Monday, November 30, 2020

কালিগঞ্জে মহাশ্মশান ঘিরে চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার https://ift.tt/eA8V8J

 

পত্রদূত রিপোর্ট: কালিগঞ্জের পিরোজপুর মহাশ্মশানের কাছে ‘মুজিব সেঞ্চুরি ওয়াটার ইকো পার্ক’ নামফলককে কেন্দ্র করে একটি মহল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মহলটি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্মীয় অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড় করানোরও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, মাদকাটি গ্রামের চন্ডিচরণ মন্ডল ও তার সমর্থক সহযোগীরা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও অর্থায়নে পিরোজপুর মহাশশ্মান থেকে ২৫০ ফুট দুরে যমুনা নদীর চরভরাটি জমিতে চৌরাস্তা এলাকায় পিরোজপুর টু উকসা সড়কের স্লোপিং পয়েন্টে ওই নামফলকটি বসান নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক রাসেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এই উদ্যোগ গ্রহন করে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়। এদিকে মহাশ্মশানের কাছে এই নামফলক বসানোকে কেন্দ্র করে পূজা উদযাপন পরিষদের সনৎ কুমার গাইন, সজল মুখার্জি, ডা. মিলন ঘোষ, গোবিন্দ মন্ডল, অসিত কুমার সেনসহ বেশ কয়েকজন প্রচার শুরু করেন যে-সাঈদ মেহেদি শ্মশান এলাকা দখল করে নিচ্ছেন। এখবর পেয়ে বিভ্রান্তি দুর করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে ডেকে এনে বলেন ওই স্থানে ‘মুজিব সেঞ্চুরি ওয়াটার ইকো পার্ক’ নামফলকে কোনো সমস্যা বা আপত্তি থাকলে তা রাস্তার ওপারে সরিয়ে নেওয়া যাবে। এতে সম্মতি জ্ঞাপন করে তারা চলে যান। অথচ কিছু সময় পর তারাই শতাধিক লোকজন নিয়ে নামফলকটি ভেঙে চুরে ফেলে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় সাঈদ মেহেদি মহাশ্মশান দখল করে নেওয়া দূরের কথা তিনি বরং শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশ্রামাগার তৈরিতে তিন লাখ টাকার বরাদ্দ এনে দিয়েছেন। তাছাড়া বিশ্রামাগারটির সৌন্দর্য বর্ধনে তিনি সম্প্রতি আরও এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। চন্ডিচরণ মন্ডল আরও বলেন, ২০০০ সালে তার পৈতৃক ৩৬ বিঘা জমি আকস্মিকভাবে ৩০০ পরিবার দখল করে নেয়। সাঈদ মেহেদি তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে দখলদারদের সরিয়ে দিয়ে ওই জমি চন্ডিচরণের কাছে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এসব ঘটনায় পূজা উদযাপন পরিষদের কতিপয় নেতা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে জামায়াত বিএনপির সহিংসতার সময় সাঈদ মেহেদি নিরীহ জনগগণের পাশে থেকে প্রশাসনকে সহায়তা দেন। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিবছর দুর্গাপূজায় যে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন তা সজল মুখার্জিসহ কয়েকজন এককভাবে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন এবং অনিয়মের মাধ্যমে তা নিয়ে নয় ছয় করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সাঈদ মেহেদি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর সরকারের এই বরাদ্দ সরাসরি পূজামন্ডপ কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে পূজা উদযাপন পরিষদের ওইসব নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসব মিলিয়ে ওই মহলটি সাঈদ মেহেদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানিত সদস্যদের ধর্মীয় অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাতে ফেসবুকে কুৎসা রটনা শুরু করেছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, সাঈদ মেহেদি ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যান হননি তখনও তিনি মহাশ্মশানের উন্নয়ন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সব ধরনের সহায়তা করেছেন। চন্ডিচরণ বলেন, কালিগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

The post কালিগঞ্জে মহাশ্মশান ঘিরে চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/33tEQ4Z

No comments:

Post a Comment