সুভাষ চৌধুরী
নতুন উদ্যমে স্কুলে যাওয়া ছোট ছোট পড়–য়াদের হাতে এখন আর তালপাতা, দোয়াতে কয়লার কালি এবং কাঠের স্লেটও চকপেন্সিল নেই। এর বদলে তাদের হাতে উঠেছে রংবেরঙের ছবিযুক্ত বই, লেখার কলম, খাতা এবং কাগজ। এই পরিবর্তন থেকে আরও পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে তাদের লেখাপড়া এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে উঠছে। তাদের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে বইও।
এই পরিবর্তন যুগের। প্রযুক্তির আকাশচুম্বী সফলতার পাশাপাশি পুরনো দিনের সেইসব লেখাপড়ার উপাদান হারিয়ে গেছে। এখন আর কাঠের স্লেটে শিশুদের হাতেখড়ি হয় না। বরং কাগজে কলম দিয়ে লিখিয়ে অথবা অনলাইনেই হাতেখড়ি সম্পন্ন হচ্ছে।
দিনের এই পরিবর্তনের সাথে সাথে সংবাদ জগতেও এসেছে আমুল পরিবর্তন। ৫০ বছর আগে একজন সাংবাদিক নিউজপ্রিন্টে লেখা লিখে ক্যামেরায় ছবি ধারন করে তা ওয়াশ করে ঢাকায় পত্রিকা অফিসে পাঠাতেন। সেখানে সীসা লোহার হরফে ওই লেখা কম্পোজ করা হতো। পরদিন সংবাদপত্রে তা ছাপা হতো। আর এই খবর লিখে পাঠানোর জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিল ডাকবাক্স। এই ডাকবাক্সের একসময় উন্নয়ন ঘটে। সাধারন ডাকের বদলে জিইপি করে সংবাদ পাঠানো হতো। এমনকি জরুরি খবরগুলিও পাঠাতে হতো এয়ার এক্সপ্রেসে করে। এখানেই শেষ নয়। প্রযুক্তির উন্নয়ন হওয়ায় সে দিনেরও পরিবর্তন হয়েছে। জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে টেলিফোন লাইনের সাথে লিঙ্ক রেখে সরকার বসিয়েছে টেলিপ্রিন্টার। সংবাদকর্মীরা ইংরেজি ভাষায় তাদের সংবাদ লিখে টেলিপ্রিন্টারের টরে টক্কা টক্কাটরের মাধ্যমে এই খবর পাঠিয়েছেন দেশবিদেশের পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমে। পরিবর্তনের এই যুগে সংবাদ কর্মীদের হাতে একসময় চলে আসে ফ্যাক্স। সংবাদ বাংলায় অথবা ইংরেজিতে লিখে টেলিফ্যাক্সের মাধ্যমে তারা সংবাদ পাঠাতেন স্ব স্ব গনমাধ্যমে। পরদিন তা প্রকাশ হতো। প্রযুক্তির আকাশচুম্বী সাফল্যের সাথে সেই টেলিফ্যাক্স এখন সংবাদ কর্মীদের অফিস থেকে একরকম উধাও হয়ে গেছে। সেই টেলিফোনও নেই, চলে এসেছে মোবাইলের জগত। সাক্ষাৎ দর্শন মিলছে অনলাইন জগতের। জাগতিক এই পরিবর্তনের সাথে সংবাদকর্মীরাও পরিবর্তিত হয়ে গেছেন। তারা এখন মূল্যবান মোবাইল ব্যবহার করে পথেঘাটে, নদীখালে, বনে বাদাড়ে বসেই রিপোর্ট লিখে অনায়াসে স্ব স্ব গণমাধ্যমে প্রেরণ করছেন।

আজ সাতক্ষীরার জনপ্রিয় দৈনিক পত্রদূতের সিলভার জুবিলী (রৌপ্য জয়ন্তী) পালিত হচ্ছে। ২৬ বছর আগে ১৯৯৫ তে এই পত্রদূত যখন ট্যাবলয়েড আকারে বের হতো তখন তার শব্দসংখ্যা ছিল প্রাথমিকভাবে ১৪শ’। কিছুদিন পর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ২১শ’ থেকে ২২শ’। এখন সেই পত্রদূতের একটি নিউজেই শব্দসংখ্যা ব্যবহৃত হয় ২০০ এর কম নয়। সেই হিসেবে এই পত্রিকা বের করতে বিপুল সংখ্যক শব্দসম্ভারের প্রয়োজন হয়েছে। এতেই বলা যায় এখন নিউজ সম্প্রসারিত হচ্ছে, ছবি ধারণ করছে। ফলে সংবাদের ধরণ, ধারণ ও চরিত্রও পরিবর্তিত হচ্ছে। এরপর কি হবে তা কেবল ভবিষ্যতই বলতে পারবে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় তিনটি পর্ব রয়েছে। এক. ব্রিটিশ পর্ব, দুই. পাকিস্তান পর্ব, তিন. বাংলাদেশ পর্ব। ব্রিটিশ আমলে আমরা ছিলাম পরাধীন। পাকিস্তান আমলে আমরা ছিলাম ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন। আর ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে আমরা মুক্ত স্বাধীনতা ভোগ করছি। এই তিন পর্বের সংবাদ জগতও তিন রকমের।
ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে তখনকার সংবাদপত্র কিছু লিখলেই তাকে জেলজরিমানা করা হতো। তারপরেও সংবাদকর্মীরা তখন জনগণের স্বাধীকার আদায়ের লক্ষ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। এর মাধ্যমে পুষ্পিত হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। সাংবাদিকরা নীল চাষের বিরুদ্ধে লিখেছেন। তারা লেখনীর মাধ্যমে নীলকর বিদ্রোহ সংগঠিত করেছেন। তারা ‘কুইট ইন্ডিয়া’ স্লোগান লিখে সংবাদপত্রে প্রচার করেছেন। ১৯৪৭ এর পূর্ববর্তী এই সময়ে তৎকালিন অবিভক্ত ভারতে যেসব সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছিল তার অনেকগুলিই অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়েছে। অনেক সংবাদপত্র দীর্ঘজীবন পার করে প্রয়াত হয়েছে। এখনও কোন কোন সংবাদপত্রের অস্তিত্ব রয়ে গেছে। ব্রিটিশ বিতাড়নের পর ৪৭ এ দেশভাগ হতেই সংবাদপত্রের সূচনা হয় পাকিস্তান পর্বে। পাকিস্তান পর্বে সংবাদকর্মীদের লেখনী ছিল পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর বিপক্ষে। তাদের শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে গনতান্ত্রিক সংগ্রামকে সেদিনের সংবাদপত্র নানাভাবে ধারালো লেখায় উচ্চকিত করার চেষ্টা করেছে। এসব ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা রেখেছে তৎকালিন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার, দৈনিক মর্নিং নিউজ,দৈনিক পূর্বদেশ। এসব সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের আনন্দবাজার, অমৃতবাজার, যুগান্তর (বিলুপ্ত), হিন্দুস্তান টাইমস্, ইন্ডিয়া টুডে। সংবাদপত্রের এই দিনগুলি যখন কেটেছে তখন এর সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা বারবার জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন। সংবাদ প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রেস প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা পাকিস্তান আমল থেকেই কড়া ভাষায় লেখনী লিখে জনগণকে সচেতন করেছেন। দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর আগে ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে প্রকাশিত হাতে লেখা সংবাদপত্র ‘গ্রামবাংলা নির্দেশিকা’ ব্রিটিশ সরকারের এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এর সম্পাদক কাঙাল হরিনাথকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু তা আন্দোলন করে প্রতিহত করেছিলেন মীর মোশাররফ হোসেন, অক্ষয় কুমার মৈত্র ,ফকির লালন শাহ এর মতো মনিষীরা। এই গ্রামবাংলা নির্দেশিকাও শেষ পর্যন্ত আর জীবিত থাকতে পারেনি। তখনকার এসব সংবাদপত্র মানুষের খোরাক জোগাতো। তারা নির্ভীক লেখা লিখে সামাজিক আন্দোলনকেও বেগবান করতেন।
সংবাদপত্রের দ্বিতীয় পর্ব পাকিস্তান শাসনামলে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। তখনকার পত্রিকাগুলি বজ্রকঠিন ভাষা উচ্চারণ করতো। মাত্র ২ পয়সা মূল্যের এসব দৈনিক পত্রিকা মানুষ হাজারে হাজারে কিনে দলবদ্ধ হয়ে পড়তো। কালজয়ী এসব পত্রিকার সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের জাগরন ঘটে। এরই মধ্যদিয়ে সূচিত হয় মহান ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন। একই সাথে সকল রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূখপাত্র হিসেবে এসব পত্রিকা প্রকাশিত হতো। যার চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। এসব পত্রিকা তখন ৬ দফা আন্দোলন, ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এসব সংবাদপত্র লেখালেখি করে বাঙালি জাতিকে জাগরিত করে। আইয়ুবের শাসন থেকে এবং সর্বোপরি সামরিকজান্তা ইয়াহিয়া খানের কবল থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তৎকালিন পাকিস্তানে সূচিত হয়েছিল তার নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জনগণের নেতা হিসেবে এসব সংবাদপত্র তুলে ধরে। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে এই আন্দোলনেরই প্রতিফলন ঘটে। সেসময় পর্যন্ত সংবাদপত্রের ধরণ ছিল শাসন ও শোষণ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়া।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রের তৃতীয় পর্ব শুরু হয় ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে। এই পর্বে দেশে জন্মলাভ করে অগনিত সংখ্যক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন। বর্তমান সময়ে এই সংবাদপত্রের সংখ্যা দৈনিক ৫৯৫টি বলে জানা যায়। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের সংবাদপত্রগুলি তাদের শাসন ও শোষণের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আর এখনকার সংবাদপত্রগুলির চরিত্র পাল্টে গেছে। এখনকার গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সংবাদপত্রের ভেতরে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। এই যুদ্ধ নিয়েই তারা অগ্রসর হচ্ছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক যুদ্ধ। একেকটি পত্রিকা একেকটি রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করছে। সরকারের গণতান্ত্রিক মানসিকতা ও লেখার স্বাধীনতার সুযোগে পত্রিকাগুলি এভাবেই নেমে পড়েছে গৃহযুদ্ধে।
আমি বলবো, ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানপর্বে সংবাদপত্রের লক্ষ্য ছিল ‘মানুষের পক্ষে কথা বলা, শাসকদের সমালোচনা করা। সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার আদায় করা’। কিন্তু আজকের দিনে সংবাদপত্র প্রকাশের পেছনে রয়েছে কালো টাকা সাদা করা, দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়া, রাজনৈতিক দল, উচ্চাভিলাস ও নিজের প্রত্যাশাকে শাণিত করা। ফলে এখনকার গণমাধ্যমগুলির সংকট হয়েছে ভিন্নতর। এসব গনমাধ্যমে এখন যুক্ত হয়েছে সংবাদকর্মীদের বেতনভাতা, তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা, মালিক সম্পাদকের ইচ্ছা পূরণ করা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমালোচনা করে সুবিধা আদায় করা। পাশাপাশি এদিনের সংবাদপত্রগুলির বহুমুখীতা, সবার কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি করা, সমাজ উন্নয়নে নানাবিধ কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক বিকাশ, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, সমালোচনাও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যা আগের দিনের সংবাদপত্রে এত বেশি প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেনি। এখন সংবাদকর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু তাদের লিখন দক্ষতা বাড়েনি। তাদের মর্যাদা বাড়ছে না বরং ক্ষুণœ হচ্ছে। তবে তাদের কথা বলার সাহস বেড়েছে কারণ বাজারে রয়েছে