দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
বৃহস্পতিবার রাতে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এ কর্মকর্তা। জ্ঞান ফেরার পর তিনি কথা বলেছেন তার স্বামীর সঙ্গে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক আছে। দুপুর নাগাদ তার পরিস্থিতি জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই তার জ্ঞান ফিরে এসেছে। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতকারীরা। ওয়াহিদা খানমের বাবার নাম ওমর আলী। নওগাঁ থেকে মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী। ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে কর্মরত। তাদের তিন বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। হামলার সময় শিশুটি ঘুমন্ত ছিল। বর্তমানে সে ভালো আছে।
দিনাজপুরের ডিসি মাহমুদুল আলম জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। প্রথমে তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে বাথরুমে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়।
তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে পরে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
The post জ্ঞান ফেরার পর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন ইউএনও ওয়াহিদা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Dt3Qzs
No comments:
Post a Comment