মাওলানা মো: ওবায়দুল্লাহ
(২৪ তম পর্ব)….
প্রতিবেশির সামাজিক অধিকার সংরক্ষণে মুহাম্মদ (সা:) এর দর্শন: পৃথিবীতে মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্ব, শান্তি, শৃংখলা প্রতিষ্ঠার একমাত্র অগ্রদূত যিনি পৃথিবীবাসির জন্য রহমত হিসেবে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রেরিত হয়েছেন তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন বিশ্ব শান্তির মহানায়ক ও দিকপাল, সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সমাজ বলতে সাধারণত সংঘবদ্ধ জনসমষ্ঠিকে বোঝায়। আর সংঘবদ্ধ জনসমষ্ঠির ক্ষুদ্রতম ইউনিট হলো পরিবার। ইসলামিক সংস্কৃতিক পরিমন্ডলে পাশাপাশি অবস্থানরত আত্মীয়-অনাত্মীয় মুসলিম ও অমুসলিম পরিবারগুলো নিয়ে প্রতিবেশি গঠিত হয়। ভৌগলিক অঞ্চলভেদে রাষ্ট্রের প্রতিটি সামাজিক ইউনিটে প্রতিবেশির মধ্যে যদি ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা, উদারতা সর্বোপরি একজন আরেক জনের প্রতি যখন সহমর্মিতার হাতকে প্রশস্থ করে তখনই কেবলমাত্র একটি কল্যাণ রাষ্ট্র ও শৃংখলাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অগাস্ট কোঁৎ যেখানে ১৮৩৯ সালে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের প্রবর্তন করেন, সেখানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (৬১০-৬৩২) ইংরেজি সালের মধ্যে পৃথিবীবাসিকে আধুনিক কল্যাণমুখী ও প্রতিবেশির সামাজিক অধিকার সংরক্ষণে একটি চূড়ান্ত মানবিক দর্শন পেশ করেছেন যা মানবতার ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে আজও দেদ্বীপ্যমান। প্রতিবেশির সামাজিক অধিকার সংরক্ষণে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ধরণের কল্যাণমুখি দর্শন পেশ করেছেন। তদ্রুপভাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকাল পরবর্তী থেকে আজ অবধি কোনো মানুষের পক্ষে সেই ধরণের কল্যাণমুখি দর্শন পেশ করা সম্ভব হয়নি। নি¤েœ কুরআন-সুন্নাহ থেকে বিশ্বনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেশির সামাজিক অধিকার সম্পার্কিত দর্শনগুলো স্ববিস্তারে আলোকপাত করা হলো। প্রতিবেশি ও মানুষের সামাজিক অধিকার সংরক্ষণে আল কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে একমাত্র মনোনিত দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থার নাম হলো ইসলাম। সুত্র: সুরাহ ইমরান: ১৯। সুরাহ মায়েদা ৩নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-“আজ আমি (ইসলামকে) জীবন ব্যবস্থারুপে পরিপূর্ণ করেদিলাম। এবং আমার নেয়ামত তথা অনুগ্রহ, প্রাচুর্যকে তোমাদের উপর সম্পূর্ণ করেদিলাম। আর ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থারুপে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করলাম। সুরাহ ইমরানের ৮৫ নং আয়াতে ইসলামই কেবলমাত্র আল্লাহর মনোনিত দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা তার স্বপক্ষে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন ঠিক এভাবে-“আর যে ব্যক্তি (পৃথিবীতে জীবন পরিচলনার জন্য) ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীনকে অনুসন্ধান বা তালাশ করে। অতঃপর (আল্লাহ তায়ালা) তাঁর কাছ থেকে ইসলাম ভিন্ন অন্য দ্বীনকে গ্রহণ করবেন করবেন না। অবশেষে সে ব্যক্তি