আল মাকসুদ
দগ্ধ মুদ্রার অপর পিঠে যখন এলো নতুন বছর
তখনও তোমার নাচের মুদ্রায় কোনো পরিবর্তন দেখেনি
সাহসের পঞ্জিকায় দুই হাজার একুশ, দুই হাজার কুড়িকে
বলেছে বিদায় এজন্যই কি?
গণিতে আমার ভয় চিরকাল;- তাতে হিশেবের গরমিল নেই যদিও।
‘মানুষের জগৎ’- বলে কিছু বিশ্বাস করি না;
মহৎ মৃত্যু তবুও কোনো কোনো দৈনিকের ‘প্রধান শিরোনাম’
মানুষ কি পেয়েছে মন্ত্রের সাধন?
ইচ্ছে হলেই যায় না দেয়া পাড়ি নতুন নদী, পুরনো সাঁকো এমনকি
প্রিয় বইয়ের পাঠপ্রোথিত সমুদ্দুরৃ
কবি ও প্রভু একাত্ম হলে
নাটকের শেষ দৃশ্যের অপেক্ষা করে না কেউ;
শতবার এস্তেগফার পড়েও লাভ নেই সুহৃদ স্বজন-
তোমার হাতেই পেয়েছি নির্ভার দুঃখের অর্জন!
যাও-, পারো যতোদূর যেতে; সুন্দরবন থেকে আমাজান
দেখবে-
অবচেতন রুক্ষ হাসপাতালে পড়ে আছে সারি সারি এ্যাম্বুলেন্সের লাশ!
ইসা যিশু ভিন্ন নামে করে একই ঘরে সংসার
খেজুরগুড়ের গন্ধ শুঁকে উড়ে যায় বিলেতি ইঁদুর!
বিশ্বাসের জোর হারিয়ে ইঁদুরকে
উড়তে দেখা কি দুর্যোগের চিহ্নকলা?
একটি দুরন্ত কবিতাসভায় ‘শুধু কবির কথা, কবির মুখে’-
শুনতে চাই-
এই-ই শেষ নিবেদন;
এই-ই আমার বিশ্বায়ন!
The post বিশ্বায়ন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3ckmdEV
No comments:
Post a Comment