মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ
(দশম পর্ব)..
একজন নেতার জবাবদিহীতার ব্যাপারে মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনদর্শন: এতিম শিশু যিনি ছিলেন সকলের বিশ্বস্ত আমানতের বন্ধু ও আশ্রয়স্থল। যিনি মেষ-শাবক চরাতেন, তিনি রাখাল থেকে হলেন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি আর কেউ নন আপনার আমার দু’জাহানের নেতা পরকালে শাফায়াতের একমাত্র সর্দার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একজন রাখালের মধ্যে ধৈর্য্য, বিচক্ষণতা, ¯েœহপরায়ণতা, সহানুভূতি, কোমলতা এবং অন্যের কাছে জবাবদিহীতা ও দায়িত্বশীলতার যে পরম গুণ বিদ্যমান থাকে অন্য কোনো পেশা গ্রহণ করার মধ্যে বাস্তব জীবনে ঐ গুণগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়। সহীহ আল বুখারিতে বর্ণিত একটি হাদিসে এ বিষয়ে প্রণিধানযোগ্য তথ্য আমাদেরকে স্পষ্ট দৃষ্টিগোচর করে। যেমন-হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা এমন কোনো নবীকে প্রেরণ করেননি, যিনি বকরি না চরিয়েছেন (অর্থাৎ সকল নবী বকরী চরিয়েছেন)।
অত:পর সাহাবীগণ বল্লেন: আপনিও কী চরিয়েছেন? তখন তিনি (মুহাম্মদ সা.) বলেন, হ্যাঁ; আমি কয়েক কীরাতের (মুদ্রার) বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরাতাম। সুত্র: সহীহ আল বুখারি, হাদিস নং-২২৬২। একজন নেতার দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহীতা সম্পর্কে সহীহ আল বুখারির অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে ঠিক এভাবে-‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) হতে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: তোমরা প্রত্যেকেই একজন রাখাল তথা (নেতা/তত্ত্বাবধায়ক/অভিভাবক/দায়িত্বশীল) এবং তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে (পরকালে) জিজ্ঞাসিত হবে। যিনি (সমাজ বা রাষ্ট্রের) ইমাম/শাসক বা নেতা তিনি তাঁর দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে (পরকালে) জিজ্ঞাসিত হবেন। একজন পুরুষ তার পরিবার বর্গের উপর দায়িত্বশীল, তিনি এ ব্যাপারে (পরকালে) জিজ্ঞাসিত হবেন। একজন নারীও তেমনি তাঁর স্বামীর ঘরে দায়িত্বশীলা (রক্ষক) এবং তিনিও তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবেন।একজন দাস/কর্মচারী তার মুনিব/মালিকের সম্পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সেও (পরকালে) জিজ্ঞাসিত হবে।অতএব সাবধান! তোমরা সকলেই নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্বশীল এবং তোমরা সকলেই (নিজের অধীনস্ত লোকদের ব্যাপারে)জিজ্ঞাসিত হবে।’ সুত্র: সহীহ আল বুখারি, হাদিস নং-৪৮৯২। একজন নেতা যদি আখিরাতের জবাবদিহীতার ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন না থাকেন তাহলে সেই মানুষরুপে নেতার কাছ থেকে সেবক ও রক্ষকের পরিবর্তে জনগণের সম্পদের ভক্ষক ও পশুরুপী নিকৃষ্ট দানব ও হায়েনার চরিত্র ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।
ফলশ্রুতিতে আখিরাতে জবাবদিহীতার ব্যাপারে জ্ঞানহীন এসব নেতাদের কাছ থেকে সমাজের মানুষ পদে পদে লাঞ্ছিত, সম্পদ হরণ সহ মহাজুলুমের শিকার হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে পরকালের যিন্দীগীর উপর পূর্ণবিশ্বাসী এবং আল্লাহর কাছে দুনিয়ার প্রত্যেকটি বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে জবাবদিহীতার ব্যাপারে সর্বদা অন্তরের অনুভূতিকে জাগ্রত রাখতে হবে। সহীহ আল বুখারির কিতাবুল ঈমানে “দ্বীন রক্ষা কারীর মর্যদা” অনুচ্ছেদে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে ঠিক এভাবে-“হযরত নুমান ইবনে বশীর (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, হালাল স্পষ্ট এবং হারাম ও স্পষ্ট।আর হালাল ও হারামের মধ্যে অনেক সন্দেহজনক বিষয় রয়েছে, যে বিষয়ে মানুষের কোনো জ্ঞান নেই। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে, সে তাঁর দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে সক্ষম হবে।আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয়ে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সেই রাখালের ন্যায় যে তাঁর পশুগুলোকে কোনো বাদশাহ্্ সংরক্ষিত চরণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেই পশুগুলো সেখানে ঢুকে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সাবধান! জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহ্্র একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে (অর্থাৎ পশুগুলো যদি অন্যের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে তাহলে পরিশেষে রাখালকেই তার জবাবদিহীতা করতে হয়)। সাবধান! আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ তথা হারাম কাজ সমুহ। জেনে রাখ, শরীরে একটি গোশতের টুকরা রয়েছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায় গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়।আর তা যখন খারাপ হয়ে যায় গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সেই গোশতের টুকরোটি হলো ক্বলব (অন্তুর)। সুত্র: বুখারি, হা: নং-৫২। একজন দায়িত্বশীলের ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপরে বর্ণিত তিনটি হাদিসে কেন রাখালের দৃষ্টান্ত প্রদান করলেন? এই প্রশ্নটির যৌক্তিক ব্যাখ্যা আমরা হাদিসের শরাহ গ্রন্থ থেকে উল্লেখ করবো।যেমন:হাফিজুল হাদিস আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) কর্তৃক রচিত সহীহ আল বুখারির জগৎবিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্থ “ফাতহুল বারী” যা সারা দুনিয়াব্যাপি সমাদৃত। সহীহ আল বুখারির ২২৬২ নং হাদিসে সকল নবী আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস্্ সাল্লামগণ রাখাল ছিলেন এর ব্যাখ্যায় ফাতহুল বারী ও আল্লামা মোল্যা আলী ক্বরী রচিত মিরকাত গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, বিজ্ঞ উলামাগণ বলেন: নবুওয়াতের পূর্বে আম্বিয়া (আ.) গণের ছাগল চরানোর হিকমাত হলো, ছাগল চরানোর মাধ্যমে তাঁরা এমন বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে যাতে করে এর মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের উম্মতদিগকে আল্লাহর নির্দেশিত সঠিক দ্বীনের পথে রাখার জন্য দায়িত্বশীলতার ভূমিকা পালন করতে পারেন। কেননা রাখালী পেশার দ্বারা আল হিলমু তথা বিচক্ষণতা, আশ্ শাফাক্বতু তথা কোমলতা, দয়া; আস ছাবরু তথা ধৈর্য্য।
এই তিনটি গুন অর্জিত হওয়ার কারণ হলো উন্মুক্ত খোলা ময়দানে যখন রাখাল তার প্রাণিগুলো চরায় তখন সেগুলো দৌড়ায়, এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে। আবার অন্যের খেতের ফসল নষ্ট করে। এমন জটিল পরিস্থিতিতে একজন রাখাল অত্যন্ত ধৈর্য্য নিয়ে বিচক্ষণতার সাথে কোমলতার পরশ দিয়ে গনাম তথা ছাগলগুলোকে নিজের আয়ত্বে দেখাশুনা করে। চরণভূমির হিং¯্র প্রাণির ছোবল থেকে রাখাল তাঁর দৃষ্টিকে সর্বদা নিয়োজিত রাখেন যাতে করে তার মেষ শাবক গুলো হিং¯্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকে। সুত্র: ফাতহুল বারী: ৭/৩০৮, মিরকাত: ৬/১৬০-১৬১। রাখাল বিহীন ছাগল যেগুলো উন্মুক্ত চরণভূমিতে বিচরণ করছে। যেকোনো সময়ে হিং¯্র প্রাণির হানা তাদের উপর পড়তে পারে এবং যেকোনো সময়ে তাদের প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে। অতি সহজে আমরা বুঝতে পারি এই প্রাণিগুলোর জীবনে কোনো নিরাপত্তা নেই। ঠিক একইভাবে সর্বশেষ প্রেরিত নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন তাঁর উম্মতের জন্য একজন রাখাল তথা দিকনির্দেশক দায়িত্বশীল নেতা। কুরআনের ভাষায় যিনি হলেন পথপ্রদর্শক এবং পথভ্রষ্ট অন্ধকার পথ থেকে হিদায়াতের আলোর পথের একমাত্র দিশারী। আমাদের জীবনের চলার পথের রাহাবার হিসেবে; নেতা বা দায়িত্বশীল হিসেবে তিনিই স্বীকৃত যিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র জীবনকে তার হৃদয়ে ধারণ করেছে এছাড়া মুমিনের জীবনে অনুসরণের ক্ষেত্রে অন্য নেতারা গ্রহণযোগ্য হবেন না। কেননা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্যে করলো প্রকারান্তে সে ব্যক্তি আল্লাহকেই আনুগত্যে করলো। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য হলো, সে যেনো আল্লাহরই অবাধ্য হলো। সুত্র: বুখারি, হা: নং-২৯৫৭, মুসলিম, হা: নং-১৮৩৫, ইবনে মাজাহ, হা: নং-০৩। উপরে বর্ণিত সহীহ আল বুখারির ৪৮৯২ নং হাদিসটিতে রাষ্ট্র প্রধান থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় পূর্বক পরকালে আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তিই জিজ্ঞাসিত হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে তার একটি দৃষ্টান্ত বর্নিত হয়েছে।