আখিরাতের জীবনে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” বিশ্ব নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব, সার্বভৌমত্ব, সকল শক্তির মূল উৎস যে মহান মালিকের আপন কুদরাতে পরিচালিত হচ্ছে সেই মহান মালিকই হবেন মানবতার প্রত্যেকটি বিষয়ের একমাত্র সঠিক পথনির্দেশক। অনুরুপভাবে মানুষের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক পরিমন্ডলে চলার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আল কুরআন নামক এক হেদায়াতের নুর ও জীবন ব্যবস্থারুপে করেছেন নির্ভুল এবং অসংশোধনযোগ্য মহা সংবিধান। আল কুরআন নামক এই মহা সংবিধানকে মানুষের কখনো পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না যেহেতু সেটি ত্রুটিহীন নির্ভুল এক মহাগ্রন্থ।
সমাজের নয় শ্রেণির মানুষের অধিকার সংরক্ষণের নীতিমালা: আল কুরআনের সুরাহ নিসার ৩৬নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাঁর প্রতি শিরকমুক্ত ইবাদত সম্পাদনের পরে সমাজের নয় শ্রেণি মানুষের সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করার কড়া তাগিদ প্রদান করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে-“আর তোমরা (একমাত্র) আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাঁর (উলুহিয়্যাত, রুবুবিয়্যাত, আসমাঈ ওয়া ছিফাতের) সাথে কাউকে শিরক তথা অংশীস্থাপন করো না।
নয় শ্রেণির মানুষের অধিকার: (১) আর পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করো, (২) নিকট আত্মীয়ের অধিকার নিশ্চিত করো, (৩) ইয়াতিমের অধিকার নিশ্চিত করো, (৪) মিসকিনদের অধিকার নিশ্চিত করো, (৫) নিকট আত্মীয় মুসলিম, কাছের প্রতিবেশির অধিকার নিশ্চিত করো, (৬) দুরতম অনাত্মীয় মুসলিম (ও ভিন্নধর্ম অবলম্বী প্রতিবেশি এবং সফরসঙ্গীর) অধিকারকে নিশ্চিত করো, (৭) একই সাথে কর্মস্থলে যাদের পাশাপাশি অবস্থান করো তাদের অধিকারকে নিশ্চিত করো, (৮) পথচারী (অসহায় ব্যক্তির) অধিকারকে নিশ্চিত করো, (৯) আর তোমাদের ডান হাত যার মালিকানা অর্জন করেছে অর্থাৎ তোমাদের দাসদাসি ও কর্মচারীবৃন্দ, তাদের অধিকারকে নিশ্চিত করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে ভালোবাসেন না।” আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানীগণ এভাবে সর্বস্তরের মানুষের জন্য অধিকার নিশ্চিত কল্পে কোনো বিধান প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়নি। অথচ দেড় হাজার বছর আগে বিশ্বনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল কুরআনের উক্ত বিধানকে বাস্তবায়ন করে সারা দুনিয়াবাসিকে দেখিয়ে গেছেন। সুতরাং মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ বিজ্ঞানী হলেন বিশ্বনাবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
প্রতিবেশির অধিকার সংরক্ষণে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নায় যেভাবে বর্ণিত হয়েছে: যারা আমাদের বাড়ির আশে পাশে বসবাস করে তারাই আমাদের প্রতিবেশি। প্রখ্যাত তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী (রহ:) বলেন: তোমার বাড়ির সামনের, পিছনের, ডানের এবং বামের ৪০ বাড়ি তোমার প্রতিবেশি। অপরদিকে ইমাম জুহুরি (রহ:) বলেন: তোমার চার পাশের ৪০ গজের মধ্যে যারা আছে তারাই তোমার প্রতিবেশি। উল্লেখ্য যে, এখানে ৪০ বাড়ি কিংবা ৪০ গজের মধ্যে অবস্থানরত মুসলিম আত্মীয়-অনাত্মীয় ও কাফের (ভিন্ন ধর্মাবলম্বী) সকলেই প্রতিবেশির অন্তুভুক্ত হবেন। সুত্র: তাফসিরে রুহুল মা’আনি, বিষয় ভিত্তিক কুরআন মাজীদ: মাওলানা আ. খ. ম আবু বকর সিদ্দীক; পৃষ্ঠা: ১৪। