Friday, October 29, 2021

অর্ধেক সময় পার হলেও অগ্রগতি নেই ৪৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প https://ift.tt/eA8V8J

পানিতে হাবুডুবু কাচ্ছে সাতক্ষীরার কয়েক লাখ মানুষ

এম জিললুর রহমান: সাতক্ষীরা শহর ও পার্শ¦বর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্ধেক সময় পার হতে চললেও এখনো ভালোভাবে কাজ শুরুই করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৬ হাজার টাকার এই প্রকল্পে থাকা জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়ক নয়-এমন দুটি বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ গত অর্থ বছরে শুরু হয়। প্রায় ১০ কোটি টাকার ওই দুটি প্রকল্প স্থানীয় জনগণ ও বিএসএফ’র বাঁধার কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া সম্প্রতি কিছু কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শুস্ক মৌসুমে এসব কাজ শুরু হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে। তবে, স্থানীয় নাগরিক সমাজের বক্তব্য পলি ব্যবস্থাপনা, নদ-নদীর আন্ত:সংযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত স্লুইসগেট, পোল্ডারের অভ্যন্তরে থাকা খালগুলো উদ্ধারসহ চিংড়ি ঘেরের অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণের কোন ব্যবস্থা না রাখায় গতানুগতিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১, ২, ৬-৮, ৬-৮ (এক্সটেনশন)-এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিগত ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী ২জুন একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ সদর উপজেলাবাসীর জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরীভাবে ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৬ হাজার টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেন। প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা পৌরসভা সদর উপজেলা ও আসপাশের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ ও ২ এর আওতায় বেতনা নদী ৪৪ কি: মি: ও মরিচ্চাপ নদীর ৩৭ কি: মি: ড্রেজিং ও পুন:খনন, এই সীমানায় অভ্যন্তরীণ ৮২টি খালের ৩৪৪.২২ কি: মি: পুন:খনন ও সংস্কার, ২১টি স্লুইসগেট সংস্কার/নির্মাণ, ১১৩.১২ কি: মি: বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার, ৪টি আরসিসি ঘাটলা নির্মাণসহ ১.৭০ কি: মি: ঢাল প্রতিরক্ষার কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, বরাদ্দের টাকা আগামী ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্প পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের কাজ চলমান থাকবে। বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ২০-২১ অর্থ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প শুরু হয়। এরমধ্যে সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের ফিংড়ী, এল্লারচর ও ভোমরা এলাকায় ৯ কিলোমিটার ৪০০ মিটার বেড়িবাধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া এবছর আরো ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, কেন্দ্রীয় পানি কমিটি, উত্তরণ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন এই প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে। আইডব্লিউএম এর সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকল্পে টিআরএম যুক্ত করার দাবীতে সভা সমাবেশ করেছে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, কেন্দ্রীয় পানি কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন। অপরদিকে জেলা নাগরিক কমিটিও টিআরএমসহ অন্যন্য বিষয় নিয়ে ১৩ দফা সুনিদিষ্ট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন ও জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষার দাবীতে ১০ হাজার ৮৮৭ জনের গণস্বাক্ষরসহ সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উক্ত স্মারকলিপি প্রদানকালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ঐদিন রাতেই জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জুম কনফারেন্সের আয়োজন করেন। উক্ত জুম কনফারেন্সে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। জেলা প্রশাসক পানি উন্নয়ন বোর্ড গৃহীত ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১, ২, ৬-৮, ৬-৮ (এক্সটেনশন)-এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প সম্পর্কে নাগরিক কমিটিকে লিখিতভাবে প্রস্তাবনা উপস্থাপনের অনুরোধ জানান এবং প্রকল্পের যাবতীয় কাগজপত্র জেলা নাগরিক কমিটির কাছে সরবরাহ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নিদের্শনা দেন।

মো. আনিসুর রহিম আরো বলেন, এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা নাগরিক কমিটির সভায় তিন সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রকল্পভূক্ত বিভিন্ন এলাকার বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেন এবং স্থানীয় জনগণের মতামত সংগ্রহ করেন। অতীতের বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করেন। এ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় পানি কমিটি, উত্তরণসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাবনা সমূহ বিশ্লেষণ করেন।

প্রকল্পভূক্ত এলাকা সম্পর্কে আইডব্লিউএম এর সমীক্ষা রিপোর্ট ও প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করেন। এনিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি কয়েকদফা বৈঠকের পর গত ১৪ নভেম্বর-২০২০ সাতক্ষীরা পুরাতন বার লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক কমিটির বর্ধিত সভায় সুনিদিষ্ট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনান্তে জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিলের জন্য ১৩টি প্রস্তাব চুড়ান্ত করা হয়। গত ২৯ নভেম্বর জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে উক্ত প্রস্তাবনা পেশ করেন।

