পত্রদূত ডেস্ক: স¤প্রতি অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলার নেটপাটা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। এ লক্ষে সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়েছে। এদিকে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে করণীয় নির্ধারণে জেলাবাসীর মতামত চেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ফেসবুকে স্টাট্যাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এতে রাত ১১টা পর্যন্ত ৩৪৫টি কমেন্ট করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে সেয়ার হয়েছে ৭০ টি এবং লাইক করা হয়েছে প্রায় ১২ শ’ মানুষ। নি¤েœ জেলা প্রশাসকের আহবানসহ কিছু কমেন্ট তুলে ধরা হলো:
“প্রিয় জেলাবাসী, সালাম নিবেন। স¤প্রতি অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমুহ কাজ করে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য। জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে করণীয় নির্ধারণে আপনাদের মতামত আহবান করছি। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত নিয়ে জেলার মাননীয় সংসদ সদস্যগণ, সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি দপ্তরসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞগণের সাথে পরামর্শ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
জেলা প্রশাসকের এমন আহŸানে ‘আবু সিদ্দিক’ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন-এর জন্য অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরই দায়ী। তাই পরিকল্পিত মৎস্য ঘের ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই বলে মনে হয়।
গোলাম ফারুক লিখেছেন: আপনার এ মহতী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জলাবদ্ধতা হলো দীর্ঘদিনের চলমান সমস্যা…। যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হলো রাস্তার পাশ/সীমানার পাশ দিয়ে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা।
সেক্ষেত্রে জিও/এনজিও’র আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক ফান্ড গঠন করে এবং জনমত গড়ে তুলে এর সমাধান সম্ভব বলে মনে করি।
শেখ জি রসুল লিখেছেন: শ্যামনগরের খাল সমুহের নেটপাটা অপসারণসহ খালের সাথে কালভার্টের সংযোজনগুলোর পানি সরার উপযোগী করলে দুর্লভ অনেকাংশে কমবে।
পবিত্র সাহা লিখেছেন: সাতক্ষীরা জেলায় অনেক জেলা প্রশাসক মহোদয়গণ এসেছেন চলেও গেছেন। কিন্তু কেউ কখনও আমজনতার আপদকালীন কথা শুনা ও মতামত উপস্থাপন করার মতো সুযোগ সৃষ্টি করেছেন কি না মনে পড়ে না। আপনার হাত ধরে অবহেলিত জেলাবাসি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। মহামারি কোভিড-১৯ সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থ থাকেন, ভাল থাকেন। এ কামনায়।
ইসতিয়াক সোহাগ লিখেছেন: সদর লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর, মুকুন্দপুর, দেবনগর গ্রামের পানি রাজনগর খাল দিয়ে প্রাণসায়ের খাল দিয়ে বের হয় কিন্তু অসাধু ঘের ব্যবসায়ীরা পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ক্যানেলটি ও ব্ন্ধ করে দিছে। এমতাবস্থায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সদয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
তাপস কুমার ঢালী লিখেছেন: আশাশুনি থানার জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায় নদীর সাথে সংযোগ খালগুলো মুক্ত রাখা। তাও সম্ভব না হলে প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রতিটি বন্যার পরে এক সপ্তাহ ধরে খালগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। এই খালগুলো মুক্ত রাখলে আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা বলে কিছুই থাকবে না।
শাহিনা কাজল লিখেছেন: সাতক্ষীরা জেলার অধিকাংশ খালে বৈধ (নেতা, নেত্রী, কিংবা ইজারাকৃত) নেটপাটা দেয়া আছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রশাসন কি ভূমিকা নিবে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছি।
অম্বিক মন্ডল লিকেছেন: তালা উপজেলার ১০নং খেশরা ইউনিয়নের শালিখা নদীর মাধ্যমে তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন, জালালপুর ইউনিয়ন, মাগুরা ইউনিয়ন, খলিষখালী ইউনিয়ন, আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন, দরগাপুর ইউনিয়নের সকল পানি কপোতাক্ষ নদীতে নিষ্কাশিত হয়। শালিকা গেটের ১৬ টি পাটের মধ্যে ৩ টি পাট ভাঙা থাকায় জোয়ারে নদীর পানি উঠে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাট তিনটি নতুন করে স্থাপন করা হলে বিস্তীর্ণ এলাকার পানি ভালোভাবে নিষ্কাশিত হবে এবং বন্যার হাত থেকে লক্ষাধিক মানুষের জান ও মাল রক্ষা পাবে।জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য।
এভাবে শতশত মানুষ তাদের মন্তব্য ও পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসককে। তারা জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
The post জলাবদ্ধতা নিরসনে ফেসবুকে জনসাধারণের মতামত চাইলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ভূক্তভোগীরা শতশত মানুষের সাড়া appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3C3LpuM
No comments:
Post a Comment