Thursday, December 3, 2020

কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনদর্শন https://ift.tt/eA8V8J

মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ
(সপ্তম পর্ব)
মুসলমান স্বীয় জীবনে কেবলমাত্র অনুসরণ ও অনুকরণ করবে মুহাম্মদ (সা.) কে সুরাহ ইমরানের ১৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট বলেছেন: ‘ইসলাম আল্লাহর নিকটে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা’। সুরাহ ইমরানের ৮৫নং আয়াতে বর্ণিত আছে- ‘ইসলাম ছাড়া অন্যকোন দ্বীন যে ব্যক্তি অন্বেষণ করবে।

(সেই বাতিল দ¦ীন নিয়ে আল্লাহর কাছে বান্দারা যখন উপস্থিত হবে) আল্লাহ তাদের থেকে তা (অর্থাৎ মানব রচিত ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক দর্শন) কবুল করবেন না। আর পরকালে ঐ সমস্থ লোক ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।আবার সুরাহ মায়েদার ৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করেদিলাম। জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে আমি (আল্লাহ তায়ালা) সন্তুষ্ঠচিত্তে গ্রহণ করলাম’। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ১৭ রাকাত ফরজ+১২ রাকাত সুন্নাত+৩ রাকাত বিতর ওয়াজীব= মোট ৩২রাকাতে আমরা ৩২ বার সুরাহ ফাতেহা তেলাওয়াত করি। আর ৩২বার সুরাহ ফাতেহার মধ্যে আল্লাহকে বলি-‘হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে সরল পথে (ছিরাত্ব মুস্তাকিমের পথে) পরিচালিত করুন। *তাদের পথ যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন।আর তাদের পথ নয় যাদের উপর (দ্বীন হিসাবে ইসলামকে বাদ দিয়ে অন্য দ্বীন গ্রহণ করার কারণে) অভিশাপ দেওয়া হয়েছে এবং (তাদের পথও নয়) যারা বাতিল দ্বীন গ্রহণ করার কারণে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে।’ সুত্র: সুরাহ ফাতেহা, আয়াত নং: ৬-৭।

 

সুহৃদ মুমিন-মুসলিম দ্বীনি ভাই আপনাদের হৃদয়ের কাছে বিষটি আরো স্পষ্ট করে বলি, দৈনিক ৩২ বার আমরা আল্লাহর কাছে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি যে, হে আল্লাহ তোমার দ্বীনের পথে আমাদেরকে কবুল করো। আর তোমার দ্বীনের যারা বিরোধিতা করে তাদের পথে নয়। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, আজ মুসলিমরা তাদের সেই প্রতিশ্রুতির কথা বেমালুম ভুলেগেছে। কারণ তারা মসজিদ থেকে বাহিরে এসে আল্লাহর পাঠানো একমাত্র দ্বীন ইসলামকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিধান পালনের ক্ষেত্রে মানব রচিত বিধানের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে চলছে। সুতরাং নামাজ পড়লেও অন্যান্য বিধানের ব্যাপারে গাফিল থাকার কারণে প্রতিদিন ৩২ বার সুরাহ ফাতেহার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কাছে যে ওয়াদা/প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি তা ভঙ্গ করার দায়ে মুনাফিকী চরিত্র অর্জন করছি, সেটা ভেবে দেখেছি কী?। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনি¤œ স্তরে থাকবে।আর মুনাফিকরা তাদের জন্য(সেখানে)কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ সুত্র: সুরাহ নিসা, আয়াত নং-১৪৫। মুসলিম নামধারী মুনাফিকী চরিত্র স্বয়ং হুজুরে পাক (সা.) এর জামানা থেকে চলে আসছে। মুনাফিকদের নেতা হলেন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই যিনি রাসুলের সাথে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ৩০০ জনকে নিয়ে উহুদ যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেছিল।

 

