Monday, September 27, 2021

সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসায় অবৈধ শিক্ষককে পদোন্নতির পায়তারা https://ift.tt/eA8V8J

ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্ত সহকর্মীগণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসার অবৈধ শিক্ষককে পদোন্নতির পায়তারা শুরু হয়েছে। যেকারণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই মাদরাসার ক্ষতিগ্রস্ত সহকর্মীরা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদরাসার আরবী প্রভাষক মো: হাফিজুর রহমানের নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি মর্মে তদন্ত রিপোর্ট রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় মামলাও চলছে। তাই সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদরাসার সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বিষয়টি অধিক তদন্তের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়াকে পত্র প্রেরণ করেছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ জুন এলাকাবাসীর পক্ষে সাতক্ষীরার সাবেক পৌর কমিশনার মো: অজিহার রহমান সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক বরাবর এক অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদরাসার আরবী প্রভাষক হাফিজুর রহমানকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারণ মাদরাসাতে আরবি প্রভাষকের প্রাপ্যতা নেই। এ কারনে তার বেতন-ভাতাদি বন্ধ ও আইনানুগ ব্যবস্থা এবং সরকারী অর্থ আত্মসাৎ রোধ করা আবশ্যক। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৪-০৪-২০১৪ তারিখে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিবি খাদিজা উক্ত অভিযোগের তদন্ত করেন এবং ৩৭.৪৪,৮৭০০.০১০.০৩.০১৩,১৪-০২ নং স্মারকে বিগত ০১-০১-২০১৫ ইং তারিখে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত ২৪-০৩-২০১৩ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন পরিপত্র জারী হয় এবং উক্ত পরিপত্র অনুযায়ী আরবী প্রভাষকের প্রাপ্যতা থাকে ৪জন। তাই প্রভাষক মো: সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক মো: রায়হানুল কবীর, প্রভাষক মো: অহিদুজ্জামান এবং প্রভাষক মো: আমির আলীসহ মোট ৪জন আরবী প্রভাষক কর্মরত থাকায় উক্ত পদে নতুন প্রভাষক হিসেবে মো: হাফিজুর রহমানকে ০১-১২-২০১৩ তারিখে নিয়োগ প্রদান বিধি সম্মত হয়নি মর্মে তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

বিষয়টির সাথে সরকারি অর্থ জড়িত থাকায় সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদরাসার সভাপতি ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বিগত ৮.৪.২০১৫ তারিখে নিয়োগের বৈধ্যতা সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরর চ্যান্সেলরকে পত্র প্রেরণ করেন।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে উক্ত প্রভাষক হাফিজুর রহমানের নিয়োগের বৈধতা সম্পর্কে বিভাগীয় মামলা তদন্তাধীন আছে বলে জানাযায়।

সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় বর্তমানে ১২ জন প্রভাষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২জন সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। বাকি প্রভাষকদের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ৪ জন সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার দাবিদার। উক্ত ৪ জনের মধ্যে নিয়োগকালীন সময়ে মাদ্রাসার আরবী প্রভাষকের প্রাপ্যতা না থাকা স্বত্তে¡ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তির যোগসাজসে অর্থের বিনিময়ে গত ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে মো: হাফিজুর রহমানকে আরবী প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় মর্মে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যা বর্তমান সময় পর্যন্ত তদন্তাধিন। সর্বশেষ ওই মাদরাসার প্রভাষক মো: ইউনুছ আলী ও প্রভাষক আওছাফুর রহমান গত ২০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করে এসব অভিযোগের বর্ণনা পেশ করেন। সংসদ সদস্য বিষয়টি বিবেচনার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরন করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে ওই হাফিজুর রহমান বিগত ২০০৯ সালে সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় যোগদান করে বিরতিহীন ভাবে ২ বছর যাবত শ্রেণি পাঠদান অব্যাহত রাখেন এবং পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলনও করেছেন। অবৈধভাবে নিয়োগ পাইবার পরে গত মে ২০১৪ সালে এমপিও তে তার বেতন-ভাতাদি সংযুক্ত হয় এবং অদ্যাবধি অবৈধভাবে তিনি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন।

উক্ত হাফিজুর রহমান সংশ্লিষ্ট পদের মূল প্রথম এমপিও কপি উপস্থাপন না করে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তারিখের সংশ্লিষ্ঠ পদে এমপিও হওয়ার তথ্য দেখাচ্ছেন। এই রূপ ভুয়া, মিথ্যা, ফটোকপি উপস্থাপন করে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপও করছেন।

অভিযোগকারিরা জানায়, প্রভাষক মো: হাফিজুর রহমানের নিয়োগের বৈধ্যতা অদ্যাবধি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এমতাবস্থায় যার নিয়োগই এখনও প্রশ্নবিদ্ধ তিনি কিভাবে সহকারি অধ্যাপক হবেন?। জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেসিনেরর এক নেতা জানান, হাফিজুর রহমান যেহেতু বিতর্কিত, সেহেতু তাকে বাদ দিয়ে বাকি ৩ জন প্রভাষকের পদোন্নতি বা সহকারি অধ্যাপকের স্কেল প্রাপ্তিতে কোন বাধা থাকার কথানয়। বিষয়টির দ্রæত সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জেলা প্রসাশকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

The post সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসায় অবৈধ শিক্ষককে পদোন্নতির পায়তারা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3orrD8f

No comments:

Post a Comment