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে নববীতে প্রতিবেশীর অধিকারের বিষয়ে অসংখ্য হাদিস সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেমন: “হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আল্লাহর শপথ! সে মুমিন নয়, আল্লাহর শপথ! সে মুমিন নয়, আল্লাহর শপথ! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হলো হে আল্লাহর রাসুল! কে সেই ব্যক্তি? তিনি বলেন যার অনিষ্ট বা ক্ষতির হাত থেকে তার প্রতিবেশি নিরাপদ নয়।” সুত্র: বুখারি: ৬০১৬, মুসলিম: ৪৬। প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে পরোকালের জবাবদিহিতার ভয় অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে লালন করে। যেহেতু মুমিন পরোকালে বিশ্বাস করে সেহেতু সে তার প্রতিবেশির হক্ব কখনো নষ্ট করবে না। অতএব, যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশির অনিষ্টের কারণ হবে সে মুমিন নয় যা উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। প্রতিবেশির মর্যাদার ব্যাপারে বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে ঠিক এভাবে-“ইবনে উমার ও আয়িশা (রা:) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জীবরীল (আ:) এসে আমাকে প্রতিবেশির ব্যাপারে অবিরত উপদেশ দিতে থাকলেন, এমনকি আমার মনে হলো, হয়ত তিনি প্রতিবেশিকে (আমার) ওয়ারিশ বানিয়ে দেবেন।” সুত্র: বুখারি: ৬০১৪, মুসলিম: ২৬২৪। আবু হুরায়রা (রা:) এর সুত্রে আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-“রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে; সে যেনো তার প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে; সে যেনো তার মেহমানের আদর আপ্যায়ন করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে; সে যেনো (মানুষের ব্যাপারে) ভাল কথা বলে অথবা নীরব থাকে।” সুত্র: বুখারি: ৬০১৮, মুসলিম: ৪৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমারের (রা:) বাড়িতে একবার একটি বকরি জবেহ করা হলো তখন তিনি কয়েকবার তাগিদ প্রদান করলেন যে, আমার ইহুদি প্রতিবেশির কাছে গোশত হাদিয়া পাঠানো হয়েছে কিনা? সুত্র: তিরমিযি। এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, প্রতিবেশি যদি ভিন্নধর্মেরও হয় তবুও তাদের সাথে কোমল ব্যবহার করার পাশাপাশি উত্তম বস্তু হাদিয়া প্রেরণ করতে হবে। প্রতিবেশিকে খাদ্য প্রেরণ করার ব্যাপারে মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত আছে-“ হযরত আবু যার (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: হে আবু যার যখন তুমি তরকারি পাকাও, তাতে একটু বেশি পানি দিয়ে ঝোল বাড়াও এবং তোমার প্রতিবেশির নিকটে পৌছিয়ে দাও।” সুত্র: মুসলিম: ২৬২৫, আদাবুল মুফরাদ: ১১৪। যখন নিজের কাছে হাদিয়ার পরিমাণ অত্যন্ত স্বল্প থাকবে তখন প্রতিবেশির মধ্যে কোন প্রতিবেশি হাদিয়া পাওয়ার অধিক হকদার হবে? উত্তরে সহীহ আল বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে