Thursday, December 31, 2020

ফিরে দেখা ২০২০: আম্পান, সাহেদ, ৪ খুন ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলা https://ift.tt/3pydAe0

এসএম শহীদুল ইসলাম: ‘হাসি মুখে নিতেছি বিদায় ফিরে না আসিব আর, শান্তির অভয় বাণী শোনাইয়ো বারেবার’-এভাবে শান্তির অভয় বার্তা ছড়িয়ে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০১৯। হাজারো স্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিল ২০২০। ২০২০ আমাদের মাঝে এসেছিল ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে। শুরুটা ছিল ছন্দের আবেশমাখা বন্দনায়। কিন্তু মার্চ মাস থেকে করোনার থাবা বিস্তারে থমকে যায় আমাদের অগ্রযাত্রা। করোনার ঢেউ সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও লাগে। জেলার মৎস্য, কাঁকড়া, চিংড়িসহ রপ্তানীজাত শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। অর্থনীতির খোলা জানালা নামে পরিচিত ভোমরা স্থল বন্দরে কিছু দিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে অর্থনৈতিকভাবে হোঁচট খায় সাতক্ষীরাসহ দেশ। এরপর মে মাসের ২০ তারিখে ধ্বংসের বাদ্য বাজিয়ে আসে সুপার সাইক্লোন আম্পান। গাছ-পালা, ঘর-বাড়ি, ঘের-বেঁড়ি, রাস্তা-ঘাট সব ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। ধ্বংসের সেই ক্ষত আজও শুকায়নি।

বছরের শেষের দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার চলমান মামলা ছিল বহুল আলোচিত। একই সঙ্গে ঢাকা রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী সাহেদ করিমের পলায়ন চেষ্টা এবং আদালতে সোপর্দ করা ছিল দেশজুড়ে আরও একটি আলোচিত বিষয়। এ বছরের সাতক্ষীরার আলোচিত কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো।

সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাত: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। ২০ মে সন্ধ্যার পরে ১৪৮ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরায় আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে দুইজন নিহত ও ১৬জন আহত হয়। ঝড়ে ২২ হাজার ৫১৫টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৬০ হাজার ৯১৬টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবল এই ঝড়ে সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও এলজিইডির ৮১ কিলোমিটার রাস্তা। ঝড়ে সাতক্ষীরায় ৬৫ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ৪০ হাজার টাকার আমসহ ১৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার কৃষি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৬২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সবজি, ১০ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পান ও সাড়ে ৪ লাখ টাকার তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৭০। ঝড়ে ৯১টি খামার ও ৬৪০টি গবাদি পশুসহ ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৩০ টাকার গবাদি পশু এবং ৮৬টি হাঁস মুরগির খামারসহ ৭৭ লাখ টাকা ৬৭ হাজার ৮৬ টাকার হাসমুরগির ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভেসে যায় সাড়ে ১২ হাজার মৎস্য (চিংড়িসহ) ঘের। যার ক্ষতির পরিমান ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা টাকা।
সাহেদ করিম গ্রেপ্তার: ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী সাতক্ষীরার সাহেদ করিম করোনা শনাক্তকরণ নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সারা দেশে গোয়েন্দা জাল ফেলার পর অবশেষে ১৫ জুলাই তিনি গ্রেপ্তার হন। দাঁড়ি গোঁফ ছেঁটে নারী সেজে বোরকা পরে পিস্তলসহ একটি নৌকায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুরের কুমড়োর খাল দিয়ে নদীপথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাতক্ষীরায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও প্রতারণার মামলা হয়। বহুল আলোচিত সাহেদ করিম এখন কারাগারে রয়েছেন।

 


শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলা: ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে কলারোয়া হয়ে মাগুরা যাওয়ার পথে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়িবহর নিয়ে কলারোয়া বাজারে হামলার শিকার হন। একাধিকবার খারিজ হয়ে যাওয়া এ সংক্রান্ত মামলা পুনরুজ্জীবিত হওয়ায় তার বিচারকাজ শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শেষে জামিনে থাকা তিনজন আসামীর সময়ের আবেদন না’মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একইসাথে আসামীদের ৩৪২ ধারায় মতামত গ্রহণ শেষে ১৪জন সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করলে মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর ১১জনের আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার সাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামীরা হলেন, সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম ও মো. আলাউদ্দিন। এছাড়া এ মামলায় আরও ১৩ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ৫০ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন তালা-কলারোয়া আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

