কলারোয়ায় স্বামীকে বাড়ী থেকে পাওনা টাকা দিবে বলে ডেকে নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে অসহায় এক নারী তার শিশু পুত্রকে সাথে নিয়ে এর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শুক্রবার (৩জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়া গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া খাতুন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য বলেন-তার স্বামী একজন এজেন্ট ব্যবসায়ী। সততার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশ, রকেট, মোবাইল লোডের পাশা পাশি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট এর আউটলেট ওনার হিসাবে গয়ড়া ও চান্দুড়ীয়া বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এলাকায় তার অনেক পরিচিতি আছে। এলাকার জন প্রতিনিধি, সামাজিক চাকরী জীবি, ব্যাবসায়ী ও সাধারন মানুষ সবাই ভালো বলে জানে। এরই মধ্যে তার এই ব্যাবসার সাথে প্রতিবেশী আঃ গফুরের পুত্র পুলিশ সদস্য মোঃ জাহিদ হাসান (সাগর) এর সহিত পোল্টির খামারের ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসা ২ বছর পার হলে তার সাথে লেনদেনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য-পোল্টি ব্যবসার অর্থ তাদের ২ জনের। পরিচালনার দায়িত্বে ছিল পুলিশ সদস্যের পিতা আঃ গফুরের। এর পরে উভয়ের বসাবসির মাধ্যমে সমাধান করা হয়। তাতে আমার স্বামী পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসানের নিকট ২ লক্ষ টাকা পাওনা করে। উক্ত টাকা চাইতে গেলে আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রাণ নাসের হুমকি দিতে থাকে এবং নানান ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ২৭জুন তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান জানায় আমি আমার এক ব্যাচ ম্যানের নিকট থেকে টাকা ধার নিয়ে তোকে দেব। এই ভাবে আমার স্বামীকে বুঝিয়ে ওই দিন বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান সাগর তার শ্যালকের ব্লু-কালারের এপাছি মটর সাইকেলে করে ঝিনাইদহ শহরে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে ঝিনাইদহ র্যাবের হাতে মাদক দ্রব্যের মাধ্যমে ফাসিয়ে দিয়ে পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান মটর সাইকেল রেখে ছিটকে পড়ে। এসময় র্যাব সদস্যরা মটর সাইকেলটিও জব্দ করে। পরে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছায়ে সব বিষয়ে জানতে পারি। পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান সাগর সপ্তাহে ৩/৪ দিন বাড়িতে আসে, তাতে অনেক লোকের সন্দেহ হয়। আমার স্বামী একজন নির্দোশ ব্যাক্তি। সে কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত নেই। ঘটনার আগের দিন পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসানের বাবা আঃ গফুর এবং মা শিল্পি খাতুন কে সন্দেহ করে সীমান্ত বিজিবি সদস্যরা চান্দুড়ীয়া ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি বর্গ বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি করেন। যদি আমার স্বামী অপরাধী প্রমাণিত হয় তাহলে আমার কোন দাবি থাকবে না। তবে পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান যে অপরাধী তা তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে। তিনি সাংবাদিক ভাইদের লেখনির মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রকাশ করে আসোল আসামীকে ধরার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-তানিয়া খাতুনের শিশু ছেলে জিসান আহম্মেদ,তানিয়ার পিতা ইয়ার আলী ও শশুর শাহাজান সরদার প্রমুখ। এদিকে জাহিদ হাসান সাগরের সেল ফোনে রাতে কথা হলে তিনি বলেন তার চাচাতো ভাই রুহুল কুদ্দুস কোন মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত নহে। ঘটনার সময় তার পাশে এক ছেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই মাদক দ্রব্য ফেলে পালিয়ে যায় বলে তিনি শুনেছেন। তিনি আরো বলেন তার চাচাতো ভাই রুহুল কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঝিনাইদহে গিয়ে ছিলেন বিষয়টি সত্য। আর তাকে জড়িয়ে রাগের মাথায় যে কথাগুলো বলা হয়েছে সেটিও সঠিক নহে।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
The post মামলায় স্বামীকে জড়ানোর প্রতিবাদে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2BBC8Q1
No comments:
Post a Comment