শুধুতাই নয় সুনানে তিরমিযীর একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-“হযরত আবু বাজরা আসলামী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-কিয়ামতের মাঠে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত কোন বনী আদমকে এক কদম ও সামনে অগ্রসর হতে দেওয়া হবে না। আর তা হলো-(১) কিভাবে সে তার জীবনকে অতিবাহিত করেছে? (২) তার যৌবনকে সে কিভাবে ব্যয় করেছে? (৩) সে কিভাবে অর্থ সম্পত্তি আয় করেছে? (৪) অর্জিত অর্থ সম্পত্তি কোন পথে ব্যয় করেছে? (৫) সে তার জ্ঞানের আলোকে কী করেছে?”। সুত্র: সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২৪১৭। শরিসার দানা বা অনুপরিমাণ কেউ কোনো সৎকর্ম বা অসৎ কর্ম করলে আল্লাহর আদালতে সে ব্যাপারে তাকে কঠিন জবাবদিহি করতে হবে। যেমন সুরাহ যিলযালে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-“অত:পর (দুনিয়ার জীবনে) কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করলে সে তা (পরকালে) দেখতে পাবে। এবং (দুনিয়ার জীবনে) কেউ অণুপরিমাণ অসৎকর্ম করলে সে তা (পরকালে) দেখতে পাবে। সুরাহ যিলযাল, আয়াত নং:৭-৮।
দুনিয়ার জীবনের পাপ পূর্ণের হিসাব পরকালে প্রত্যেককে নিজেই তার আমলনামা কেতাব আকারে পড়তে হবে।যেমন সুরাহ বনী ইসরাঈলে বর্ণিত হয়েছে-“(১৩) আর আমি (আল্লাহ তায়ালা) প্রত্যেক মানুষের সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্যকে তার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছি। আর কিয়ামতের দিন তার জন্য একটি লিখিত দলীল বের করবো, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। (১৪) তাকে বলা হবে, তোমার আমলনামা পড়ো; আজ তোমার হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে তুমি নিজেই যথেষ্ট।” সুরাহ বনী ইসরাঈল, আয়াত নং: ১৩-১৪। উপরের কুরআন হাদিসের বর্ণনার আলোকে একথা স্পষ্ট যে, আমাদের দুনিয়ার জীবনের প্রত্যেকটি কর্মের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্মভাবে আদালতে আখিরাতে আল্লাহর সমীপে কঠিন জবাবদিহি করতে হবে। একজন মানুষের হৃদয়ে যদি পরকালের জবাবদিহিতার ভিত্তিটি বদ্ধমুল করতে পারে তাহলে দুনিয়ার জীবনে ঐ ব্যক্তি জেনে বুঝে কখনো অন্যায় কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। কারণ তাদের অন্তরে পরকালে আল্লাহর আদালতে জবাবদিহীতার ভয় আছে। আল কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর আয়াত তথা নিদর্শনবলীকে যারা ভুলে যাবে। অর্থাৎ যারা দায়িত্বহীন এবং পরকালের জবাবদিহীতার ব্যাপারে গাফিল অমনোযোগী। এই সমস্থ লোককে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে ভুলে যাবেন এবং তাদেরকে অন্ধ অবস্থায় উঠাবেন।যেমন আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে-“আর যে আমার (হুকুম আহকামের) স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে,তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে। এবং আমি তাকে কিয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করবো। *সে বলবে:হে আমার পালন কর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো (দুনিয়াতে) চক্ষুমান ছিলাম।
*আল্লাহ বলবেন: এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াত সমুহ এসেছিল, অত:পর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। অনুরুপভাবে আজ (আমি আল্লাহ তায়ালাও) তোমাকে ভুলে গিয়েছি।” সুত্র: সুরাহ ত্বহা, আয়াত নং: ১২৪-১২৬। সর্বশেষ হাদিসের একটি বাণী দিয়ে লেখার সমাপ্তি রেখা টানবো।ইরশাদ হচ্ছে- “আলা কুল্লুকুম রয়িন; অ-কুল্লুকুম মাসয়ুলুন আন রয়িয়্যাতিহী (বুখারি: হা: নং: ৫২)।” অর্থাৎ সাবধান! তোমরা সকলেই নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্বশীল এবং তোমরা সকলেই (নিজের অধীনস্ত লোকদের ব্যাপারে) জিজ্ঞাসিত হবে। হে আল্লাহ আমাদের সকলকে নিজের অধীনস্ত লোকদের হক্ব আদায় করার তাওফীক দান করুন এবং আদালতে আখিরাতে তোমার কাছে প্রতিটি কাজের চূড়ান্ত জবাবদিহীতার ব্যাপারে কামিয়াবী সফল ব্যক্তিদের মধ্যে আমাদেরকে কবুল করুন, (তাকাব্বাল মিন্নাহ ফিদ্্ দ্বীন, আমিন)। চলবে…। লেখক: ইসলামী গবেষক
The post কুরআন-সুন্নায় মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনদর্শন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3hg0orq
No comments:
Post a Comment