মো. আনিসুর রহিম আরো বলেন, গত ২ আগস্ট-২০২১ তারিখে জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাথে সাক্ষাৎ করে পুনরায় উক্ত ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন। কিন্তু এই প্রস্তাবনা আদৌ পর্যালোচনা না করেই পূর্বের ধারা অনুসরণ করেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকীন আহমেদ চিশতী বলেন, জলাবদ্ধতায় পৌরবাসীর বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় অস্থায়ীভাবে ১৮টি পাম্প বসিয়ে রাতদিন পানি সেচ দিয়ে জলাবদ্ধতা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এটি কোন স্থায়ী সমাধান নয়। যতদিন বেতনা মরিচ্চাপ নদীসহ সংযোগ খালগুলো খনন ও সংস্কার করা না হবে, ততদিন জলাবদ্ধতার নিরসন হবে না। তিনি বলেন, আমরা জেনেছি পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। আগামী শুস্ক মৌসুমে কাজ শুরু করে তা যথাযথ তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হলে পৌরসভাসহ আসপাশের জলাবদ্ধতা কমবে। তবে সেই বরাদ্দ কতখানি স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে-আমরা শুনেছি। তবে এই বর্ষায় কবে কখন কোথায় ১০ কোটি টাকার কাজ শুরু হলো-তা আমরা জানিনা। আমাদেরকে অন্ধকারে রেখেই বিপুল অংকের এই বরাদ্দ ভাগবাটোয়ারা ছাড়া আর কিছুই হবেনা। আর জনগণের দুর্ভোগ জলাবদ্ধতা থেকেই যাবে। তিনি আরও বলেন, বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর ৮১ কিলোমটির খনন, সংযোগ ৮২টি খালের খননসহ অন্যান্য কার্যক্রম হবে। তবে কি হবে তা বলা যাচ্ছেনা এখনি। কারণ বেতনা মরিচ্চাপ নদীসহ ৮২টি খাল একাধিকবার কাটা হয়েছে গত ১০ বছরে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

তিনি প্রাণ সায়র খালের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, এই প্রাণ সায়র খাল ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্য প্রকল্পের অর্থে এখন খনন হচ্ছে। এখনও যা শেষ হয়নি। ৮২টি খালের মধ্যে এটিও আছে। তাহলে এই টাকা কোথায় যাবে এসব নানা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সাতক্ষরায় জলাবদ্ধতার নামে বরাদ্দ আসে আর কতিপয় রাজনীতিক আর পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র ছালচামড়া আর আগাছা চেছে-ছুলে বরাদ্দের বাস্তবায়ন দেখিয়ে সবই হয় ভাগবাটোয়ারা। এবারো তার বাইরে হবে বলে আমরা মনে করিনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বের মতো কোন কিছু করলে এবার সাতক্ষীরাবাসী তার দাতভাঙ্গা জবাব দেবে এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেন এই নেতা।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ এর আওতায় সদর এবং আশাশুনির কিছু অংশ। অপরদিকে পাউবো-১ এবং ২ মিলেই সাতক্ষীরা শহরের পশ্চিম সাইডটি পাউবো-১ এর আওতায়। আর পূর্ব সাইডটি ২এর আওতায় ভাগকরা। এই প্রকল্পের আওতায় জেলার দুটি বড় নদী বেতনা এবং মরিচ্চাপ। বেতনা নদীর ৪৪ কিলোমিটার এবং মরিচ্চাপ নদীর ১৭ কিলোমটার পওর-২এর আওতায় বাস্তবায়িত হবে। পাশাপাশি সংযোগ ৮২টি খালের ৬৬টি খাল পওর-২ এর আওতায় রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরষনে বরাদ্দের প্রায় দেড় বছরে বেতনা নদীর ১৫কিলোমিটার খনন কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে আর মরিচ্চাপ নদীর ১৭ কিলোমিটার খননের জন্য দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। চলমান বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই খনন কাজ শুরু হবে বলে জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

তিনি আরও বলেন, ইন্টারনাল খালগুলোর সার্ভে কাজ চলমান রয়েছে। তবে সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যাকে মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। গত ১০ বছরে একাধিকবার খননে জলাবদ্ধতা অন্তত দশগুন বেড়েছে সেক্ষেত্রে ৪৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জনগণ কতটা সুবিধা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অবশ্যই জনগণ সুবিধা পাবে। কারণ এ যাবতকাল বড় দুটি নদীর সাথে সংযোগকৃত খালগুলোর যদি ৫টি খনন করার দরকার হতো, সেখানে খনন হতো দুটি। ফলে বাকি ৩টি খনন না হওয়ায় আশানুরুপ ফল জনগন পাইনি। এবার বড় দুটি নদীসহ ৮২টি খাল একসঙ্গে খনন হলে অবশ্যই জনগণ তার সুফল পাবে এমন আশা প্রকাশ করেছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ শুনে বলেন, সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটি নদীসহ ছোট বড় ৮২টি খাল খনন অত্যন্ত জরুরী। ৩বছর মেয়াদী ৪৭৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে গত বছর ৩কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল আর এবার ৪০ কোটি টাকা এডিবির বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে টেন্ডারও আহবান করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ডিজাইন ও স্টিমেট অনুযায়ী যাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা যেন নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে। এই কাজের অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ওয়েব পোর্টালে আপলোড করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষসহ গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জনগন আশানুরুপ ফল পাবে এবং এ জেলার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দুর হবে এমন আশা প্রকাশ করলেন জেলার শীর্ষ এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, উজানের পানি প্রবাহ বন্ধ, নদীর তলদেশ উঁচু হওয়া, নদী বা খাল খননের নামে ছোট করে ফেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত খননে নদী-খালের আন্ত:সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ রুদ্ধ হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই হাবুডুবু খাচ্ছে হাজার হাজার পরিবারের মানুষ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃহৎ প্রকল্পটির সঠিক বাস্তবায়ন চায় সাতক্ষীরাবাসী।

 

The post অর্ধেক সময় পার হলেও অগ্রগতি নেই ৪৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2XXcSiq

No comments:

Post a Comment