Friday, February 19, 2021

ভাষা ও বিজ্ঞান https://ift.tt/eA8V8J

এটিএম রেজাউল হক

বিজ্ঞান উন্নতির ক্ষেত্রে ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করতে যেয়ে যে সমস্ত ভাষা ব্যবহার করি তা জাতিগতভাবে এবং দেশ গত ভাবে পৃথকীকরণ হয়ে আছে। বিশ্বসভ্যতা সৃষ্টিতে বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগতে চেয়ে ভাষার ব্যাক্তি ঘটেছে এখানে পৃথিবীতে নামকরা যেসকল ভাষাগুলি আছে তার উল্লেখ করা যেতে পারে যে পৃথিবীতে যে সকল নামকরা ভাষা প্রচলিত আছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হিব্রু আরবি-ফারসি ইংরেজি ট্রান্সলেশন হিন্দি উর্দু বাংলা ইত্যাদি। প্রত্যেকে তার নিজস্ব ভাষাগত বৈশিষ্ট্যের কারণে পৃথক পৃথক সংস্কৃতি পড়ে তুলেছে। বিশ্বশান্তি সৃষ্টির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক ভাবনা চিন্তার উন্মেষ ঘটেছে পৃথকভাবে যে যে ভাষা ব্যবহার করে সে সেই ভাষাতেই অসীম ভাবনার জন্ম ও বিচরণ করছে। সংখ্যাতত্ত্ব বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অতিমাত্রায় ব্যবহৃত হলেও ভাষা ও ভাবনার জন্ম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বিজ্ঞান উন্নয়ন চিন্তা-চেতনা সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করতে হলে পৃথক পৃথক অস্তিত্বকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ থাকেনা বিজ্ঞানের উন্নয়ন মানুষের প্রয়োজন গত তা না বলা যেতে পারে সব বিজ্ঞানের উন্নয়ন যে বিশ্বশান্তি গত ভাবে যে হয়েছে তা নয় কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মানুষের আধিপত্যবাদকে কেন্দ্র করে আরো কিছু বৈজ্ঞানিক উন্নতি বা আবিষ্কার হয়েছে বড় বড় মনীষীরা ভাষাগত ও তাত্ত্বিক জ্ঞান এর উপরে জোর না দিয়ে চিন্তন চেতনায় অতিষ্ঠ থেকেছেন এবং চিন্তন শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বশান্তির জন্য কিছু বিধান প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সেসব মনীষীর চিন্তন কে ধর্মীয় অনুশাসনে রূপান্তরিত করেছেন সেগুলোর কোনো কোনোটি কোন কোন জাতি সৃষ্টি কে শৃংখলাবদ্ধ করে হাজার হাজার বছর পরবর্তী ও প্রচলিত করে আসছে ভাষা ধারা প্রচলিত জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং পৃথক সংস্কৃতিক সৃষ্টিতে বিজ্ঞানের উন্নয়ন ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সে ক্ষেত্রে মাতৃভাষার ভূমিকা সর্বপ্রথম বিবেচনা করা যেতে পারে এবং মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্বপূর্ণ বর্তমানে বিবেচিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী উপলব্ধি তো হয়েছেই বিজ্ঞানের উন্নতিতে অবদান চিন্তা থেকেই আবিষ্কৃত হয় সে কারণে বলা হয় যত মত তত পথ এখন আসা যায় ভিন্ন কথা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ও পরে মানুষের ভাষাগত জাতিগত ধর্মগত প্রভাব বিস্তার এর প্রয়োজনে অনেক যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে এবং সমস্ত যুদ্ধে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বস্তুত হয়েছে অনেক তারপরে সত্য এই যে ভাষা গত কারণে জাতি একত্রিত আছে এবং একই সংস্কৃতিতে উন্নতি লাভ করেছে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহার ও আবিষ্কার এর ক্ষেত্রে নতুন নতুন ফর্মুলা মাতৃভাষার দ্বারা চিন্তাশক্তি পৃথকভাবে প্রয়োগে তা প্রযুক্তি গত ভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে অতএব ভাষাকে সমৃদ্ধশালী করতে প্রতিটি জাতির গবেষণা প্রয়োজন। যে সমস্ত সূত্র আবিষ্কার করতে মানুষের প্রয়োজন এর প্রয়োজন হয় কোন নতুনত্বের বিজ্ঞানভিত্তিক আবিষ্কার এর প্রয়োজন হয় তখন গবেষণা দ্বারা তা সম্ভব করতে ভাষা সমৃদ্ধশালী করার প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি। মানুষ প্রাণী তথা পৃথিবীর ভালো হবে তার চর্চা শুরু প্রতিষ্ঠা করতে ভাষা গবেষণার বিকল্প কিছু নেই এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছি।