মনিরুজ্জামান মুন্না
দেবদূত তুমি, তুমি অবাক দেশের অবাক গুণী। কবিতা-গানের মিষ্টি কথায় সমতার সুর শুনি। সাহসের আধার তুমি কবি সমতার স্বপ্নের ধ্রুব তুমি সাথী জনতার, রেনেসাঁ মানব তুমি কালের খেয়ার। গণের দেবতা তুমি মুকুট বাঙলার। বকুল ফুলের সুবাস তুমি বৈরী বৃষ্টিতে ভেজা। প্রসন্ন প্রহরে পল¬ীবালার ধার না ধারা তেজা। প্রদীপ জ্বালাও প্রাণে-মনে তিমির তিমিরান্তিকে, মহাকাল সমকালে ভেড়াও চিন্তার মুক্ত প্রান্তিকে। আলোক বর্ষের স্বপ্ন ফেরী করে পরপারে ক্লান্তির নীড়ে কিম্বা খেয়ালী নির্জনতায় পরম মমতায় ছুঁয়ে দাও বিভাজিত জীবনে রোদ্দুর। তুমি তোমার কালে রেনেসাঁ মানব বলে- গরবিনীর জীর্ণবসনে যৌবন কাব্যের প্রচ্ছদ এঁকেছিলে। জননী জন্মভূমে; উজ্জীবনী মন্ত্রে কল্প-কলুষ কুঞ্জনে; গুঞ্জনে-গুঞ্জনে হতাশার কফিনে বিজয়ের উত্তরীয় জড়ালে। সে সৌভাগ্য সুধায়-মেঘলা মন ধেয়ে যায় সত্যালোকের ঝর্ণায় ঢাকা-কোলকাতা কিংবা চুরুলিয়ায়। প্রজাপতি রঙ ছড়ালো মেঘের ভাঁজে। জনম-জনমে ধূর্জটি রূপে হৃদয়ের মরা গাঙে বান ডাকে। কলঙ্ক মুক্তির তা-বী নবাবে বঙ্গ-অঙ্গে জ্যোৎস্না জাগালে। তুলে আনলে বর্ণের বর্নিলে হেলায় হারানো অস্তিত্বরে; অসুস্থ বাস্তিল থেকে টানলে ভাড়াখাটা মগজের অপকীর্তির খতিয়ান। রক্তের লোহিত ছায়াপথে নক্ষত্রের বৃষ্টি ঝরায়ে সময়ের সংগ্রামী চাহিদায় তুমি হয়েছিলে জনতার কবি। সে পদচিহ্নের বিচিত্র রঙে খুঁজে নিয়েছি নির্ভরতার চাবী। স্বাধীনতার স্বস্তির সৌরভে অটল অভিপ্রায় ভেঙে দিয়েছিলে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের ঘুম। তাই কামনার ক্যানভাসে স্বপ্নরা নেমে আসে পূর্ণিমার পথে; দূর্লভ নির্ভয়ের সংগ্রামী গীত-মুখরিত করে চারদিক। দুখের দুখুমিঞা তুমি। অথচ তোমার সৃষ্টির যাযাবরে অস্থিরতা নেই। সে পরশ প্রেরণায় বাঙালিকে জাগরুখ আর স্বস্তির প্রত্যাশয় জীবন সংগ্রাম সম্মুখের। যদিও তোমার সে যুদ্ধ আমি দেখিনি, তবুও মনে হয় টিকে থাকার নিরন্তর লড়াইয়ের দায় তোমার একার নয়। চোখ উপড়ানো পদ্মফুল দিতে না পারলেও প্রজন্মের পরম্পরায় সে দায়ভারে ভারাক্রান্ত হতে চাই আমরাও। চাই ঐ অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমাদওে খাঁটির প্রত্যয়ী হতে।
আনন্দ যজ্ঞের যোগী হয়ে আজ হতে শতবর্ষ আগে নিভৃতের এ তৃষ্ণিত জনপদে তুমি এসেছিলে। তুমি এসেছিলে বলে বাঙলার এই নৈঋখ প্রান্তের লোকালয় পরেছিলো টিপ, জে¦লেছিলো দ্বীপ লাল-সবুজের আভায়। এসেছিলে বলে ভাবনার পালে বিবর্তনের হাওয়া লাগে। অনুভূতির গভীরতা ঋদ্ধ হয়ে দূর-নিকটের ব্যবধান ঘোচায়। তোমাকে পাওয়ায় দারুণ মিথস্ক্রিয়ায় নদী হয়ে ছুটি মোহনায়। অগ্নিবীণা বেজে আচমকায় স্বাক্ষী হয় ইতিহাসের প্রচার-পাতায়। গ্লানির মোহ পরে আলোক রাখী, উজ্জীবনের সুরে-সুরে গান গায় সুখপাখি। শিক্ষণের বীক্ষণে সে অগ্নীবীনায় রচিয়ে হৃদয়ের আকুল অঞ্জলী সপেছি আজ হে নজরুল। তোমার রসদের চুম্বনে নব ভীত্তির উত্থিত সৃষ্টির সৃজনে ভাদ্রের বৃষ্টিতে আকাশের কান্নার মতো সিক্ত করো আমাদের হৃদয়। ¯œাত করো নবধারা’র শুভ্র জলে। চিন্তার প্রশিক্ষণ আর চেতনার চাষাবাদে পৌঁছে দাও দ্রোহ-বিদ্রোহের উত্তরাধিকারীরি সক্ষমতায়। মানবতার আলতাপরির কাক্সিক্ষত মোহনচূড়ায়। বঙ্গের তরে তোমার আত্মবিসর্জন আর সুখ-দুঃখের দোলাচলে সাহিত্যেও জলসায় আমাদের তুমি ভাসিয়ে নাও ত্যাগ আর অহিংসার সাম্যবাদী ঠিকানায়। যেন কোন স্বার্থন্বেষী অপপ্রচারির প্রচারণায় থাকতে না হয় বাঁশি আর না বাজার আশঙ্কায়। কীর্তির দীপ্ত ধূলায় রয়েছো তুমি অন্তর-অন্তরায়। মুক্তমনার সজীব চেতনায়, শুধু সম্মানের অভিবাদনে নয়, কোটি বাঙালির নিখাদ ভালোবাসায়। তাই জীবন নদীর বাঁকে সময় আজ তোমাকে মহাকালের স্বাক্ষীরূপে আপন করে রাখে।
The post বাজে কি বাজেনা অগ্নিবীণা appeared first on Daily Patradoot Satkhira.
from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/3gyrmbS
No comments:
Post a Comment