Thursday, August 27, 2020

যুপোপযোগী আইন চাই: বিচার বহির্ভূত হত্যার অবসান চাই: জনগণের বাংলাদেশ চাই https://ift.tt/eA8V8J

অধ্যাপক ইদ্রিস আলী
আইনের শাসন ও জীবন মানের উন্নয়নে কত কথা, কত বক্তৃতা, বিবৃতি যেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। একটি দেশে সাধারণ জনগণ এবং সরকারের মধ্যে আন্ত:সম্পর্ক দিয়েই নির্ণয় করা হয় দেশের মানুষ পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবনে শান্তির সুবাতাস পাবে কিনা? মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা বাংলাদেশ এবং সেই দেশের মানুষের জীবন মানের সমৃদ্ধিতে আমরা কত দূর অগ্রসর হয়েছি। ১৯৭২ সাল থেকে রক্ষী বাহিনীকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা ও গুম করা শুরু। তারপর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকা-, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা, ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর দেশের জাতীয় চার নেতার জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা। সেনাবাহিনীর মধ্যে খুনোখুনি, কর্ণেল আবু তাহেরকে বিচারের নামে প্রহসন করে খুন করা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেনা অফিসারদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা, জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, মেজর মঞ্জুসহ অসংখ্য সামরিক অফিসার হত্যা। এরশাদ আমলে নূর হোসেনকে হত্যা, ডা. মিলন হত্যা, খালেদা জিয়ার আমলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, শেখ হাসিনার আমলে জননিরাপত্তা আইনের নামে বিরোধী মতকে দমন।

 

 

আবার ২০০১ সালের জামাত-বিএনপির আমলে ভিন্ন মতের ব্যক্তিদের দমন পীড়ন ও হত্যা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা নিক্ষেপ, হরকাতুল জিহাদ বাহিনীর আবির্ভাব এক সাথে দেশের ৬৩ জেলার বোমা হামলা, বিচারক ও আইনজীবীকে প্রকাশ্যে বোমা মেরে হত্যা। বই মেলায় লেখক, বুদ্ধিজীবীর উপর হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড চার্জ ও জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমান (সাবেক রাষ্ট্রপতি জিললুর রহমানের স্ত্রী)সহ ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া। পরবর্তীতে মহাজোট সরকারের আমলে পেট্রোল বোমা হামলা, গাছ কাটা, রেল লাইনের প্লেট তুলে নেওয়া, হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করা, এ সবই দেশের জন্য খারাপ খবর। এরমধ্যে নতুন একটি সংযোগ হল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা লাইসেন্সধারী অস্ত্র নিয়ে বিচার বহির্ভূত হত্যা, ক্রস ফায়ার, এন কাউন্টার, গোলাগুলি, বন্দুক যুদ্ধ ইত্যাদি শিরোনামে দেশের বহু মানুষকে হত্যা করেছে। বিচারের কোন গলদ বা ত্রুটি আছে কিনা সেটাও ভেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু বিচার বহির্ভূত হত্যাকে কিভাবে সমর্থন করা যাবে? একজন বিবেকবান গণতন্ত্রমনা, স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষ কখনও কি ক্রসফায়ার বা বিচার বহির্ভূত হত্যা সমর্থন করতে পারে? র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী যা কিছুই তো এই দেশকে রক্ষা করার জন্য। তাহলে এই সব বাহিনীর কিছু কিছু কর্মকর্তা যদি আইন লংঘন করেন, তাদের যেমন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত, সেই সাথে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি ক্ষমতাকে পুঁজি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হন, তা তদন্ত করে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তিকে দন্ডাদেশ দেওয়া প্রয়োজন। দেশের সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর জীবন মানের উন্নতি করা যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সেই একইভাবে রাষ্ট্রের যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীর সম্পদের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছ হিসাব থাকা জরুরী। দেশের ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাবান সবাইকে সম্পদের হিসাব অবশ্যই দিতে হবে। সেই সাথে পেশায় আন্তরিক ও দক্ষতার মূল্যায়ন করে প্রোমোশন ব্যবস্থা একটি স্বচ্ছ নীতিমালার মাধ্যমে হওয়া উচিত। আজকে সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ হয়েছে বলে এবং সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বোন সাহস করে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে হয়ত কিছুটা হৈ চৈ হচ্ছে। হয়ত কয়েকজন শাস্তিও পাবে। কিন্তু সারাদেশে কোন থানার পুলিশকে সাধারণ জনগণ তাদের বন্ধু মনে করে সেটা একটু জরিপ করা দরকার।
প্রায়ই শুনা যায়, পুলিশের সাধারণ সিপাহী হতেও গ্রামের সাধারণ গরীব ঘরের ছেলে মেয়েদের অনেক টাকা গুজতে হয়। সাব ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, আইজি এ সকল পদের মূল কাজটা কি? এই বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী তো এখন ব্রিটিশ সরকারের লোক না? স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক এই পুলিশ। পুলিশের নামে প্রায়ই শোনা যায় গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে, কাউকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেওয়ায় হলো পুলিশের কাজ। কিন্তু গ্রেপ্তার বাণিজ্য, বাস-ট্রাকের নিকট থেকে চাঁদা আদায়, রাস্তায় চলা ব্যাটারী ভ্যান, ইজিবাইক চালক, মাহেন্দ্র চালকদের নিকট থেকে মাস চুক্তিতে যে পুলিশ প্রশাসন টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে, যেটা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভাল হওয়ার জন্য লাগে বিবেক, লাগে মনুষ্যত্ব, লাগে দেশ ও জনগণের প্রতি দরদ।

