Friday, November 27, 2020

সম্পাদকীয়: সুন্দরবনে রাস উৎসবে শিকারীদের তৎপরতা: আরও সতর্কতা জরুরি https://ift.tt/eA8V8J

রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি সব থেকে বড় সমুদ্র রাস উৎসব। হাজার হাজার পূণ্যার্থীর আগমনে ‘রাস পূর্ণিমা পূণ্যস্নান’ কে ঘিরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় রাস মেলা। এ মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন উপকূলবর্তী মানুষের মধ্যে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে এ বছর হিন্দু ধর্মালম্বী ছাড়া রাস উৎসবে যাওয়ার অনুমতি না থাকায় উপকূলের শত শত লোকের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দৈনিক পত্রদূতে শুক্রবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাস উৎসবকে সামনে রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন ৮টি উপজেলার চোরা শিকারী চক্র সক্রিয়। সুন্দরবনে প্রবেশে কড়াকড়ির মধ্যেও রাস পূর্ণিমার মেলাকে ঘিরে শিকারীদের হরিণ শিকারের প্রস্তুতি চলছে। তাদের অনেকেই জেলে সেজে রাস পূর্ণিমার প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে দুবলার চরে অবস্থান করছে। তারা জেলে ও বনজীবী সেজে বিভিন্ন কৌশলে বনের মধ্যে প্রবেশ করে রেখে আসা শিকারী উপকরণ দিয়ে হরিণ শিকার করে। মেলার আনন্দে মেতে উঠা দর্শণার্থী ও নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাকি দিয়ে অভিনব পন্থায় এ ফাঁদ দিয়ে হরিণ শিকার করে।

যদিও বনবিভাগ প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, যাত্রীরা নির্ধারিত রুটের মধ্যে একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। রাস পূর্ণিমায় আগত পূণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোন অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র, হরিণ মারার ফাঁদ, কুড়াল, দড়ি বহন করা থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সবসময় টোকেন ও টিকেট নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে মেলা প্রাঙ্গণে কন্ট্রোলরুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে।

বনবিভাগের এইসব নির্দেশনার পর সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সুযোগ খুবই কম। কিন্তু তারপরও যদি শিকারীরা জেলে বাওয়ালী সেজে সেখানে অবস্থান নেয় তাহলে তাদেরকে চিহ্নিত করাটা জরুরি। বনের সাথে সম্পর্কিত জেলে বাওয়ালীরা সুন্দরবনের ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পেশাদার শিকারীচক্র গড়ে উঠেছে। তাদের নেটওয়ার্ক অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। বনের ক্ষতিটা এদের হাত দিয়েই হয়। শুধু রাশ মেলা নয়, অন্যান্য সময়েও সুযোগ পেলে এই ক্ষতি তারা করেই থাকে। তবে রাসমেলা আসলে তাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। আমরা আশা করবো এবার তারা সে সুযোগ পাবে না। তারপরও অধিক সতর্কতা জরুরি।

The post সম্পাদকীয়: সুন্দরবনে রাস উৎসবে শিকারীদের তৎপরতা: আরও সতর্কতা জরুরি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mral7n

No comments:

Post a Comment