এসএম বাচ্চু: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ, রুটিন মেইনট্যানেন্স ও আসবাবপত্র মেরামতের টাকা কাজ না করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বিদ্যালয়টির সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহার বিরুদ্ধে। টাকা আত্মসাৎ করায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ বলা হয়েছে, তালা উপজেলার ২০২নং পূর্ব জেয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদস্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা প্রাক-প্রাথমিক সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকা, স্লিপ এর ৫০ হাজার টাকা, ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লক্ষ টাকার কাজ না করে আতœসাৎ এবং পুনরায় প্রদানকৃত ¯িøপ এর ৫০ হাজার টাকা ও রুটিন মেইনট্যানেন্স এর ৪০ হাজার টাকার কোন প্রকারের কাজ না করে টাকা উত্তোলন করেছেন অবসরে যাওয়ার আগে। এসব টাকা বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টতার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক গোপনে এসব টাকা উত্তোলন করে কোনো কাজ ছাড়াই সমূদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য প্রাপ্ত ২ লক্ষ টাকার মধ্য শুধু মাত্র বিল্ডিং সামান্য কয়েক স্থানে রং করেছেন তিনি। বাকি টাকা নিজের পকেটে ভরে ফেলেছেন শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা। এছাড়া স্কুলে আসবাবপত্র মেরামত ও ¯িøপের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কোন হিসেব দিয়ে যাননি দিলীপ কুমার সাহা।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) গোলক বিহারী মন্ডল বলেন, দিলীপ মাস্টার অবসরে যাওয়ার কারণে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি আমি। তবে ফাইলপত্র ও খাতা ঘেটে দেখি প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ঘাপলা হয়ে পড়ে আছে। কয়েকদিনের মধ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, বেঞ্চ ও আসবাবপত্র অধিকাংশ ভাঙা ও নষ্ট হয়ে পরে আছে! সংস্কারের জন্য ফান্ডে কোন টাকা নেই। এখন দেখছি দায়িত্ব নিয়ে আমি বিপাকে পড়েছি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবিত্রী রায় বলেন, সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা অবসরে যাওয়ার সময় শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাউকে জানাননি। এমনকি খাতা পত্রের হিসেবে গরমিল থাকায় তার বিদায় অনুষ্ঠান করতে দেননি। তাকে বহুবার স্কুলে আসার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি স্কুলে আসেনি।
অভিযোগের বিষয়ে দিলীপ কুমার সাহার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি বরাদ্দকৃত সকল টাকার কাজ সম্পন্ন করেছি। খাতা পত্রে তাহার প্রমাণ আছে। আমি আপনার সাথে পরে দেখা করবো। বিষয়টি চেপে যান আপনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে স্কুল ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
The post সরকারি বরাদ্দের প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক দিলীপ সাহা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3h2snvZ
No comments:
Post a Comment