Thursday, January 28, 2021

কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর কর্মনীতি ও তাঁর দর্শন https://ift.tt/eA8V8J

মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ
(১৫তম পর্ব)…
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনদর্শনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত এবং মুমিনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো রাসুলের আনীত দ্বীন ও তাঁর সুন্নাত অনুযায়ী আমল: সুুন্নাত শব্দটির অর্থ পথ, মত, আদর্শ, পন্থা, নিয়ম, রীতি, স্বভাব ইত্যাদি। সুত্র: ড. ফজলুর রহমান, আল মু’জামুল ওয়াফি।

সুন্নাতের সংজ্ঞা নির্ণয়ে প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ সাইয়েদ মুহাম্মাদ আলী বলেন: ‘ইসলামের সামগ্রিক পরিভাষায়- সুন্নাতের মুল অর্থ হলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন আদর্শ, নিয়ম ও জীবন পদ্ধতি যা তাঁর কথা, কাজ ও তাঁর অনুমোদন দ্বারা জানা যায় তাকে সুন্নাত বলে।’ আল্লামা মোল্লাজিউন (রহ.) বলেন: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ, মৌন সম্মতি এবং সাহাবায়ে কেরামের কথা ও কার্যাবলীকে সুন্নাত বলে। শায়খ আবদুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) বলেন: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা কিছু এসেছে তাই সুন্নাত। মোট কথা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ, গুনাবলী ও তাঁর মৌন সম্মতিকে সুন্নাত বলে। সূত্র: ড. মাহমুদ আত্্ ত্বহান, মুস্তালাহুল হাদীস। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সরাসরি শিক্ষক হলেন আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি মানব জাতির জন্য শিক্ষক রুপে প্রেরিত হয়েছি’ (সূত্র: সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-২২৯)। সুতরাং মুমিনের জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যদি শিক্ষক হিসাবে বদ্ধমূল করা যায়, তাহলে মুমিনের জীবনের সকল হতাশা, তমসা, বিপদ-মুসীবত দূর হয়ে যাবে। মুমিনের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনের সকল স্তরে তাঁর একমাত্র আদর্শের প্রতীক হবে বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।যেমন আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-“প্রকৃতপক্ষে তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করে,তাদের জন্য অবশ্যই আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।”।

সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ আহযাব, আয়াত নং-২১। সুন্নাতের অনুসরণের বিষয়ে আল কুরআনে ইরশাদ এসেছে-“রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে (কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে) যা কিছু দেয়,তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা থেকে সে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলে তা থেকে বিরত থাক” অর্থাৎ রাসুল (সা.) তোমাদেরকে যা করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে চিরতরে বিরত থাকা মুমিনের জীবনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ হাশর, আয়াত নং-০৭। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে হবে কেননা উম্মতের প্রতি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল নির্দেশনা আসে আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের থেকে কোন কিছু রচনা করে বলেন না,বরং আল্লাহ তাকে যেটা বলার নির্দেশ প্রদান করেন, শুধুমাত্র তিনি সেটা বলেন। যেমন কুরআনে এসেছে-“আর সে রাসুল (সা.) যা কিছু বলেন, “মনগড়া কথা বলেন না।বরং এতো ওহী যা তার প্রতি নাজিল করা হয়।” সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ নাজম, আয়াত নং ৩-৪। মুমিনের গুনাহ মাপের জন্য আল্লাহকে ভালবাসার শর্ত হলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শকে শতভাগ অনুসরণ করা।তাহলে আল্লাহ তায়ালা মুমিনের সকলগুনাহ মাপ করে দেবেন। যেমন আল কুরআনে ইরশাদ এসেছেÑ“হে নবী! আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহর প্রতি ভালবাসা পোষণ করো, তাহলে আমি নবী মুহাম্মাদ (সা.)কে অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তিনি তোমাদের গুনাহ মাপ করে দেবেন। সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ ইমরান, আয়াত নং-৩১।

