ডা. সুব্রত ঘোষ
বৈশি^ক মহামারী করোনা মেকাবেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা-এঁর গতিশীল, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় দেশের সকল পর্যায়ের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশ বেশ সফল। ২০২০ সালে প্রথম ঢেউয়ের সময় ৬২তম জেলা হিসেবে করোনা সাতক্ষীরায় আঘাত হানে। তবে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে গিয়ে আর কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলার মতো রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে সাতক্ষীরা। জেলার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখা। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা কর্মসূচী চলতে থাকে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার, মেডিকেল বেড, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটরসহ করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখা। জেলার বিভিন্ন জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে করোনাকালে বেকার ও খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে যা এখনও অব্যাহত আছে। ১৯ জুন মহামারী করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী স্বাস্থ্য বিধি মেনে সমন্বিতভাবে পালন করে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মহামারী করোনা সাতক্ষীরা জেলায় মারাত্মক আকার ধারণ করায় জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের জেলাব্যাপি কোভিড কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলার অন্তর্ভূক্ত ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়নের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে প্রত্যেক কমিটিতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভূক্ত করতে বলেন এবং সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কাঁচা বাজারসহ মুদি দোকান সকাল ৮টা হতে বেলা ১১টা এবং ঔষধের দোকান সারাদিন খোলা থাকা ও সকলকে মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে সর্বো”চ সচেতনতার আহবান জানান। যে কমিটি জেলার প্রত্যেটি স্তরে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করবে।
আমার মতে, হাজার রছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর বছরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা-এঁর গতিশীল, সময়োপযোগী, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চিকিৎসা খাতসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^র বুকে আজ রোল মডেল। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অর্জনের একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যখাত। এমনকি মহামারী করোনাকালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তা বিশে^র বুকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। করানাকালে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক নবীন-প্রবীন-অভিজ্ঞ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন বহু সংখ্যক। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবী হিসেবে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন চিকিৎসকবৃন্দ। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল আন্দালনেই অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন চিকিৎসকরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দেন যা চিকিৎসকরা কৃতজ্ঞতাচিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। চিকিৎসকদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা সর্বোচ্চ আন্তরিক।
জনস্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞ হিসেবে সাতক্ষীরার বর্তমান করোনা পারিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি কিছু পরামর্শ প্রদান করেন যেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন হলে জেলার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করেন তিনি।
আমার প্রস্তাবনামূহ:
১. একটি কন্ট্রোল রুম ও একটি হট লাইন মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন যেটি জেলার সকল স্তরের করোনা পরিস্থিতি সমন্বয় করবে এবং সমস্যা চিহ্নিত করে অতি দ্রুত তা সমাধানের ব্যবস্থা করবে।
২. বিভিন্ন স্তরের সরকারি ও বেসরকারি অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা বা পরামর্শক কমিটি করা যেতে পারে যারা তাঁদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করবে।
৩. জেলায় করোনা মেকাবেলায় প্রয়োজনীয় ঔষধের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জেলায় করোনা মেকাবেলায় প্রয়োজনীয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও বহনযোগ্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং মজুদ নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন অবস্থাতেই এর ঘাটতি না হয়।
৫. করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী যেমন-মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার, পিপিই সহ অন্যান্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. কোন অসাধু চক্র যাতে প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীর দাম বাড়াতে ও কৃত্রিম সংকট তৈরী না করতে পারে সে বিষয়ে কঠোর মনিটরিং করতে হবে।
৭. কঠোর বিধিনিষেধের পাশাপাশি অসহায়, কর্মহীন ও ছিন্নমূল জনগণের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে মানুষ বাইরে বের না হয়।
৮. করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নন কোভিড সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী ও জনবলের শূন্যস্থান অচিরেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করতে হবে।
৯. করোনাকালে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি ও করোনা সুরক্ষা সরঞ্জামের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. সম্মুুখ সারির করোনাযোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকগণসহ জরুরী সেবায় নিয়োজিত সকলের পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান এবং মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে হবে।
১১. চিকিৎসকদের অযথা দামী বা অপ্রয়োজনীয় ঔষধ না লেখার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে বারবার অনুরোধ করতে হবে যাতে করে সাধারণ গরীব মানুষের মাঝে করোনা চিকিৎসার ব্যাপারে কোনরূপ ভীতি বা বিরূপ মনোভাবের জন্ম না হয়।
১২. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা জোরদার এবং সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কর্মস্থলে আসা-যাবার পথে তাদের যেন প্রশাসনিক হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে পাশাপাশি চলমান লকডাউনে তাদের কর্মস্থলে ডিউটি চলাকালীন দুপুর ও রাতের খাবারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
১৩. খোলা জায়গায় কম আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য একটি/দু’টি বা ততোধিক অবজারবেশন হাসপাতাল বা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরী করা প্রয়োজন যাতে করে সীমিত হাসপাতাল শয্যায় বেশি আশঙ্কাজনক রোগীদের সেবা প্রদান সম্ভব হয়।