প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশের বর্তমান সময়কালের সংবাদপত্রগুলি ভুগছে তাদের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা হয়ে পড়েছে বিজ্ঞাপন নির্ভর। পাঠকের খোরাক সংবাদ নির্ভর সংবাদপত্র আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। সংবাদকর্মীদের মধ্যকার রাজনৈতিক বিরোধ জোরালো হওয়ায় তারা সাংগঠনিকভাবে বিভক্তির শিকার হচ্ছেন। কারন রাজনৈতিক শক্তি আর পুঁজিশক্তি হাতে থাকলেই যেকোন অশিক্ষিত, অদক্ষ, ভিন্ন পেশার মানুষ সংবাদপত্র প্রকাশ করতে সক্ষম হচ্ছেন। এমনকি তিনি সম্পাদক হওয়ারও সুযোগ লাভ করছেন। এই হিসেবে বলতেই হবে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রকাশ করা অত্যন্ত সহজ এবং যেহেতু সরকারের সাথে যুদ্ধ নয় সেজন্য তার অস্তিত্ব কোনমতে ধরে রাখাও সহজ। ব্রিটিশপর্বে তারা প্রতিরোধযুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানপর্বে তারা কালাকানুন ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আর স্বাধীন বাংলাদেশ পর্বে তারা নেমেছেন গৃহযুদ্ধে।
এছাড়াও মুহূর্তে মূহুর্তে প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে টিভি স্টেশন ও অনলাইন পত্রিকাগুলির অঘোষিত যুদ্ধ চলছে। টেলিভিশন এবং অনলাইন এখনকার খবর এখনই প্রকাশ করছে। অপরদিকে প্রিন্ট মিডিয়া তা প্রকাশ করছে কয়েকঘন্টা পর। এ কারণে সবগুলি প্রিন্ট মিডিয়াও তাদের অনলাইন সংস্করণ বের করতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমান সময়ে সংবাদপত্রের ওপরে সরকারের কোন সেন্সরশীপ আরোপ নেই। সংবাদ মাধ্যমগুলি তাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারছে। ক্ষেত্রবিশেষে সরকারও কোন কোন সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এখনকার সব গণমাধ্যম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসামান্য সাফল্য ভোগ করছে। তবে নিউজপ্রিন্ট সংকট ও তার মূল্যবৃদ্ধি প্রিন্ট মিডিয়াকে ফেলে দিয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।
সব মিলিয়ে বলতে হবে বাংলাদেশের একালের সংবাদপত্র বহুমুখীতা লাভ করেছে। তারা মহান স্বাধীনতা, মহান ভাষা আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক সকল দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে থেকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে সমুন্নত করে রাখার কাজ করছেন। তাই বলা যায়, সেদিনের সংবাদপত্র আর আজকের সংবাদপত্রের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক রয়েছে। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমনটি আমাদের কাছ থেকে আমাদের পুরনো ঐতিহ্য কেড়ে নিয়েছে তেমনি দিয়েছেও অনেক।
দৈনিক পত্রদূতের এই সিলভার জুবিলীতে (রৌপ্য জয়ন্তী) ফুলেল শুভেচ্ছা। আগামী দিনগুলিতেও দেশের সকল সংবাদপত্র আরও গণতন্ত্রমুখী, আরও বহুমুখী, মুক্ত স্বাধীনতামুখী, ভাষা আন্দোলনমুখী, সামাজিক এবং সংস্কৃতিমুখী হয়ে উঠুক-এটাই আমার প্রত্যাশা। লেখক: প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক পত্রদূত, দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভি প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
The post দৈনিক পত্রদূতের সিলভার জুবিলীতে ফুলেল শুভেচ্ছা: সংবাদপত্রের তিনকাল দর্শন appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/39R38Iu
No comments:
Post a Comment