মহারানী: সাতক্ষীরায় মাধুরী নামের এক অপ্রকৃতিস্থ প্রতিবন্ধী নারী একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। সাতক্ষীরা শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান শিশুটির আইনগত অভিভাবক হিসেবে তাকে ১৭ সেপ্টেম্বর শ্যামনগর উপজেলার বড়কুপট গ্রামের জিএম শামীম শিক্ষক দম্পতির হাতে হস্তান্তর করেন। তার নাম রাখা হয় মহারানী।

গাছের ডালে বাজারব্যাগে নবজাতক: ৪ অক্টোবর কালীগঞ্জের একটি শ্মশানের পাশে একটি গাছে বাজারের ব্যাগে সদ্যজাত একটি পুত্র সন্তানকে কে বা কারা ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে শিশুটিকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ওই হাসপাতালে মর্জিনা নামের এক নারীর তত্ত্বাবধানে শিশুটির স্বাস্থ্যসেবা চলাকালে উপজেলা শিশু কমিটি শিশুটিকে সাতক্ষীরা জেলা শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেয়। শিশুটিকে দত্তক হিসেবে পাওয়ার জন্য ২৯টি আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান তাকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিখা-বরুণ শিক্ষক দম্পতির কাছে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করেন। শিশুটির নাম রাখা হয় ‘তিতাস পাল’ ওরফে ‘মহারাজ’।
একই পরিবারের ৪ সদস্য খুন: ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসী গ্রামের একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী এবং দুটি শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে একই পরিবারের অপর সদস্য রায়হানুল ইসলাম। ঘাতকের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পায় ৫ মাসের শিশুকন্যা মারিয়া সুলতানা। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল মারিয়া সুলতানার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি তাকে প্রাথমিকভাবে লালন পালন করার জন্য স্থানীয় মহিলা মেম্বর নাসিমা খাতুনের জিম্মায় রাখেন।

১৫ দিনের সন্তান হত্যা: গত ২৭ নভেম্বর সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে নিষ্ঠুর বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুন তাদের ১৫ দিন বয়সের একমাত্র পুত্রসন্তান সোহানকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। তারা পুলিশের কাছে এ অপরাধ স্বীকার করে।
বাড়িতে কারাদ-: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামানকে এক বছর কারাদ- দিয়ে কয়েকটি শর্তে তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) ইয়াসমিন নাহার। এ আদেশে ২০১৫ সালে ৩ কেজি গাঁজাসহ আটক হওয়া হাসানুজ্জামান ১০ নভেম্বর থেকে ১০টি শর্তে বাড়ি থাকবেন। এরমধ্যে রয়েছে মাদকবিরোধী প্রচারণা, বৃক্ষরোপণ, বাবা-মায়ের সেবা করা, মাদক গ্রহণ না করা এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা। একই আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার ২৪ নভেম্বর আশাশুনির মহিষাডাঙা গ্রামের গৌতম গাইন, মমতা গাইন ও লতিকা ম-লকে ২০১৬ সালের এক মারামারির ঘটনায় ৩ মাস করে জেল দেন। তারাও একই শর্তে বাড়িতে থাকবেন, কারাগারে নয়। অন্যদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চতুর্থ আদালত) মেহেদী হাসান মোবারক মুনিম কালীগঞ্জের বাজারগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কালু সরদারকে ৬ মাসের জেল দেন। তিনিও মাদকবিরোধী অভিযান প্রচারণা চালাবেন এবং বৃক্ষরোপণ করবেন-এই শর্তে কারাগারে নয়, বাড়িতে থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ দেয়া হয়।
অপরদিকে ২০১৮ সালে ১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের ইমান আলীকে গত ২১ ডিসেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) ইয়াসমিন নাহার ৬ মাসের কারাদ- দেন। তবে তিনিও মাদকবিরোধী এবং বাল্যবিবাহ বিরোধী প্রচারণাসহ ১০টি শর্তে বাড়িতে থাকবেন বলে আদেশে বলা হয়।

