সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহানেওয়াজ ডালিমের নিঃশর্ত মুক্তি, নির্যাতন বন্ধ ও ঘের লুটপাটের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খাজরা বাজারে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
খাজরা ইউনিয়নবাসির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার মন্ডল, খাজরা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান জালালউদ্দিন মোড়ল, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম কাজল, আনোয়ারুল ইসলাম, খাজরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার মন্ডল, শ্যামাপদ মন্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গদাইপুরের অহিদুল মোল্লার বাল্যকাল, কিশোর ও যৌবন কেটেছে খুলনায়। সেখানে তিনি ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। হঠাৎ শেষ বয়সে তার সখ জেগেছে খাজরার চেয়ারম্যান হওয়ার। তাই তিনি পরিকল্পনার প্রথম অঙ্ক কষতে যেয়ে খাজরায় আধিপত্য বিস্তার করার উদ্যোগ নেন।
এজন্য তিনি আর্থিক সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের দু’ নেতাকে। গোপালগঞ্জের এক আয়ামী লীগ নেতাকে দিয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসনের বড় এাকটি অংশকে ম্যানেজ করে চলেছেন।
এমনকি জীবনে খাজরা ইউনিয়নের কোন ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য না হয়েও যাদুবলে হয়ে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এখন তিনি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সভা ও সমাবেশে আগামি নির্বাচনে খাজরার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে শোভিত হচ্ছেন।
বক্তারা আরো বলেন, গত ১০ এপ্রিল গদাইপুর মাছের সেটে ১০ টাকার সরকারি চাল বিতরণ নিয়ে ডালিম স্বজন পোষণ করেছেন এমন অভিযোগ করেন অহিদুল মোল্লার আত্মীয় গদাইপুরের শরবৎ মোল্লা ও তার ছেলে সবুজ হোসেন। প্রতিবাদ করায় ডালিমের ছোট ভাই আহসান হাবিবকে পিটিয়ে জখম করে শরবৎ ও সবুজসহ কয়েকজন। টগরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন খবরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শরবৎসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করে।
ওইদিন গভীর রাতে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শরবৎ মারা যান। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী অহিদুল খাজরার রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সুদৃড় করতে তুরুপের তাস হিসেবে বিশেষ কৌশলে শরবতের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। পূণরায় শরবতের লাশ মাটি থেকে তুলে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে তারা মনে করেন।
বক্তারা বলেন, টুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। মামলাটি পিবিআইতে গেলেও ভাড়াটিয়া বাদি কামালের ভাই শহীদুলকে বার বার ডাকা স্বত্বেও তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অথচ আত্মহুতি দেওয়া টুম্পার মৃত্যুসহ বিভিন্ন মামলায় ডালিমকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে। উপরন্তু শরবৎ হত্যা মামলায় ডালিমও তার কিছু সমর্থকদের নামে পরিকল্পিত মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে অহিদুল ও কুদ্দুস এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছে।
সুবিধাভোগী জামায়াত বিএনপি’র লোকজনদের নিয়ে দলে ভারী করে তারা বেছে বেছে ডালিম ও তার লোকজনদের ঘের লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে ডালিম সমর্থকদের নামে। মানববন্ধন করতে গেলে পথে ব্যারিকেট সৃষ্টি করে মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে কর্মূসুচি বাতিল করার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ অহিদুল-কুদ্দুস মানববন্ধন করলে পুলিশ কোন বাধা সৃষ্টি করেনি।
বক্তারা অবিলম্বে ডালিমের নিঃশর্ত মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রতিরাতে ডালিম সমর্থকদের ঘের লুটপাট ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান। অনলাইন ডেস্ক:
The post আশাশুনিতে আ.লীগ নেতা শাহানেওয়াজ ডালিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2HFjQjq
No comments:
Post a Comment