১৪. জেলায় বেসরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ চুক্তির আওতায় এনে বা সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অনুরোধ করে নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে যাতে করে জেলার সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত না হয়।
১৫. জেলার প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা থেকে বিরত রাখতে হবে এবং তাদেরকে কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে। সেইসাথে প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ভুতুড়ে বিলিংয়ে নজরদাড়ি বাড়াতে হবে।
১৬. বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে একটি সমন্বয় কমিটির আওতায় আনতে হবে যাতে করে সুষ্ঠু, সঠিক ও সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা যায়।
১৭. বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী অক্সিজেন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অক্সিজেন রিফিল ব্যবস্থার মনিটরিং প্রয়োজন যাতে করে মেডিকেল অক্সিজেনের জায়গায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন ব্যবহার করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা না নেয়।
১৮. বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অস্থায়ী সমমানের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করতে হবে এবং একটি সমন্বয় সেল গঠন করতে হবে যাতে করে তারা কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হন।
১৯. করোনা বর্জ অপসারণের ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। করোনা প্রতিক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, গ্লোভস, পিপিই) সঠিকভাবে অপসারণ না করতে পারলে এগুলো থেকেই করোনা বেশি ছড়িয়ে পড়বে যা হবে অত্যন্ত ভয়ংকর।
২০. জেলার একটি হটলাইন টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখানে কল করে মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবে এবং কি অবস্থায় কী করণীয় সেটা জানতে পারবে এতে করে হাসপাতলে রোগীর চাপ কিছুটা হলেও কমবে সেইসাথে জনআতংকও প্রশমিত হবে।
২১. একটা সমন্বিত ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে করোনা ডেডিকেটড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়টি বেড, কয়টি আইসিইউ, কয়টি এইসডিইউ খালি আছে তা মানুষ সহজেই জানতে পারে এবং অনলাইন সিরিয়ালের ব্যবস্থা থাকতে হবে যার মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালি শয্যা ভর্তিচ্ছু রোগীরা পাবে এতে করে হাসপাতালে অযথা মানুষ ভিড় করবে না।
২২. করোনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীদের কঠোর নজরদারির ভিতর রাখতে হবে যাতে করে তারা যত্রতত্র ঘোরাফেরা না করতে পারে এবং তাদের স্বজনদেরও দেখা করার বিষয়ে কঠোর বাধ্যবাধকতার ব্যবস্থা করতে হবে।
২৩. করোনা ওয়ার্ডে ক্লিনার বা অন্যান্য কর্মীদের সঠিক ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে শুধুমাত্র করোনা ওয়ার্ডেই কাজ করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা যেন অন্য ওয়ার্ডে কাজ না করে সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
২৪. চিকিৎসক, সেবিকা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটি রোস্টার, রোটেশন ও কেয়ারেন্টিনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গাইড লাইন এবং নির্দেশাবলী সঠিতভাবে মানতে হবে।
২৫. সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের সামাজিক শ্রদ্ধা ও উৎসাহদানের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে এবং কেউ যাতে তাঁদের কোনভাবে হেয় না করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
২৬. জনগণকে মাস্ক পরানোর ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হবার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরার গুরুত্ব সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে।
২৭. কম মারাত্মক রোগীকে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে যাতে করে বেশি মারাত্মক রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া সহজতর হয়। এ ব্যাপরে কমিউনিটি ক্লিনিক, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে যাতে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন রোগীকে কখন হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন এবং কাকে বড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব সেটা জনগণকে বোঝাতে পারে। সকলের বাড়িতে পাল্স অক্সিমিটার রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে তাতে তারাও রোগীর অবস্থা বুঝতে ও পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
২৮. হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ব্যবহার করতে যেহেতু সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা প্রয়োজন এবং সাতক্ষীরাতে একমাত্র করোনা ডেডিকেটড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই সেই ব্যবস্থা রয়েছে সেহেতু বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে বা অন্যান্য হাসপাতালে পড়ে থাকা অব্যবহৃত হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাগুলো এনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করলে অধিকসংখ্যক রোগীকে সেবা প্রদান সম্ভব হবে। ব্যকআপ হিসেবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নির্মিতব্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থাটি স্থাপন অতি দ্রুত স্থাপন কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
২৯. করোনাকালে কাজ করা বিভিন্ন এনজিওগুলোর মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত জরুরী। সমন্বয়ে কাজে আসবে গতি, উন্নত সেবা পাবে মানুষ।
৩০. মাস্ক বিতরনের ক্ষেত্রে একটা সমন্বয় দরকার। একই এলাকায় বার বার মাস্ক বিতরণ হচ্ছে আর কোন কোন এলাকায় একদমই হচ্ছে না এমনটি যেন না হয়।
৩১. করোনা রোগীদের সঠিক তথ্য সর্বদা অতি দ্রুত প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন আক্রান্ত, সুস্থ ও মৃত্যুর সংখ্যা অতি দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।
সকল মতবিরোধ আর ভেদাভেদ ভুলে দল-মত, সরকারি-বেসরকারি সকলে নির্বিশেষে কাধে কাধ মিলিয়ে করোনা মোকাবেরায় কাজ করতে হবে। এখানে যেকোনরূপ ভুল বোঝাবুঝি হলে অতি দ্রুতই সেটা আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে।
সাতক্ষীরা আমার, আমাদের। সাতক্ষীরাকে সুরক্ষিত রাখতে পারলে, সুরক্ষিত থাকবো আমি, আপনি আমাদের পরিবার। আপনি মারা গেলে আপনি আপনার পরিবারের ১০০% যা রাষ্ট্রের কাছে একটি সংখ্যা মাত্র। আসুন করোনা মোকাবেলায় নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, অন্যদের উৎসাহিত করি। নিজে বাঁচি, অন্যদের বাঁচাই। নিজ দায়িত্ববোধ থেকে একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে। বাঁচতে হবে একসাথেই হাতে হাত রেখে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানসিকভাবে শক্তিশালী থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলেই করোনাকে জয় করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আলো আসবেই। সেই অপেক্ষায়। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা।
The post সাতক্ষীরার করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছু প্রস্তাবনা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2U5jPvw
No comments:
Post a Comment