আর এ কারণে ইবনে উবাই মারাত্মকভাবে মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামের সাথে দুশমনি করেছিল। বিশ্বনবী (সা.) এর সাথে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছে কিন্তু মুনাফিকী করার কারণে জাহান্নামী হয়েছে।আল্লাহ তায়ালা তার জানাজার নামাজ পড়তেও রাসুল (সাঃ) কে নিষেধ করেছেন যা আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। মুনাফিকরা হলো দ্বিমুখী চরিত্র ধারণ করে। তাদের দ্বিমুখী চরিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে আল্লাহ তায়ালা সুরাহ বাকারার ১৪ নং আয়াতে উল্লেখ করেছে ঠিক এভাবে-“যখন তারা মুমিনদের সংস্পর্শে আসে তখন তারা বলে আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন নিভৃতে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথেই আছি।আমরাতো কেবল তাদের সাথে (ঈমানদারদের) সাথে ঠাট্টা-তামাশাই করে থাকি।’ আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে মুনাফিকদের খোলস উন্মোচন করেছেন ঠিক এভাবে-‘আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি। অতচ তারা মোটেও ঈমানদার নয়। সুত্র: সুরাহ বাকারা, আয়াত নং-০৮। সুতরাং উপরের কুরআনের আয়াত থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, ইসলামের লেবাস পরিহিত মুসলিম নামধারী তারা যতই বলুক আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কিন্তু আল্লাহর দেওয়া প্রতিটি বিধান পালন ও আমলে পরিণত করতে কুন্ঠাবোধ করে।তারা আল্লাহর কাছে কখনো মুমিন হতে পারবে না। মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও মুনাফিকী চরিত্র ধারণ করার প্রতিফল স্বরুপ পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। আর জাহান্নামের সর্বনি¤œ স্তরে থেকে আগুনের লেলিহান শিখা উপভোগ অত্যন্তু বেদনাদায়ক হবে। মুমিনের প্রধান দায়িত্ব কর্তব্য হলো মুনাফিকী স্বভাবকে চিরতরে বর্জন করতে হবে। মুমিন তাঁর জীবনের সকল সমস্যা সমাধান করবে আল কুরআন ও মুহাম্মদ (সা.)এর সুন্নাহ থেকে। এটিই হবে কেবলমাত্র ঈমানের মুল চেতনা। মুমিনের এই আদর্শিক চেতনা কুরআন-সুন্নাহ ব্যতিরকে অর্থাৎ যখন মুহাম্মদ (সা.) কে বাদ দিয়ে অন্য কোন আদর্শিক চেতনা দ্বারা পরকালে মুক্তির পাথেয় ভাবা আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। সুতরাং মুমিনের জীবন-আদর্শের একমাত্র চেতনার নামটি হলেন সাইয়িদ্যুল বাশার হযরত মুহাম্মদ (সা.)। কেবলমাত্র তাঁর অনুসরণ ও অনুকরণের মধ্যে দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখিরাতে চিরস্থায়ী মুক্তি পাওয়া সম্ভভ।

 

আর আল্লাহর দেওয়া প্রতিটি বিধানের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হলেন সাইয়িদীনা মুহাম্মদ (সা.)। এখন প্রশ্ন হলো মুহাম্মদ (সা.) কে কেন অনুসরণ করবো? জওয়াব আল্লাহ নিজেই দিচ্ছেন-‘হে নবী! আপনি বলুন: যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসতে চাও, তাহলে আমাকে অনুসর ও অনুকরণ কর(অর্থাৎ আল্লাহর প্রদত্ত বিধানবলী যার বাস্তব নমুনা হলেন মুহাম্মদ (সা.) তাই কেবলমাত্র তাকেই অনুসরণ করতে হবে)। ফলাফল স্বরুপ আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ কাটাকে মাপ করে দিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। *হে নবী! আপনি আরো বলুন: তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যে করো, (অর্থাৎ আল্লাহর দেওয়া আদেশ-নিষেধ বিধানবলী মেনে চলার মাধ্যমে তাঁদের আনুগত্যে করো)। আর আনুগত্যে না করে,তারা যদি মুখফিরিয়ে নেয়, (তাহলে তাঁরা জেনে রাখুক) আল্লাহ তায়ালা কখনো কাফেরদেরকে পছন্দ করেন না।’ সুত্র: সুরাহ ইমরান, আয়াত নং: ৩১-৩২। এখানে একটা বিষয় সূর্যের আলোর ন্যায় স্পষ্ট যে, মুহাম্মদ (সা.) কে অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্যে না করলে প্রকারান্তে ঐ সমস্থ লোক আল্লাহর তায়ালার সাথে কুফুরি করলো। আর কুফুরি করার কারণে তারা কাফের হিসাবে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করবে। সে কথারই ইঙ্গিত আল্লাহ সুরাহ ইমরানের ৩২ নং আয়াতে করেছেন। কুফুরির ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে আল কুরআনের অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-‘যারা (আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর বিধানকে) কুফুরি/ অস্বীকার করেছে, কেয়ামত দিবসে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্তুতি তাদের কোনো উপকারে আসবে না। (প্রকারান্তরে) তারাই জাহান্নামের ইন্ধন হবে।’ সুত্র: সুরাহ ইমরান: আয়াত নং-১০। একই বিষয়ে সুরাহ বাকারার ৩৯ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-“আর যারা (আমার বিধান) অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াত সমুহকে (তাদের জীবনে না মেনে) বরং মিথ্যা প্রতিপন্ন করে (লাগামহীন জীবনযাপন) করবে। তারা জাহান্নামের বাসিন্দা হবে, তারা সেখানে চিরদিন থাকবে।আল কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যে, মুহাম্মদ (সা.) এর আল্লাহ প্রদত্ত দেওয়া আদর্শ অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্য না করার পরিণাম কেবলমাত্র জাহান্নাম। উল্লেখ্য যে, ব্যক্তি হিসাবে মুহাম্মদ (সা.) আজ আমাদের মাঝে নেই তাহলে এখন আমরা কার অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্য করবো? আর এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির জওয়াবও আমরা মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে গ্রহন করবো।

