মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ
বাংলাদেশের সরকারি প্রকাশনা সংস্থা ‘বাংলা একাডেমি’ কর্তৃক প্রকাশিত ’আধুনিক বাংলা অভিধানে’ মহামারি শব্দের অর্থ দেওয়া আছে: ‘কলেরা, প্লেগ প্রভৃতি সংক্রামক রোগ, ব্যাপক লোকক্ষয়, মড়ক’। (সুত্র: আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা নং-১০৯২)। বাংলাদেশের বিশিষ্ট আরবী ভাষা তত্ত্ববিদ ড.ফজলুর রহমান তাঁর রচিত ‘বাংলা-ইংরেজি-আরবী অভিধানে’ শব্দটির অর্থ লিখেছেন: প্লেগ, মহামারি, ভাইরাস, বঢ়রফবসরপ, ঢ়বংঃরষবহপব, ঢ়ষধমঁব, আরবী: আত্্ত¦উন, অবায়ুন। (সূত্র: আশ্্ শাফী, পৃষ্ঠা নং-৭৭৬)। মহামারির পরিচয়: মহামারি হলো এমন একটি রোগ যা জীবাণুর মাধ্যমে বায়ু কণায় সংগঠিত বাতাসের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে একটি জনগোষ্ঠী থেকে আরেকটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে পতিত হয়। (সূত্র: আরবী অভিধান-মু’জামুল ওয়াসীত,পৃষ্ঠা নং-৫৭৮)।অক্সফোর্ট ইংলিশ অভিধানে বলা হয়েছেঃমহামারি এমন একটি বিশেষ রোগ যা একই সময়ে একই দেশ বা ভূখন্ডের মধ্যে ছড়ায়।আরো বলা হয়েছে-প্লেগ বা মহামারি এমন একটি জীবাণু নাশক রোগ যা সংস্পর্শের মাধ্যমে দেহ থেকে দেহের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম।আর এটার লক্ষণ হলো জ্বর, অর্থহীন প্রলাপ, শ্বাস কষ্ট ও ফুসফুসের ইনফেকশন ইত্যাদি; আর হাদিসে প্রচন্ড জ্বর ও চেহারায় হলদে বর্ণ হওয়ার কথা উল্লেখ আছে (সূত্র: সুনানে নাসাঈ, হা: নং-৫৬৫৫, মু’আত্তা ইবনে মালেক, হা: নং-২৯৯)। বিশেষভাবে বলা যায়, মহামারি দেহ থেকে দেহে এমন একটি স্পর্শজনিত রোগ যা দ্রুত দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনগণকে হত্যা করে। (সূত্র: অক্সফোর্ট ইংলিশ ডিকশ্্নারি, ৯ম সংস্কার, পৃষ্ঠা নং-৫১৬)
মহামারি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বড় পরীক্ষা: মহামারি হলো মুমিনদের জন্য আল্লাহ তায়ালর পক্ষ থেকে এক বড় পরীক্ষা। কারণ মহামারি যখন কোন জনপদে ছড়িয়ে পড়ে তখন সেই জনপদের মানুষের মধ্যে প্রচন্ড ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করে। আল্লাহ তায়ালা বিভিন্নভাবে মুমিদের ঈমানের উপর পরীক্ষা নিয়ে থাকেন আর এ বিষয়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সুরাহ বাকারার মধ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ইরশাদ করেছেন যে, ‘(১৫৫)আর আমি অবশ্যই তোমাদিগকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসলের বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। (১৫৬) যখন তারা (মুমিনেরা) বিপদে বা মুছিবতে পতিত হয়, তখন তারা বলে নিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং সকলে তারই সান্নিধ্য ফিরে যাবো। (১৫৭) তারা সে সমস্থ লোক যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমাত রয়েছে। এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। (সূত্র: সুরাহ বাকারা, আয়াত নং-১৫৫-১৫৭)।
খাঁটি মুমিনের পরিচয়: হাদিসে মুমিদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে ঠিক এভাবে-হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি মুহাম্মাদ (সা.) তোমাদের পিতা-মাতা, সান্তান-সন্তুতি ও দুনিয়ার সমস্থ মানুষ হতে অধিক প্রিয় না হবো। (সূত্র: সহীহ বুখারি-হা: নং-১৫, মুসলিম-হা: নং-৪৪, ইবনে মাজাহ-হা: নং-৬৭)। হাদিসে রাসুল (সা.) আরো বলেন: ‘সে ব্যক্তিই ঈমানের স্বাদ পেয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (সা.) কে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট (সেই ঈমানের পরিপূর্ণ স¦াদ পেয়েছে)। (সহীহ মুসলিম, হা: নং-৩৪, তিরমিযি, হা. নং-২৬২৩, মুসনাদে আহমাদ, হা: নং-১৭৭৮)।
