মো. মামুন হোসেন, নগরঘাটা (তালা): তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন সরদারের ছেলে আব্দুল জব্বার সরদার (৬৯)। তার ধারণা মতে ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে কোন একদিন নাতি ছেলেকে দেখার জন্য যাচ্ছিলেন মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে। পথিমধ্যে হোচট লাগলে পায়ে ক্ষত দেখা দেয়। সেসময় বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় পরবর্তীতে ক্ষতস্থান থেকে গ্যাংগ্রিনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর একে একে সাতক্ষীরা ও খুলনায় একাধিকবার (৭ থেকে ৮ বার) অপারেশন করিয়েছেন।
প্রথমে এক পায়ের গোড়ালি পরে কোমরের নিচ থেকে পুরো একটি পা। এরপরের অপারেশনে অপর পায়ের শিরা-এভাবে দুটি পা কোমরের নিচ থেকে কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তবুও তিনি থেমে যাননি। নিজেকে অযোগ্য, অক্ষম মনে করেননি। স্বাভাবিকভাবে চলাচলের ক্ষমতা হারালেও থেমে যাননি তিনি। বিয়ারিং দিয়ে তৈরী ছোটদের খেলনা গাড়ি দিয়ে চলাচল করে নিজের কৃষি জমিতে করেন চাষাবাদের কাজ পাশাপাশি বাইসাইকেলের তিন চাকা দিয়ে তৈরি হুইল চেয়ারের মতো বাহনে চড়ে দীর্ঘ বছর যাবত করেন কাঁচামালের ব্যবসা।
দুটি পা না থাকলেও বিয়ে দিয়েছেন ৬টি কন্যা সন্তানকে। বাকি আছে একটি ছেলে, সে সবার ছোট। নাম কুদ্দুস হাসান তামিম। বর্তমানে ছেলে কুদ্দুস অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী পাশাপাশি করছেন এলএলবি।
আলাপকালে কুদ্দুস বলেন, আমার বাবা আমাকে মাষ্টার্স পড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। আমিও সেটা সফল করতে চাই। যাতে করে বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়। আমি গর্ববোধ করি যে দুই পা না থাকা সত্ত্বেও আমার বাবা নিজের জমিতে চাষাবাদ ও কাঁচামালের ব্যবসা করে আমার ৬টি বোনের বিয়ে, আমার পড়াশোনা করিয়েছেন। পাশাপাশি অল্প কিছু জমিও কিনেছেন।
The post জীবনযোদ্ধা নগরঘাটার দু’পা হারানো আব্দুল জব্বারের গল্প appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3peSFwp
No comments:
Post a Comment