Tuesday, June 2, 2020

মানব জীবন কিছু সময় যেন গোলক ধাঁ ধাঁ https://ift.tt/eA8V8J

“কপাল ভিজে গেল নয়নের জলে”এ কথা বলা মাত্রই শ্রেণিতে হাসির রোল পড়ে গেল। সবাই ভাবছে পন্ডিত স্যারের আজ কি হল উল্টাপাল্টা (69)বলছে। কপাল উপরে, নয়ন নীচে কি ভাবে ভিজবে? স্যার পাঠদানের শুরুতে কৌশলের সাথে Tips দিয়ে Brain Storming করাচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি শতাধিক Tips শেখার। একজন শিক্ষার্থী বাক্যটি সঠিক কি না? জানতে চাওয়া মাত্রই স্যার বললেন” বাক্যটি অর্ধেক সঠিক” তবে পরের বাক্যটি হবে “তখন পা দুটো বাধা ছিল গাছেরই ডালে”। সবাই তখন লা জওয়াব এবং বিভ্রান্তি দূর হল। স্যার ছিলেন চালাক (Clever) কিন্তু দুষ্টু চালাক (Cunning) নয়। শিক্ষার্থীরা দুটোই। আর এভাবেই তারা শিখে। অবশ্য বয়স একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। সব ঝিনুকে মুক্তো মিলে না তবে যিনি মুক্তো সংগ্রহ করেন তিনি সবই কুড়ান। ঠিক মত যতœ করেন যেন ধুলো-বালিতে নষ্ট না হয়। টিন এজ কালে (কেউ কেউ সারাজীবন) তারা থাকে রঙিন জগতে। এ সময় তাদের মন মেজাজ ওঠানামা করে। তারা নিজেদের অনেক কিছুই ভাবে। তাদের আচার আচরণে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। কাউকে না মানার মনোভাব তাদের মধ্যে প্রচন্ড ভাবে জেগে ওঠে। তাদের সেই বিপদগামী বয়সে আমাদের যতœবান হতে হবে। গত বছর যদি কেউ আমাদের বলতেন” আগামি বছর সবাই মুখে মাস্ক পরবে, কমপক্ষে তিন ফুট দূরে দূরে থাকতে হবে, হাত মিলানো বা কোলাকুলি করা যাবে না, কোটি কোটি লোক কর্মহীন হবে, সরকার অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিবে, রোগীর ভুলে ডাক্তার মারা যাবে, রাজা মহারাজারা স্বেচ্ছায় দ্বীপান্তরে যাবে, প্রবাস ফেরত সাথে দূরত্ব তৈরি হবে” এ কথাগুলো বিভ্রান্তি তৈরি করে তাঁকে পাবনার হেমায়েতপুরে পাঠানোর দাবী উঠত। কিন্তু আজ তা অপ্রিয় সত্য। আগামীতে নতুন প্রজন্মের জ্ঞানের পরিধি আরোও বেড়ে যাবে। তারা ভাববে মহামারীতে কোন ব্যবসা বাণিজ্য চলবে, চলবেনা। এর সাথে কোন চাকুরীতে ভালো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় গুলোকে নিয়ে অধিক সচেতন থাকবে। আপাতত আমাদের আফ্রিকান প্রবাদের মত চলতে হবে। সেখানে প্রতিদিন একটি হরিণ জাগছে। সে জানে সবচেয়ে দ্রুতগামী সিংহের চেয়ে তাকে দ্রুত দৌড়াতে হবে নইলে তাকে মরতে হবে। আর অন্যদিকে প্রতিদিন সকালে একটি সিংহও জাগছে। সে জানে সবচেয়ে ধীরগতি হরিণের চেয়ে দ্রুত না দৌড়ালে তাকে না খেয়ে মরতে হবে। আপনি হরিণ না সিংহ সেটা আমি জানি না। তবে ভাইরাসের সাথে প্রতিযোগিতা মানে Survive, Self Anti Body তৈরি করে বা স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে আপাতত অচেনা ভবিষ্যৎ এর দিকে সবাইকে চলতে হবে। WHO বলছে Full Lock Down উড়হি কিন্তু সব সরকার জীবনের সাথে জীবিকা, অর্থনৈতিক ধস, বিরোধীদলের বক্তব্য তথা সফলতা ব্যর্থতার প্রশ্ন সহ সবদিক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি শব্দটি সবচেয়ে আজ বেশি ব্যবহার হচ্ছে।এ রকম জটিল পরিস্থিতিতে CONFUSED হওয়া স্বাভাবিক। তবে সরকারের সকল সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানাই।এখন আমরা দুচোখ দিয়ে দুভাবে দেখছি। আবার গভীর ভাবে ভাবছি, কি করবো বা কি করা উচিত? চোখে মুখে প্রবল ঘোর কাজ করছে। প্রতি সময়ে ভাবছি জীবনের সব কালো কবে আবার আলোকিত হবে। কেন জানি দু’নয়ন দিয়ে এক রকম দেখি না। বিভ্রান্তি আমাকে এবং সবাইকে গ্রাস করে ফেলেছে। আপনার অবস্থা কি খুব জানতে ইচ্ছে করছে? ঠিক যেন ছবিটির মত, ডান পাশে “তিন”, আর বাম পাশে”চার”।

লেখকঃ মোঃ কায়ছার আলী, শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
০১৭১৭-৯৭৭৬৩৪, kaisardinajpur@yahoo.com

The post মানব জীবন কিছু সময় যেন গোলক ধাঁ ধাঁ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3dpJtjt

No comments:

Post a Comment