Saturday, December 5, 2020

পাইকগাছায় সুপারির হাট জমে উঠেছে: দাম বেশি https://ift.tt/eA8V8J

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় সুপারির হাটগুলো জমে উঠেছে। উপজেলার গদাইপুর হাটসহ স্থানীয় হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে সুপারি বিক্রি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে এ বছর সুপারির ফলন ভাল হয়নি। এ কারনে সুপারির দাম অনেক বেশি। এখন সুপারির ভরা মৌসুম চলছে। ফলে বাগান মালিক খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা সুপারি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।

সুপারি বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। সুপারি স্থানীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। সুপারি কাঁচা, শুকনা, মজানো-ভিজা পান পাতা দিয়ে মুড়িয়ে খিলি বানিয়ে খাওয়া হয়। সুপারি ছাড়া পানের পূর্ণতার কথা ভাবা যায় না। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সুপারি ব্যবহার হয়। অনেকের আবার শুধু সুপারি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠির এক দশমাংশ সুপারি খান। শিশু, নারী ও পুরুষ সুপারি ব্যবহার করেন। তবে পুরুষের মধ্যে সুপারির ব্যবহার বেশী। উলে¬খ্য সুপারির কারণে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৪শতটি। গাছ প্রতি গড়ে ৪৪০টি সুপারির ফলন হয়েছে। প্রায় গাছে ৩ থেকে ৪ কাধি সুপারির ফলন ধরে। কোন কোন গাছে সর্বনি¤œ ৫০ থেকে ১৫০ আবার কোন কোন গাছে ৬ থেকে ৭শ’ সুপারি ফলন হয়। লবণাক্ত এ উপজেলার ভূমির অবস্থান উচু ও বিলান এবং নিচু ও বিলান জমির পরিমাণ বেশি। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়–লী সুপারি গাছের পরিমাণ বেশি। চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় সুপারি গাছ রয়েছে। বাকী ইউনিয়নগুলোতে গাছ নেই বললেই চলে। সুপারির ভরা মৌসুমে হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণ সুপারি বিক্রি হচ্ছে।বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের হাটে প্রচুর পরিমাণ সুপারি সরবরাহ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে পাইকারী সুপারি ক্রয় করে এলাকার বাইরে মোকামগুলোতে বিক্রি করছে। তাছাড়া স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা সুপারি ক্রয় করে গুদামজাত করছে। যা পরে শুকিয়ে বা পানিতে মজিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করা হবে। তকিয়া গ্রামের সুপারি বাগান মালিক জাহিদ হোসেন জানান, এ বছর সুপারির ফলন ভাল হয়নি তবে বাজার মূল্য বেশি থাকায় তিনি খুশি। এ বছর নতুন করে আরেকটি সুপারি বাগান গড়ে তুলবেন বলেও জানান। স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, মোবারক ঢালী, সিরাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে সুপারির পরিমান কম। শুরু থেকে সুপারির দাম একটু কম থাকলেও এখন ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে কুড়ি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে পাইকারী সুপারি ক্রয় করে বড়দল, সোলাদানা, শান্তাসহ পাশ্ববর্তী হাট-বাজারের আড়ৎগুলোতে সুপারি বিক্রয় করে। সুপারির হিসাব অঞ্চল হিসাবে ভিন্ন। এ এলাকায় এক কুড়ি (৫৫গোন্ডা) অর্থাৎ ২২০টি সুপারি। স্থানীয় অনেকেই সুপারি ক্রয় করে মজুদ করতে শুরু করেছে। যা পরবর্তীতে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করবেন বলে মজুদকারীরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সুপারি এ অঞ্চলের একটি অর্থকারী গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তাছাড়া এ এলাকার সুপারির মানও ভালো। তবে লম্বা সুপারি গাছ গুলো মরে যাওয়ায় অথবা কেঁটে ফেলায় নতুন করে সুপারির বাগান তেমন একটা গড়ে উঠছে না। তাই কৃষি অফিস থেকে নতুন করে সুপারি বাগান তৈরীর জন্য বাগান মালিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

The post পাইকগাছায় সুপারির হাট জমে উঠেছে: দাম বেশি appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/36ISnaF

No comments:

Post a Comment