ভাষা সমৃদ্ধশালি করতে হলে ভাষাবিদদের আরো সচেতন হয়ে কাজ করা প্রয়োজন নুতন নুতন কোন ভাবনা এর জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে যে সমৃদ্ধ নতুন জিনিস আবিষ্কার হয় নিশ্চয়ই তাঁর ভিন্নতা রয়েছে আগে আমরা জেনেছিলাম গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাক্যের কথা বাক্যের ধাতুগত অর্থ প্রকাশিত হতো যেকোনো বাক্য তৈরির কারণ ও তার প্রয়োগ নির্দিষ্টতা ভিন্নতা থাকত পৃথিবীর সমৃদ্ধশালি ভাষাগুলির বিশ্লেষণ করে যে তত্ত্বগত জ্ঞান আহরণ করা যায় তাই নিঃসন্দেহে উপ কার্য। ব্যথা বেদনা আনন্দ উৎসাহ করুণা ভয়ঙ্করতা কোমলতা কঠোরতা প্রকাশের ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ভাষায় যে আবেদন অনু আবেদন আমরা পাঠক্রমে চালু করি তা বিশ্ব সাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম কিনা তা অবশ্যই চিন্তা করতে হবে মানুষের হৃদয় প্রাণ রক্ষার জন্য যেমন হয় তেমনি সেই হৃদয় প্রণোদিত হয়ে প্রাণী হত্যা করে ওর নৃসংসতা প্রকাশ করে অসহায়ের তাই এই ব্যথার বিবেচনা যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য ভাষায় মূল স্থান অধিকার করে আছে এক পরিসংখ্যানে জানা যায় যে পৃথিবীতে মোট জমির পরিমাণ ৭০০ কোটি লোকের মধ্যে স্বভাবে বিচরণ করলে ১০৩ করে জমি প্রত্যেকের ভাগে পড়বে এবং আরো এক পরিসংখ্যানে জানা যায় যে পৃথিবীতে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় সামরিক খাতে ব্যয় হয় ১৮ বিলিয়ন ডলার বর্তমানে তারও বেশি কিন্তু অন্য বস্ত্র বাসস্থান এ ব্যয় হয় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। যদি এই পরিসংখ্যান সত্য হয় তাহলে মানব সভ্যতা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? ঘটা করে আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য দিবসগুলি পালন করি তা বাস্তবিক হাস্যকর নয় কি? সর্বশেষ আমার এই অনুধাবন টি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা যদি বিচার করি এবং প্রয়োগ পদ্ধতি সৃষ্টি চেষ্টা করি তবে সবার আগে ভাষাকে সমৃদ্ধশালি করা প্রয়োজন। মানুষের সাথে মানুষের কথা বলা এবং তার ভাব ভঙ্গিমা ইত্যাদিতে সুন্দর শৈলী এবং শালীনতা উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে আঞ্চলিকতা মূল ভাষার সাথে প্রবৃদ্ধি প্রণয়ন চলছে তা আঞ্চলিক ভাব গুলি ধারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৈশিষ্ট গড়ে তুলছে মূলভাব ধারার ক্রমবর্ধমান আবিষ্কারে বাধা সৃষ্টি করতে পারে কিনা তা আবার ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে অনেক সময় উৎসাহিত করতে পারে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আঞ্চলিক যন্ত্রপাতি ও ভাষার মাধ্যমে আবিষ্কার হয়েছে কিনা তা বিশ্লেষণ করা যায় উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে ঠুং ঠাং ঠুং ঠাং চুড়ির তালে কথাটি বলতে যেয়ে আঞ্চলিকতার ক্ষেত্রে ঠুং ঠাং ঠুং ঠাং কথাটি প্রযোজ্য বিন্যাস কোন ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে তা বিবেচনা করা প্রয়োজন তাই এক দেশের ভাষা আকর্ষণ করে অন্য দেশে সেই ভাষা বিকশিত হয় তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা বিষয়ে জ্ঞান লাভের দেওয়ার ব্যবস্থা প্রণয়ন জোর দেওয়া প্রয়োজন বিশ্ব শান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরি বৈষম্য দূরীকরণে বিজ্ঞানের ভূমিকা গ্রহণ অপরিহার্য এবং আশা করা যায় যে বিশ্বব্যাপী একটি পৃথক মানবতার সংস্কৃতি তৈরি হতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে কেবলমাত্র মাতৃভাষা সমন্বয় সাধন বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের ভাবধারা একত্রীভূত হতে পারে পৃথিবীর বৈষম্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকল ভাষাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে আনয়ন করে এবং ভাবের আদান-প্রদান বর্ধিত করে ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন করা আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলির বিশেষ বিবেচনায় প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

The post ভাষা ও বিজ্ঞান appeared first on Daily Patradoot Satkhira.



from Daily Patradoot Satkhira https://ift.tt/2M4spXI

No comments:

Post a Comment