ঠিক এভাবে-“ আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসুল! আমার নিকট দু’জন প্রতিবেশি আছে, আমি কাকে হাদিয়া পাঠাবো? (নবীজী সা:) বললেন, তাদের উভয়ের মধ্যে যার ঘর তোমার সবচেয়ে নিকটে। অর্থাৎ যার ঘর সবচেয়ে তোমার দরোজার নিকটে অবস্থিত তাঁর কাছে হাদিয়া প্রেরণ করবে।” সুত্র: বুখারি: ২২৫৯, মুসনাদে আহমাদ: ৬/১৬৫। সবচেয়ে উত্তম প্রতিবেশি কে? জবাবে সুনানে তিরমিযিতে একটি হাদিস বর্ণিত আছে যে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বন্ধুদের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কাছে উত্তম বন্ধু ঐ ব্যক্তি যে তাঁর বন্ধুর কাছে উত্তম। আর প্রতিবেশির মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কাছে উত্তম প্রতিবেশি ঐ ব্যক্তি যে তাঁর প্রতিবেশির (কল্যাণকামী) কাছে উত্তম। সুত্র: আদাবুল মুফরাদ: ১১৫, তিরমিযি: ১৯৪৪, মুসনাদে আহমাদ: ২/১৬৭।
প্রতিবেশির হক্ব বিনষ্টকারীদের পরিণতি: এই সম্পর্কে মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে-“হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি যার কথা উল্লেখ করে লোকটি বললো; সে তাঁর নামাজের ব্যাপারে অধিক মনোযোগি, বেশি বেশি রোজা পালন করে এবং বেশি বেশি দান সাদকা করে কিন্তু প্রতিবেশিকে সে তাঁর জিহ্বা দ্বারা কষ্ট দেয়। নবীজী (সা:) বললেন, লোকটি (একারণে) জাহান্নামে যাবে।” মুসলিম শরিফের অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, যার প্রতিবেশি তার মন্দত্ব ও অনিষ্ট থেকে নিরপদ নয় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সুত্র: আদাবুল মুফরাদ: ১২১, মুসলিম: ৪৬। প্রতিবেশির হক্ব সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ইমাম কুরতুবী (রহ:) স্বীয় তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন-“হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা:) বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! প্রতিবেশির হক্ব কি? তিনি বললেন: (১) সে ঋণ চাইলে তাকে ঋন দিবে। (২) সে সহযোগিতা চাইলে তাকে সহযোগিতা করবে। (৩) সে অভাবী হলে দান করবে। (৪) সে মারা গেলে তাঁর দাপন কার্য করবে। (৫) প্রতিবেশির কোনো কল্যাণ হলে খুশির ভাব প্রকাশ করবে। (৬) প্রতিবেশির কোনো অকল্যাণ হলে তাকে সান্তনা দিবে। (৭) তোমার পাত্রের খাবার তাকে না দিলে উচ্ছিষ্ট দেখিয়ে অহেতুক কষ্ট দিবে না। (৮) প্রতিবেশির অনুমতি না নিয়ে বাড়ি এমন উঁচু করবে না যাতে তার বাতাস বন্ধ হয়ে যায়। (৯) যদি কোনো ফল ক্রয় করো তবে তাকে কিছু হাদীয়া দাও। নতুবা গোপনে ঘরে নিয়ে যাও এবং তোমার সন্তুানরা যেন তার কোন অংশ নিয়ে বের না হয় যাতে প্রতিবেশির সন্তানরা কষ্ট পায়। তোমরা কি আমার কথা বুঝেছ? অতি অল্প ব্যক্তিই প্রতিবেশির হক আদায় করে থাকে।” সুত্র: তাফসিরে কুরতুবী: ৬/৩১১। হে আল্লাহ! তোমার কাছে মস্তক অবনতচিত্তে ক্রন্দনরত হয়ে এই ফরিয়াদ জানাই যে, আমাদের সকলকে প্রতিবেশির উপরিউল্লিখিত হক আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং জান্নাতবাসি হিসেবে কবুল করুন, আমিন। চলবে…। লেখক: ইসলামী গবেষক
The post প্রতিবেশির অধিকার সংরক্ষণে মুহাম্মদ (সা:) এর দর্শন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3wtCeky
No comments:
Post a Comment