Monday, September 27, 2021

আইনে শ্রম ঘন্টা থাকলেও প্রয়োগ নেই  https://ift.tt/eA8V8J

ইব্রাহিম খলিল: অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের চুক্তিপত্র, পরিচয়পত্র, নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নেই। জেলার বিভিন্ন হোটেল এবং রোস্তরাঁয় ভোর থেকে গভীর রাত তরকারি কাটা ধোয়া রান্না করে যে বেতন পান। একজন পুরুষ বাবুর্চি তার অর্ধেক সময় কাজ করে তার দ্বিগুন বেতন পান। নারী শ্রমিকের নেই শ্রম ঘন্টা। মাতৃত্বকালীন ছুটি নেই। নেই আলাদা বাথরুম। পুরুষ শ্রমিক নারী শ্রমিকের বাথরুম একটি হওয়া পড়তে হয় চরম বিপাকে।

হোটেল-রেস্তÍরাঁ কাজ করতে করতে নারীদের হাতে ঘা হয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারীই স্বামী পরিত্যক্তা। পুরুষ শ্রমিকরাও তাদের ন্যায্য মুজুরী থেকে বঞ্চিত হন। শহরের সকল অপ্রতাষ্ঠানিক খাতের নারীদের কর্মক্ষেত্রের চিত্রই একই। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৮ নং লক্ষ্য সবার জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করার কথা থাকলেও সেটা কেউ মানছেন না। শ্রমিকরা তাদের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন না।

সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় অনেক শিশু শ্রমিক হোটেল, লেদ, ওয়েল্ডিং, মটর গ্যারেজ, গৃহ নির্মাণ, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু পরিশ্রম করেও পায় না তাদের ন্যায্য বেতন। নেই ছুটি নেই কর্মঘন্টা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মুহুর্তে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার নির্মাণ শ্রমিক, মটর শ্রমিক, রং পালিশ, টাইলস, ইটভাটা, বেকারী, মটর মেকানিক, হোটেল-রেস্তেরাসহ বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের একই চিত্র।

জাতীয় শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, দৈনিক সর্ব্বোচ্চ ৮ কর্মঘন্টা এবং সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ ৪৮ কর্মঘন্টা কাজ করবে। তবে আইন থাকলেও মানছে না মালিকপক্ষ। এদিকে আইনের কোন প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। যেসব শ্রমিকের হাত ধরে এই প্রবৃদ্ধি, সেই শ্রমিকদের শ্রম অধিকার আজ নানাভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

জেলায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্ম পরিবেশ বিষয়ে কেউ মানেনা এবং প্রশসানের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তদারকি দেখা যায় না।কর্মক্ষেত্রে নারীদের সাথে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, যৌন হয়রানির মতো ঘটনা। শ্রমিকদের জন্য উৎসব ভাতা, শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, নারী শ্রমিকদের প্রসূতি ছুটির কথা থাকলেও তার একটিও উপস্থিত নেই।

এই খাতের ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিককে এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। পদোন্নতির পাশাপাশি বৈষম্য রয়েছে মজুরির ক্ষেত্রে। এই খাতে কর্মরত বেশিরভাগ নারী শ্রমিক মজুরি বৈষম্যের শিকার। শোভন কাজ হলো যেখানে নারী পুরুষের সমান অধিকারের পাশাপাশি নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সুবিচার ও শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার আছে।

এটি নিশ্চিত করতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী। এটি বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে শ্রমিক, মালিক, আইন প্রয়োকারী সংস্থার সমন্বয় ঘটিয়ে শ্রমিকের অধিকার ও শোভন কাজের প্রতিফলন ঘটনাতে হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, আমি বিভিন্ন জায়গায় কাজের মাধ্যমে দেখেছি নারী শ্রমিক মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্চে। পুরুষ ও নারি এক সাথে কাজ করে তবে পুরুষের বেতন বেশি নারীদের কম। শোভন কাজ হলো যেখানে নারী পুরুষের সমান অধিকারের পাশাপাশি নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সুবিচার ও শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার আছে। হোটেল-রেস্তÍরাঁ কাজ করতে নারী শ্রমিকরাও তাদের নায্য মুজুরী থেকে বঞ্চিত হন।

The post আইনে শ্রম ঘন্টা থাকলেও প্রয়োগ নেই  appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3iewyoV

No comments:

Post a Comment