শিশু ধর্ষণ: ২৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার শহরের কাটিয়ার এক দরিদ্র দিনমজুরের শিশু কন্যাকে স্থানীয় আসাদুল ও শাওন নামে দুই বখাটে যুবক ফুসলিয়ে খুলনার লবণচোরায় নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পুলিশ আসাদুল (৩২) ও শাওন (২৮ কে গ্রেপ্তার করে।
৫ অক্টোবর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তরিকুল ইসলাম (১৮) নামে এক যুবক। তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম আশাশুনি উপজেলার নাসিমাবাদ গ্রামের সেয়াবুল ইসলামের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ইসলাম সিআইডি’র কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

শিশুসহ আলোচিত কয়েকটি খুন: ১০ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার বল্লবপুর এলাকার একটি ফসলের ক্ষেত থেকে মরিয়ম (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরিয়ম উপজেলা সদরের পাথরঘাটা গ্রামের পানের দোকানদার আব্দুল কাদেরের মেয়ে। সে শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘাতক।
১৩ জানুয়ারি সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন মাদার নদী থেকে বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন অফিসের নৌযান চালক নবাব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী এলাকার কোস্টগার্ড অফিসের সামনে পন্টুনে লাশটি বাঁধা ছিল।
২৩ জানুয়ারি অপহরণের দু’দিন পর রাসুল আহমেদ জিম নামের এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণকারী জাহিদ হাসানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাতক্ষীরার চালতেতলা বাগানবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রাসুল আহমেদ জিম (২২) খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার শেখ হেমায়েত হোসেন হিমুর ছেলে। জিম সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিল। ১০ এপ্রিল সকালে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে আশাশুনির খাজরা আওয়ামী লীগ নেতা শরবত আলীকে।

১০ আগস্ট বিকেলে নিখোঁজের ১০দিন পর সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে কিশোর ইজিবাইক চালক ও স্কুল ছাত্র ময়নুর রহমানের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দেবহাটা উপজেলার শ্রীরামপুর থেকে হুমায়ন কবির (৩৬) নামের একজনকে আটক করে। নিহত ইজিবাইক চালক ময়নুর রহমান (১৬) সদর উপজেলা পাঁচরকি গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও মীর্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
৯ অক্টোবর সাতক্ষীরার ঝিটকি গ্রামের ধানক্ষেত থেকে হৃদয় ম-ল (৯) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হৃদয় ম-ল ওই গ্রামের বিজয় ম-লের ছেলে ও ঝিটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
১৯ অক্টোবর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী এলাকায় মাছের ঘের থেকে চন্দ্র শেখর (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কলেজছাত্র চন্দ্র শেখর (২০) শোভনালী ইউনিয়নের পশ্চিম শোভনালী (শংকরঝুটি) গ্রামের শংকর সরকারের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র।
২৪ নভেম্বর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মোসলেম আলী বিশ্বাস (৬০) নামের এক কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোসলেম আলী বিশ্বাস সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের নঈমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
৫ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার দহাকুলায় আব্দুল আজিজ মোল্লা (৫০) নামের এক দিনমজুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আব্দুল আজিজ মোল্লা ওই গ্রামের মরহুম এনায়েত মোল্লার ছেলে।
এদিকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর জেলাব্যাপী হত্যার শিকার হয়েছেন নারী পুরুষ ও শিশু মিলে ৩৯জন। আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে ৩৫টি। এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ছিল ১টি, শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৯টি, গুম ও অপহরণের ঘটনা ঘটে ৬টি। নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৫টি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৭টি, ধর্ষণ প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১১টি। জোরপূর্বক সম্পদ দখলের ৪টি ঘটনা ঘটে এবং পাচারের ঘটনা ঘটে ১টি। এছাড়া বছরের শেষ মাসে সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ নিহত ১৫জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

The post ফিরে দেখা ২০২০: আম্পান, সাহেদ, ৪ খুন ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2Lab5jq

No comments:

Post a Comment