মহামারির কারণ: আর এ বিষয়ে সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফের মধ্যে বিশিষ্ট হাদিস বর্ণনাকারি সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন; রাসুল (সা.) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বললেন: হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যাতে তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি হিসাবে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাছাড়া এমন সব রোগ-ব্যাধির উদ্ভব হবে যা পূর্বের লোকদের মধ্যে ছিল না। আর যখন কোন জাতি ওজন পরিমাপে কারচূপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে কঠিন দুর্ভিক্ষ, বিপদ-মুসীবত। আর যাকাত আদায় না করলে আসমান থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদি ভূ-পৃষ্ঠে নির্বাক প্রাণি ও চতুষ্পদ জন্তু না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টি হতো না। আর যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তার রাসুলের দেওয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তখন আল্লাহ তাদের উপর বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সেই দুশমন ক্ষমতাশীনরা তাদের সহায় সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর দেওয়া কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না। তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ বাধিয়ে দেয়। (সূত্র: সুনানে ইবনে মাজাহ, হা: নং-৪০১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)। মহামারি সম্পর্কে সহীহ আল বুখারিতে বর্ণনা এসেছে ঠিক এভাবে-আম্মাজান আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন: আমি রাসুল (সা.) কে প্লেগ বা মহামারি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘মহামারি একটি আযাব। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের মধ্যে থেকে যাদের প্রতি ইচ্ছা করেন তাদের উপর তা (মহামারি) প্রেরণ করেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর মুমিন বান্দাদের প্রতি তা রহমত করে দিয়েছেন কোন ব্যক্তি যখন প্লেগ/মহামারি/ভাইরাসে আক্রান্ত জায়গায় সাওয়াবের আশায় ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ তাকদিরে যা লিখে রেখেছেন তাই ই হবে। তাহলে সে একজন শহীদের সমান সওয়াব পাবে। (সূত্র: সহীহ আল বুখারি, হাদিস নং-৩৪৭৪)।
মহামারিতে মৃত্যুবরণকারী মুমিনের মর্যাদা: সাইয়েদিনা হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত: মহামারিতে মৃত্যুবরণকারী মুসলিম শহীদ হিসাবে গণ্য হবে। (সূত্র: সহীহ আল বুখারি, হাঃ নং-২৮৩০, সহীহ মুসলিম, হা: নং-৪৮৩৮)।
মহামারি সম্পর্কে ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, রোগের কোন সংক্রমণ নেই, সফরে কোন অশুভ আলামত নেই, পেঁচার মধ্যেও কোন অশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুইন বললো, হে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমার উটের এ অবস্থা কেন হয়? সেগুলো যখন চরণভূমিতে থাকে তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল। এমন অবস্থায় চর্মরোগ গ্রস্থ উট এসে সেগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং এগুলোকে চর্মরোগে আক্রান্ত করে ফেলে। তখন বিশ্বনবী (সা.) বললেন তাহলে প্রথমটিকে কে চর্মরোগে আক্রান্ত করেছে?। অতএব বলা যায় কোন রোগ ছোঁয়াছে হলেও আল্লাহর হুকুম ছাড়া তা কার্যকর হয় না। (সূত্র: সহীহ আল বুখারি, হা: নং-৫৭১৭, সহীহ মুসলিম হা: নং-২২২০, মুসনাদে আহমাদ, হা: নং-৭৬২৪)। মহামারি যেহেতু বায়ুকণার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারকারী একটি স্পর্শজনিত রোগ সেহেতু আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবীদেরকে একটি বিজ্ঞান সম্মত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যা আজ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ও হুবহু মিলে যা”্ছ।েযেমন রাসুল (সা.) এর হাদিস মুবারকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে-হযরত সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস (রা.) হতে বর্ণিত,তিনি উসামা বিন যায়েদ (রা.) কে বলেন: আপনি আল্লাহর রাসুল (সা.) এর কাছে কী প্লেগ বা মহামারি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন? তখন তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন: প্লেগ বা মহামারি একটি আযাব। বনী ইসরাঈলের এক সম্প্রদায়ের উপর তা পতিত হয়েছিল অথবা তোমাদের পূর্বে যারা ছিল।তোমরা যখন কোন স্থানে প্লেগের বা মহামারির ছড়াছড়ি শুনতে পাও। তখন তোমরা আক্রান্ত সেই জায়গায় যেও না।