 

আমার মনে হয়, সব পুলিশ খারাপ নয়, কিছু কিছু পুলিশ লোভের বশবতী হয়ে এমন অপকর্ম করেন এবং নিজের পেশা ও নিজেকে ছোট করেন। দুষ্টের দমন ও শিষ্ঠের পালনের অসংখ্য উদাহরণ আছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সুনাম ও ভালবাসা নিয়ে যত মাথা উঁচু করে বাঁচা যায়, লোভ ও উন্মাদনা এবং নেশাসক্ত হলে মাথা নিচু হয়ে যায়, জীবনে কষ্ট নেমে আসে। আমার মনে হয় দেশে পুলিশ প্রশাসনের চাকরিটা বেশ কঠিন ও পরিশ্রমের। সেই কারণে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করানোর জন্য সরকারের উচিত কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। এ ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের প্রতিদিন ও প্রতি মাস এবং প্রতি বছর কাজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ও স্ব স্ব এলাকার সংসদ সদস্যবৃন্দের সাথে মাঝে মাঝে সংলাপ হওয়া জরুরী। একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বর, উপজেলার চেয়ারম্যান, স্ব স্ব সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন পুলিশ প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা কি ধরনের ও কেমন লোক ও কেমন জনদরদী। যেই কারণে একটি দেশের কোন পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাজের মূল্যায়নে প্রতি ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও জাতীয় সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত। আলাপ আলোচনা করে পেশাদারিত্বের সম্মান বৃদ্ধি করা সম্ভব। দেশের ১৮ কোটি মানুষ যেমন সবাই লোভী নয়, সবাই খারাপ নয়, তেমনি কোন একটি বাহিনীর সবাই খারাপ হতে পারে না। এই দেশকে জয় লাভ করতে হলে সব শ্রেণি পেশার মানুষকে আমলে নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দরদ দিয়ে খেলা করতে হয়। খেলায় হার জিত থাকবে, কিন্তু হিংসা বা প্রতিহিংসা ভাল লক্ষণ নয়। কোন সংসারের একটি ছেলে বা মেয়ে অকালে যদি মৃত্যু হয় তাহলে সেই সংসারের অভিভাবক খুবই অসহায় হয়ে যায়, কষ্ট পায়, সন্তান হারা অভিভাবকের আর্তনাদে প্রতিবেশির চোখেও পানি আসে। ঘটনা কখনও কখনও রেডিও, টেলিভিশন এবং পত্রপত্রিকায় সাংবাদিক ভাইয়েরা যদি খবরের গুরুত্ব বুঝে প্রচারে নামে তাহলে সরকারের টনক নড়ে। হয়তবা সরকার প্রধানেরও চোখে পানি আসে। তখন খবরের শিরোনাম হয় কিছু কিছু মৃত্যু। মৃত্যু নয় হত্যা, আমি সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যার কথা বলছি। অবশ্য এ ধরনের হাজার হাজার হত্যার ঘটনা এ দেশে পুলিশ ও র‌্যাবের মাধ্যমে ঘটেছে। রাজশাহী এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের একমাত্র ছেলে মিলনের কথাও এমন দাগ কেটে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষক ও ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কান্নার ছবি টিভিতে প্রচার করেছিল বলে। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি জামাত সরকার। বিএনপির তখনকার সরকার বলেছিল আল্লার মাল আল্লায় নিয়েছে। সে কাজটি র‌্যাব ঘটিয়েছিল, আর বর্তমানে সিনহা মুহাম্মদ রাশেদকে হত্যা করল এসপি মাসুদ, ওসি প্রদীপসহ কয়েকজন পুলিশ পরিকল্পনা করে।

 

