Sunday, August 29, 2021

দৈনিক রানার সম্পাদক মুকুলের ২৩ তম হত্যাবার্ষিকী https://ift.tt/eA8V8J

যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরও বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ পরিবার ও সাংবাদিক সমাজ এখন ‘আল্লাহ কাছে বিচার চাইছে’।

এই দীর্ঘ সময়ে নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতায় আটকে গেছে এ মামলার বিচার কাজ। যদিও অচিরেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে মামলা সচল করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর এম ইদ্রিস আলী। তিনি জানিয়েছেন শিগগিরই এ মামলার আর্গুমেন্ট শুরু হবে। এরপরই রায়ের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হবে।

এ অবস্থায় আজ ৩০ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক মুকুলের ২৩ তম হত্যাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ের অদূরে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন তার স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এক পর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়। দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দু’জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন।

২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জগঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি ইত্তেফাকের সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। হাইকোর্ট আবেদন গ্রহণ করে বিচারিক আদালতে কার্যক্রম অব্যাহত রেখে আবেদনের শুনানি না হওয়ায় পর্যন্ত আজমল হোসেনের অংশের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেয়া হয়।

২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে। হাইকোর্টে পরবর্তী আদেশ না আসায় মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। বর্তমানে মামলাটি যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় আছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুতই মুকুল হত্যার বিচার পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, দুই দশকেও মুকুল হত্যার বিচার না হওয়া কষ্টের। এতে হত্যাকারীরা উৎসাহী হবে। সাংবাদিকদের মনোবল ভেঙ্গে পড়বে। তাই আমি আশা করব সরকার মুকুল হত্যার সঠিক বিচারকাজ দ্রুত শুরু করবেন।

এ অবস্থায় আজ ৩০ আগস্ট পালিত হচ্ছে শহিদ সাংবাদিক সাইফুল আলমের ২৩তম হত্যাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাব যশোর ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়র বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে শোকর‌্যালি, শহিদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

The post দৈনিক রানার সম্পাদক মুকুলের ২৩ তম হত্যাবার্ষিকী appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2WrU9uN

No comments:

Post a Comment