আর যখন প্লেগ বা মহামারি এমন জায়গায় দেখা দেয় যেখানে তুমি অবস্থান করছো, তখন সে স্থান হতে পালানোর লক্ষ্যে বের হয়ো না।(মহামারির জন্য আজ চিকিৎসা বিজ্ঞান যেখানে লক ডাউন থিউরি পেশ করেছে; সেখানে বিশ্বনবী (সা.) ১৪০০ বছর আগে তাঁর সাহাবী আজমাঈনকে শিক্ষা দিয়েছেন নিজ এলাকায় অবস্থান করতে। সুতরাং ইসলাম যে একটি আধুনিক কল্যাণমুখি জীবন ব্যবস্থা তা আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে লক ডাউন থিউরির সাদৃশ্যতা জোরালোভাবে প্রমাণ করে)। (সূত্র: সহীহ আল বুখারি, হা: নং-৩৪৭৩, সুনানে আবু দাউদ, হা: নং-৩১০৩)।
ইসলাম ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে আমাদের কতিপয় দায়িত্ব: (১) যে কোন জিনিস খাওয়ার আগে তিনবার ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়া। কেননা এটি রাসুল (সা.) এর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত থিউরি (সূত্র: বুখারি হা: নং-১৬২, মুসলিম, হা: নং-২৭৮, আবু দাউদ, হা: নং-১০৫, তিরমিযি, হা: নং-২৪)। (২) জনসমাগমে প্রবেশের সময় মাক্স ব্যবহার করা।কেননা এটি বায়ু কণার মাধ্যমে ছড়ায়। (৩) নিজ এলাকায় অবস্থান করা কেননা রাসুল হাদিসে সাহাবীদেরকে এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। (৪) রোগ মুক্তির জন্য সর্বদা আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করবে। (৫)আক্রান্ত ব্যক্তি কোন অবস্থাই ঘর থেকে বাহিরে বের না হওয়া। যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শজনিত কারণে তা সমাজের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। সুতরাং আক্রান্ত ব্যক্তি ঘরে অবস্থান করবে এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবে ।
মহামারি থেকে বাঁচার উপায়: কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে কোন বিপদ-মুসীবত উদ্ধার করার জন্য প্রত্যেক মুসলমানের প্রধান দায়িত্ব কর্তব্য হলো খাঁটি মনে আল্লাহ তায়ালাকে একমাত্র রব হিসাবে মেনে নেওয়া এবং মুহাম্মাদ (সা.) পথ প্রদর্শক হিসেবে বিশ্বাস পোষণ করা। তারপর নিজের পিছনের সকল পাপ রাশির কথা স্মরণ করে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবাহ ইসতেগফার করতে হবে।তওবাহ করার প্রতি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে উৎসাহিত করেছেন।যেমন কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর নিকট খাঁটি তওবাহ (তওবাতুন্্ নাসুহা) করো।’ (সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ তাহরীম-০৮)। ইখলাছ পূর্ণ তাওবার শর্ত তিনটি। যথা: (১) তওবাহ কারীকে কৃত গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। (২) সে তার স¦ীয় কৃত গুনাহর জন্য আল্লাহর কাছে অনুতপÍ হবে। (৩) কখনো সে গুনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে (আর যদি তওবাহ কারীর বিষয়টি বান্দার হক্বের সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে সে প্রথমে বান্দার হক্ব পূর্ণ করবে)। এভাবে একজন মুমিন-মুসলমান যখন খাঁটি মনে তওবাহ করবে তখন সে নিষ্পাপ শিশুর মতো আল্লাহর খাঁটি বান্দাহতে পরিণত হয়। আর আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা দিয়েছেন তাঁর মুখলিছ বান্দাহ তাঁর কাছে যে বিষয় সমাধান চাইবে আল্লাহ তায়ালা বিদ্যুৎ গতিতে সে সকল বান্দার বিপদ-মুসীবত দুর করবেন। সুতরাং বর্তমান বিশ্বব্যাপী যে ভয়াবহ মহামারি বিরাজ করছে তার জন্য মুমিন-মুসলমানদের প্রথম উচিত খাঁটি তওবাহ করা। তারপর আল্লাহ তায়ালার দরবারে ‘করোনা’ নামক মহামারির ভয়াবহ তান্ডবের হাত থেকে আশ্রয় প্রর্থনা করা। যাতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিসহ সমস্ত পৃথিবীকে মুক্ত রাখেন (আমিন)। মহামারি থেকে বাঁচার হাদিস ভিত্তিক দু’আ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন সাইয়িঈল আসক্বম। (সূত্র: সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-১৫৫৪)। লেখক: ইসলামী গবেষক
The post ইসলামের দৃষ্টিতে মহামারি ও করণীয় appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/31SYC9z
No comments:
Post a Comment