খবরের কাগজের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। পত্রিকায় এসেছে, সিনহা মুহাম্মদ রাশেদকে লিয়াকত গুলি করে হত্যা করার ১৫/২০ মিনিট পরে ওসি প্রদীপ এসে সিনহার লাশের উপর আরও দু’টি গুলি চালিয়েছে এবং পায়ের বুট দিয়ে লাথিও মেরেছে। ছি! ছি! এত জঘন্য কাজ কি কোন মানুষ করতে পারে? পুলিশ তো সুশৃঙ্খলভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী। তাদের মধ্যে এমন হিংস্রতা? যাক্ সে কথা। বর্তমানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ. স. ম রব জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জে.এসডি সভাপতি একটি বিবৃতিতে বলেছেন এখান থেকে সরকারের শপথ নেওয়া উচিত, আর কোন সিনহা মুহাম্মদ রাশেদের যেন প্রাণ না যায়, তার জন্য এখনই ক্রয় ফায়ার বন্ধ হউক। আমি এই বিবৃতিকে একশ ভাগ সমর্থন করি। ক্রস ফায়ার করে নতুন নতুন গল্প বলে পত্রিকায় প্রকাশ করা যে কত বড় অসভ্যতা যেটা দেশের বিবেকবান মানুষ অনেকদিন ধরে বলে আসছেন। সরকারের উচিত এক্ষুণি ক্রস ফায়ার বা বিনা বিচারে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা। সেই সাথে দেশকে নিরাপদ আবাস ভূমি বানানোর জন্য দেশের সকল প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে পরিচালনার জন্য সাহসী উদ্যোগ নেওয়া। পুলিশ জনগণ ভাই ভাই এই সেøাগানের বাস্তবায়ন চাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সকল সেক্টরের কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে সমন্বয় ও কাজের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি চালু করা উচিত। দেশের মধ্যে আর্থিক শৃঙ্খলা সামাজিক ঐক্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার জন্য একটি জাতীয় ঐক্যমত হওয়া দরকার। দেশের সংসদে সকল শ্রেণি পেশার স্বার্থ সমুন্নত রেখে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা চালু করা উচিত। উচ্চ কক্ষ ও নি¤œ কক্ষ মিলে একটি ভারসাম্যমূলক পার্লামেন্ট ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। পার্লামেন্টে উচ্চ কক্ষে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, প্রতিনিধি, শিক্ষকদের প্রতিনিধি, শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি, কর্মজীবীদের প্রতিনিধি থাকা দরকার। স্ব স্ব সংসদীয় জেলা থেকে সদস্য থাকা উচিত। শুধুমাত্র ভাবাবেগ ও অতীত জয়ের কাহিনী বলে এখন বর্তমান বিশ্বে আমরা দাড়াতে পারব না। আজকের তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেইস বুক, হউটিউব, টুইটার, গুগলের বদৌলতে অনেক ঘটনা সহজেই পৃথিবীর বহুদেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যায়। সেই কারণে ক্রস ফায়ার, বিচার বহির্ভূত হত্যা করে সরকারের কোন বাহিনী খুব বেশি প্রশংসা কুড়াতে পারবে না। পৃথিবীতে এখন রাষ্ট্র রাষ্ট্রকে দখল করতে আসবে না। ব্যবসায়ীরা নানান ফন্দি ফিকির করে বাজার দখল করবে। নিু আয়ের মানুষের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। আধুনিক বিশ্ব ব্যবস্থায় অর্থের বিনিময়ে সবকিছু কেনা বেচার সংস্কৃতি চালু হয়েছে।

 

টাকার লোভে মানুষ হত্যার কাহিনী মগের মুল্লুক থেকে চালু হলেও আজকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু মানুষ এটা করছে ভয়ানকভাবে। জনকল্যাণ, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা, জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলা এখন যেন যে কোন গল্প বলে মনে করা হচ্ছে। দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করতে যে সব জনগণের রক্ত পানি করতে হয়, সেই জনগণের ভোটে যারা জনপ্রতিনিধি হন, তাদের মধ্যে নেশা সৃষ্টি হয়েছে টাকার নেশা। অবৈধ সম্পদ বা টাকার নেশা। দেশের যারা অভিভাবক সাজছেন, তারাই যদি গাড়ীর নেশা, বাড়ীর নেশায় আসক্ত থাকেন তাহলে সে দেশের ভবিষ্যত কি? সমাজের সর্বক্ষেত্রে ঘুন ধরেছে। এখান থেকে বের হতে হলে নতুন চুক্তি, নতুন কর্মসূচী। নিজের লোভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। নিজেকে জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার যুদ্ধ। অবৈধ বিত্ত বৈভব বানানো ক্যান্সার সম অসৎ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সমাজের সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। দুর্নীতি মুক্ত সুশাসন ও সমতাভিত্তিক সমাজগড়ে তোলার যুদ্ধ। তার জন্য শ্রমজীবী, কর্মজীবী পেশাজীবীর মধ্যে সামাজিক চুক্তি হওয়া দরকার। সমাজের সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার জন্য জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। চক্রান্ত ও মিথ্যাচারকে রুখতে হবে, ন্যায়বিচার, সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। লেখক: শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাসদ

The post যুপোপযোগী আইন চাই: বিচার বহির্ভূত হত্যার অবসান চাই: জনগণের বাংলাদেশ চাই appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2EnsPov

No comments:

Post a Comment