Saturday, January 30, 2021

নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার https://ift.tt/eA8V8J

মো. আলমগীর হোসেন
সাজিয়া পারভিনের স্বপ্ন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো। সে লক্ষ্যেই স্নাতকে পড়ার সময় ব্যবসার খুঁটিনাটি জানা-বোঝার চেষ্টা করতে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ট্রেডের মাধ্যমে আত্মনির্ভশীল ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার লক্ষ্যে নারীদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তাঁর নিজ উপজেলা থেকে টেইলারিং ও ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ও হাতে কলমে শিক্ষা পায় কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে। সেইসাথে ছিল দোকান পরিচালনা ও বিপনন ব্যবস্থার ওপরও প্রশিক্ষণ। সবমিলে প্রশিক্ষণের ছয় মাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে যায় তাঁর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। সাজিয়া তাঁর নিজ জেলায় আজ প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা এবং পাশাপাশি পরিবারের অন্যতম উপার্জনকারীও। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর এভাবেই সাজিয়ার মতো হাজার হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করছে। গত দশ বছরে এসংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে লক্ষাধিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে প্রত্যাশা ছিল আরো এক লাখ নতুন উদ্যোক্তা তৈরির। এর সাথে এক কোটি গ্রামীণ-সুবিধাবঞ্চিত নারীকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমাতয়ন করা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে নারী দারিদ্র্যমোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতন বন্ধ, নারী পাচার রোধ, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধান এবং আর্থসামাজিক কর্মকা-ের মূল ধারায় নারীর পূর্ণ ও সমঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ নারীর সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। নারীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমবাজারে ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে জেন্ডার সমতাভিত্তিক সমাজ ও সুরক্ষিত শিশু।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতনের স্বীকার নারীদের পুনর্বাসনের জন্য নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাধীনতা লাভের নয় মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতিকে উপহার দেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। যে সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে উলে¬খ আছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’। ২৮(১) অনুচ্ছেদে রয়েছে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না’ এবং ২৮(২) অনুচ্ছেদে আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন’। সরকার গঠনের শুরু থেকেই নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জাতির পিতার নির্দেশনা ছিল। দেশে রাজনীতি ও প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু সরকারই প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য দশভাগ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। সাধারণ আসনে নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রাখা হয়। এর পাশাপাশি উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে দু’জন নারীকে মন্ত্রী সভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে সরকারি চাকরি ও কর্ম ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। সংবিধানে শুধুমাত্র নারী পুরুষের সমতাই নিশ্চিত করা হয়নি বরং সরকারি চাকরিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অসম প্রতিযোগিতা ও প্রতিনিধিত্বের অবসান করা হয়। সরকারি চাকরিতে মেয়েদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দিয়ে সবক্ষেত্রে ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও নিরাপদ আবাসনের জন্য ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। এই বোর্ডের মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথে নারীর অগ্রযাত্রা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দর্শন অনুসারে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের নতুন ধারা সূচিত করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগের ফলে উচ্চশিক্ষাসহ সকল ধরনের শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের শতভাগ অংশগ্রহণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা তৈরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সুরক্ষা ও নারীর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছে। আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী যা বিশ্বে বিরল। এদেশের নারীরা আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে উচ্চতর পদে দায়িত্ব পালন করছে। মাঠ প্রশাসনে নারী ওসি, ইউএনও, এসপি ও ডিসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। বিদেশের মাটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর নারী সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আছে নারীরা। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসায় বাংলাদেশের নারীর বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে ৫০-এ উন্নীত করেছে। এছাড়া নারীরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক ও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে বই বিতরণ, স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এক কোটি চলি¬শ লাখ ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। যার ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছেলে শিক্ষার্থীর চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আমাদের মেয়েরা বিভিন্ন শিরোপা অর্জনে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
সরকারের ৪৩ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক লাখ আশি হাজার কোটি টাকার জেন্ডার রেস্পন্সিভ বাজেট বাস্তবায়ন করছে। নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পয়ত্রিশটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। নারী উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধে পঞ্চাশ লাখ নারীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এক কোটি গ্রামীণ-সুবিধাবঞ্চিত নারীকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমাতয়ন করা হচ্ছে। কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মাধ্যমে কর্মজীবি নারীদেরকে আবাসিক হোস্টেল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আওতায় প্রায় এক কোটি দুস্থ ও অসহায় নারীকে ভিজিডি, মাতৃত্বকাল ভাতা, কর্মজীবি ল্যাক্টেটিং মা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রদান করছে।
নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর, নিরাপত্তা, সুরক্ষা, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোরভাবে দমন এবং প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সংশোধন করে ধর্ষণের অপরাধের জন্য “যাবজ্জীন সশ্রম কারাদ-” শাস্তির পরিবর্তে “মৃত্যুদ-” প্রতিস্থাপন করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সাতসট্রিটি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেল হতে নির্যাতিত নারী ও শিশুকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। হট লাইন ১০৯ ও জয় অ্যাপ্সের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জরুরি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্যবিয়ে ও সহিংসতা প্রতিরোধে আট হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। ২০৪১ সালে বাল্যবিয়ে শূণ্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে বাল্য ২০১৪ সালে লন্ডন গার্লস সামিটে প্রদত্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বাল্যবিয়ে নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ এর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নারী ও শিশুর উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য সরকার গত দশ বছরে যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, শিশু আইন ২০১৩, মানব পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ ও জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ প্রনয়ন করা হয়েছে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীর অগ্রগতি ছিল ৬২ শতাংশ যা ২০১৮ সালে দাড়িয়েছে ৭২ শতাংশে। গে¬াবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদনের হিসেবে ২০০৬ সালে ১১৫ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১ তম, ২০১৮ সালে ১৪৯ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮তম। বিশ্ব অর্থনীতি ফোরাম ২০২০ এর প্রতিবেদন অনুসারে নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাস করে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ায়
একেবারে শীর্ষে। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম। বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। এরই স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “পিস ট্রি” সাউথ সাউথ, প¬ানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কারে ও ওমেন্স লিডারশীপ চ্যাম্পিয়ন এ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির সকল কার্যক্রমে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবছরের ১ অক্টোবর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০-৫০-এ উন্নীত করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে নারীদের চাকরি রক্ষার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সঙ্গে নারীর সমতা, ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকার নবায়ন ও প্রচেষ্টা জোরদারেরও আহ্বান জানান। কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বয়স ও শ্রেণির পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিবাসী শ্রমিকসহ বিশ্বের সকল নারী কর্মীদের সুরক্ষা, কর্মসংস্থান ও আর্থিক স্বচ্ছলতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমাতায়ন আজ বাংলাদেশের গ-ি ছাড়িয়ে বিশ্বের সকল প্রান্তে প্রশংসিত হচ্ছে। ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০-৫০-এ উন্নীত করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা নারীর কর্মসংস্থান ও ক্ষমাতায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নারী মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে। লেখক: সিনিয়র তথ্য অফিসার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

The post নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3r3HMP4

No comments:

Post a Comment