Tuesday, October 6, 2020

এসিসিএফ ব্যাংক পাটকেলঘাটা শাখা একমাস বন্ধ! সোয়া ২ কোটি টাকা নিয়ে সবাই লাপাত্তা https://ift.tt/eA8V8J

পত্রদূত রিপোর্ট: এসিসিএফ ব্যাংক পাটকেলঘাটা শাখায় গ্রাহকদের জমা রাখা প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ ও শংকা বিরাজ করছে। গত একমাস ধরে ব্যাংকের অফিসে তালা ঝুলছে। অফিস স্টাফসহ সকলেই লাপাত্তা। গ্রাহকরা প্রতিদিন এসে শাখার সামনে ধর্ণা দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

 

গত এক বছর ধরে এই শাখায় কোন ব্যবস্থাপক নেই। কাগজে কলমে আশিকুর রহমান নামের একজনকে ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বে দেখা গেলেও তিনি সাতক্ষীরা শাখার সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। ভবনের নিরাপত্তা আর গ্রাহক অসন্তোষ ও ঘর ভাড়ার টাকা পাওয়া ও ঘর খালি করার জন্য ঘর মালিক গত ৮ জুন ২০২০ তারিখে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন। এরপর সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নেন এক সময়ের জোনাল ম্যানেজার সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ। কিন্তু ৩১ জুলাই এরমধ্যে তিনি ঘর খালি না করেই ঘর মালিককে জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কী করবে। এখন তিনি মোবাইল রিসিভ করেননা। এদিকে টাকা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যংকে এসে টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পূবালী ব্যাংক পাটকেলঘাটা শাখা। এসিসিএফ ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রতিদিন পূবালী ব্যাংক শাখায় এসে বিরক্ত করছেন বলে পুবালী ব্যাংক ম্যানেজার অভিযোগ করেন।

এদিকে ভবন মালিকের পক্ষথেকে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করার পর পাটকেলঘাটা থানার ওসি পুনরায় ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর নোটিশ দেয়ার জন্য ঘর মালিককে পরামর্শ দেন। গত ১০ জুন ব্যবস্থাপক বরাবর দেয়া নোটিশ ব্যংকের সিল ও সই দিয়ে রিসিভ করেন ব্যাংকের সিনিয়র অফিার সদরুল কাদির ও শিক্ষানবিশ অফিসার আরিফুর রহমান। এই নোটিশে ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করার সহ ৩০ জুনের মধ্যে ঘর খালি করার জন্য বলা হয়। এরপর থেকে এই কর্মকর্তাদের এই ব্যাংক শাখায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।

 

এসিসিএফ পাটকেলঘাটা শাখা চালু করা হয় ২০১৩ সালের মধ্য নভেম্বরে। এর পর থেকে এই শাখায় প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহক বিভিন্ন মেয়াদের প্রকল্পে আমানত জমা রাখেন ২কোটি ৭ লাখ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকে আমানতের ৫০ভাগ টাকা স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগ করার কথা থাকলেও এই শাখায় এই নিয়ম মানা হয়নি। অভিযোগ, এই ব্যংকের প্রায় ৫০ লাখ টাকা সাতক্ষীরার একটি শাখা ব্যবস্থাপক ট্রান্সফার করে নিলেও এই শাখায় এই টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। বর্তমানে এই ব্যংকের চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় এবং সহযোগী অন্যান্যদের দুর্নীতির কারণে আমনতকারি গ্রাহকদের এখন তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর এই সুযোগে এই অণিয়ম আর দুর্নীতির সাথে জড়িত স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা দায়িত্ব এড়িয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এই ব্যংকের খুলনার জিএম শেখ আসলাম ও সাতক্ষীরার জোনাল ম্যনেজার সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ পাটকেলঘাটা শাখার দায়িত্ব এড়িয়ে চলছেন। অভিযোগ, এই শাখার ব্যবস্থাপক, অফিসার আর স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে খুলনার জিএম আসলামসহ স্থানীয় অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। এসকল স্টাফরা এখন তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টটাকা গ্রহনকারীদের সাথে দেন দরবার করে চলেছেন।

.

এদিকে এসিসিএফ পাটকেল ঘাটা শাখায় আমানতকারীরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়াসহ এই দুর্নীতির সাথে জড়িত স্থানীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। চুক্তির শর্তানুযায়ী ৩ মাসের নোটিশে ঘর খালি করার কথা থাকলেও গত এক বছর ধরে ঘর ছাড়ার জন্য ঘর মালিকের পক্ষ থেকে কয়েকদফা নোটিশ দেয়া হলেও সাতক্ষীরা ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ দায়িত্ব নিয়েও ঘর খালি না করে টালবাহানা করে চলেছেন বলে ঘর মালিক অভিযোগ করেন।

The post এসিসিএফ ব্যাংক পাটকেলঘাটা শাখা একমাস বন্ধ! সোয়া ২ কোটি টাকা নিয়ে সবাই লাপাত্তা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2HSXhYL

No comments:

Post a Comment