Friday, February 26, 2021

শ্যামনগর সেটেলমেন্ট অফিসের জরিপ বিভাগে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ https://ift.tt/eA8V8J

শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে ‘কর্মসহায়ক’ হিসেবে বেসরকরিভাবে দায়িত্ব পালনরত এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেটেলমেন্ট অফিসের ‘সার্ভেয়ার’ তথা জরিপকারক এর ঘনিষ্ঠভাজন হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে সার্বক্ষণিক কাজ করার সুযোগে নথিপত্রে নানান ধরনের জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জনকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তার এমন অপতৎপরতার শিকার হয়ে অনেকে আবার যারপর নেই মারাত্মকভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

প্রায় তিন দশক ধরে আলোচিত ঐ ব্যক্তি উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগে জরিপকারক তথা সার্ভেয়ারের দপ্তরকে একান্ত নিজের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ।

তথ্যানুসন্ধনে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলা গোপালপুর এলাকায় মনিরুজ্জামান শিমুল সরকারিভাবে নিযুক্ত সেটেলমেন্ট অফিসের কোন দায়িত্বে নেই। কিন্তু জরিপকারক এর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং নথিসমুহের যাবতীয় তথ্য সামগ্রী তার নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর এসবের সুযোগ নিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এসএ দাগ নং সহ বিভিন্ন নথির গুরুত্বপূর্ণ যে ঘষা মাজা করেছেন তার বিস্তর প্রমান রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জের একটি খতিয়ানের দাগ নম্বর নতুন খতিয়ান থেকে অলৌকিকভাবে উধাও করে দিয়ে তিনি ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি সংক্ষুব্ধ পক্ষকে ম্যানেজ করে ঐ মানচিত্রে আবারও সংশ্লিষ্ট দাগ বসিয়ে দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করেন।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, সার্ভেয়ারের দপ্তরের কাজ করার সুযোগে বিভিন্ন এলাকার মৌজা, দাগ পরিবর্তনসহ পেনসিল ব্যবহার করে রেকর্ড রুমে পর্যন্ত সংরক্ষিত ভলিউমের এসএ দাগ পরিবর্তন করেন তিনি। এমনকি সার্ভেয়ারের সাথে বিশেষ সখ্যতার কারণে তিনি রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত কাগজপত্রসহ বিভিন্ন গোপন নথির গোপন তথ্য বাইরে প্রকাশ করে দেন।
অভিযোগহ উঠেছে, যেসব এলাকার মৌজা অদ্যাবধি ছাপার জন্য যায়নি, সেখানকার মৌজাসমুহের দাগ নম্বর এবং নকশা পরিবর্তন করে ইতোমধ্যে মনিরুজ্জামান হাতেনাতে ধরা পর্যন্ত খেয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি এক ব্যক্তির দাগ টেম্পাংি করার ঘটনায় ধরার পড়ার পর ঐ মনিরুজ্জামান শিমুল সংক্ষুব্ধ পক্ষের চাপের মুখে সদ্য প্রকাশিত ম্যাপে পূর্বের দাগ বসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ দশক ধরে ঐ মনিরুজ্জামান শিমুল উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের যাতায়াত করে। যেকারনে এক পর্যায়ে সুচতুর মনিরুজ্জামান শিমুল যখনই যে সার্ভেয়ার এসছে তাকে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে ‘হয় কাজ, নয় করেছেন’।
এমনও অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন সার্ভেয়ারের দপ্তরে কাজ করার সুযোগে যখনই যে সার্ভেয়ার এসেছে তাকে কৌশলে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় মনিরুজ্জামান শিমুল। আর শিমুল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যাবতীয় কাজ নিজ হাতে করে উপার্জিত ঘুষের নির্দিষ্ট ভাগ সংশ্লিষ্ট ভাগ ঐ সার্ভেয়ারকে বুঝিয়ে দেয়ার কারণে ধরে সে বহাল তবিয়তে সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার রুমের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া সরকারি নির্দেশনা উপক্ষো করে সারাদিন পর্শ্চা বিক্রির পর সন্ধ্যায় এই শিমুল ও পেশকার রনজিৎ সুত্রধরের নেতৃত্বে উপস্থিত কর্মজীবীদের মাঝে এসব উৎকোচের টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়।
জানা গেছে, পেশকার তথা সার্ভেয়ারের অতিশয় কাছের মানুষ হওয়াতে মনিরুজ্জহামান শিমুল বিভিন্ন পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত করে সব মুশকিল’ আহসান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বেশুমার অর্থ বাণিজ্য করে চলেছে
এছাড়া বহিরাগতদের রেকর্ড রুমে নিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন নথি প্রদর্শনসহ কাট পেনসিল ব্যবহারের নথি থেকে বিভিন্ন দাগ মুছে দেয়া অঅর নতুন নতুন দাগ সংযুক্ত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তার নিয়মিত কাজের অংশ বলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেছে মনিুরজ্জামান শিমুল স্থানীয় আরও ৩/৪ জনকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে দুলে পর্শ্চা প্রদানসহ মিসকে শুনানী আর নথিপত্র ঘষাঁমাজা করে সেটেলমেন্ট অফিসকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে।
অভিযোগ স্থানীয় কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যু প্রতিনিয়ত তার অফিসে যাওয়ার পর মনিরুজ্জামান শিমুলের নিকট থেকে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র সংগ্রহ করে। আরও অভিযোগ অফিসের অনেক স্পর্শকাতর আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সে বাইরের নিজস্ব লোকদের সরবরাহ করে অফিসের গোপনীয়তার শর্ত ভংগ করে। আর সে সুযোগ নিয়ে পরবর্তী সংশ্লিষ্টরা ঐ তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি জমি পর্যন্ত ইজারা নিয়ে রীতিমত রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।
এবিষয়ে মনিরুজ্জামারন শিশু বলেন, আমি সরকারি কোন কাজ করিনা। সার্ভেয়ার সাহেবকে একটু কাজে সহায়তা করি। মুন্সিগঞ্জ, জেলেখালীসহ কয়েকটি এলাকার দাগ নং টেম্পারিং নিয়ে জানতে তিনি বলেন- ঐ কাজ কে করেছে জানিনা।
স্থানীয়রা অবিলম্বে বেপরোয়া দুর্নীতিবাজ মনিরুজ্জামান শিমুল ও তার প্রশয়দাতা সার্ভেয়ার রনজিৎ সুত্রধরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যাচাই বাছাই ও তদন্তের অনুরোধ করেছেন। একইসাথে সরকারি তথ্য বাইরে পাচারসহ ম্যাপ জালিয়াতি ও এসএ খতিয়ানসহ মুল ভলিয়মের দাগ নং ঘঁষামাজার কাজে জড়িত মনিরুজ্জামান শিমুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগসহ জোনাল অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

The post শ্যামনগর সেটেলমেন্ট অফিসের জরিপ বিভাগে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3uzxCs0

No comments:

Post a Comment