, বাড়বে বৃষ্টি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2VPQLXo

No comments:

Post a Comment