সুরাহ নিসাহ ৫৯ নং আয়াতটি তার উত্তম জওয়াব ঠিক এভাবে দিচ্ছে-‘হে ঈমানদার লোকেরা তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর, আনুগত্য করো (তাঁর) রাসুলের এবং আনুগত্য করো সেসব লোকদের যারা তোমাদের মধ্যে (রাসুলের পক্ষ থেকে দ্বীনের জন্য) দায়িত্বপ্রাপ্ত। অতএব কোনো ব্যাপারে তোমরা যদি একে অপারের সাথে মতবিরোধ করো, তাহলে সে বিষটি ফয়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দিকে ফিরিয়ে যাও।যদি তোমরা সত্যিকার অর্থে আল্লাহ ও পরকালের দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখো।আর এটা তোমাদের (বিরোধ মিমাংসার) জন্য উত্তম পন্থা।’ মুমিন জীবনের সকল সমস্যা সমাধান হবে আল কুরআন ও আস্্ সুন্নাহ অনুযায়ী। আজ রাসুল নেই কিন্তু আল কুরআন ও আস্্ সুন্নাহ আমাদের কাছে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সুত্রে সংরক্ষিত। অতএব, আল কুরআন ও আস্্ সুন্নাহ এর শতভাগ আমল যে মহান ব্যক্তিদের মধ্যে আজ ও বিদ্যমা। মুসলিম হিসেবে তাঁকে অনুসরণের মধ্যেই রাসুলের অনুসরণ ও তাঁকে আনুগত্যের মর্যাদা পাওয়া যাবে। তাছাড়া রহমাতে নাবী মুহাম্মদ (সা.) এর কুরআনিক আদর্শকে বাদ দিয়ে অন্যকোন মানবরচিত খায়েসি আদর্শকে গ্রহণ করার মধ্যে কোন মুক্তি সম্ভব নয়। মুহাম্মদ (সা.) অফাত পরবর্তী সময়ে দুনিয়াতে বিদ্যমান অনেক নেতা বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থাপনায় এসেছেন বিশেষত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে যেসব মহান নেতা এসেছেন। উদাহরণ স্বরুপ হযরত উমর ফারুখ (রা.) ও ইসলামের পঞ্চম খলিফা খ্যাত হযরত উমার ইবনে আবদুল আজিজ (রা.) এর নাম স্ববিশেষ উল্লেখযোগ্য। কুরআনের আলোয় তারা নিজেরা যেমন আলোকিত হয়েছিলেন সেই সাথে গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে ইনসাফ ও আদলে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সহজ কথায়-যে ব্যক্তি আল কুরআন ও আস্্ সুন্নাহ এর দীপ্ত শিখা দিয়ে নিজে আলোকিত হয়েছেন শুধুমাত্র তাকেই অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্যের মাধ্যমে নিজে আলোকিত হওয়া সম্ভব। যুক্তির কষ্ঠিপাথরে বলবো: যে বাতিতে আলো আছে, সেই বাতিটি কেবল অন্য বাতিকে আলো দিতে পারে। আর যিনি কুরআনের আলোয় আলোকিত তাঁর থেকেই কেবল দ্বীনি আলো পাওয়া সম্ভব। আর যিনি আল কুরআন ও আস্্ সুন্নাহ বাদ দিয়ে মানব রচিত কোন তাগুতি, কুফুরি ও শিরকী আদর্শের মডেল তিনি কোনো মুমিন-মুসলমানের আদর্শিক চেতনার মডেল হতে পারেনা।মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে এ বিষয়ে আল কুরআনে সুরাহ হাশরে বর্ণিত আছে-‘রাসুল তোমাদেরকে যে (জীবন আদর্শ হিসেবে ইসলামী শরীয়ত দিয়েছে) তা গ্রহণ করো। আর তিনি (মুহাম্মদ (সা.) যা হারাম হিসাবে চিহ্œিত করে) নিষেধ করেছেন তা বর্জন করো। আল্লাহকে ভয় করো।নিশ্চয়ই আল্লাহ পরকালে শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর। সুত্র: প্রাগুক্ত, আয়াত নং-০৭। এ আয়াতের ব্যাখ্যা হিসাবে বুখারি-মুসলিম বর্ণিত হাদিসে স্বয়ং রাসুলে খোদার জবানীতে বর্ণিত আছে-আহলে সুফ্্ফার তীক্ষœ মেধাবী ছাত্র, হাদিস শাস্ত্র সংরক্ষণের প্রাণপুরুষ খ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন: ‘আমি (নবী মুহাম্মদ (সা.) তোমাদেরকে জীবন চলার পাথেয় হিসেবে যে শরীয়ত) দিয়েছি তা তোমরা গ্রহণ করো। আর আমি (মুহাম্মদ সা.) তোমাদেরকে যা করতে নিষেধ করেছি, তা বর্জন করো।’ সুত্র: বুখারি-৭২৮৮, মুসলিম-১৩৩৭, ইবনে মাজাহ-০১, তিরমিযী-২৬৭৯।

