মোশ্ রাফি মুকুল
মেঘেরা যখন গুমোট মুখে সূর্যটাকে আড়াল করে,
আকাশ তখন গাল ফাঁপিয়ে কান্না করে,
সে-ই ক্রন্দন বর্ষা হয়ে ঝরে পড়ে;
বর্ষা আমার ভাই।
উসর মাঠের শুকনো গা
ভিজিয়ে দেয় আপন হাতে
নানানরকম ফসল ফলায়
কানায় কানায় পুকুর ভরায়-
ডানকুনি মাছ নেচে ওঠে
হৈ হৈ হৈ নব-কিশোর-
কিশোরীরা হল¬া করে।
বর্ষা আমার ভাই,
ভাইটি আমার নিজেই ঝরে-
খেত-খামার আর তৃণের মায়ায়।
তার জন্য আমিও তাই
জলমঙ্গল কাব্য লিখি।
বর্ষা আমার বোন।
শ্যামল মাটি,সবুজ পাতায় বাজে
তার-ই মিষ্টি ক্রন্দন।
বোনটি আমার ভালোবাসায় উপচে পড়ে,
তৃষ্ণা পেলে পিয়াস মেটায় গলা ভরে।
টুপ টাপ টুপ টিনের চালে নাচন দেখায়-
ঝম ঝম ঝম সোনামণির হৃদয় নাচায়,
বোনটি আমার বৃষ্টি-শিশির ধানের ডগায়।
জনে জনে ভাগ্য বোনে-
তার জন্য আমিও তাই
জলমঙ্গল কাব্য লিখি…
বর্ষা আমার তমা-
বর্ষা আমার মা,
তার জন্য আমিও তাই অন্যরকম বাঁচতে শিখি,
তার জন্য আমিও তাই জলমঙ্গল কাব্য লিখি-
জলমঙ্গল কাব্য লিখি,জলমঙ্গল কাব্য লিখি।
The post জলমঙ্গল কাব্য appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3irOMR1
No comments:
Post a Comment