Thursday, September 2, 2021

শ্রীউলায় বাস্তুহারা ১৯ পরিবারের ২বছর ধরে মানবতার জীবন যাপন https://ift.tt/eA8V8J

আরিফুজ্জামান আপন: খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভাঙনে ১৯ পরিবারের বসত ভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারা থাকেন সাইক্লোন শেল্টার, নদীর চর ও খোলা আকাশের নিচে। ২০২০ সালে আ¤পানে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালি-মাড়িয়ালা নামক স্থানে নদীনে বাঁধ ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রায় ১বছর পরে বাঁধ নির্মাণ হলেও মাড়িয়ালা গ্রামের দরিদ্র ১৯ পরিবারের ভিটেমাটি, বাড়ি সবই চলে গেছে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে।

পত্রদূতের অনুসন্ধানে জানা যায়, সবাই বাড়ি ফিরলেও মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ৭, মাড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ এবং খোলা আকাশের নিচে ও নদীর চরে থাকেন ৮ পরিবারসহ মোট বাড়িহারা ১৯ পরিবার প্রায় ২বছর ধরে মানবতার জীবন যাপন করছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন মাড়িয়ালা গ্রামের সুরমান গাজীর ছেলে আমিন গাজী (৬০), নূরমান গাজীর ছেলে সিরাজুল গাজী (৫০), মৃত মরহুম মোড়লের ছেলে সাত্তার মোড়ল (৪০), শহিদুল মোড়ল (৫৫), গফফার মোড়ল (৩৫), বাবুর আলী গাজীর ছেলে খোকন গাজী (৪৫), গয়জদ্দীন মোড়লের ছেলে শফিকুল মোড়ল (৬৫), আবু বক্কর সিদ্দিক (৭০), বাশারাত গাজীর ছেলে আশারুল গাজী (৪০), আমিরুল ইসলাম(২১), রশিদ সানার স্ত্রী বেগম খাতুন (৬৫), পরিতোষ মন্ডলের ছেলে রবিন মন্ডল (৪৫), সুদা সরদারের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ সরদার(৫০), বদর মন্ডলের ছেলে অতুল মন্ডল(৬০), সুধান্য সরদারের ছেলে সঞ্চয় সরদার (৪৫), চারু সরদারের ছেলে হরিচরণ সরদার (৬০), রহমান সরদারের ছেলে দাউদ সরদার (৬৫), ফজলুর জর্দ্দারের ছেলে অলিল জর্দ্দার (৫৫), সায়েদুল্লাহ গাজীর মেয়ে নূরজাহান (৪০)।

ভুক্তভোগী খোকন গাজী বলেন, অনেকের কাছে লিখিত আবেদন দিয়ে ছিলাম কিন্তু তাতে তো কিছু হলো না। আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস রত নূরজাহান বলেন, ১০ বছর ধরে স্বামী রেখে নিরুদ্দেশ ঘরবাড়ি নেই, কোথায় যাবো। শফিকুল মোড়ল বলেন, আমি দিনমজুরি করি, কোন জমি জায়গা নেই, জমি বা বাড়ি বানানোর টাকা ও নেই। আমাদের সরকার বা কোন সংস্থা সহযোগিতা করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। মুসলিমা খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর জায়গায় বসবাস করে আসছিলাম কিন্তু হঠাৎ আমাদের ঘরবাড়ি নদীর মধ্যে চলে গেছে। বাড়ি করার জায়গাও নেই, টাকাও নেই। সরকার যদি কোন সহযোগিতা করতো তাহলে আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করতে পারতাম। অতুল মন্ডল বলেন, আমার ভাঙা ঘরটা নদীর চরে পড়ে গেছে। রাতে ঘুমাতে পারিনা। কখন জোয়ারের পানিতে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী বলেন, বাড়ি হারা কিছু পরিবার আশাশুনি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) শাহিন সুলতানা সশরীরে এসে কিছু জমি বালু ভরাট দিয়ে ৮ পরিবারকে জায়গা করে দেন। তিনি খাস জমি খোঁজ করছেন। কিছু পরিবার এখনও সাইক্লোন বা স্কুলে থাকে। সবাই যাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পায় সেজন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তারা অবশ্যই ঘর পাওয়ার যোগ্য। আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন। আশাশুনি সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) শাহিন সুলতানা বলেন, এ ব্যাপারে ইউএনও’র সাথে কথা বলেন, তিনি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খান বলেন, এটা আমি আসার আগের ঘটনা। আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

The post শ্রীউলায় বাস্তুহারা ১৯ পরিবারের ২বছর ধরে মানবতার জীবন যাপন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mZILRq

No comments:

Post a Comment