 

আল কুরআনের ৬৬৬৬ আয়াত, কোন বর্ণনায় ৬২৬২ আয়াতের মধ্যে যদি কোনো মুমিন-মুসলমান একটি আয়াতের বিধানকে গ্রহন না করে অস্বীকার করে। মুহূর্তের মধ্যে ঐ ব্যক্তি ঈমান থেকে খারিজ হয়ে কাফের হয়ে যাবে। সুরাহ হাশরের ৭ নং আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ তায়ালা সেই সতর্ক বাণী বর্ণনা করেছেন। রাসুলের আনীত বিধানকে অস্বীকার করলে পরকালে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং ফলাফল স্বরুপ জাহান্নামী হবে। আল কুরআনের সুরাহ নিসাহ ৮০ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-‘যে লোক রাসুলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করলো। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল। হে নবী! ঐ সমস্থ লোকের জন্য আমি আপনাকে রক্ষাণাবেক্ষনকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। অর্থাৎ মুহাম্মদ (সা.) তাদের কোন দায়িত্ব পরকালে গ্রহণ করবেন না।’ পরিসমাপ্তি কলমে একথা বলবো যে,প্রত্যেক মুমিন-মুসলমান তাঁর জীবনের সকল ক্ষেত্রে কেবলমাত্র মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শকে অনুসরণ ও অনুকরণ করবে। তাহলে পরকালে নবীজী তাঁর আদর্শের অনুসরণকারী উম্মতদিগকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। হে আল্লাহ!আমাদের সকলকে মানবতার একমাত্র আদর্শ শিক্ষক মুহাম্মদ (সা.) এর কুরআনিক জীবনকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফীক দান করুন, (তাক্বব্বাল মিন্না ফিদ্্ দ্বীন-আমিন)। চলবে…। লেখক: ইসলামী গবেষক

The post কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনদর্শন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3mPyGUB

No comments:

Post a Comment