মুমিনের জীবনে সকল ক্ষেত্রে সকল সমম্যা নিরসনের জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একমাত্র বিচারক হিসেবে মানতে হবে তাহলে তার সুন্নাতের অনুসরণ করা হবে। যেমন আল কুরআনে এসেছেÑ“না! তোমার রবের শপথ! এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের পারস্পরিক মতভেদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক হিসেবে মেনে না নেবে। তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সেটা নিয়ে তারা নিজেদের মনে কোনোরুপ দ্বিধাবোধ করবে না, বরং তার নিকট পূর্ণরুপে নিজেদেরকে সোপর্দ করবে। সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ নিসাহ, আয়াত নংÑ৬৫।অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার ফয়সালা ও সিদ্ধান্তের প্রতি কোন মুমিন কখনো দ্বিমত প্রকাশ করবে না। এটাই একজন মুমিনের প্রধান ঈমানী বৈশিষ্ঠ্য হবে। আল কুরআনে ইরশাদ এসেছেÑ“যে রাসুলের আনুগত্যে করে, সে আল্লাহর ই আনুগত্যে করলো”। সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ নিসাহ, আয়াত নংÑ৮০। আর যারা রাসুুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করবে না তাদের উপর আল্লাহর কঠিন শাস্তি পতিত হবে। যেমন আল কুরআনে ইরশাদ এসেছেÑ“যারা আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের সতর্ক হওয়া উচিৎ যে, তাদের উপর বিপর্যয় বা কষ্টদায়ক শাস্তি আপতিত হবে”। সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ নুর, আয়াত নংÑ৬৩। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বীনের ক্ষেত্রে যতটুকো বিধান বর্ণনা করেছেন তার অতিরিক্ত প্রশ্ন করা সুন্নাতের খেলাপ। যেমন সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-“হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-আমি যেসব বিষয়ে তোমাদের নিকট বর্ণনা করা থেকে ত্যাগ করেছি, সেসব ব্যাপারে আমাকে ছেড়ে দাও (অর্থাৎ কোনো অতিরিক্ত প্রশ্নকরো না)। তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের অত্যধিক প্রশ্ন ও নবীদের ব্যাপারে মতভেদের কারণে ধ্বংসপ্রাপÍ হয়েছে। অত:পর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে যখন কোনো কিছু নিষেধ করি তখন তোমরা তা থেকে বিরত থাক। আর যখন আমি তোমাদের কোনো কিছু করতে হুকুম করি তা যথাসাধ্য পালন করো। সূত্র: মুত্তাফাকুল আলায়হী, নাসায়ী হাদিস নং-১৭১৯, আবু দাউদ হাদিস নং-২৪৩৪। শেষ যামনায় উম্মাতে মুহাম্মাদির মধ্যে অসংখ্যা বাঁকা পথের সৃষ্টি হবে। সে সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মাতের প্রতি বিশেষ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন হাদিসের মাধ্যমে। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছেÑ“হযরত আবু নাজীহ ইরবাদ ইবনে সারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এমন এক মর্মস্পর্শী ভাষায় বক্তব্য দিলেন, যা শুনে আমাদের অন্তর গলে গেল এবং চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগল। আমরা বললাম, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ এটাতো বিদায়ী উপদেশের মতো। কাজেই আমাদেরকে আরো উপদেশ দিন। তিনি বলেন: আমি আল্লাহকে ভয় করার জন্য তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি।আর তোমাদের উপর হাবশী গোলাম শাসন কর্তা নিয়ুযুক্ত হলেও তোমরা তাঁর কথা শুনা ও আনুগত্যে করার উপদেশ দিচ্ছি।

আর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে প্রচুৃর পরিমানে মতভেদ দেখতে পাবে। (তখন এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে), তোমাদের উচিত হবে আমার সুন্নাতকে অনুসরণ করা এবং সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে অনুসরণ করা তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হবে। আর এই সুন্নাতকে খুব মজবুতভাবে শক্তদাঁত দিয়ে আঁকড়িয়ে ধরবে। এবং (দ্বীনের ব্যাপারে)সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় তথা বিদায়াত থেকে বিরত থাকবে। কেননা (দ্বীনের ব্যাপারে) প্রতিটি বিদায়াত’ই পথভ্রষ্টতা। সূত্র: সুনানে আবু দাউদ, হা: নং-৪৬০৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-৯৩। এই হাদিসটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মুল মানদন্ডের হাদিস। অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে শরীয়তের প্রণেতা হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি যেভাবে দ্বীনের তরবিয়াত শিক্ষা দিয়েছেন ঠিক সেভাবে আমাদের দ্বীন পালন করা কর্তব্য। এছাড়া দ্বীনের মধ্যে যদি কেউ নতুন কোনো ইবাদাতের তরীকা চালু করে যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেননি এবং তাঁর সুপথপ্রাপ্ত সাহাবীদের দ¦ারাও প্রতিষ্ঠিত নয়। তাহলে সেই দ্বীনের তরীকা বা পদ্ধতিটি অবশ্যই সুস্পষ্ট বিদায়াত বলে গণ্য হবে। কেননা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমেই দ্বীনের পূর্ণতা লাভ করেছে যার বর্ণনা সুরাহ মায়েদার মধ্যে সুস্পষ্ট।ইরশাদ হচ্ছে-“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে পছন্দ করলাম”।

