Monday, February 22, 2021

শতবর্ষে মুজিব এবং বাংলাদেশ https://ift.tt/eA8V8J

মানুষ স্বভাবতঃই স্বাধীনতা প্রিয় জীব। মানব সভ্যতার অগ্রগতির পাশাপাশি পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে মানুষ গড়ে তোলে মুক্ত স্বদেশ। দেশকে দেশের মানুষকে শত্রুর কবল থেকে মুক্ত করার জন্যে ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে সেই ‘মুক্তিযুদ্ধ’ একটি অগ্নিঝরা শিহরণ, রক্তস্নাত সংগ্রাম আর স্বাধিকার আদায়ের জন্যে মরণপণ লড়াইয়ের নাম। যাঁর অকুতোভয় নেতৃত্বে পরাধীন বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সূর্যকে করায়ত্ব করতে সমর্থ হয়েছিল তিনি হচ্ছেন বাঙালি জাতির মহান স্থপতি, স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি শোষণ মুক্ত সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির  পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ নদীঘেরা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন .তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়রা খাতুন।

বাংলার রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দেবদূত। তিনি এক বুক আশা নিয়ে একটি অনিন্দ্যসুন্দর এবং সুশৃঙ্খল স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বজ্রকঠিন শপথ নিয়ে ধারাবাহিক সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে। প্রকৃত প্রস্তাবে এমনই একজন মানব সৃষ্টি হয়েছিল বাঙালিদের জন্যে যাঁর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আবার একইভাবে বলা যেতে পারে পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্, ভারতের জনক মহাত্মা গান্ধী, ইন্দোনেশিয়ার জনক সুহার্তো, গণচীনের জনক মাও সেতুং এবং রাশিয়ার জনক লেনিন।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানি (বর্তমান বাংলাদেশী) জনগণের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার হরণ করে নেয়। আওয়ামীলীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠলেন। বস্তুতঃ ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে শাসকগোষ্ঠী যে বৈষম্যমূলক আচরণ প্রদর্শন করে তাতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

প্রাচীন বাংলার প্রথম স্বাধীন ঐতিহাসিক গোপচন্দ্রের নিবাস গোপালগঞ্জের ক্ষণজন্মা পুরুষ প্রায় দেড় হাজার বছর পরে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর ক্রমাগত অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের জের ধরে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ (রোববার) ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ নমো নমো নমঃ সুন্দরী নমো

জননী জন্মভূমি’র জন্য তাঁর বজ্রকণ্ঠ থেকে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী বক্তব্য নিঃসৃত করেন  :

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’।

তিনি আরো বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, তবু এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। তিনি যুদ্ধের আহ্ববান জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, আমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’। এই অনলবর্ষী ভাষণের মধ্যে যেন বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবনের কাঙ্ক্ষিত মুক্তির সনদ খুঁজে পেয়েছিলেন। এই অসাধারণ ঘোষণার পেছনে রয়েছে বাঙালির অনেকগুলো ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের ইতিহাস এবং ঘোষকের দুঃসাহস আর সুমহান বীরত্বগাঁথা।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের দিনকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে World Documentary Heritage এর মর্যাদা দিয়ে Memory of the World International Register- এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।

শেখ মুজিব আজীবন ছিলেন জনগণের সঙ্গে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষর প্রতিনিধি পুরুষ হয়ে। সাহস ছিল তাঁর অজেয় বর্ম। কেননা তা ব্যক্তিগত ছিল না, ছিল জনগণের জোগানো সম্মিলিত সাহস। দেশ বিভাগের অব্যবহিত পরে ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক স্বরূপ নগ্নরূপে উন্মোচিত হলো ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একটিমাত্র ঘোষণায় ‘Urdu and Urdu is the state Language of Pakistan’ এ ঘোষণা শোনামাত্র সভা মধ্য থেকে যে তিনটি স্বরে ‘No’, ‘No’, ‘No’ উচ্চারিত হয়েছিল তার মধ্যে বলিষ্ঠতম কণ্ঠস্বরটি ছিল শেখ মুজিবের। ১৯৪৯ সালে জন্ম হলো আওয়ামী মুসলিম লীগের, যার অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৮ সাল থেকে সামরিক শাসনের অন্ধকার যুগ এবং আওয়ামী বামপন্থী নেতৃবৃন্দের কারা নির্যাতন শুরু। ১৯৬২ সালে সামরিক শাসন প্রত্যাহার এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের নামে নিজেকে সিভিলিয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনারেল আইয়ুব খানের ঘোষণা। এ বছর ১৮ জুন তারিখে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই শেখ মুজিবের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন সংগঠন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এ আন্দোলনের গতি ত্বরান্বিতকরণ। ইতোমধ্যে কাশ্মীর প্রশ্নে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সুদূরপ্রসারী ঘটনার জন্ম দিলো-জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফার ও জন্ম হয় এ সংকটকালে।  এ ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দাবানলের মতো পূর্ববঙ্গে এক দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে।

ঐতিহাসিক ছয় দফার সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ দফাগুলো জনসমক্ষে ব্যাখ্যার জন্যে বঙ্গবন্ধু সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৫-৬ সপ্তাহ তাও আবার গভর্ণর মোনেমের নির্দেশে পূর্ববঙ্গের প্রতিটি জেলায় মুজিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়াতে তিনি যেখানে যেতেন, হয়তো সভা থেকে আদালতে, নয়তো আদালত থেকে সভাতে যাতায়াতের হয়রানি ছিল তাঁর প্রতিদিনের রুটিন মাফিক কাজ।

৮ মে কারারুদ্ধ হয়ে আটকে থাকেন একটানা ২০ মাস ১০ দিন। ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি রাত তিনটায় জেল থেকে মুজিবকে বের করে পাক সেনাবাহিনী অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এর পরবর্তী কয়েকমাস তাঁর ঠিকানা কেউ জানতো না। আসলে দেশ দ্রোহিতার অভিযোগে আনীত তথাকথিত ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায়’ শেখ মুজিবকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। জনতার রোষের মুখে সে মামলা অসম্পূর্ণ রেখেই বিচারক পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এরি সূত্রে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, আইয়ুবের পদত্যাগ, ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন জারি এবং এক ব্যক্তির গণভোটের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত সত্তরের নির্বাচনে মুজিবের নেতৃত্বে সারা পাকিস্তানে আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ভুট্টো-ইয়াহিয়ার আঁতাতে ক্ষমতা হস্তান্তর বানচাল করার ষড়যন্ত্র, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম’ বলে মুজিবের ঐতিহাসিক উচ্চারণ, হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, ওয়্যারলেসে মুজিবের  স্বাধীনতা ঘোষণা, সফল মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়- এর সবই এক মুজিব সূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত , দুর্নীতি ও শোষণহীন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। ‘বাংলার মানুষের মুক্তি’ এই দর্শনের ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু আধুনিক রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন, যা দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৭৩-১৯৭৮) প্রতিফলিত হয়েছিল। তাঁরই দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ নিম্ন মধ্যআয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে  প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে।

বাংলাদেশ আজ এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার চৌষট্টি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও এখন ৪১ বিলিয়ন ডলারের উপরে। দেশ স্বাধীন হবার সময় আমাদের গড় আয়ু ছিল ৪৭, এখন ৭২ বছরের উপরে।  প্রাথমিক স্কুলে যাওয়া ছাত্র- ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় শতভাগ। স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার বর্তমানে অসাধারণ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়েই সারাদেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু যোগ করেছে বাংলাদেশের স্থান বিশ্বের দরবারে নতুন মাত্রা। মেট্রো রেলের চলমান নির্মাণ কাজ, পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজ এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে বহুলেন টানেল নির্মাণের প্রথম টানেল সমাপ্ত হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মাতারবাড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ,পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পর আবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেস হাইওয়ের যুগে পা রাখলো বাংলাদেশ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘মুজিববর্ষ’ এ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ২৯৮টি কর্মসূচি সংবলিত একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।  প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বছরব্যাপী নিয়েছে নানা ধরনের জনকল্যাণধর্মী কার্যক্রম, এর মধ্যে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষরোপণ ও সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণে গৃহহীন-আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওয়তায় ১,৫৩,৭৭৭টি গৃহহীন পরিবারকে তাদের নিজ জায়গায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আধা পাকা ঘর দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া ৩৬টি উপজেলায় ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে আরও ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মুজিব বর্ষে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দিচ্ছে সরকার,এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ উদ্যোগ পেয়েছে অনবদ্য সাফল্য।

বৈশ্বিক করোনা মহামারির বিধ্বংসী উপেক্ষা করে সরকার দ্রুততমসময়ে পিসিআর ল্যাব স্থাপন থেকে শুরু করে সমস্ত সেক্টরে সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার ১৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা মোট জিডিপির চার দশমিক তিন-শূন্য শতাংশ।

সরকার ২৭ শে জানুয়ারি থেকে প্রথম করোনার টিকা দিতে শুভ সূচনা করেছে, যা গোটা মানব জাতিকে এক চরম অনিশ্চয়তা, হতাশা, উৎকণ্ঠা, গুজব থেকে মুক্তি দিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রকাশিত ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স রেঙ্কিং’ এ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান প্রথম এবং বিশ্ব ২০ তম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’। সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান বাঙালি জাতি করোনা মহামারির ভয়াবহতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়তে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন ও বিকাশ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ একটি উন্নত জাতি ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে বদ্ধ পরিকর। আর এখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র একটি নাম নয়, শতবর্ষে তিনি-একটি ইতিহাস, একটি পতাকা, একটি দেশ। জন্ম শতবর্ষে একজন ‘Poet of  Politics’ এর এখানেই  সার্থকতা। পিআইডি ফিচার

লেখক : আফরোজা নাইচ রিমা, সিনিয়র তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর।

 

The post শতবর্ষে মুজিব এবং বাংলাদেশ appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3dzrn1p

No comments:

Post a Comment