সূত্র: সুরাহ মায়েদা, আয়াত নং-০৩। সুরাহ মায়েদার এ আয়াত দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে ইসলাম নামক কল্যাণমুখী জীবন ব্যবস্থা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।দ্বীনের মধ্যে আর নতুন কোনো ইবাদাতের রীতি বা সুন্নাতের প্রচলন করার কারোর অধিকার নেই। আর যদি কেউ কোনো নতুন রীতির আবির্ভাব ঘটায় যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের আমলী যিন্দিগীতে ছিল না। তাহলে সুরাহ মায়েদার আলোকে সেটি হবে ইসলামের মধ্যে অতি-বাড়াবাড়ি ও উগ্রতার শামিল। এজন্য দ্বীনের মধ্যে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সীমারেখা নির্ধারণ করেছেন তার মধ্যেই দ্বীনের ইবাদাত পদ্ধতি বিদ্যমান থাকবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজটি যেভাবে করেছেন, সে কাজটি ঠিক সেভাবে করা মুমিনের একান্ত দায়িত্ব। যেমন হাদিসে এসেছে-“হযরত আবেস ইবনে রাবী’আ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) কে হাজরে আসওয়াদ চুমো দিতে দেখেছি। তিনি বলেন, আমি জানি যে, তুমি একখন্ড পাথর মাত্র, তুমি কোনো উপকারও করতে পারো না, আপকার ও করতে পারো না। আমি যদি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামকে তোমাকে চুমো দিতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুমো দিতাম না। সূত্র: সহীহ আল বুখারি, হা: নং-১৫৯৭, মুসলিম, হা: নং-১২৭০, তিরমিযী, হা: নং-৮৬০, নাসায়ী শরিফ, হা: নং-২৯৩৭। প্রত্যেক মুমিনের জন্য এই হাদিস থেকে পরম শিক্ষা আছে, আর তা হলো হাজরে আসওয়াদের পাথর ছাড়া পৃথিবীর অন্য সকল পাথরে ইবাদাতের উদ্দেশ্যে চুমো দেয়া যেমন বিদা’আত।

কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য পাথরের ক্ষেত্রে সে অনুমোদন দেননী। তদ্রƒপভাবে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, কুরবানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পদ্ধতিতে শিখিয়েছেন সে পদ্ধতিতে করা হলো শরীয়তের পরিভাষায় ইবাদাত এবং বিকল্প পদ্ধতিতে করলে হবে বিদা’আত।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সুপথপ্রাপ্ত সাহাবী (রা.) এর শেখানো পদ্ধতি হলো তাঁর প্রকৃত সুন্নাত এবং এই সুন্নাতের হেফাযাত করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে পরিত্যাগ করে যারা ইবলিস শয়তান পরিচালিত তাগুতি ও কুফুরি রীতি, আদর্শকে জীবন চলার পথ ও পাথেয় করবে তাদের স্থান হলো নিকৃষ্ট আবাসস্থল জাহান্নাম।যেমন আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-“(আল্লাহর পক্ষ থেকে) সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও যে ব্যক্তি রাসুলের (অনুসরণ না করে) বিরুদ্ধাচারণ করে এবং মুমিনদের পথের বিপরীতে (শয়তানের পথে) চলে। (আল্লাহ তায়ালা বলেন) আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাবো যেদিকের পথ সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।আর জাহান্নাম কতইনা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। সূত্র: আল কুরআন, সুরাহ নিসাহ, আয়াত নং-১১৫। পরিশেষে কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিাকোণ থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ হলো তাঁর সুন্নাত। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের হিফাযাত ও তদানুযায়ী আমল করা প্রত্যেক মুমিনের আবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফীক দান করূন, (আমিন)। চলবে…। লেখক: ইসলামী গবেষক, খতিব: লাবসা দপ্তারিপাড়া বায়তুন নূর জামে মাসজিদ, সাতক্ষীরা

The post কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর কর্মনীতি ও তাঁর দর্শন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2KVuc0H

No comments:

Post a Comment